![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বলাবাহুল্য, কিছু পাপ আছে যাকে প্রাচীন পাপ বলা হয়। ব্যভিচার, সমকাম এ ধারার অন্তর্ভুক্ত। বিধর্মী বিশ্বে মহামারির মতো এ জঘন্য কাজটি ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশেও এর অস্তিত্ব নেই তা বলা যাবে না। তবে বিচ্ছিন্নভাবে কোথাও থাকলেও এতদিন ছিল রাখঢাকের ভেতরে, অতি গোপনে। কিন্তু সে গোপন প্রাচীন পাপের এরকম বা প্রকাশ্য মহড়া বিবৃতির সাহসটা এলো কোত্থেকে? প্রচারের প্রবৃত্তিটা জাগলো কীভাবে? খতিয়ে দেখলে দেখা যাবে এতে বাংলাদেশ সরকারের একজন দায়িত্বশীল মন্ত্রীর সংবিধান ও দন্ড-বিধি বিরোধী বিবৃতি বা হীন ও লজ্জাকর কর্মকান্ড-ই দায়ী।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগেও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে ভারতীয় সাংবাদিকরা বাংলাদেশকে পাকিস্তানের বাফার স্টেট বা অঙ্গরাজ্য বলে ফাঁদে ফেলেছিল। কিন্তু পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার প্রত্যুৎপন্নিমতার অভাবে সে ফাঁদ থেকে রক্ষা পায়নি। বরং ফাঁদে পড়ে বাংলাদেশের মান-সম্মান খুইয়েছিল। ঠিক বাংলাদেশী মুসলমানদের নৈতিক অবস্থানের এক ফাঁদ পেতেছিল জাতিসংঘের মানবধিকার পরিষদ। গত ২৮/০৪/২০১৩ তারিখে পত্রিকায় পত্রস্থ হয়-
“বাংলাদেশের মানবাধিকার ইস্যুতে সোমবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের শুনানির এক আগাম প্রশ্নে যুক্তরাজ্য ও উত্তর আয়ারল্যান্ড বাংলাদেশে সমকামিতার বৈধতার বিষয়ে জানতে চেয়েছে।
যুক্তরাজ্য ও উত্তর আয়ারল্যান্ড থেকে প্রশ্ন করা হয়েছে, দন্ড-বিধির ৩৭৭ ধারা বিলোপ করে সমকামিতাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য না করার কোনো পরিকল্পনা বাংলাদেশ সরকারের আছে কি?”
“মুসলমানদের চিরশত্রু অমুসলিমদের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে এর জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জবাব দিয়েছিল বাংলাদেশের সংবিধানে লেসবিয়ান, গে, বাইসেক্সুয়াল ও ট্রান্সজেন্ডার মানুষদের (সংক্ষেপে এলজিবিটি) অধিকার সংরক্ষণের স্বীকৃতিদানের কথা বলা হয়েছে।”
গত এপ্রিল মাসের ২৯ তারিখে জেনেভায় অনুষ্ঠিত ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য জানায়। সে আরো বলে, সাংবিধানিকভাবে তাদের সমঅধিকার ও স্বাধীনতা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। সম্প্রতি বিডি নিউজ ২৪ ডট কম-এ প্রকাশিত রেইনার এবার্টের “সমকামিতা ধারণা বনাম বাস্তবতা” শিরোনামের এক নিবন্ধে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। মূলত এ বক্তব্য মেরুদন্ড-বিহীন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর হীনম্মন্যতা নতজানু চেতনা। কাফির-মুশরিকরা কোনো প্রশ্ন করলেই তটস্থ হবার প্রবণতা। কাফির-মুশরিকরা যে আঙ্গিকে প্রশ্ন করবে সে আঙ্গিকেই চলতে হবে এ ধরনের কুৎসিত মেধা ও মনন রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম বাংলাদেশ তথা ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর জন্য আদৌ মানায় না।
