![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"ইয়াবা" পরিচিতি:
এটি একটি 'থাই' শব্দ। থাই ভাষায় এর অর্থ 'উন্মাদ ওষুধ' (crazy medicine)। এর মূল উপাদান 'মেথঅ্যমফেটামিন'। আবিষ্কার করেন আকিরা ওগাটা (জাপান, সাল ১৯১৯)। এর মূল উপাদানের (২৫-৩৫ মিলিগ্রাম) সাথে 'ক্যাফেইন' (৪৫-৬৫ মিলিগ্রাম) মিশিয়ে প্রস্তুত করা হয় প্রতিটি ইয়াবা। প্রচন্ড উত্তেজক (যৌন ও মৌন) ও নেশাকারক এই ট্যাবলেট টিকে তরুণ-তরুণীদের কাছে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে মূল উপাদানের সাথে মেশানো হয় বিভিন্ন ফলের রং ও ফ্লেভার। দেখতে সাদামাটা হলেও কার্যক্রিয়া তীব্র।
সেবন পদ্ধতি:
মাদকসেবীরা এটাকে মুখেই গ্রহণ করে থাকে। তাছাড়া অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলর উপর রেখে উত্তপ্ত করে বাষ্পীশোষণ করে,গুঁড়ো করে পানিতে মিশিয়ে সিরিণ্জের দ্বারা শিরায় প্রবেশ করিয়ে ব্যবহার করে।
কার্যক্রিয়া:
অন্যান্য মেডিসিনের তুলনায় ইয়াবা দ্রুত গতিতে কাজ করে। আধাঘণ্টার মধ্যে এর কার্যকলাপ শুরু হয়। এর কার্যক্রিয়াকে আমরা দুটি পর্যায়ে বিভক্ত করতে পারি। ১# নেশা উদ্দীপক ২# যৌন উদ্দীপক
নেশা উদ্দীপক:
ইয়াবার আনন্দ ও উত্তেজনা সাময়িকভাবে ভুলিয়ে দেয় সকল ব্যাথা, বেদনা ও যন্ত্রণা। স্বপ্নের মতো সবকিছু আবর্তিত হতে থাকে। এই স্বপ্ন পর্যায়ক্রমে নেশায় পরিণত হয়। মনে হয় যেন সে অন্য এক জগতের বাসিন্দা। ধীরে ধীরে এর চাহিদা বাড়তে থাকে। অতিরিক্ত চাহিদা মেটাতে পরবর্তীতে আসক্ত ব্যাক্তি নেশার মাত্রা বাড়াতে বাধ্য হয়। এভাবে চলতে থাকে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস।
যৌন উদ্দীপক:
মূল আলোচনার বিষয় এটাই। যৌন উদ্দীপক হিসেবে এর অবস্থান অনেক উপরে। শরীরের মধ্যে যৌন হরমোন উৎপাদন বৃদ্ধি পেতে থাকে। এটি যৌন উত্তেজনার জন্যে দায়ী প্রধান স্নায়ুগুলোকে তীব্র ভাবে আন্দলিত করতে থাকে। এই ক্রিয়া দেহের সর্বাঙ্গে ব্যাপীত হয়। যৌন আকাঙ্খা ক্রমেই তীব্র থেকে তীব্রতর হতে থাকে। তাই স্বাভাবিকভাবেই যৌনাঙ্গ যৌন ক্রিয়া করতে ব্যাকুল হয়ে ওঠে। এর দ্বারা সৃষ্ট যৌন পুলক এতটাই তীব্র হয়ে থাকে যে, পরিস্থিতি নিয়ন্তন করা দুঃসাধ্য হয়ে পরে। ফলে মানসিক ইচ্ছা না থাকা স্বত্তেও তরুণ-তরুণী যৌন মিলন সম্পন্ন করতে বাধ্য হয়।
পাশ্বপ্রতিক্রিয়া:
রাত কাটে নির্ঘুম। শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়ে থাকে, মেজাজ খিটখিটে হয়, গলা মুখ শুকিয়ে আসতে থাকে। প্রচন্ড ঘাম ও গরমে অসহ্য অনুভূতি বাড়তে থাকে। নাড়ির গতি, রক্তচাপ, তাপমাত্তা, শ্বাসপ্রশ্বাসের গতি বাড়তে থাকে। আর যারা সিরিন্জের মাধ্যমে দেহে ইয়াবা প্রবেশ করায় তাদের হেপাটাইটিস এ/ বি/ সি এমনকি এইডসের মত মারাত্তক রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
মন্তব্য:
বর্তমানে এর কিছু অপব্যবহার লক্ষণীয় যা চিন্তার উদ্দেক করে। এটা সচরাচর কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া উচ্চবিত্ত ও উচ্চমধ্যবিত্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে লক্ষণীয়। তাছাড়া হোটেল, ক্লাব, পার্টি, অবকাশযাপন কেন্দ্র ইত্যাদি স্থানও ইয়াবার অভয়াশ্রম হিসেবে পরিচিত। শিক্ষার্থী বা যুব সম্প্রদায়ের অনেক তরুণী এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির শিকার। কাঙ্খিত তরুণীর সাথে যৌন মিলন সম্পন্ন করতে এই মাদক এখন হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এমনকি প্রতারণার (Blackmail) আশ্রয় নিয়ে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রুপ ধারণ করছে। যার কিয়দাংশ আমরা ইন্টারনেটে ভিডিও ফুটেজ আকারে অবলোকন করে থাকি।
কতো তরুণ প্রাণ এর কবলে ঝরে পরছে তার খবর আমরা না রাখলেও, কতগুলো ট্যাবলেট আইনরক্ষাকারী বাহিনী আটক করল তার খবর ঠিকই রাখি।
আজকাল এটা এতটাই সহজলভ্য হয়ে পরেছে যে, জিভ বের করে রাখলে তা জিভের উপর এসে পরে। তাই আসুন আমরা সকলে এই ভয়ানক মাদক থেকে নিরাপদ দুরত্বে থাকি এবং অন্যকে রাখি।
২| ১৩ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৩৬
নতুন বলেছেন: দেশের মানুষ এখন পয়সার জন্য সবকিছুই করতে পারে... তাই মাদক ব্যবসা এখন পুরা লাভের ব্যবসা...
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:০৬
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: নিয়ন্ত্রন নিজের
ভাল টাও তাই
না বুঝলে হারানো যাবে
জনমের কামাই