নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মিঠা পানি

পুকুরপাড়

সহজ কথা

পুকুরপাড় › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিজ্ঞাপনে নারী বনাম টেলিভিশনে হুযূর

২৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:৩৫



প্রচারেই প্রসার’ যে কোনো পণ্য বাজারে পরিচিত করে বিক্রয় বৃদ্ধিতে বিজ্ঞাপনভিত্তিক প্রচারের কোনো বিকল্প নেই- তাই ওই প্রবাদ বাক্য। অন্যদিকে বাংলাদেশের অনেক হুযূরেরা অতীতে টিভিকে বলতেন ‘শয়তানের বাক্স’। কিন্তু এখন তাদের অধিকাংশকেই ওই শয়তানের বাক্সের মাধ্যমে ইসলাম প্রচার করতে দেখা যায়। প্রশ্ন হচ্ছে- উনারা কী অতীতে ভুল বলেছেন এবং বর্তমানে সঠিক কাজটি করছেন? নাকি অতীতে ঠিক ছিলেন আর বর্তমানে টাকার লোভে ধর্মকে বিসর্জন দিয়ে হারাম কাজে নিজেদেরকে নিয়োজিত করছেন?



হাদীছ শরীফ এর মধ্যে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ আছে যে, “ছবি তোলা, আঁকা, রাখা, দেখা ইত্যাদি নাজায়েয।” ওই ছবির হাতে আঁকা হোক, ক্যামেরা দিয়ে তোলা হোক কিংবা ভিডিও করা হোক- সব নাজায়েয। প্রশ্ন হচ্ছে, তবে হুযূরেরা ইসলাম প্রচার করতে গিয়ে কিভাবে ক্যামেরার সামনে নিজেদেরকে উপস্থাপন করছে?



এদের বর্তমান খোঁড়া যুক্তিটি হচ্ছে ‘বাস্তবে যে জিনিস দেখা জায়িয, টেলিভিশনের পর্দায় সেটা দেখা জায়িয। আর বাস্তবে যে জিনিস দেখা নাজায়িয, টেলিভিশনের পর্দায় সেটা দেখা নাজায়িয।’ যদিও এতদসংক্রান্ত কোনো দলীল তারা উপস্থাপন করতে পারেনি, কস্মিনকালেও পারবে না। অপর খোঁড়া যুক্তিটি হচ্ছে, টেলিভিশন হচ্ছে বর্তমান যামানায় সবচেয়ে শক্তিশালী প্রচার মাধ্যম। এ মাধ্যমকে বাদ দিয়ে কিভাবে ইসলাম উনার প্রচার-প্রসার করা সম্ভব? অত্যন্ত গ্রহণযোগ্য একটি উত্তর; যা সাধারণ মুসলমানদের জন্য কোনো প্রকার চিন্তা ব্যতিরেকেই গ্রহণীয়। এক্ষেত্রে মানেটা কি দাঁড়ালো? টিভি দেখা জায়িয এবং হালাল।



বিষয়টি ততবেশি অবাক হওয়ার মতো নয়। কারণ আমাদের প্রিয় নবী হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সেই সাড়ে চৌদ্দশ বছর পূর্বেই ইরশাদ করেন, “আখিরী যামানায় অনেক হারামকে হালাল এবং হালালকে হারাম ঘোষণা করা হবে।” তবে এ ধরনের ঘোষণাসমূহ কোনো হিন্দু, বৈদ্য কিংবা খ্রিস্টান থেকে নয়, সমাজে যারা প ইসলাম এর বোদ্ধা হিসেবে পরিচিত, তারাই এহেন গর্হিত কাজটি করে থাকবে। এরাই হচ্ছে উলামায়ে ‘সূ’ অর্থাৎ ধর্মব্যবসায়ী।



অপরদিকে বিজ্ঞাপনের নারীদের ব্যবসার পণ্য হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক উনার প্রদত্ত ওদের রূপ ও যৌবন। অথচ ইসলাম মেয়েদের জন্য পর্দা করা ‘ফরয’ ঘোষণা করেছেন। ধর্মের বিষয়ে গন্ড-মূর্খ তথাকথিত আধুনিক মেয়েরা যখন নিজেদেরকে বিজ্ঞাপনের পণ্য হিসেবে উপস্থাপন করে তখন পুরুষশাসিত সমাজ তাদেরকে পয়সা দেয়। ওই বেহায়া মেয়েগুলো যতবেশি অশালীন হবে, ততবেশি পয়সা উপার্জিত হবে

