নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মিঠা পানি

পুকুরপাড়

সহজ কথা

পুকুরপাড় › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহিলাদের জামায়াতের জন্য মসজিদে যাওয়া মাকরূহ তাহরীমী

১০ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৭





মহিলারা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যুগে জামায়াতে উপস্থিত হতো, (পরবর্তীতে) হযরত উমর ইবনুল খত্তাব আলাইহিস সালাম তিনি মহিলাদেরকে জামায়াতে আসতে নিষেধ করেছেন, তখন মহিলারা উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার নিকট এ ব্যাপারে অভিযোগ করেন, তখন হযরত উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, “হযরত উমর ইবনুল খত্তাব আলাইহিস সালাম আপনাদের যে অবস্থা অবগত হয়েছেন, তা যদি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অবগত হতেন, তবে তিনিও আপনাদেরকে মসজিদে যাওয়ার অনুমতি দিতেন না।” (গায়াতুল আওতার, তাহতাবী, শামী, দুররুল মুখতার, রদ্দুল মোহতার, ফতওয়ায়ে হিন্দীয়া, আইনুল হেদায়া, নেহায়া, হেদায়া)







আর হযরত উমর ইবনুল খত্তাব আলাইহিস সালাম উনার নিষেধাজ্ঞাকে যে, উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি পূর্ণ সমর্থন করেছেন, তা হাদীছ শরীফ-এ উল্লেখ আছে। যেমন ইরশাদ হয়েছে, “যদি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহিলাদের বর্তমান অবস্থা দেখতেন, তবে অবশ্যই নিষেধ করতেন।” (আবু দাউদ, বুখারী, মুসলীম শরীফ)



নিম্নে মহিলাদের জামায়াতের জন্য মসজিদ ও ঈদগাহে যাওয়া মাকরূহ তাহরীমী হওয়ার দলীলসমূহ পেশ করা হলো মহিলাদের জামায়াতের জন্য মসজিদে যাওয়া মাকরূহ তাহরীমী উনার অকাট্য দলীলসমূহঃ



১. হেদায়ার লেখক বলেন, যুবতী মহিলাদের জামায়াতে যাওয়া মাকরূহ তাহরীমী। তিনি আরো বলেন, জামায়াত বলতে এখানে (পাঁচ ওয়াক্তসহ) জুময়া, ঈদাইন, কুসূফ, ইস্তেস্কা ইত্যাদি সবই অন্তর্ভূক্ত। আমাদের ফকীহগণ বলেন কেননা উনাদের (মহিলাদের) জামায়াতের জন্য বের হওয়ায় ফিৎনার আশঙ্কা রয়েছে, আর ফিৎনা হারামের অন্তর্ভূক্ত, আর যা হারাম কাজে সহায়তা করে তাও হারাম, এ কারণেই ফকীহগণ মাকরূহ তাহরীমীর দ্বারা মূলতঃ মহিলাদের জামায়াতে যাওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হওয়াই উদ্দেশ্য। (উমদাতুল ক্বারী শরহে বুখারী ৫ম জিলদ, পৃষ্ঠা-১৫৬, ফাতহুল মুলহিম, শরহে মসলিম ২য় জিলদ, পৃষ্ঠা-৪২৮, তাফহীমুল মুসলিম ১৪ জিলদ, পৃষ্ঠা- ২১)







২. উলামায়ে মুতাআখখেরীনগণ মহিলাদের জামায়াতের জন্য মসজিদে যাওয়া নিষেধ বলে মত প্রকাশ করেন। কেননা হযরত ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে মরফূ হাদীছ হিসাবে বর্ণিত রয়েছে যে, মহিলাদের হুজরায় নামায পড়ার চেয়ে ঘরে নামায পড়া সর্বোত্তম এবং ঘরের চেয়ে গোপন প্রকোষ্ট সর্বোত্তম। উপরোক্ত হাদীছ শরীফ-এর আলোকে শরীয়ত এ মতেই ব্যক্ত করে যে, মহিলাগণ জামায়াতের জন্য মসজিদে যাবে না। (ফায়জুল বারী শরহে বুখারী ২য় জিলদ, পৃষ্ঠা-৩২২, বযলুল মাযহুদ শরহে আবু দাউদ)







