নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যুর বাগানে নিমন্ত্রণ আপনাকে।

মরুভূমির জলদস্যু › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রকৃতির খেয়াল - ০২

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৫৩

১ : কুমড়ো পটাস

কমলা রঙের সুন্দর দেখতে এই ব্যাঙটির নাম হচ্ছে কুমড়ো পটাশ থুক্কু পাম্পকিন টোডলেট (Pumpkin toadlet)। এরা খুবই ছোট প্রজাতির এক ধরনের ব্যাঙ, যাদের সাইজ আপনার বুড় আঙ্গুলের নখের সমান বা তারচেয়ে কিছু ছোটোও হতে পারে। সাইজ ডাজ নট ম্যাটার, বাট ব্যটারা ব্যাঙ হয়েও ঠিক মতো লাফাতে পারে না। দেখা গেছে এরা ফাল দিয়ে পায়ের উপরে ল্যান্ড না করে কখনো পড়ে পিঠ দিয়ে কখনো মাথা নিচে দিয়ে। বুঝেন অবস্থা।
ফটোগ্রাফার : লুইজ এফ রিবেইরো



২ : চূড়ান্ত উন্মাদনা

ভাবছেন মৌমাছিগুলি কি করছে?
এরা হচ্ছে পুরুষ ক্যাকটাস মৌমাছি (Cactus Bees) যারা একটি স্ত্রী মৌমাছির সাথে মিলনের জন্য এই প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
ফটোগ্রাফার : কারিন অ্যাগনি




৩ : বনের আসল পরী!!

দক্ষিণ আমেরিকার এক ধরনের ঘাসফড়িং (Grasshopper) হল এই টাইটানাক্রিস (Titanacris), তবে এদের পরী বলাটা ঠিক হলো না, কারণ এরা আসলে পুরুষ!
ছবি : উইকি




৪ : বাদুর কলনী

ছবিতে এগুলি দেখছেন মেক্সিকান ফানেল কানওয়ালা বাদুড় (mexican greater funnel-eared bats) এর কলনী। বাদুড়ের এই ধরনের গুহাগুলিতে প্রায় ১০০% আর্দ্রতা থাকে এবং তাপমাত্রা প্রায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাই এ গুহাগুলিকে 'গরম গুহা' (hot caves) নামে ডাকা হয়।
আমি বাংলাদেশে কয়েকটি পুরনো স্থাপনায় দেখেছি যেখানে হাজার হাজার বাদুর বা চামচিকা থাকে। সেগুলির ধারে কাছে যাওয়া যায়না অসহ্য গন্ধের কারণে।
ছবি : ফেসবুক




৫ : আলোকময় ঈল

আমরা ইলেকট্রিক ঈলের খবর জানি, কিন্তু এতো দেখি বিজলী বাত্তি লাগানো ঈল!! ঈলের নিচে যে বাত্তি লাগানো অংটি ঝুলে আছে সেটি আসলে ব্যাটার পাকস্থলী। এমন নান্দনিক পাকস্থলী আর কার আছে আমার জানা নাই। এই ধরনের ইলেরা সাথারণত গভীর সমুদ্রের বাসিন্দা। জীবিত এই ধরণের ঈলের এটিই প্রথম ছবি!
ফটোগ্রাফার : জেফ মিলিসেন

=======================================================================

প্রকৃতির খেয়াল - ০১

=======================================================================

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৩১

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: প্রথমে ব্যঙটা দেখে ভেবেছিলাম আর্টিফিশিয়াল। এটা কি অ্যামাজন জঙ্গলে বাস করে?
মৌমাছির মারামারি ভালই চলছে, ঘাস ফড়িংটা খুব সুন্দর। ইউ!! বাদুর কলোনি দেখে ভয় পাইছি। |-)
ঈল মাছের শকে কিন্তু মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:২৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: জ্বী এরা ব্রাজীলের আংশে থাকে সম্ভবতো।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।

২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:১৪

মজসসৃ পৃক বলেছেন: Yes I was also ammazed at first. But and I realized it lives in amazon jungle. And there are many mystry unsolved there. I am big fan of this website. I also have my blog like this. Do check for katiparcha - price in Nepal

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৫৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: Thank you very much for your comments

৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:০৮

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: দারুন একটা পোষ্ট
ধন্যবাদ মরু ভাইয়া

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:২৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: স্বাগমত আপনাকে ছবি আপু।

৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:১৫

খাঁজা বাবা বলেছেন: প্রকৃতির খেয়াল।
ভাল লেগেছে জেনে।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:২৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।

৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:২৩

বিটপি বলেছেন: এতগুলো পুরুষ মিলে একটা নারী মৌমাছির গায়ে চড়ে বসেছে। কে বিজয়ী হল, সেটা বোঝার উপায় কি? আমি শুনেছি মিলনের পরে স্ত্রী মৌমাছিটা পুরুষ মৌমাছিকে মেরে ফেলে। মানুষের ক্ষেত্রে এরকম হলে কেউ কি বিয়ে বা মিলন করত?

