নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার মধুকরি, যে চিঠি অনেক আগেই লিখা উচিত ছিল, সে চিঠি এতদিন পর কেন যে লিখতে ইচ্ছে করলো তা আমি জানিনা, শুধু জানি প্রেমের দেবতা অন্ধ, অদর্শনে তার কিছু যায় আসেনা, বিরহে এ হৃদয় বেদনার রসে সিক্ত, তোমাকে ভোলা গেল না কিছুতেই, আমি জানিনা এই চিঠি পৌছাবে কিনা তোমার হাতে, যদি পৌছে, তাহলে সম্ভবত ভূত দেখর মতই চমকে উঠবে, তারপর লোফার, স্কাউন্ডেল, ইডিয়েট যা ইচ্ছ তা বলেই গালাগালি করবে একচোট তবু এই মুহূর্তে এই পরম ইচ্ছার গলায় ফাস এটে তার মৃত্যু হতে দেবনা, সুখের ঘরে অসুখের ছায়া অভিশাপ দেবে, তা জানি, দাও, এই অভিশাপ ছাড়া তোমার আর কিইবা আছে দেবার।
মধুকরি,, মানুষের জীবনে প্রেম আসে বার বার, একাধিক, কে কার সত্যিকার ভালোবাসা পায়? আমি তোমার রূপের রাজ্য ডিঙ্গিয়ে মনের রাজ্যে প্রবেশ করতে পারিনী, তুমি তোমার আগুনে পুড়ায়ে ভালোবাসার শিকলে বেধছিলে আমাকে, সেজেছিলে বিজয়ীনি। আমি তোমাকে ভালোবেসেছিলাম জীবনের সাথে জীবন সাজাতে, কিছু তুমি খেলেছো আমার মনকে নিয়ে, প্রতারনা করেছো, আমার জীবনে পরাজয় এনেছো,," সত্তাকে চুরি করেছো এবং তুমিই আমাকে জর করেছো। এখন আর কেউ নেই যার পরশে কষ্ট ঘুচাতে পারি। উপরে উঠতে পারি আর দশ জন সাধারণ মানুষের মতো তোমার জন্যে মেয়েদের উপর আমার ঘৃণা জন্মে, আর কাউকে ভালবাসতে ইচ্ছা করে না, বরং ইচ্ছে করে তার সব কিছু লুট করে ঠকাতে, তোমার উপর খুব রাগ হয় আমার মনে হয়, তুমি কুসুমে কুসুমে জমা বিষাক্ত রেনু তোমার মুখে দেখি জমাট কলংকের দাগ, তুমি প্রহেলিকা, তোমায় ভুলে যেতে চাই, মুছে ফেলতে চাই মনে থেকে, তুমি আমার জীবনকে করেছ ক্ষতবিক্ষত, এ কথা মনে এলে এমন এক যন্ত্রনায় পড়ি, যার নাম নেই, যা সনাক্ত করা যায়না, ঝুলন্ত বায়ুমন্ডল ভেদ করে ইনজেকশনের মতো সারা দেহ মনে সুঁই ফুটায়, মুষড়ে দেয় আমার স্নায়ুতন্ত্র, মিশে যায় আমার রক্তের মধ্যে সুক্ষ্ণ কোন বিষের মতো, আমাকে অন্ধ, অবস, বিহবল করে তুলে। তখন মনে হয়, তুমি কাছে থাকলে তোমার তাজা মাংস আমি আমার দাঁত দিয়ে ছিঁড়ে নিতাম, কেন, তুমিও তো অনেকের মতো চিরকুমারী থাকতে পারতে।
মধুকরি,, তুমি নেই বলে কখন যে বেড়েছে বেলা, পাতার ফাকে ঝরে গেছে চাপা ফুলের পাপড়ি, আমার শীতের মধ্যরাত্রি বড় কষ্টে কাটে, সেই কবে একটু খানি ভালোবেসেছিলে, সেই খুশিতে আজও লুটোপুটি খায় আমার মন। অর্থাভাবে একদিন আমার ভাঙ্গাচুড়া সাহস, অন্যমনস্কের মতো পালিয়ে ছিল।
