![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাই নাঈম আর বোন নাবিলা
নাঈম ও নাবিলা দুই ভাই-বোন।
তাদের বাবা মারা গেলেন এবং রেখে গেলেন উত্তরাধিকার হিসাবে ১৮ লাখ টাকা।
ইসলামি বণ্টন অনুযায়ী:
ভাই নাঈম পাবেন: ১২ লাখ টাকা
বোন নাবিলা পাবেন: ৬ লাখ টাকা
১০ বছর পর…
= নাঈম বিয়ে করেছে। তার স্ত্রী, দুই সন্তান এবং বৃদ্ধ মা আছে।
= সে একটি বাসা ভাড়া নেয়, সংসার চালায়, সন্তানদের পড়াশোনা করায়, মা’র ওষুধ কিনে দেয়।
= সব মিলিয়ে, ১০ বছরে তার খরচ হয়: ৮ লাখ টাকা
= স্ত্রীকে মোহরও দিয়েছে: ৩ লাখ টাকা
নাঈমের হাতে থাকে:
১২ লাখ - (৮ লাখ + ৩ লাখ) = ১ লাখ টাকা
=> অন্যদিকে, নাবিলা-ও বিয়ে করেছে।
=> তার স্বামী সংসারের সব খরচ চালায়।
=> নাবিলা নিজের উত্তরাধিকার থেকে প্রাপ্ত সম্পদ অক্ষুন্ন আছে ,
নাবিলার হাতে আছে:
৬ লাখ + মোহর ৩ লাখ = ৯ লাখ টাকা (কোনও দায় নেই)
চূড়ান্ত হিসাব:
-----------------
ব্যক্তি --------------- প্রাপ্ত অর্থ ------------------------ খরচ ------------------------ সর্বশেষ হাতে
নাঈম (ভাই) -------- ১২ লাখ ------------------------ ১১ লাখ ------------------------ ১ লাখ টাকা
নাবিলা (বোন) -------- ৬ লাখ + ৩ লাখ মোহর = ৯ লাখ --- ০ ------------------------ ৯ লাখ টাকা
ফলাফল:
পুরুষ দ্বিগুণ পায় কারণ তার দায়িত্ব দ্বিগুণ
নারী কম পায়, কিন্তু সবটাই নিজের—দায়মুক্ত
তাই, ইসলামে বন্টন সমতা নয়, বরং ন্যায়ের ভিত্তিতে।
যেখানে যার দায়িত্ব বেশি, তার প্রাপ্তিও বেশি—কিন্তু সেই অর্থ পুরোটা তার নিজের না!
যদি সম্পদ সমান বণ্টন হতো (ইসলামি বিধান না মানলে)
========================================
নাঈম ও নাবিলা প্রত্যেকে পেতেন: ৯ লাখ
১০ বছর পর:
নাঈম:
খরচ: ৮ লাখ (সংসার) + ৩ লাখ (মোহর) = ১১ লাখ
টাকা স্বল্পতা: ৯ - ১১ = -২ লাখ (ঋণে ডুবে যেত!)