মানুষের জগতে নারী হয় পরী। আর পশুপাখি বা পতঙ্গদের জগতে পুরুষ হয় পরী বা সৌন্দর্যের প্রতীক - এটা আশ্চর্য না? সৌন্দর্যের দেবী হচ্ছেন ভেনাস, আর প্রেমের দেবতা কিউপিড। কারণ সৌন্দর্য হলে দুর্বলতা আর প্রেম হচ্ছে শক্তি। তাই প্রেমের দেবতা পুরুষ। হিন্দু ধর্মে সৌন্দর্যের দেবতা কার্তিক আর শক্তির দেবী দূর্গা। কি অদ্ভূত কনট্রাডিকশন।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৪৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
চমৎকার এই মন্তব্যের জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ জানাই।
মৌমাছির কে বিজয়ী হল, সেটা বোঝার উপায় সম্পর্কে আমার কোনো ধারনা নেই।
বিটপি বলেছেন: আমি শুনেছি মিলনের পরে স্ত্রী মৌমাছিটা পুরুষ মৌমাছিকে মেরে ফেলে।
তাতো না!! আমি জানি মিলনের পরে পুরুষ মৌমাছিটি এমনিতেই মারা যায়। তাদের জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য রাণীর সঙ্গে সঙ্গম। মানুষের ক্ষেত্রে বিষয়টি এমন নয়।

মানুষ ছাড়া প্রাণী জগতের প্রায় শতভাগ ক্ষেতে পুরষ সৌন্দর্যের ধারক। তা সে রূপে হোক, গুণে হোক, আকারে হোক, কন্ঠে হোক।

হিন্দু ধর্মে সৌন্দর্যের দেবতা কার্তিক এটা জানা ছিলো না। তবে প্রেমের দেবতার কথা জানা ছিলো।
কামদেব হিন্দু প্রেমের দেবতা। তার অন্যান্য নামগুলি হল রাগবৃন্ত (প্রেমের অঙ্কুর), অনঙ্গ (দেহহীন), কন্দর্প (দেবগণেরও কামনা সৃষ্টিকারী), মন্মথ (মন মন্থনকারী), মনসিজ (মন হইতে জাত, সংস্কৃতে বলা হয় সঃ মনসঃ জাত), মদন (নেশা সৃষ্টিকারী, রতিকান্ত (রতির পতি), পুষ্পবাণ, পুষ্পধন্বা (পুষ্পবাণধারী) এবং কাম (কামনা)।
কামদেব হিন্দু দেবী শ্রীর পুত্র। তার স্ত্রী হলো আকাঙ্ক্ষার দেবী রতি।


-উইকিপিডিয়া

৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:১৬

জুল ভার্ন বলেছেন: কমলা রংয়ের ব্যাঙ্গয়ের নাম কুমরো পটাশ জানতামনা। ন্যাশনাল জিওগ্রাফি চ্যানেলে দেখেছি- যত সুন্দর বর্ণিল ব্যাং আছে সবগুলোই মরনঘাতি বিষে ভরা।

মৌ মাছির উপর একটা ডকুমেন্টারি দেখেছিলাম এনিমেল প্লানেট চ্যানেলে- মৌ মাছি যে কতোটা সেক্স ক্রেজি এবং হিস্র তা সেই ডকুমেন্টারি দেখে বুঝেছি।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৫১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: না না ওর নাম পাম্পকিন টোডলেট (Pumpkin toadlet)। কুমরো পটাশ বলেছি কারণ বেচারা লাফ দিয়ে কখনোই পায়ের উপরে ল্যান্ড করতে পারে না, উলটা পালটা পরে। তাই।

এটি আপনি ঠিক বলেছেন। আমিও দেখেছি রঙ্গিন ব্যাঙ মানেই বিষাক্ত। তবে এই ছোট ব্যাঙটি সম্ভবতো বিষাক্ত নয়। আবার বিষাক্ত হতেও পারে, আমার ঠিক জানা নেই।

৭| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:২১

কালো যাদুকর বলেছেন: ছবিগুলো চমৎকার ৷ ঐরকম একটি ইল একবার হাত দিয়ে ধরেছিলাম ৷ সক খেয়েছিলাম ৷ সে এক কেলেংকারী ৷

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৫৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
ইলেকট্রিক ঈল হয়তো ধরেছেন। তবে সেটি নিশ্চই এই ধরনের নয়। কারণ এরা সমূদ্রের যেই গভীরতায় বাস করে সেখানে সাধারণ মানুষ পৌছানোর কথা নয়।

৮| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:০৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রকৃতির খেয়াল সত্যিই খুব অদ্ভুত।

সবগুলোই সুন্দর, কোনটা রেখে কোনটা বলি!