মধুকরি, ভাবনা যখন প্রকট আকার ধারণ করে তখন পালিয়ে বেড়াও, কিছুতেই তোমাকে মনের আয়নায় খুঁজে পায়না, মনের নিরালায় মিছে মিছে স্বপ্ন আঁকি, কি যে মধুর লাগে, আপনি বন্ধ হয়ে আসে চোখ, তারপর হঠাৎ জ্বালা করে ওঠে বুকটা, তখন তোমার উপর ভীষন রাগ হয়। কারণ তুমি পারস্ত্রী, আমার মনে হয় তুমি ইচ্ছে করেই আমার জীবন থেকে পালিয়ে গেছো, কিন্তু একবার ওকি আমার কথা তোমার মনে পড়েনা? আমার কথা ভাবতে ইচ্ছা করে না? যে মানুষটা তোমার জন্য এতো ভাবে, সে কেমন আছে! আমি তোমাকে বেঁধে রাখতে পারিনি, কিন্তু আমার ভালোবাসা তোমার ভেতর বাহির জুড়ে বসে আছে। তুমি যেন একটা সুবোধ হলদে পাখির ছা, নির্বাক বসে আছো আমার ভালোবাসার হিজল ফুলের ডালে, আমি তো তাকে তাড়াতে পারি না, তবে তুমি যে আমার একথা ভাবলে গর্ভে আমার বুক ভরে যায়।
অনেক আজে বাজে কথা লিখলাম, যা হয়তো তোমার কাম্য ছিলনা। তবু কেন যেন আজ শুধু লিখতে ইচ্ছে করছে, যেখানেই থাকো ভাল থেকো, তোমার সাথে কোন দিন ঝগড়া করতে যাবোনা। হয়তো চিঠিও লিখবোনা আর কোনদিন।
মধুকরি,, এই অবান্তর চিঠির জন্য তুমি আমাকে যাই ভাবনা কেন তবুও যেন জানতে পারি এ চিঠি তোমার হাতে পৌঁছেছে। তুমি অন্তত একটি বার পড়েছো, কতোদিন দেখিনি তবু মনের চোখে দেখি সারাক্ষণ বুকের মধ্যে খেলা করো অষ্ট প্রহর, যে তুমি আমার ছিলে, তোমার কথা কেউ বললে, তোমার কথা ভাবলে, যেন এক মিষ্টি বেদনায়, অমৃতের গভিরে কেবলই ডুবে যেতে থাকি। আমাকে নিয়ে ভাবনা করো না ভাবলে যে ভালো লাগতো, যে ভালো লাগা এখন আর চাইনা, ছোট্ট পৃথিবীতে ঘুরতে ঘুরতে কখনো যদি দেখা হয়ে যায়। চিনোনা আমাকে, এতদিন ধরে আমার মধ্যে যে জগৎ আমি গড়েছি সামান্য ভুলে বড় কোন ক্ষতি হয়ে যেতে পারে, কষ্ট আর সুখই বলো সবই জীবনের জন্য, আমার জীবন আমারই থাক।
মধুকরি,, এ আমার পরোকিয়া প্রেম নয়। শেষ ইচ্ছাটাকে শুধু নিংড়ে ফেলা, অনাধিকার চর্চার জন্য ক্ষমা করো, তোমার বুক থেকে মুছে ফেলো আমার নাম, বাসি স্মৃতি গুলো নতুন মনের উষ্ণ ভালবাসার আগুনে পুড়িয়ে দাও।
"শেষ নয়"
২০২১ সালের ৩০শে ডিসেম্বর আমাদের এক বন্ধুর বাসায় বসে আড্ডা দিচ্ছি আমরা কয়েকজন।
ঠিক তখন আমাদের আরেক বন্ধু সেখানে হাজির হয় হাতে করে একটি হলুদ খাম নিয়ে। খাম খুলে দেখি সেখানে হলুদ কাগজে কালো কালিকে গোটাগোটা অক্ষরে খুব যত্ন করে লেখা ৩ পৃষ্ঠার বিশাল একটি চিঠি।
আমরা যখন স্কুলের ছাত্র তখন পত্রমিতালি নামক একট বিষয় চালু ছিলো। চিঠি চালাচালিতে বন্ধুত্ব-প্রেম। আমার এই বন্ধু চিঠি লেখায় ছিলো উস্তাদ। সেই পত্রমিতালির যুগ কোন কালেই শেষ হয়ে গেছে। আজকের দিনে এসেও কেউ প্রেম পত্র লিখছে ভাবতেই অবাক লাগে!! ওর কাছ থেকে চিঠিটা নিয়ে মোবাইলে ছবি তুলে রাখলাম পরে পড়বো বলে। এতো দিন পরে হঠাত করে সেই চিঠিটি পড়া হলো। আপনাদের জন্যও পেশ করলাম। চিঠির একটি শব্দ, দাড়ি-কমা কিছুই আমি চেঞ্জ করি নাই। (তবে টাইপিং মিস্টেক হেপারে কিছু) যেহেতু চিঠিতে কারো নাম-ঠিকানা বা পরিচয়ের ইংগিত নেই, তাই এই চিঠি প্রকাশে কারো কোনো ক্ষতির সম্ভবনাও নেই।