নাবিলা:
হাতে: ৯ + ৩ (মোহর) = ১২ লাখ (দায়মুক্ত)।
তুলনা:
ব্যক্তি --------------- প্রাপ্ত অর্থ --------------- খরচ --------------- সর্বশেষ হাতে
নাঈম --------------- ৯ লাখ --------------- ১১ লাখ --------------- -২ লাখ (ঋণ)
নাবিলা --------------- ৯ + ৩ = ১২ লাখ --------- ০ -------------------- ১২ লাখ
ফলাফল:
সমান বণ্টনে নাঈম ঋণগ্রস্ত হতো, নাবিলার সম্পদ অক্ষুণ্ণ থাকত।
ইসলামি বিধান ন্যায়ভিত্তিক, যেখানে দায়িত্ব ও অধিকার সমন্বিত।
২| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:১১
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাংলাদেশ এখনো কোন ইসলামি রাষ্ট্র নয়।
পৃথিবীর কোন মুসলিম সংখাগরিষ্ট দেশ এখনো সম্পুর্ন ইসলামি দেশ হতে পারেনি।
ইসলামি রাষ্ট্র মদিনা (পূর্বে ইয়াস্রিব) গ্রামটিতে চালুকরা সম্ভব হলেও পরে অন্যান্ন দখল করা এলাকায় ইসলামী আইন সম্পুর্ন ভাবে চালু করা সম্ভব হয় নি। এমনকি মক্কা দখলের পরও রসুলের (স) হুকুমে অনেক নিয়ম ছাড় দেয়া হয়েছিল।
পৃথিবীর অনেক মুসলিম প্রধান ইসলামি দেশ থাকলেও কোন দেশেই এজাবৎ পরিপুর্নভাবে সার্বজনিন সরিয়া আইন চালু করা সম্ভব হয় নি।
১৪৫০ বছর গেলেও এখনো এমন কোন ইসলাম দেশ গঠিত হয় নি যাকে স্ট্যান্ডার্ড ইসলামি ধরা যায়।
আর কোরানে কোন ভুল নেই বলা হলেও সুরা নিসার সম্পত্তি বন্টন আয়াতটিতে অঙ্গকে গুরুতর ভুল।
কোরানের সুরা নিসার উত্তরাধিকার সম্পত্তি বণ্টনে মারাত্বক ভুল দেখা যায় (কুরআন ৪:১১-১২)
স্ত্রীঃ ১/৮=৩/২৪ ;
কন্যাঃ ২/৩ = ১৬/২৪ ;
পিতাঃ ১/৬ = ৪/২৪;
মাতাঃ ১/৬ = ৪/২৪
মোট=২৭/২৪ = ১.১২৫ (যা ১ হওয়ার কথা)
এত ভুলভাল থাকলে ইসলামি বন্টন আইন কিভাবে বলবৎ হবে?
২০ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:২৫
বক বলেছেন: আপনি যে সূরা নিসার আয়াত (৪:১১-১২) উল্লেখ করেছেন, সেখানে উত্তরাধিকার সম্পর্কিত বিধান দেওয়া হয়েছে। আপনি একে একটি গাণিতিক সমস্যা হিসেবে তুলে ধরেছেন, যা অনেক মানুষই দেখে প্রথমে বিভ্রান্ত হন।
চলুন বিষয়টা একটু গভীরে গিয়ে ব্যাখ্যা করি।
---
প্রথমে আপনার দেয়া হিসাব:
- স্ত্রী: **1/8** = ৩/২৪
- কন্যা: **2/3** = ১৬/২৪
- পিতা: **1/6** = ৪/২৪
- মাতা: **1/6** = ৪/২৪
**মোট: ৩ + ১৬ + ৪ + ৪ = ২৭/২৪ → যা ১.১২৫ অর্থাৎ ১-এর বেশি।**
এখানেই আপনাকে মনে হয়েছে যে কুরআনের গাণিতিক হিসাব ভুল। কিন্তু বিষয়টা আসলে **এটা না।**
---
## এর ব্যাখ্যা ইসলামী উত্তরাধিকার শাস্ত্র অনুযায়ী:
কুরআনের উত্তরাধিকার আইনে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে, যাকে বলা হয়:
< **"আওল (العَول) এবং রাদ্দ (الرَّدّ)"**
---
## আওল (العَول) কী?
যখন মোট অংশীদারদের মধ্যে ভাগ করে দেয়ার পর **মোট অংশ ১-এর বেশি হয়ে যায়**, তখন **সবাইয়ের অংশকে অনুপাতে কিছুটা কমিয়ে দেয়া হয়** যেন মোট ভাগ ১ হয়।
এই কেসে তাই হয়েছে।
---
### উদাহরণ:
আপনার দেয়া হিসাব অনুযায়ী:
- স্ত্রী: ১/৮
- কন্যা: ২/৩
- পিতা-মাতা: ১/৬ করে
এগুলোর এলসিএম অনুযায়ী হিসাব করলে সব মিলে ২৭/২৪ হয়ে যায়।
এখন ইসলামিক আইন অনুযায়ী, এমন পরিস্থিতিতে **সবাইকে তাদের নির্ধারিত অংশের অনুপাতে কমিয়ে দেওয়া হয়** — যেন ২৭/২৪ না হয়ে ঠিক ২৪/২৪ (অর্থাৎ ১) হয়।
এই প্রক্রিয়াটিই **"আওল"**।
---
## অতএব, কুরআনে কোনো ভুল নেই
=< কুরআন উত্তরাধিকার আইনের মূল দিকনির্দেশনা দেয়
=< এবং এর বিশ্লেষণ ও প্রয়োগ পদ্ধতি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং সাহাবীগণ নির্ধারণ করেছেন
=< পরবর্তীতে ইসলামি ফিকহবিদরা এইসব জটিলতা সমাধানের জন্য “আওল” এবং “রাদ্দ” পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা করেন
