নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেই আমি প্রশ্নবো্ধক রেখা !

পুলক দত্ত

কেন জানি মনে হয়, নিজেকে এখনও চিনতে পারিনি। প্রতিনিয়ত নিজেকে জানার চেষ্টা করছি।

পুলক দত্ত › বিস্তারিত পোস্টঃ

আশির দশকের কবি বিষ্ণু বিশ্বাসের কয়েকটি কবিতা

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩২

অধিকাংশ কবি শিল্পীর কাছে খ্যাতি প্রতিপত্তি ধরা দেয় না। তারা হতদরিদ্র অপরিচিত থেকে যান। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ বার্ধক্যে পৌঁছে আর অতি নগণ্য কেউ কেউ পান মৃত্যুর পরে সম্মান। সুন্দর মানুষ সুন্দর কবি এই শেষোক্তদের দলে। যাঁর নাম বিষ্ণু বিশ্বাস। এ কবি জন্মগ্রহণ করেন ঝিনাইদহ জেলার বিষয়খালিতে ১৯৬২ সালের ২৯ মে। বিষ্ণু বিশ্বাসের প্রকাশিত কবিতার বই মাত্র একটি ‘ভোরের মন্দির’।



ঈশ্বরের জন্মজন্মান্তর



আমাকে পেরিয়ে গেলে তুমি পাবে এক ধূলিপথ

ডানে বাঁয়ে সবখানে শিলীভূত পাখিদের শব

মৃত্যু যেখানে অমর অমেয় জলের স্বপ্ন ধোয়া

বাঁশপাতা খড়খড়ি ঊষর দানোর লোহাগড়।

হয়ত থামতে হবে, বহুবার অনাত্মীয় শোকে

তোমার সোনালি জামা, হলুদ গন্ধের শাড়িখানা

উড়িয়ে নিয়েছে ঝড়। শুধু স্বপ্নের আঁধার-গান

তারাদের নীল জলে তোমাকে দিয়েছে কামরতি

তোমাকে বিয়োতে পারো আদি ঊষা, প্রথম বাগান?

দ্বিতীয় ঈশ্বর তবে তৃতীয় ঈশ্বর জন্মদানে

আবার মিলিত হবে সোনালি জামা হলুদ গন্ধে।

এই অনুবর্তনের গল্পে যে পথে গিয়েছে ধূলিপথ

ডানে বাঁয়ে সবখানে জাম আম সবুজ কথক

আমাকে পেরিয়ে গেলে নিশ্চিন্ত কল্পতরুর গাছ।



গল্পের কুমার



ধরাতলে একদিন পৃথিবী এনেছে ধারাজল

দেবতা-চোখের আলো ক্রমে নিভে হয়েছে সকাল।

বেড়াতে এসেছে এক গল্পের কুমার অসময়ে

তার অবসর ছিল। স্রোস্বতী কিনারে দেখেছে

নীল বাঁদরের হাট। দীর্ঘক্ষণ পলক পড়েনি

দেবতা-চোখের আলো ক্রমে নিভে হয়েছে সকাল।

এমন গল্পের কবি অন্ধ হলে সৃষ্টি স্থিতি লয়

নিশ্চিহ্ন আলোর সখা, তোমাদের শোনা কোন গান

পাথরে স্থির হয়েছে। জ্যোতিষ্কের পরশ পাথর

সীমাহীন ঘটমানে, নিয়তির চুল ছিঁড়ে ছিঁড়ে

নীল পশমি ছাগল। হাটবারে হাটে বাঁধা থাকে।

পাইকারি কথামালা। শোরগোল গন্ডোলায় ভেসে

চলে যায় চলে যায় তারাদের পৈশুন্য আঁধার

ধরাতলে একদিন পৃথিবী এনেছে ধারাজল

দেবতা-চোখের আলো ক্রমে নিভে হয়েছে সকাল।



বলবার ছিল



জায়গা ছিল না কোনো কথা বলবার, শুনবার।

সমুদ্রের ধারে যেতে পথের বাদাম গাছগুলি

মিহি কথার কৌতুকে পাথর ফুলের ধাক্কা দিল

আমি কী বলেছিলাম, তোমরা যারা শুনেছো বেশি

শোনাবে–একটু খানি। আমি ভুলে গেছি জন্ম আছে।

কিছু যন্ত্রণার কথা যেভাবে বলেছি মনে নেই

একটু আনন্দ কথা, গোলাপি স্তম্ভে স্থির রয়েছে

অন্ধ থেকে চোখে জেগে সমুদ্র দেখি বালির স্তূপে।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.