২২ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আমার হাতের লেখা অতি জঘন্য। মনে হবে ৩য় বা ৪র্থ শ্রেনীর কোনো বাচ্ছা লিখেছে। ১০টা সিগনেচার দিলে ১০ রকম হয়। প্রতিটি তার আগেরটির চেয়ে খারাপ হয়। পরীক্ষার খাতায় প্রতম পাতায় কি লিখেছি তা পরিষ্কার পড়া যায়। তারপরের গুলি পড়া মুশকিল।
- আপনার লেখা একটা প্রেম পত্রের নমুন দিতে পারেন, পড়ে দেখতাম।
২| ২২ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:০৬
মিরোরডডল বলেছেন:
অনেকদিন পর পাগলার পোষ্ট!
চিঠিটাতে অসংখ্য বানান ভুল দেখে ঠিক বুঝলাম না, এগুলো কি আসলেই বানান ভুল নাকি কোন নির্দিষ্ট অঞ্চলে এভাবেই কথা বলে।
২২ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: - বানান ভুল হলে আমার দোষে হতে পারে। যেগুলি চোখে পড়লো সেগুলি শুধরে দিলাম।।
৩| ২২ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:১১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
পুরোনো দিনের গানের মতোই প্রেমপত্রখানা পুরোনো দিনের আবহ ছড়িয়ে দিল মনে। শরৎচন্দ্রের বই পড়তেন খুব বেশি মনে হয় এই প্রেমিক বন্ধুটি
প্রেমিকা ও স্ত্রীর কাছে আমি প্রচুর চিঠি লিখেছি। অনেক লম্বা ছিল সেই ছিঠি। ফিরতি চিঠিগুলোও বেশ লম্বাই ছিল
পত্রমিতালির যুগে সাপ্তাহিক বিচিত্রাসহ বিভিন্ন ম্যাগাজিনের 'ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপন'গুলো খুব আগ্রহ নিয়ে পড়তাম। পত্রমিতালির উদ্দেশ্যে না, মজা পেতাম পড়ে
চিঠিটা হুবুহু তুলে দিলেও কিছু টাইপিং মিস্টেক আছে বলে মনে হয়। যেমন, প্রেমরর (প্রেমের), আদর্শনে (কী অর্থ?), তোমাক (তোমাকে), দেখর (দেখার)। নাকি চিঠিতেও এভাবেই লেখা?
ভাল লাগিল। আমারও পুরোনো দিনের কথা উথলিয়া উঠিল
২২ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আমি চিঠি লিখতেই পারতাম না। একেতো হাতের লেখা ছিলো সেই লেভেলের খারাপ, তারসাথে লেখা শুরু করলেই শেষ হয়ে যেতো। কি লিখবো খঁজেই পেতাম না।
- টাইপিং মিস্টেকের দায়িত্ব আমার। আমার গুনেই এই ভুল হয়েছে। যেগুলি চোখে পরলো সেগুলি ঠিক করেদিলাম। আরো কিছু হয়তোভুল রয়ে গেছে।
৪| ২২ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭
আরইউ বলেছেন:
এমন চিঠি আমাকে কেউ লিখলে ”বিদায় হও চোখের সামনে থেকে“ টাইপের উত্তর পেত কারণ চিঠিটি ঠিক চিঠি হয়ে ওঠেনি, হয়েছে আ বোল অফ “ওয়ার্ড স্যালাড“! কিন্তু আমি জানি এ চিঠিগুলো এমনই হয়!
