![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
(অনেকদিন পরে একটু সময় হলো, কিছু লিখতে ইচ্ছে হলো এলোমেলো..)
উগ্র ইসলামিক জঙ্গি বিষয়ক একটা প্রচলিত আওয়ামী প্রচারনা হলো বিএনপি ক্ষমতায় আসলেই ইসলামিক উগ্রতা বৃদ্ধি পায়। একজন সাধারন জাতীয়তাবাদী সমর্থক হিসেবে আমি কখনই মনে করি না যে বিএনপি জঙ্গিবাদের সহায়ক হিসেবে ভুমিকা পালন করে। কিন্তু লক্ষ্যণীয় বিষয় বিএনপি আমলে আসলেই জঙ্গি তৎপরতা বেশী চোখে পড়েছে। জাতীয়তাবাদী বিরোধী গোষ্ঠি আঙ্গুল তুলেছে বিএনপির দিকে, আন্দোলন হয়েছে দেশে সৃষ্টি হয়েছে অরাজকতার। হতাশার বিষয় বিএনপি এ ব্যপারে যথাযথ প্রতিবাদ জানায়নি বা জানাতে পারেনি। তথ্যপ্রমান সহ বিএনপি উপস্থাপন করে এই মিথ্যা অপবাদের প্রতিবাদ করতে বরাবরই ব্যার্থ হয়েছে ।
কিন্তু আমার মনে হয় আমাদের নেতৃবৃন্দ চেষ্টা করলেই এই সকল প্রপাগান্ডার সমুচিত জবাব দিতে পারতেন, জনগনের সামনে তুলে ধরতে পারতেন
নিচের কয়েকটি বিষয়ের উপরে দৃষ্টিপাত করলেই এসব মিথ্যা প্রপাগান্ডার একটা সমুচিত জবাব দেয়ার ভিত্তি তৈরি হতে পারতো:
১) সবচেয়ে আলোচিত জঙ্গি তত্পরতার মুল নায়ক শায়খ আবদুর রহমান আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতা মীর্জা আজমের আপন ভগ্নিপতি।
২) বিএনপি আমলেই সফল ভাবে শায়খ আবদুর রহমান ও তার দলীয় লোকদের আটক করতে সক্ষম হয় ও বিচারকার্য শুরু করে। পরবর্তীতে তত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে তাদের বিচার সম্পন্ন ফাঁসী কার্যকর করা হয়।
৩) শায়খ আব্দুর রহমান ও অন্যান্য জঙ্গীদের আটকে প্রদান ভুমিকা পালন করেন রেবের মেধাবী অফিসার কর্ণেল গুলজার। এই কর্ণেল গুলজার আওয়ামী সরকারের সময়ে বিডিআর বিদ্রোহে শহীদ হয়ে যান। বিডিআর বিদ্রোহের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে তাকে হঠাৎ করে রেব থেকে গুরুত্বপূর্ন বিডিআরে বদলী করা হয়।
৪) আর এক জঙ্গি মুফতি হান্নানের বাড়ি গোপালগঞ্জ, গোপালীদের ভুমিকা কাদের পক্ষে কেমন হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়।
৫) বিরোধী দলের আন্দোলন চাঙ্গা করার জন্য গান পাউডার দিয়ে বাসে আগুন দিয়ে নিরীহ মানুষ পুড়িয়ে মারার যে স্বীকারোক্তি এক আওয়ামী নেতা দিয়েছেন তা এখন ইউটিউবে খুজলেই পাওয়া যায়।
বিষয় গুলো এভাবে বিশ্লেষন করলে সহযেই খুজে পাওয়া যাবে এ সকল দেশ অস্থিতিশীলকারি অরাজনৈতিক কর্ম কান্ডের বীজ কোথায় লুকানো আছে।
একটা ব্যাপার উলেখ্য যে জঙ্গিবাদের উথ্থান, বোমাবাজী এবং দেশ অস্থিতিশীল করার মত কার্য়ক্রম গুলো কখনই সরকার দলীয় রাজনৈতিক দলগুলোর করার কথা নয়। দেশ কে অস্থিতিশীল করলে সরকারেরই ক্ষতি বরং বিরোধীদল সমালোচনার সুযোগ পায়। জনগনকে রাজনৈতিক ভাবে সচেতন কারা লক্ষ্যে এ বিষয়গুলে উপস্থাপন করাটা খুব জরুরি ছিল।