---
## “রাদ্দ” কী?
এর উল্টোটা হয় যখন সব উত্তরাধিকারী নির্ধারিত অংশ পাওয়ার পরেও কিছু সম্পদ **অবশিষ্ট থাকে**, এবং ওই অংশ কোনো **আসাবা** বা অন্য উত্তরাধিকারীর না হয় — তখন সেই অবশিষ্ট অংশকে বাকি উত্তরাধিকারীদের মধ্যে আবার ভাগ করে দেওয়া হয়।
---
**আপনার প্রশ্নে ভুল কিছু ধরার চেষ্টা ছিল একদম যৌক্তিক**, কিন্তু ইসলামিক উত্তরাধিকার শাস্ত্রে এর সুন্দর ব্যাখ্যা আছে:
* কুরআনের গাণিতিক অংশে কোনো ভুল নেই
* “আওল” নামক পদ্ধতি এই গাণিতিক বিভ্রান্তি দূর করে
৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৭
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
যখন মোট অংশীদারদের মধ্যে ভাগ করে দেয়ার পর **মোট অংশ ১-এর বেশি হয়ে যায়**, তখন **সবাইয়ের অংশকে অনুপাতে কিছুটা কমিয়ে দেয়া হয়** যেন মোট ভাগ ১ হয়।
একবার বন্টন দলিল করার পর আবার অংশ কময়ে দিলে ভাইবোনদের ঝগড়া বিবাদের দায়িত্ব কে নিবে?
আর মুল কথা কোরানের আয়াতে 'আউল' আরোপ করে আউলা লাগায়ে দিয়ে খোদার উপর খোদকারি করার অধিকার কে দিল?
৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৫
Sulaiman hossain বলেছেন: মিরাস সম্পর্কিত সঠিক তথ্য সুন্দরভাবে উপস্থাপনার জন্য লেখককে ধন্যবাদ।মাশাআল্লাহ
৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:০২
Sulaiman hossain বলেছেন: یُوۡصِیۡکُمُ اللّٰہُ فِیۡۤ اَوۡلَادِکُمۡ ٭ لِلذَّکَرِ مِثۡلُ حَظِّ الۡاُنۡثَیَیۡنِ ۚ فَاِنۡ کُنَّ نِسَآءً فَوۡقَ اثۡنَتَیۡنِ فَلَہُنَّ ثُلُثَا مَا تَرَکَ ۚ وَاِنۡ کَانَتۡ وَاحِدَۃً فَلَہَا النِّصۡفُ ؕ وَلِاَبَوَیۡہِ لِکُلِّ وَاحِدٍ مِّنۡہُمَا السُّدُسُ مِمَّا تَرَکَ اِنۡ کَانَ لَہٗ وَلَدٌ ۚ فَاِنۡ لَّمۡ یَکُنۡ لَّہٗ وَلَدٌ وَّوَرِثَہٗۤ اَبَوٰہُ فَلِاُمِّہِ الثُّلُثُ ۚ فَاِنۡ کَانَ لَہٗۤ اِخۡوَۃٌ فَلِاُمِّہِ السُّدُسُ مِنۡۢ بَعۡدِ وَصِیَّۃٍ یُّوۡصِیۡ بِہَاۤ اَوۡ دَیۡنٍ ؕ اٰبَآؤُکُمۡ وَاَبۡنَآؤُکُمۡ لَا تَدۡرُوۡنَ اَیُّہُمۡ اَقۡرَبُ لَکُمۡ نَفۡعًا ؕ فَرِیۡضَۃً مِّنَ اللّٰہِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ عَلِیۡمًا حَکِیۡمًا
মুফতী তাকী উসমানী