আমাদের কবি নজরুল তাঁর বন্ধু কাজী মোতাহার হোসেনকে একটা চিঠি লিখেছিলেন; বিষয় ছিল ফজিলাতুন্নেসাকে না পাওয়ার কষ্ট। চিঠিতো নয় যেন কবিতা। হয়ত আপনি পড়েছেন। না পড়ে থাকলে কখনো সময় পেলে পড়ে দেখবেন। চিঠিটির আবৃত্তি এখানে শুনতেও পারেন।
ভালো থাকুন, জলদস্যু!
২২ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- কবি নজরুলের চিঠিটি আমি পড়িনি। লিংক থেকে পড়বো নিশ্চই।
- ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
৫| ২২ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫১
নামস্কাল বলেছেন: প্রাক্তনকে খুব চিঠি লিখতাম,
কিছুদিন আগে খুব করে ইচ্ছে হয় কাউকে চিঠি লিখি
কিন্তু লেখার মতো কেউ নেই।
পরে অবশ্য স্লোলি একটা অ্যাপের সন্ধান পাই যেখানে ভার্চুয়ালি চিঠি পাঠায় মানুষজন।
মাঝে মাঝে মনে হয় এত সুন্দর চিঠিগুলো যদি ভার্চুয়ালি না এসে পায়রা নিয়ে আসতো একটু বৃষ্টিতে ভিজে রোদে পুড়ে ভিনটেজ ভাব চলে আসবে সাথে থাকবে মিষ্টি একটা ঘ্রাণ
২২ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৩৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- ভার্চুয়ালি চিঠি পাঠানোর সাথে আর নানান আধুনিক জিনিস যোগ হয়েছে জীবনে। সেই সাথে অনেক কিছু হারিয়েও গেছে।
৬| ২২ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৪০
জনারণ্যে একজন বলেছেন: "মধুকরী" শব্দটা নিয়ে একটু বিভ্রান্ত ছিলাম। পরে গুগল করে দেখলাম এর অর্থ "ফিমেল ব্ল্যাক বি"।
যাই হোক, "মাধুকরী" - এই শব্দের সাথে প্রথম পরিচয় বুদ্ধদেব গুহ'র মাধ্যমে। এটা মনে আছে, হাই স্কুলের গন্ডি পার হইনি তখনো। বই আদান-প্রদানের খুব চল ছিল তখন। বই-বিনিময় করতে করতেই মনে হয় হালকা প্রেমের ভাব জন্মেছিলো। হা হা।
এরপর কত কত বছর পেরিয়ে গেলো। কত লক্ষ মাইল পথ পাড়ি দিলাম। পরবাসী হলাম সব ছেড়ে-ছুড়ে দিয়ে। কিন্তু কৈশোর-তারুণ্যের ওই সময়ের স্মৃতি সযত্নে জমা করে রেখে দিয়েছি মস্তিষ্কের এক কোনে।
লেখকের আকুতি মন ছুঁয়ে গেছে। কিছু বানান ভুল আছে, কিন্তু আবেগের কাছে অনিচ্ছাকৃত ওই ভুল পরাজিত।
২২ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৪১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আমার পড়া সবচেয়ে বেশী সময় নিয়ে পড়া উপন্যাস এই "মাধুকরী"। একটু একটু করে রসিয়ে রসিয়ে পড়েছি আমি।
- বানান ভুলের পুরো দায় আমার।
৭| ২২ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:০৯
কামাল১৮ বলেছেন: চিঠি লিখেছে রবি ঠাকুর।তার ছিন্নপত্রে।যা সাহিত্য হয়ে আছে।অনেকদিন পর এলেন তাও অন্যের চিঠি নিয়ে।নিজের লেখা ছিঠির একটা প্রকাশ করেন।নাকি সব নষ্ট করে ফেলেছেন।