ছোটোবেলায় আমাদের পাশের গ্রামে একটা গাছে বাদুড় ঝুলে থাকতে দেখতাম। বাদুড়ের শহর ছিল গাছটা, অথচ অন্য কোথাও দেখিনি বাদুড় এভাবে একত্রে একগাছে বাস করে। আমি জানি না, সেই গাছটা এখনো বাদুড়দের বসতখানা কিনা।

বাদুড় রাতের বেলা বের হয়। এদের জন্য আমগাছ, পেয়ারাগাছ, এমনকি, যদ্দূর মনে পড়ে খেজুর গাছের রসের হাঁড়িও জাল জাতীয় বস্তু দিয়ে ঘিরে রাখা হতো। সকালে হতো আরেক বিপদ, জালে আটকে যাওয়া বাদুড়া ছাড়ানো ছিল কষ্টের কাজ।

বাদুড় আর চামচিকা কি একই প্রাণী নাকি?

সুন্দর পোস্ট।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৪০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমাদের এলাকায় বাদুর খুব কমই দেখেছি। সেই ছোটবেলায় কিছু বাদুর আসতো পেয়ারা খেতে, কিছু আসতো খেঁজুরের রস খেতে। এখন আর ওদের আসার তেমন কোনো কারণ নেই। তবে আমি বেশ কয়েকটি বাদুর বাড়ি দেখেছি বিভিন্ন স্থানে পুরাকৃত্তি দেখতে গিয়ে। কোনো দিন হয়তো তাদের ছবি দিবো।

চামচিকা হচ্ছে সাধারন বাদুর। বাদুরের ছোট সাইজের একটি প্রজাতি এরা।

সুন্দর এই মন্তব্যর জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ প্রিয় সোনাবীজ ভাই।

৯| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৩২

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সবগুলো ছবি অসম্ভব সুন্দর।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৩৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: হে, আমি বেছে বেশে সুন্দর ছবিগুলিই শেয়ার করছি।

১০| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:০৯

অঙ্গনা বলেছেন: ফড়িং টা সুন্দর ।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:২০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ

১১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
দুনিয়া সুন্দর, মানুষ সুন্দর
আসমান সুন্দর, জমিন সুন্দর
সুন্দরে সুন্দরে পাল্লা
জানিনা কত সুন্দর তুমি আল্লাহ

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
সুন্দর মন্তবের জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ নূর ভাই।

১২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ২:৫০

কামাল৮০ বলেছেন: আসল পরীর দেখা এখনো পাই নাই।ছবি দেখে সুন্দরই মনে হলো।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:০৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
আমিও দেখা পাই নাই।

১৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫৪

বিটপি বলেছেন: পুরুষ মৌমাছি নিজে নিজে মরেনা। মিলনের পরে পুরুষ মৌমাছির যৌনাঙ্গ স্ত্রী মৌমাছির যৌনাঙ্গের সাথে আটকে যায়। স্ত্রী মৌমাছিটা সেটা ছাড়ানোর চেষ্টা করে। না পারলে পুরুষ মৌমাছির শরীর ধরে হ্যাঁচকা টান দেয়। তাতে তার পেট থেকে নিচের অংশ খুলে মৌমাছির শরীরে লেগে থাকে, বাকিটা নিচে পড়ে মারা যায়। স্ত্রী মৌমাছি মৌচাকে ফিরলে পরে কর্মী মৌমাছিরা সেই খন্ডিত দেহ আলাদা করে দেয়।

মৌমাছিরা উড়ন্ত অবস্থায় মিলিত হয়। এসময় কেবল স্ত্রী মৌমাছি ওড়ে, আর পুরুষ মৌমাছি তার উপর বসে থাকে। অনেক সময় ডানা ঝাপ্টানোর কারণে স্ত্রী মৌমাছির শরীরের তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যায়, সেই তাপে পুড়েও মাঝে মাঝে পুরুষ মৌমাছি মারা যায়।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
পুরুষ মৌমাছির এমন করুন পরিনতির বিষয়টা জানে পরে পুরুষ মানুষ হিসে নিজেকে অনেক বেশী সেইফ মনে হচ্ছে! ;)

ধন্যবাদ আপনাকে মৌমাছি সম্পর্কে চমৎকার তথ্যগুলি জানানোর জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.