নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মিঠা পানি

পুকুরপাড়

সহজ কথা

পুকুরপাড় › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসঙ্গ : নাইজেরিয়া ও বোকো হারাম আন্তর্জাতিক মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করছে খ্রিস্টান অপশক্তি

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৫৪



আফ্রিকায় তেলের প্রসঙ্গ উঠলেই প্রথমে যে দেশগুলোর নাম উচ্চারিত হয়, সেগুলোর অন্যতম নাইজেরিয়া। নাইজার, বেনু আর ক্রস নদীর পানি ধোয়া তিন লাখ ৫৬ হাজার বর্গমাইলের বেশি এলাকায় বিস্তৃত পশ্চিম আফ্রিকার দক্ষিণ উপকূলের এ দেশটির ভূগর্ভে রয়েছে তেল, গ্যাস, কয়লা, লোহা, টিন, চুনাপাথর, কলামবাইট, সোনা, ট্যানট্যালাইট।



কিছু দিন ধরেই নাইজেরিয়ার দাঙ্গা-হাঙ্গামার খবর শোনা যাচ্ছে এবং সেইসঙ্গে উঠে আসছে বোকো হারাম নামের একটি ইসলামী সংগঠনের নাম। থানা, সামরিক স্থাপনা, গির্জা, মদের দোকান, আর্থিক প্রতিষ্ঠানে হামলা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, বোকো হারাম এসব হামলা চালাচ্ছে।

তবে অভিযোগ উঠেছে সংগঠনটির নামে যা কিছু প্রচার করা হচ্ছে, তার বেশির ভাগই অপপ্রচার। ইসলামী অনুসঙ্গ সারা বিশ্বেই উগ্র নেতিবাচক প্রচারণার শিকার। নাইজেরিয়াও এর ব্যতিক্রম নয়। অধিকন্তু দেশটির মিডিয়া মূলত ক্ষমতাসীনদের নিয়ন্ত্রণে। সেই ক্ষমতাসীনদের মূল অংশই খ্রিস্টান-প্রভাবান্বিত। বিশেষ করে পাশ্চাত্যের মদদে তারা পরিচালিত হচ্ছে।

তবে এই সংগঠনটির নাম ব্যবহার করে অনেকেই স্বার্থসিদ্ধি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে সরকারবিরোধী গ্রুপগুলো এই কাজটি বেশি করছে- এমন অনেক প্রমাণ পাওয়া গেছে। এক চার্চে হামলার ঘটনায় প্রথমে অভিযুক্ত করা হয়েছিল বোকো হারামকে। বাউচি রাজ্যে বোকো হারামের শক্ত অবস্থান রয়েছে। ফলে ওই ঘটনার জন্য তাদের দিকে অভিযোগের তীর ছুঁড়ে দেয়ার কাজটি সহজ হয়েছিল। কিন্তু পরে জানা যায়, ঘটনা ভিন্ন। আগুন দিয়েছিল লিন্ডা যোসেফ নামের এক ক্যাথলিক। বয়ফ্রেন্ডের প্রতারণার শিকার হয়ে সে ওই কাজ করেছিল।

অনেকে মনে করছে, ইসলাম ও মুসলিম সংঘাতকে তীব্র করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বোকো হারামের বিরুদ্ধে ক্রমাগত প্ররোচনা চালানো হচ্ছে। মিডিয়া সম্পূর্ণ একতরফা খবর প্রচার করে যাচ্ছে।

কায়েমি স্বার্থবাদী মহলও এ থেকে ফায়দা নিতে চাচ্ছে। বিভিন্ন দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংগঠন এক সুরে কথা বলছে।



এদিকে নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি মসজিদে বন্দুকধারীদের গুলিতে অন্তত ৪৪ জন মুসল্লী শহীদ হয়েছেন। সরকারি কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছে। বিবিসি/আল-জাজিরা/এএফপি/রয়টার্স। গত ইয়াওমুল আহাদি বা রোববার ফজরের নামাযের সময় এ ঘটনা ঘটলেও খবর প্রকাশিত হয় গত সোমবার।



প্রসঙ্গত প্রশ্ন হচ্ছে- বোকো হারাম যদি কথিত ইসলামী সন্ত্রাসী সংগঠনও হয় তবে তারা নামাযরত মুসুল্লীদের উপর হামলা চালাবে কেন? কেউ যদি মুসুল্লীদের নামাযরত অবস্থায় গুলি চালায় তাহলে তারা তো আর ইসলামী থাকতে পারেনা। কাজেই পূর্ববর্তী ঘটনার ন্যায় খ্রিস্টানরাই যে এ কাজ করে বোকো হারামের নাম চালিয়ে দিতে পারে তা বিচিত্র কিছু নয়। আর বোকো হারাম যদি এরকম কিছু করে তবে তারা মূলত খ্রিস্টানদেরই তৈরি সংগঠন ভিন্ন কিছু নয়। যেমনটি আমেরিকারই সৃষ্টি আল-কায়েদা ।

মূল কথা হচ্ছে খ্রিস্টান অপশক্তি এখন বিভিন্ন অজুহাতে, বিভিন্ন নামে-বেনামে তাদের এজেন্টদের মাধ্যমে একের পর এক মুসলিম দেশ দখলে নেমেছে। উদ্দেশ্য, মুসলিম দেশ দখল ও লুটপাট। এর বিপরীতে বিশ্ব মুসলিম উনাদের জাগরণ ব্যতীত কোনো বিকল্প নেই।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:০৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
প্রসঙ্গত প্রশ্ন হচ্ছে- বোকো হারাম যদি কথিত ইসলামী সন্ত্রাসী সংগঠনও হয় তবে তারা নামাযরত মুসুল্লীদের উপর হামলা চালাবে কেন?

তাহলে পাকি জংগিরা মসজিদে মসজিদে বোমা হামলা করে নামাজিদের হত্যা করছে কেন?
পাকি জঙ্গিরা ঈদের জামাতেও তো মানুষ মারতে দ্বিধা করে নি!

২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:১৪

একিউমেন০৮ বলেছেন: ঠিক বলেছেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.