৩. ইমাম হযরত তাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, মহিলাদের ইসলামের প্রথম যুগে জামায়াতে যাওয়ার অনুমতি প্রদান করার কারণ হলো বেদ্বীনদের সম্মুখে মুসলমানদের জনসংখ্যা ও জনশক্তি বৃদ্ধি করা। হযরত আইনী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, সে যুগ ফিৎনা ফাসাদ থেকে সম্পূর্ণ নিরাপদ ছিল। কিন্তু বর্তমানে তা একেবারেই বিপরীত। বেদায়ের লেখক বলেন, যুবতী মহিলাদের (পাঁচ ওয়াক্তসহ) জুময়া, ঈদাইন ইত্যাদিতে যোগদান করার অনুমতি নেই, কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, (হে মহিলাগণ) তোমরা ঘরের মধ্যে আবদ্ধ থাক। এ ছাড়াও মহিলাদের ঘর হতে বের হওয়ার মধ্যে ফিৎনার আশঙ্কা রয়েছে। (মায়ারিফে মাদানিয়াহ, শরহে তিরমিযী ৮ম জিলদ, পৃষ্ঠা-১০৮)







৪. ইমাম অথবা উনার প্রতিনিধির জন্য জরুরী যেন মহিলাদেরকে জামায়াতের জন্য মসজিদে আসতে নিষেধ করে। হযরত মাযহার রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, যদিও হাদীছ শরীফ দ্বারা মহিলাদের (প্রথম যুগে) মসজিদে যাওয়া প্রমাণিত কিন্তু আমাদের সময়ে তা মাকরূহ তাহরীমী, (কেননা) যুবতী ও বৃদ্ধা মহিলাদের যে কোন নামাযের জন্য মসজিদে যাওয়া নিষেধ হওয়ার ব্যাপারে একমত পোষণ করেছেন। (সুনানে নাসাই শরহে ইমামুস সুয়ুতী ২য় জিলদ, পৃষ্ঠা- ২৮২, মিরকাত শরহে মিশকাত ৩য় জিলদ, পৃষ্ঠা- ৫৭৬৭)







৫. বর্তমান সময়ে মহিলাদের জামায়াতের জন্য মসজিদে যাওয়া মাকরূহ তাহরীমী, সময়ের পরিবর্তনের কারণে। মহিলাদের সর্ব অবস্থায় পর্দায় (ঘরে) থাকা সর্বোত্তম। (আশয়্যাতুল লুময়াত শরহে মিশকাত ১ম জিলদ, পৃষ্ঠা-৪৬২, মুযাহিরে হক্ব, লুমায়াত শরহে মিশকাত)







৬. জুমহুর উলামায়ে কিরামদের নিকট যুবতী মহিলাদের যেমনিভাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের জন্য মসজিদে যাওয়া নিষিদ্ধ, তদ্রূপ জুময়া ও ঈদাইনে ও নিষিদ্ধ, কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, তোমরা মহিলাগণ ঘরের মধ্যে আবদ্ধ থাক। শুধু তাই নয়, তাদের বের হওয়ার মধ্যে ফিৎনার আশঙ্কা রয়েছে। তাই উলামায়ে মুতাআখখেরীনগণের ফতওয়া হলো মহিলাদের জামায়াতের জন্য মসজিদে যাওয়া নাযায়েজ (হোক যুবতী অথবা বৃদ্ধা) (দরসে তিরমিযী ২য় জিলদ, পৃষ্ঠা-৩২১, মায়ারিফে সুনান ৪র্থ জিলদ, পৃষ্ঠা-৪৪৫)







৭. যুবতী মহিলাদের জামায়াতে যাওয়া মাকরূহ তাহরীমী। উলামায়ে মুতাআখখেরীনগণের ফতওয়া হলো বৃদ্ধাদেরও যুবতী মহিলাদের ন্যায় মসজিদে যাওয়া নিষিদ্ধ যে কোন নামাযেই হোক না কেন। (আওযাযুল মাসালিক শরহে মুয়াত্বায়ে মালিক ৪র্থ জিলদ, পৃষ্ঠা-১০৬, আল বুরহান, নাইলুল মায়ারিব, শরহুল কবীর, আত্তাওশীহ)