টেলিভিশনে হারাম প্রোগ্রামকারী হুযূরেরা মুসলমানদের মনে যতবেশি ভ্রান্ত আক্বীদা প্রবেশ করাতে পারবে ততবেশি পয়সা কামাই হবে। বেশি অর্থ অর্জনকারী মডেলদের নাম এখানে উল্লেখ না করলেও অনেকেই হয়তো তাদেরকে চিনতে পারবেন। তবে মুসলমানদের সবচেয়ে বেশি আক্বীদা নষ্টকারী এবং সবচেয়ে বেশি অর্থ অর্জনকারী উলামায়ে ‘সূ’ হচ্ছে, জাকির নায়েক । মুসলমানদের মাঝে ইসলাম নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াতে বর্তমান সময়ে তার তুলনা নেই। অধিকাংশ মুসলমানদের কাছে সে ইসলাম এর জন্য সে এক মহান ‘মিডিয়া মুজাহিদ’। বস্তুত সে হচ্ছে মিডিয়া লাদেন। লাদেনের দায়িত্ব ছিল আত্মঘাতী বোমারু তৈরি করে বিশ্ববাসীর কাছে মুসলমানদের হেয়প্রতিপন্ন করা আর জাকির নায়েকের দায়িত্ব হচ্ছে সূক্ষ্ম মগজ ধোলাইয়ের মাধ্যমে সাধারণ মুসলমানদের আক্বীদা নষ্ট করে জাহান্নামে প্রেরণ করা।

একজন ছিল সিআইএ কর্তৃক পরিচালিত এবং অপরজন হচ্ছে ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনী ‘র’ দ্বারা পরিচালিত। এখানে সর্বশেষে যে বিষয়টি গভীরভাবে উপলব্ধি করতে হবে তা হচ্ছে, বর্তমান সময়ে যে সকল মুসলমান এই জাকির নায়েককে সঠিকভাবে চিনতে ব্যর্থ হচ্ছে এবং তার একনিষ্ঠ গুণগ্রাহীতে পরিণত হচ্ছে, তাদের বংশধররাই ভবিষ্যতের দাজ্জালকে চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হয়ে চিরজাহান্নামী হবে। কারণ সেই দাজ্জাল হবে জাকির নায়েকের চেয়ে আরো বেশি বাগ্মী ও শয়তানী ক্ষমতার অধিকারী।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:৫৬

নিকষ বলেছেন: হাদীছ শরীফ এর মধ্যে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ আছে যে, “ছবি তোলা, আঁকা, রাখা, দেখা ইত্যাদি নাজায়েয।

ছবি তোলার যন্ত্রখান আবিষ্কার ১৭/১৮শ সালে।

২৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:৫৯

পুকুরপাড় বলেছেন: যন্ত্র আবিষ্কার ১৭/১৮শ সালে। হতে পারে কিন্তু তার বহু বছর পুর্ব থেকেই ছবি আকার প্রচলন ছিল ।
প্রযুক্তি আলাদা হয়েছে কিন্তু জিনিষ একই ।

২| ২৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ২:২৭

নিকষ বলেছেন: ও ....

আপনার প্রোফাইলের ছবিটা সুন্দর। দেইখা পাপ হইল, তারপরেও সুন্দর। রিমুভ দিয়া বাকি মানুষ জনের পাপ মোচন করেন।

৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৪৭

পুকুরপাড় বলেছেন: প্রানীর ছবির কথা বলা হয়েছে।

৩| ২৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ৩:৫৩

আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন: শিরোনাম দেইখা কি না কি মনে করলাম...............ধুর ছাই..........
আরেক মগা আচিপ.....ওহ অয় না জামিন পাইছে..................................
জামিনে ছাড়া পাইয়া শুরু অইয়া গেছে.......যত্তসব.............

৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৪৯

পুকুরপাড় বলেছেন: হাছা কথা তিতা লাগে

৪| ২৯ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৫৬

টি- ৭২ ট্যাঙ্ক বলেছেন: পুষ্ট এর শেষে আপনার লেঞ্জা বারাইসে!!! ডাঃ জাকির কে হেও করা আর কি?

আপনি দয়া করে ছবি তোলা হারাম এই সংক্রান্ত হাদিস টি পেশ করুন।

আর টি ভি একটি নিরপেক্ষ বস্তু এর ব্যবহারের উপর এর হালাল - হারাম নির্ভর করে। যেমনি ছুরি ব্যবহার


এখনে থেকে প্রতিদিন সকালে একটা করে আসল ডিম খাবেন, চাইনিস না কিন্তু, তাইলে মাথায় কিছু আইব।

৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৫৪

পুকুরপাড় বলেছেন: আপনার সুত্র ধরলে জগতে আর হারাম বলে কিছু থাকবেনা ।

৫| ২৯ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:২৪

আতা2010 বলেছেন: টি ভির হুযূরেরা ভাল না। থাপড়া দিবার মন চায়

৬| ৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৫৩

মদন বলেছেন: হুজুর, ব্লগ লেখা হালাল নাকি হারাম? ইন্টারনেট ব্যবহার হালাল নাকি হারাম? টিভিতে নোংরামী বেশি হয় নাকি ইন্টারনেটে? ব্লগ লেখার সময় কি ভাইজান অযু কইরা বইছিলেন?

৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৫৭

পুকুরপাড় বলেছেন: প্রত্যেকটা বিষয়ের মাসয়ালা আলাদা ।
লিখতে কি আমি ছবি তুলছি ? কিন্তু টিভিতে ছবি ছাড়া কিছু হয় কি ?
আর শরিয়ত যা হারাম করছে তা আমার আপনার যুক্তি দিয়ে কি পরিবর্তন হইবে ?

৭| ৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:০৬

মদন বলেছেন: ইন্টারনেটের বিষয়ে মাসয়ালাডা একটু কন।

৮| ৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:১৫

বাঘ মামা বলেছেন: একটা গল্প মনে পড়ে গেল।

এক ছেলে কুমিরের রচনা শিখে পরিক্ষা দিতে গেল,কিন্তু পরীক্ষায় আসলো গরুর রচনা।তখন সে শুরু করলো এইভাবে যে- একটা মাঠে একটা গরু ঘাষ খাচ্ছে,পাশেই একটা নদি,নদির মধ্যে গরুটা পড়ে গেলো,খেয়ে ফেললো কুমিরে,এরপর সে কুমিরের কথা লেখা শুরু করলো।

আপনি যদিও শুরু করেছেন টেভি নারী দিয়ে কিন্তু উদ্দেশ্য ডাঃজাকির নায়েক।

দেখুন মানুষে মেধা আল্লাহ পাক দিয়ে থাকেন,সবার মাথায় মগজ আছে কিন্তু কিছু আলাদা ধরণের মগজ আল্লাহ কিছু কিছু মানুষকে দিয়ে থাকেন।ডাঃজাকির নায়েকের মাথার মধ্যেও সোজা বাংলা কিছু মগজ আছে যা আপনার আমার চেয়ে একটু আলাদা।সেটা স্বীকার আপনাকে করতে হবে, ভারতে হিন্দু ধর্মের সব চেয়ে দামি নামি মানুষ শ্রী শ্রী রবি সংকরের পক্ষেও মহাভারত মুখস্ত ও বিশ্লেষন করা সম্ভব হয়নি যতটা জাকির নায়েক পেরেছে।তিনি পেরেছেন এটাকে মুখস্ত রাখতে এবং যে কোন সময় তার ভুল গুলো নিয়ে জনসম্মুখে কথা বলতে।

এটাকি তার গুন নয়?

ধর্ম নিয়ে যত কথা তিনি বলেছেন তার কি কোন ক্ষুদ্র অংশই আপনার মনোপুত হয়নি? তিনি কি দেওয়ানবাগীর চেয়েও ভয়াবহ খারাপ?একটু ভাবুনতো,

ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.