২০১১ সালের ১৭ জুন সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে উভয়কামী-সহ সকল সমকামি নারী ও পুরুষের সমঅধিকারের বিষয়টি অনুমোদন করে। সেদিন পাকিস্তান, সৌদি আরব, কাতারের মতো ইসলামিক-দেশগুলোর সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশও তা কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করেছিল। কিন্তু মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে ক্ষমতার মেয়াদের শেষ প্রান্তে সরকারের নীতি-নৈতিকতায় এমন কি পরিবর্তন সাধিত হয়েছে? সে সমকামকে এখন স্বীকৃতি দেয়ার জন্য সরকার উঠে পড়ে লেগেছে।
বিশ্বের অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও সমকামিতা বা সমলিঙ্গীয় মিলন আইনে নিষিদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এমন কি তা যদি দুজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির পূর্ণ সম্মতিতে হয় তবুও। বাংলাদেশ দন্ড-বিধির ৩৭৭ ধারা সমকামিতাকে প্রকৃতির বিরুদ্ধে অস্বাভাবিক অপরাধ হিসেবে গণ্য করছে। উক্ত ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি স্বেচ্ছাকৃতভাবে কোন পুরুষ, নারী বা জন্তুর সাথে, প্রাকৃতিক নিয়মের বিরুদ্ধে একান্তবাস ঘটায় তাহলে সেই ব্যক্তি যাবজ্জীবন কারাদন্ডে বা যে কোন বর্ণনার কারাদ-ন্ডে যার মেয়াদ দশ বছর পর্যন্ত হতে পারে- এবং তদুপরি অর্থদ-ন্ডেও দন্ডিত করা হবে।
তবে এক্ষেত্রে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সংবিধান ও বাংলাদেশ ফৌজদারী দন্ড-বিধির ৩৭৭ ধারা বিরোধী বক্তব্যই দায়ী। তার বক্তব্যের প্রেক্ষিতেই সমকামী বিয়ে বাংলাদেশে আলোচিত হয়েছে। অচ্ছুৎ দু-চারটা সমকামী সাহস পেয়েছে এবং গর্বভরে তা প্রচার করতে উৎসাহী হয়েছে। পিরোজপুরে সানজিদা ও পূজা তারই সাক্ষাৎ উদাহরণ।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম দ্বীন ইসলাম। পদ্বীন ইসলাম মধ্যে সমকাম জঘন্য কবিরা গুনাহ। মহান আল্লাহ পাক উনার লা’নতের কারণ। হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “আমার আখিরী যামানার উম্মতদের জন্য আমি সমকামের বিষয়টি সবচেয়ে বেশি ভয় করি।”
আর পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে ঘোষিত এমন ঘৃণ্য কাজটি ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশে রাষ্ট্র দ্বীন ইসলাম উনার এ দেশের জেঁকে বসবে তা কোনোমতেই হতে পারে না। এজন্য বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হবে, এনজিওরা সক্রিয় হবে এটাও কখনোই বরদাশত করা যায় না।
সংবিধান ও দন্ড-বিধির অনেকে তার জঘন্য মন্তব্যের জন্য জাতির কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।
এ সরকার পবিত্র দ্বীন ইসলাম বিরোধী, মুসলিম তাহযীব-তামাদ্দুন ধ্বংসকারী সর্বোপরি এ দেশের ঐতিহ্যবাহী পারিবারিক বন্ধন বিনষ্টকারী হিসেবে ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।
২৬ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:৩৭
পুকুরপাড় বলেছেন: দুজনকে ট্যাগ করে দিলে কেমন হয় ?
সুন্দর লিখেছেন ।
২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:২২
ঢাকাবাসী বলেছেন: এই অপদার্থ অযোগ্য মিথ্যুক মাতারিডারে কেন যে পররাস্ট্র বানাইসে আল্লা মালুম।
২৬ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:১৭
পুকুরপাড় বলেছেন: পুরা অথর্ব ।
৩| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৩
জগ বলেছেন: হিঁসু মনি
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:৩১
মো: আজিজ মোর্শেদ বলেছেন: ওনাকেও ঠিক একইভাবে বাঁশ দেওয়া হোক যেভাবে এনাকে দেওয়া হয়েছে।