২২ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৪৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- রবী ঠাকুরের চিঠি কিছু পড়েছি। সেগুলি সাহিত্যের অংশ।
- অবশ্যই সব চিঠি নষ্ট করে ফেলেছি। ঐসব চিঠি আগলে রাখার মতো বোকা বা সাহসী মানুষ আমি নই।
৮| ২২ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৩০
এম ডি মুসা বলেছেন: চিঠির মর্ম হারিয়ে গেছে মানুষের বিশ্বাস কমে গেছে। আগের দিনগুলি সুন্দর ছিল।
২২ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৪৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- কথা সত্য, আগের দিন গুলি সুন্দর ছিলো। এখনকার দিনের স্মৃতি ১০ বছর পরে কোনো দাগ কাটবে বলে আমার মনে হয় না।
৯| ২২ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৩৯
জনারণ্যে একজন বলেছেন: @ মুসা, প্রথমে যতিচিহ্নের ব্যবহার শিখুন। তারপর শিখুন শুদ্ধ বাংলা বানান। সবশেষে শুদ্ধ এবং অর্থপূর্ণ বাক্য গঠন।
এবং যখন শিখতে পারবেন, শুধুমাত্র তখনি বাংলা-বানান বিষয়ক একটা পোস্ট প্রসব করুন।
১০| ২২ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৪০
আরইউ বলেছেন:
এম ডি মুসা বলেছেন: চিঠির মর্ম হারিয়ে গেছে মানুষের বিশ্বাস কমে গেছে। আগের দিনগুলি সুন্দর ছিল।
মুসা, আপনি বানান নিয়ে পড়ালেখা করছেন দেখে ভালো লাগলো। আপনার একজন শিক্ষক (যেহেতু কীভাবে কাউকে ব্যান করতে হয় সেটা আপনাকে আমিই শিখিয়েভি) হিসেবে আমার গর্ব হচ্ছে যে আপনি শিখছেন। বানান ঠিক হবার পরে যতি চিহ্নের ব্যবহার ও বাক্য গঠনের দিকে দয়াকরে নজর দেবেন (যেমন উপরের প্রথম বাক্যটি সঠিক হয়নি)। মুসীবত ভাষা থেকে দয়াকরে ব্লগারদের মুক্তি দিন।
আপনার জন্য শুভেচ্ছা!
১১| ২২ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৪৭
আরইউ বলেছেন:
@জনারণ্যে,
মুসাকে “আদর” দিয়ে বোঝাতে হবে। শিশুশ্রেনীর একটা বাচ্চাকে এভাবে কড়া ভাষায় বললে শেখার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। দেখবেন মুসাও একদিন সঠিক বানান ও যতিচিহ্ন ব্যবহার করে নির্ভুল বাক্য গঠন করতে পারবেন।
১২| ২২ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৭
জনারণ্যে একজন বলেছেন: @ আরইউ, আপনার সাথে শতভাগ একমত।
একটু আগেই তো "আদর" করে বুঝিয়ে মুসা'র সর্বশেষ পোস্টে মন্তব্য করলাম। একটু পরেই দেখি মন্তব্য ডিলিটেড, এরপর করেছেন আমাকে ব্যান।
আপনিও সম্ভবত ব্যান ওখানে, এবং এই আপনিই শিখিয়েছেন ওনাকে কিভাবে ব্যান করতে হয়।
গুরুমারা-বিদ্যা যাকে বলে আর কি!