চিন্তার বিষয় আবারো শুরু হয়েছে ষড়যন্ত্র, আবারো শুরু হয়েছে প্রপাগান্ড। সম্প্রতি বগুড়াতে জঙ্গি ততপরতা ধরা পড়েছে, উদ্ধার হয়েছে প্রচুর অত্যধুনিক অস্ত্রশস্ত্র, স্থান সেই আওয়ামী নেতার বাড়ী। জেএমবির আদলে বিইএম। সময় সামনে নির্বাচন, আবার আওয়ামী প্রপাগান্ডা ছড়ানোর সময় হয়েছে বিএনপি ক্ষমতায় আসলেই এই অঞ্চলে ইসলামী জঙ্গিবাদ বেড়ে যাবে অতএব আওয়ামীলিগকে ক্ষমতায় রাখতে হবে। আবার আওয়ামীলিগের বিরোধী দলে যাবার সময় হয়েছে, অতএব আবার জঙ্গিদের আমদানি করতে হবে প্রমান করতে হবে বিএনপি সরকারে এলেই জঙ্গি তত্পরতা বৃদ্ধি পায়। প্রগতিশীল ছুচো কচকচানি...
জানি না প্রিয়দল বিএনপির নেত্বৃবৃন্দ এই বিষয়গুলো কিভাবে দেখেন...
(যাদের কথাগুলো ভালো লাগে নাই- ভাইজনেরা বাবা মা তুলে গালি না দিলে কৃতার্থ হব)
২| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:১৪
মনজুরুল হাসান বলেছেন: এই প্রশ্ন গুলা করলেই কিছু মানুষ জন চেইতা যায়!
৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:০৪
রেজা রাজকুমার বলেছেন: তাইলে আর কী, .. .. .. আসেন সবাই মিল্যা আওয়ামী লীগরে বিরোধীদলে আর বিএন্পি রে ক্ষমতায় যাওন ঠেকাই আর দেশরে জংগিমুক্ত রাখার চেস্টা করি।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:৩১
মোহাম্মাদ রাকিবুল হাসান বলেছেন:
ভাই কি সরকার পন্থী নাকি?
৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:৩৮
বিদ্রোহীসৌরভ বলেছেন: যৌক্তিক আলোচনা ।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:১৪
মোহাম্মাদ রাকিবুল হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ
৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৫:১৯
স্বাধীকার বলেছেন: সন্দেহ নেই আপনার যুক্তিগুলো চিন্তার খোরাক জোগায়।
- দুলাভাই প্রধান জঙ্গী নেতা।
- কাচাঁমাল দাতা ভারত মাতা।
- প্রচারনায় ভারতপ্রেমী ভারতের আলো পত্রিকা
- দেশ বিদেশে জঙ্গী আক্রমনের ব্যাপক প্রচারনা এবং দাতা সংস্থা গুলোতে পত্র দেওয়া আম্লীগ ও তাদের সহযোগিতা প্রদান।
- মুফতি হান্নানের আদালতের ডকে দাড়িয়ে আস্ফালন-লীগের সাথে পারিবারিক সম্পৃক্ততা ও ক্ষমতা প্রয়োগের হুমকি।
- মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জনসভার কাছে গোপালগঞ্জে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা আবিস্কার ও পরবর্তীতে সেটা নিয়ে চুপসে যাওয়া।
- মুফতি শহীদুলের সাথে পরবর্তীতে দহরম-মহরম।
-----------এসব বিবেচনায় নিলে বহু প্রশ্নের উত্তর পাওয়া সম্ভব।