আল্লাহ তোমাদের সন্তান-সন্ততি সম্পর্কে তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন যে, পুরুষের অংশ দুই নারীর সমান। ১৩ যদি (কেবল) দুই বা ততোধিক নারীই থাকে, তবে মৃত ব্যক্তি যা-কিছু রেখে গেছে, তারা তার দুই-তৃতীয়াংশ পাবে। যদি কেবল একজন নারী থাকে, তবে সে (পরিত্যক্ত সম্পত্তির) অর্ধেক পাবে। মৃত ব্যক্তির পিতা-মাতার মধ্য হতে প্রত্যেকের প্রাপ্য পরিত্যক্ত সম্পত্তির এক-ষষ্ঠাংশ, যদি মৃত ব্যক্তির সন্তান থাকে। আর যদি তার কোন সন্তান না থাকে এবং তার পিতা-মাতাই তার ওয়ারিশ হয়, তবে তার মায়ের প্রাপ্য এক-তৃতীয়াংশ। অবশ্য তার যদি কয়েক ভাই থাকে, তবে তার মায়ের জন্য এক-ষষ্ঠাংশ, (আর এ বণ্টন করা হবে) মৃত ব্যক্তি যে ওসিয়ত করে গেছে তা কার্যকর করার কিংবা (তার যদি কোন) দেনা (থাকে, তা) পরিশোধ করার পর। ১৪ তোমরা আসলে জান না, তোমাদের পিতা ও পুত্রের মধ্যে কে উপকার সাধনের দিক থেকে তোমাদের নিকটতর। (এসব) আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত অংশ। ১৫ নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের সন্তানদের সম্পর্কে আদেশ করেনঃ একজন পুরুষের অংশ দু?জন নারীর অংশের সমান। অতঃপর যদি শুধু নারীই হয় দু’ এর অধিক, তবে তাদের জন্যে ঐ মালের তিন ভাগের দুই ভাগ যা ত্যাগ করে মরে এবং যদি একজনই হয়, তবে তার জন্যে অর্ধেক। মৃতের পিতা-মাতার মধ্য থেকে প্রত্যেকের জন্যে ত্যাজ্য সম্পত্তির ছয় ভাগের এক ভাগ, যদি মৃতের পুত্র থাকে। যদি পুত্র না থাকে এবং পিতা-মাতাই ওয়ারিস হয়, তবে মাতা পাবে তিন ভাগের এক ভাগ। অতঃপর যদি মৃতের কয়েকজন ভাই থাকে, তবে তার মাতা পাবে ছয় ভাগের এক ভাগ ওছিয়্যতের পর, যা করে মরেছে কিংবা ঋণ পরিশোধের পর। তোমাদের পিতা ও পুত্রের মধ্যে কে তোমাদের জন্যে অধিক উপকারী তোমরা জান না। এটা আল্লাহ কতৃক নির্ধারিত অংশ নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, রহস্যবিদ।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
আল্লাহ্ তোমাদের সন্তান সম্বন্ধে নির্দেশ দিচ্ছেন : এক পুত্রের অংশ দুই কন্যার অংশের সমান, কিন্তু কেবল কন্যা দুই-এর অধিক থাকলে তাদের জন্যে পরিত্যক্ত সম্পত্তির দুই-তৃতীয়াংশ, আর মাত্র এক কন্যা থাকলে তার জন্যে অর্ধাংশ। তার সন্তান থাকলে তার পিতা-মাতা প্রত্যেকের জন্যে পরিত্যক্ত সম্পত্তির এক-ষষ্ঠাংশ ; সে নিঃসন্তান হলে এবং পিতা-মাতাই উত্তরাধিকারী হলে তার মাতার জন্যে এক-তৃতীয়াংশ ; তার ভাই-বোন থাকলে মাতার জন্যে এক-ষষ্ঠাংশ; এ সবই সে যা ওসিয়াত করে তা দেওয়ার এবং ঋণ পরিশোধের পর। তোমাদের পিতা ও সন্তানদের মধ্যে উপকারে কে তোমাদের নিকটতর তা তোমরা অবগত নও। নিশ্চয়ই এটা আল্লাহ্ র বিধান; আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