৮. প্রথমোক্ত হাদীছদ্বয় দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, মহিলাদের মসজিদে নামায পড়ার চেয়ে ঘরে নামায পড়া সর্বোত্তম। (কেননা) মহিলাদের (যুবতী) জামায়াতের জন্য মসজিদে যাওয়া মাকরূহ তাহরীমী। আর উলামায়ে মুতাআখখেরীনদের ফতওয়া হলো বৃদ্ধাদের জন্যও রাত্রে হোক অথবা দিনে মসজিদে যাওয়া মাকরূহ তাহরীমী। (ইলাউস সুনান ৪র্থ জিলদ, পৃষ্ঠা-২৪১, মাজমাউয্ যাওয়ায়েদ)







৯. মহিলাদের মসজিদে যাওয়ার ব্যাপারে ইমামে আ’যম হযরত আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, যুবতী মহিলাগণ কোন নামাযেই তা যে কোন সময়েই হোক না কেন বের হতে পারবে না। (অর্থাৎ মসজিদে জামায়াতে উপস্থিত হতে পারবে না) আর বৃদ্ধা মহিলাগণ ফযর ও ইশার নামায ব্যতীত কোন নামাযেই উপস্থিত হতে পারবে না। হযরত ইমাম আবু ইউসুফ রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, বৃদ্ধা মহিলাগণ প্রত্যেক নামাযের জামায়াতে উপস্থিত হতে পারবে। (কিন্তু উলামায়ে মুতাআখখেরীনদের ফতওয়া হলো) বর্তমানে যুবতী হোক অথবা বৃদ্ধা উভয়ের জন্যই প্রত্যেক নামাযের জামায়াতে উপস্থিত হওয়া মাকরূহ তাহরীমী ফিৎনা প্রকাশ পাওয়ার কারণে। (তাতার খানিয়া ১ম জিলদ, পৃষ্ঠা-৬২৮, খুলাছাতুল ফতওয়া ১ম জিলদ, পৃষ্ঠা-১৫৫, বাদায়েউস সানায়ে ১ম জিলদ, পৃষ্ঠা-১৫৭)







১০. মহিলাদের পাঁচ ওয়াক্ত নামায, জুময়া ও ঈদের নামাযের জামায়াতে উপস্থিত হওয়া মাকরূহ তাহরীমী, যদিও প্রাপ্তা বয়স্কা ও বৃদ্ধা হোক সময়ের পরিবর্তনের কারণে। তাই উলামায়ে মুতাআখখেরীনগণ ফতওয়া দেন যে, মহিলাদের জামায়াতে উপস্থিত হওয়া মাকরূহ তাহরীমী। (গায়াতুল আওতার ১ম জিলদ, পৃষ্ঠা-২৬৩, দুররুল মুখতার ১ম জিলদ, পৃষ্ঠা-৩৮৩, তাহতাবী, শামী, রদ্দুল মোহতার ১ম জিলদ, পৃষ্ঠা-৫২৯, শরহে তানবীর)











১১. যুবতী মহিলাদের মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামায পড়া মাকরূহ তাহরীমী, বৃদ্ধাদের কোন নিষেধ নেই। কিন্তু বর্তমানে পরবর্তী আলেমদের ফতওয়া মুতাবিক যুবতী ও বৃদ্ধা উভয়ের জন্য যে কোন নামাযে উপস্থিত হওয়া মাকরূহ তাহরীমী। (আইনী শরহে হেদায়া ১ম জিলদ, পৃষ্ঠা-৭৩৯, হেদায়া মায়াদ দেরায়া ১ম জিলদ, পৃষ্ঠা-১২৬, মাবসূত লিসসারাখসী ২য় জিলদ, পৃষ্ঠা-৪১, ফতহুল কাদীর ১ম জিলদ, পৃষ্ঠা-৩১৭, আলমগীরী, নেহায়া, এনায়া, কিফাইয়া ১ম জিলদ, পৃষ্ঠা-৩১৭, নূরুল হেদায়া ১মজিলদ, পৃষ্ঠা-১০১)