১৩| ২২ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:১০
আরইউ বলেছেন:
@জনারণ্যে,
শিক্ষক হিসেবে ওনাকে ব্যান করা শেখানোটা আমার জন্য একটা “বিটার-সুইট” এক্সপেরিয়েন্স। উনি লিলিপুটগাজীর হাত-পা ধরছিলেন ব্যান করার বিদ্যা শেখার জন্য কিন্তু লিলিপুটগাজী কাউকে কিছু শেখাতে অক্ষম। শেষে আমি ভাবলাম এই একটা সুযোগ মুসাকে বানান না শেখাতে পারি ব্যান করাতো শেখাতে পারবো; কিছু একটাতো শেখাতে পারলাম।
খেয়াল করে দেখলাম উপরের ১০ নং মন্তব্যে বেশ কিছু টাইপো আছে। কী আর করার মুসীবত ভাষা নিয়ে কাজ করলে কিছু ভুল হতেই পারে।
১৪| ২২ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:১৩
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আপনার চিঠিটি প্রিন্ট করে আমাকে দেন, আমি মধুকরির কাছে পৌঁছে দিয়ে আসি।
২২ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৪৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- যার চিঠি সে নিশ্চয়ই পাঠিয়েছে।
১৫| ২২ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৩৪
জনারণ্যে একজন বলেছেন: আসলেই, আরইউ।
এইটা এখন আমাদের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধের মধ্যে পড়ে গেছে যে - শিশু-শ্রেণীতে পড়ুয়া "মুসিবত ভাষার" জনক মুসা কে শিখিয়ে-পড়িয়ে পরবর্তী শ্রেণীতে উত্তীর্ণ করানোর।
অসুবিধা যেটা (আপনি অলরেডি বলে দিয়েছেন); 'মুসিবত ভাষা' নিয়ে কাজ করতে যেয়ে আমরাও ওই ভাষা কিঞ্চিৎ রপ্ত করে ফেলছি। এটা অবশ্য অনুমেয়, শিক্ষার্থীর কাছে যাওয়ার/শেখানোর সবচেয়ে ভালো উপায় তার ভাষা/উচ্চারণ ইত্যাদি রপ্ত করা।
পুনশ্চ: 'লিলিপুটগাজী' এবং 'মুসিবত ভাষা' - দুইটা টার্মই দারুন পছন্দ হয়েছে।
১৬| ২৩ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১:০৩
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বানান আর যতিচিহ্ন নিয়ে কিছু ঝামেলা আছে, তবে চিঠিটা ভালো হয়েছে। আবেগটা বড়ো বিষয়। চিঠি আর ট্রেনজার্নি নিয়ে যেকোনো লেখা আমাকে মুগ্ধ করে।
২৩ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১:৪৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- বানান ভুলের দায় আমার, আর যতিচিহ্নের দায় চিঠি লেখকের।
১৭| ২৩ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১:৫৭
কাছের-মানুষ বলেছেন: ডাক পিয়ন আর চিঠির যুগ হারিয়েই গেল। চিঠিটা বেশ আবেগ ঢেলে লেখা হয়েছিল! কত সালের লেখা এটা? ব
এই যুগে কোন যুগল আর এই ধরনের কিছু লেখে না মনে হয়!
২৩ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:১৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- বছর খানেক আগে সম্ভবতো নড়াইলে একটি স্কুলের পাশে একটি সেই আদি লাল গোল পোস্ট বক্সে দেখতে পেলাম বৃষ্টির জলে-কাদায় ভেজা গোটা ত্রিশেক চিঠি পড়ে আছে। কত দিন আগে যে কে এই চিঠিগুলি সেখানে ফেলে ছিলো কে জানে। প্রাপকের হাতে তা আর পৌছানোর কোনো সম্ভবনা নেই।
- ডাক পিয়নের কাজ এখন শুধু সরকারি চিঠি বিলি করার মধ্যেই হতো সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে।
- ২০২১ সালের ৩০শে ডিসেম্বরের চিঠি এটি।
১৮| ২৩ শে মার্চ, ২০২৪ ভোর ৪:০৭
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: অনেক দিন পর দস্যু ভাই এর পোস্ট। আমার প্রেম পত্র নিয়ে খুবই চমৎকার স্মৃতি আছে। আপনার পোস্ট দেখে আমারও লিখতে ইচ্ছা করছে।
২৩ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:২২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- লিখে ফেলেন।
- আমার দুই বন্ধু থাকতো বিদেশে। কুয়েত আর সৌদিতে। তখন ওদের চিঠি লিখেছি, ছোট ছোট চিরকুটের মতো চিঠি। ওদের চিঠি লিখতে আমার কোনো সমস্যা হতো না, কারণ ওদের হাতের লেখা ছিলো আমার চেয়ে অনেক অনেক বেশী খারাপ। বানান নিয়ে টেনশন ছিলো না, ওরা আমার চেয়েও বেশী বানান ভুল করতো।
১৯| ২৩ শে মার্চ, ২০২৪ ভোর ৫:২৬
ফ্রেটবোর্ড বলেছেন: আমি ভেবেছি আপনার চিঠি, শেষে দেখি অন্যজনের।
পত্র মিতালী নিয়ে মজার অভিজ্ঞতা আছে, সময় করে একটা পোস্ট লিখবো।
২৩ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:২৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- যার চিঠি এটি সে পত্রমিতালীতে ছিলো এক্সপার্ট। তখন একটি ম্যাগাজিন পাওয়া যেতো পত্র মিতালী নামের।
২০| ২৩ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৫
মিরোরডডল বলেছেন:
I'm blessed.