ব্যাখ্যাঃ
হযরত জাবের থেকে বর্নিত হযরত ছা'আদ ইবনে রুবীর পত্নী রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর দরবারে এসে বললেন, "হে আল্লাহ্র রাসুল! এ কন্যাদ্বয় ছা'আদের। তাঁদের পিতা ওহুদ যুদ্ধে শহীদ হয়ে যান। এদের চাচা ছা'আদের পরিত্যক্ত সমুদয় সম্পদ দখল করে নিয়েছে। এখন বলুন, আমি এ কন্যাদ্বয়কে নিয়ে কি করতে পারি এবং বিবাহ শাদীই বা কি করে দিতে পারি? তখন অত্র আয়াতটি নাযিল হয়।
—আন নিসা - ১১
৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:৩৫
করুণাধারা বলেছেন: ভালো লিখেছেন। কিন্তু দুঃখজনক, এগুলো বোঝার মত মানুষ কম। নারীবাদী নামের ইসলামোফোবিকেরা এটার কিছুই বুঝতে পারবে না।
আমি খুব কম ক্ষেত্রেই দেখেছি নারীরা পিতার সম্পত্তি থেকে কিছু পায়। কিন্তু এর প্রতিবিধানের কোন সুযোগ কোথাও রাখা হয়নি। বিয়ের সময় মেয়েদের প্রাপ্য দেনমোহরের বিধান আছে ইসলামে, অথচ সেটা না দিয়ে যৌতুকের প্রথা চলছে রমরমিয়ে। এগুলো থামানোর কোন উদ্যোগ না নিয়ে এই অপগন্ডগুলো এসেছে ইসলাম ধর্মের দোষ ধরতে।
৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:২২
Sulaiman hossain বলেছেন: وَلَکُمۡ نِصۡفُ مَا تَرَکَ اَزۡوَاجُکُمۡ اِنۡ لَّمۡ یَکُنۡ لَّہُنَّ وَلَدٌ ۚ فَاِنۡ کَانَ لَہُنَّ وَلَدٌ فَلَکُمُ الرُّبُعُ مِمَّا تَرَکۡنَ مِنۡۢ بَعۡدِ وَصِیَّۃٍ یُّوۡصِیۡنَ بِہَاۤ اَوۡ دَیۡنٍ ؕ وَلَہُنَّ الرُّبُعُ مِمَّا تَرَکۡتُمۡ اِنۡ لَّمۡ یَکُنۡ لَّکُمۡ وَلَدٌ ۚ فَاِنۡ کَانَ لَکُمۡ وَلَدٌ فَلَہُنَّ الثُّمُنُ مِمَّا تَرَکۡتُمۡ مِّنۡۢ بَعۡدِ وَصِیَّۃٍ تُوۡصُوۡنَ بِہَاۤ اَوۡ دَیۡنٍ ؕ وَاِنۡ کَانَ رَجُلٌ یُّوۡرَثُ کَلٰلَۃً اَوِ امۡرَاَۃٌ وَّلَہٗۤ اَخٌ اَوۡ اُخۡتٌ فَلِکُلِّ وَاحِدٍ مِّنۡہُمَا السُّدُسُ ۚ فَاِنۡ کَانُوۡۤا اَکۡثَرَ مِنۡ ذٰلِکَ فَہُمۡ شُرَکَآءُ فِی الثُّلُثِ مِنۡۢ بَعۡدِ وَصِیَّۃٍ یُّوۡصٰی بِہَاۤ اَوۡ دَیۡنٍ ۙ غَیۡرَ مُضَآرٍّ ۚ وَصِیَّۃً مِّنَ اللّٰہِ ؕ وَاللّٰہُ عَلِیۡمٌ حَلِیۡمٌ ؕ
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