১২. প্রাপ্তা বয়স্কা মহিলাদের জামায়াতের জন্য মসজিদে যাওয়া মাকরূহ তাহরীমী এবং মুতাআখখেরীনদের মত হলো বৃদ্ধাদেরও যে কোন সময় যে কোন নামাযে উপস্থিত হওয়া নিষেধ। (আইনুল হেদায়া ১ম জিলদ, পৃষ্ঠা-৪৫৮, কাফী, তাবয়ীন, ফতওয়ায়ে হিন্দিয়া ১ম জিলদ, পৃষ্ঠা-১৩২)







১৩. মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, মহিলাগণ তোমরা ঘরের মধ্যে আবদ্ধ থাক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “মহিলাদের মসজিদে নামায পড়ার চেয়ে ঘরের বারান্দায় নামায পড়া উত্তম এবং ঘরের বারান্দায় নামায পড়ার চেয়ে ঘরের গোপন প্রকোষ্ঠে নামায পড়া সর্বোত্তম। তাই মহিলাগণ জামায়াতে উপস্থিত হবে না, প্রাপ্তা বয়স্কা হোক অথবা বৃদ্ধা, রাত্রে হোক অথবা দিনে, কারণ সাধারণতঃ তাদের বের হওয়া ফিৎনার থেকে নিরাপদ নয়। তাই পরবর্তি ফকীহদের ফতওয়া হলো প্রাপ্তা বয়স্কা হোক অথবা বৃদ্ধা প্রত্যেক নামাযে উপস্থিত হওয়াই মাকরূহ তাহরীমী। (বাহরুর রায়েক শরহে কানজুদ দাক্বায়েক্ব ১ম জিলদ, পৃষ্ঠা-৩৫৮, মাদানুল হাকায়েক ১ম জিলদ, পৃষ্ঠা-১৪৩, আহসানুল মাসায়েল পৃষ্ঠা-৩৮, মিনহাতুল খালিক, আল মাজমাউল আনহুর)







১৪. প্রাপ্তা বয়স্কা মহিলাদের জামায়াতে উপস্থিত হওয়া, মাকরূহ তাহরীমী হওয়ার ব্যাপারে ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি ও সাহেবাইন রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা একমত। মতবিরোধ শুধুমাত্র বৃদ্ধাদের বেলায়, ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, বৃদ্ধা মহিলাগণ যোহর, আছর ও জুময়ায় উপস্থিত হতে পারবে না, সাহেবাইন বলেন সকল নামাযেই উপস্থিত হতে পারবে। কিন্তু মুতাআখখেরীন ফকীহগণ এর বিপরীত মত প্রকাশ করেন অর্থাৎ প্রাপ্তা বয়স্কা হোক অথবা বৃদ্ধা যে কোন নামাযের জামায়াতে উপস্থিত হওয়াই মাকরূহ তাহরীমী। নহরুল ফায়েক কিতাবে উল্লেখ করা হয়, মুতাআখখেরীনদের উক্ত মত ইমাম আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকেই নেওয়া হয়। (শরহে বেকায়া ১ম জিলদ, পৃষ্ঠা-১০৮, শরহে সেকায়া ১ম জিলদ, পৃষ্ঠা-১৮৭, নহরুল ফায়েক।)







১৫. প্রাপ্তা বয়স্কা মহিলাদের জামায়াতের জন্য মসজিদে আসা মাকরূহ তাহরীমী। ফিৎনার আশঙ্কায়। বর্তমান জামানায় ফাসেকী প্রকাশ পাওয়ার কারণে উলামায়ে মুতাআখখেরীনগণ ফতওয়া দেন যে, প্রাপ্তা বয়স্কা হোক অথবা বৃদ্ধা উভয়ের জন্য যে কোন নামাযের জামায়াতে উপস্থিত হওয়া মাকরূহ তাহরীমী। (আল জাওহারাতুন নাইয়্যারাহ পৃষ্ঠা-৭৮, মারাকিউল ফালাহ পৃষ্ঠা-২০৫, মুহীত্ব, কুদূরী পৃষ্ঠা-৩৬)