তবে একথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, প্রথম দিকে তৎকালীন বিএনপি সরকার আরো বেশী মনোযোগী হলে, জঙ্গীদের গণায় নিলে-এমন বদনাম বিএনপিকে আজ শুনতে হতোনা। আরো আগেই ব্যবস্থা নিলে মিথ্যা প্রচারণার দরকার পড়তোনা, সুবিধাও করতে পারতোনা। তাছাড়া ১৭ আগস্টের গ্রেনেড হামলার ঘটনায় বিএনপি আন্তরিকভাবে সত্যিকার অপরাধী ধরায় মনোযোগী হলে-তাদের সমালোচনার সুযোগ কম থাকতো। প্রকাশ্যে দিনের বেলায় এভাবে গ্রেনেড হামলা হলো, এতগুলো মানুষ মারা গেলো-এর দায় তৎকালীন প্রশাসনকে নিতেই হয়। সেদিন জজমিয়া টাইপের নাটকের স্ক্রিপ্ট দলদাস দায়িত্বহীন পুলিশ দিয়ে না করালে, আজ হয়তো আমরা সত্যটি জানতে পারতাম। এরই ধারাবাহিকতায় আজ বর্তমান সেখান থেকে সুবিধা নিতে খালেদা জিয়া, তারেককে জড়ানোর মতো ঘৃণ্য কাজ করতে পারতোনা। এসবে জন্য তখনকার প্রশাসন কোনো বিবেচনাতেই দায় এড়াতে পারেনা। আজকের যে সমালোচনা ও মিথ্যা মামলা সেটাতে জড়াতে পারতোনা আম্লীগ। প্রকৃত সত্য সব সময়ই জনতার সামনে আনা উচিত-অন্তত যেসব দেশে ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতার পরিবর্তন হয়। সেজন্যই হেফাজতের শাপলা অভিযানের দায় আম্লীগ দীর্ঘ অস্বস্তিতে রাখবে, কারণ তারা এবিষয়ে প্রকৃত সত্যটি মানুষের দৃষ্টিতে আনেনি-সময়ে সত্য মিথ্যা এমন ডালপালা বিস্তার করবে যে, সেটার জবাব দেওয়ার সময় আর থাকবেনা।
জঙ্গী ও বোমার বিষয়ে যে সুশীলরা বলেন, তারা কিন্তু উদিচির বোমা, গীর্জায় বোমা হামলার কথা বলে না, কারণ এসব হয়েছিলো আম্লীগ সরকারের আমলে-এর দায় থেকেও আম্লীগ মুক্ত নয়, কারণ তারাও প্রকৃত সত্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত ব্যর্থই। তাই তাদের মুখে অন্যের সমালোচনার আগে আম্লীগের দরকার আয়নায় নিজেদের দেখা।
লেখককে ধন্যবাদ।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:০৯
মোহাম্মাদ রাকিবুল হাসান বলেছেন: ভাই আমার লেখার চেয়ে আপনার মন্তব্য অনেক বেশী তথ্যবহুল, খুব ভাল লাগলো..
৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:০৭
হাসিব০৭ বলেছেন: সত্যি কখনই লুকায়িত থাকে না একটু ধৈর্য ধরেন সবকিছু বের হয়ে যাবে। বিডিআর বিদ্রোহের দিনটি আজও আমার মনকে বিচলিত করে দেয় কিভাবে এতগুলো রাষ্টনায়কদের নির্মমভাবে হত্যা করা হল। হত্যার পরে আবার সেই বিডিআরদের পালিয়ে যাবার জন্য মিছলও করেছিল। হায়রে আওয়ামিলীগ..............
৭| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৫
অেসন বলেছেন: "বিরোধী দলের আন্দোলন চাঙ্গা করার জন্য গান পাউডার দিয়ে বাসে আগুন দিয়ে নিরীহ মানুষ পুড়িয়ে মারার যে স্বীকারোক্তি এক আওয়ামী নেতা দিয়েছেন তা এখন ইউটিউবে খুজলেই পাওয়া যায়। "- বিএনপি সরকারে থেকেও বিচার তো করতে পারেনি বরং ঘটনার সময় জেলে থাকা একজনকে রাজসাক্ষী বানাতে গিয়ে আদালতে ধরা খেয়েছিলো।
ভাই, সরকারে থেকে বিরোধীদের অপততপরতা রোধ করতে না পারার ব্যর্থতা কার? অবশ্যই সরকারের। সেটা বর্তমান সরকারের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৪২
কপোতাক্ষের তীরে এক অসামাজিক বলেছেন: ধরা পড়া জঙ্গি দের অস্ত্র গোলা, বোমার উপাদান আসে ভারত থেকে, ধরা পড়া জিনিস গুলা থেকে তা জানা যায়, কাজেই ২ যোগ ২=৪।
আপনার লেখায় সহমত, এটাই অনেকে বুঝতে চায় না।