আর, তোমাদের হবে অর্ধেক সম্পত্তি, যা ছেড়ে যায় তোমাদের স্ত্রীরা যদি তাদের কোন সন্তান না থাকে। যদি তাদের সন্তান থাকে, তবে তোমাদের হবে এক-চতুর্থাংশ ঐ সম্পত্তির, যা তারা ছেড়ে যায়; ওছিয়্যতের পর, যা তারা করে এবং ঋণ পরিশোধের পর। স্ত্রীদের জন্যে এক-চতুর্থাংশ হবে ঐ সম্পত্তির, যা তোমরা ছেড়ে যাও যদি তোমাদের কোন সন্তান না থাকে। আর যদি তোমাদের সন্তান থাকে, তবে তাদের জন্যে হবে ঐ সম্পত্তির আট ভাগের এক ভাগ, যা তোমরা ছেড়ে যাও ওছিয়্যতের পর, যা তোমরা কর এবং ঋণ পরিশোধের পর। যে পুরুষের, ত্যাজ্য সম্পত্তি, তার যদি পিতা-পুত্র কিংবা স্ত্রী না থাকে এবং এই মৃতের এক ভাই কিংবা এক বোন থাকে, তবে উভয়ের প্রত্যেকে ছয়-ভাগের এক পাবে। আর যদি ততোধিক থাকে, তবে তারা এক তৃতীয়াংশ অংশীদার হবে ওছিয়্যতের পর, যা করা হয় অথবা ঋণের পর এমতাবস্থায় যে, অপরের ক্ষতি না করে। এ বিধান আল্লাহর। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সহনশীল।
সূরা আন নিসা ১২
৮| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৯
এ পথের পথিক বলেছেন: লেখা ভাল লেগেছে, আমার এ বিষয়ে পড়াশোনা করার ইচ্ছা আছে । ২ নাম্বার কমেন্ট যিনি করেছেন ঠিক একই রকম প্রশ্ন নাস্তিক/ইসলাম বিদ্বেষীরা করে থাকে, কমন প্রশ্ন । ভালো উত্তর দিয়েছেন ।
নিয়মিত লিখবেন বিভিন্ন বিষয়ে ।
জাযাকাল্লাহ খায়ের ।
৯| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬
নতুন বলেছেন: আপনি বোনের ভবিষ্যত ভাগ্যের হাতে দিয়ে দিলেন।
বোনের স্বামী যদি দেন মোহরের ৩ লক্ষ না দেয়?
বোনের স্বামী যদি ১ বা ২ জন বাচ্চা রেখে মারা যায়?
বোনের স্বামী যদি মারা যাবার সময় সচ্ছল না থাকে?
তখন বোন ৬ লক্ষ টাকা খরচ করে কতদিন চলবে?
যদি ভাই এই অবস্থায় বোনের সাহাজ্য এগিয়ে না আসে? তখন বোন কি করবে?
বোনকে সম্পদের সমান ভাগ দিলে সেটা ঠিকই হবে।
আরেকটা অন্যায় মুসলিম পুরুষ সমাজ করছে যদি কোন ছেলে না থাকে তবে মেয়ে বাবার সম্পত্তি কম পায়।
৫০% চাচা, চাচার ছেলের কাছে চলে যায়। ঐ নারীকে বাবার সম্পদ না দিয়ে সেটা বাবার ভাইয়ের পরিবারকে দেওয়া কতটুকু ন্যয়? বর্তমানের বিশ্বে চাচা/চাচাতো ভায়েয়া কতটুকু এগিয়ে আসে?
১০| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩২
ফেনা বলেছেন: আমি একজন সাধারণ মানুষ, তার পর বলি- অল্প বিদ্য ভয়ংকর। ভাই অন্যকে বিভ্রান্ত করবেন না। যেখানে পুরা দুনিয়া আজ অবদি প্রমাণ করতে পারলা কোরআনে ভূল আছে সেখানে আপনি আসছে ভূল প্রমাণ করতে!!!!! আজব।
আর কিছু বললাম।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:০৬
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: নারীবাদিরা বিয়েতে বিশ্বাসী না। আর বিশ্বাসী হলেও আগে থেকেই ধরে নেয় ডিভোর্স হবে, তাই বাবার সম্পত্তির সমান ভাগ পেতে চায়...