১৬. (আলোচিত) উপরোক্ত কারণে পরবর্তী ফকীহগণ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা ফতওয়া দেন যে, মহিলাদের পাঁচ ওয়াক্ত, জুময়া, ঈদসহ যে কোন নামাযের জামায়াতে উপস্থিত হওয়া মাকরূহ তাহরীমী। এ ফতওয়া সকল স্থানের জন্যই প্রযোজ্য অর্থাৎ চাই হেরেম শরীফ-এ হোক অথবা মসজিদে নববীতে। হিন্দুস্থানে হোক অথবা আরব দেশে সকল স্থানেই মাকরূহ তাহরীমী। (ফতওয়ায়ে রহীমিয়াহ ১ম জিলদ, পৃষ্ঠা-১৭৩, ফতওয়ায়ে নঈমিয়াহ পৃষ্ঠা-৩৫, তরীকুল ইসলাম ৭ম জিলদ, পৃষ্ঠা-৩৩)







১৭. মহিলাদের মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামায পড়া মাকরূহ তাহরীমী। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সময় মহিলাদের মসজিদে আসা এবং পরবর্তীতে তা নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়া হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত। এর প্রতি দুররুল মুখতার কিতাবে ইঙ্গিত রয়েছে। (আযীযুল ফতওয়া ১ম জিলদ, পৃষ্ঠা-২১৩, ফতওয়ায়ে দারুল উলুম দেওবন্দ ৩য় জিলদ, পৃষ্ঠা-৪৯, মাশারিকুল আনওয়ার পৃষ্ঠা-১৩৭, ইমদাদুল আহকাম ১ম জিলদ, পৃষ্ঠা-৪২৫)







১৮. (প্রাপ্তা বয়স্কা) মহিলাদের মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামায পড়া মাকরূহ তাহরীমী। বৃদ্ধা মহিলাদের রাত্রে হলেও জামায়াতে যাওয়া মাকরূহ তাহরীমী। (আহসানুল ফতওয়া ৩য় জিলদ, পৃষ্ঠা-২৮৩, কিফায়াতুল মুফতী ৩য় জিলদ, পৃষ্ঠা-২৪৪, বেহেস্তী জিওর ৭ম জিলদ, পৃষ্ঠা-২৯)







১৯. বর্তমান যামানার ফতওয়া হলো মহিলাদের জামায়াতের জন্য মসজিদে যাওয়া নিষিদ্ধ, যদিও বৃদ্ধা হোক না কেন। রাত্রে হোক অথবা দিনে (প্রত্যেক অবস্থায়ই) ফিৎনার আশঙ্কায় মাকরূহ তাহরীমী। (ফতওয়ায়ে মাহমূদিয়াহ্ ২য় জিলদ, পৃষ্ঠা-২৩৯)







সুতরাং উপরোক্ত নির্ভযোগ্য, অকাট্য ও বিস্তারিত আলোচনা দ্বারা এটা দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট হয়ে গেল যে, (১) কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও কিয়াসের বাইরে কোন কিছুই গ্রহণযোগ্য নয়। (২) প্রথম যুগে মহিলাদের মসজিদে যাওয়ার মূখ্য উদ্দেশ্য ছিল তা’লীম গ্রহণ করা। (৩) মহিলাদের ঘরে নামায পড়ায় অধিক ফযীলত। (৪) হযরত উমর ইবনুল খত্তাব আলাইহিস সালাম তিনি মহিলাদেরকে মসজিদে যেতে নিষেধ করেন ও উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি তা পূর্ণ সমর্থন করেন। (৫) পরবর্তিতে হানাফী মাযহাবের ইমাম, মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা বিনা শর্তে মহিলাদের জামায়াতের জন্য মসজিদে যাওয়া মাকরূহ তাহরীমী ফতওয়া দেন এবং এর উপর উম্মতের ইজমা প্রতিষ্ঠা লাভ করে। কাজেই মহান আল্লাহ পাক যেন আমাদের সকলকে হক্ব মত ও হক্ব পথে কায়েম রাখেন এবং উক্ত ফতওয়া মুতাবিক আমল করে মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাছ মারেফত ও মহব্বত হাছিল করার তৌফিক দান করেন। (আমিন)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.