কারণ ২০২০ যখন রেগুলার সামুতে আসি, তখন যদি জনারণ্যে একজন আর আরইউ থাকতো, না জানি কিরকম পচাতো!!!
তখন মাত্র বাংলা টাইপিং শিখছি সামুতে।
কি উল্টাপাল্টা লিখতাম, বাংলা ইংলিশ মিশিয়ে, কত ভুল বানান ভুল বাক্য।
রক্ষা, বেঁচে গেছি ওরা ছিলো না
অবশ্য লরুজন এসে প্যারা দিয়েছিলো।
২১| ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:২১
আরইউ বলেছেন:
@জনারণ্যে,
”মুসীবত ভাষা” নামকরণ সম্ভবত শায়মা করেছেন। উনি নামকরণে “মুসিবত” না “মুসীবত” ব্যবহার করেছিলেন মনে নেই!
২২| ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:২৮
আরইউ বলেছেন:
@মিরর,
আসলে বানান ভুল, টাইপো ব্লগে খুব কমন। অনেকে মোবাইল থেকে টাইপ করেন, মন্তব্য করেন, জবাব দেন তাই লেখায় টাইপো থেকে যায়। আমি অনেক শব্দের সঠিক বানান জানিনা। তবু চেষ্টা করি যতটুকু সম্ভব সঠিক বাংলায় লিখতে। আমার সবচে্যে বড় সমস্যাটা হয় যখন কেউ বাক্যই ঠিকমত গঠন করতে পারেনা। মুসার সমস্যা সেটাই; উনি ছোট ছোট বাক্য লিখলে কোন সমস্যা হয়না (যেমন, “ইয়েস“, “নো”, “ভেরি গুড&ldquo। এর বাইরে কিছু লিখতে গিলেই উনি এমন কিছু লিখে বসেন যা পড়তে বা বুঝতে গেলে মাথা ব্যাথা হয়ে যায়!
২৩| ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৫
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: চিঠি খারাপ হয় নাই। আপনাদের জন্য শুভকামনা।
২৪ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যরে জন্য।
২৪| ২৫ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্টে মাল্টি লোকজন বেশ মন্তব্য করেছে।
২৫ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:২১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- এই সব নিয়ে আমার কোনো মাথা ব্যথা নাই।
২৫| ২৫ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৪৫
জনারণ্যে একজন বলেছেন: রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্টে মাল্টি লোকজন বেশ মন্তব্য করেছে।
লেখা ও মন্তব্যচোর @ রাজীব, তাতে আপনার পশ্চাৎদেশে আগুন ধরে যাওয়ার কোনোই কারণ দেখছি না।
বিঃ দ্রঃ এখানে লগইন করার আগে, প্লিজ গ্যাসের ট্যাবলেট খেয়ে নেবেন। বায়ু ত্যাগের সম্ভাবনা এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে পশ্চাৎদেশে আগুন লাগার কমে যাবে তবে।
২৬| ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:৪২
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: এতোদিন কোথায় ছিলেন ভাই, আপনার পোস্ট চোখে পড়ে না? ভাল থাকবেন।
৩০ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:২৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আমার যাওয়ার কোনো যায়গা নেই। নিজ বাড়িতেই আছি, বাড্ডাতে। বাড়ি করার কাজে ব্যস্ত হয়ে পরার কারণে ব্লগে উপস্থিতি কমে গেছে।
- আপনিও ভালো থাকবেন।
২৭| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:৩৯
শায়মা বলেছেন: এই চিঠি পড়ে প্রথমেই মাধুকরীকে মনে পড়ে গেলো। চিঠি পড়ে এটাও মনে হলো ঐ লোক মনে হয় বুদ্ধদেবের বই পড়তেন। যাই হোক এমন করে আবেগ নিয়ে আর কেউ আজকাল চিঠি লেখে না।
মুসীবত ভাষা নিয়ে আলোচনা পড়ে এই রাত দুপুরে হাসতে হাসতে মরলাম। আসলেও এই জীবনে এমন মুসীবত ভাষা আগে কখনও পড়িনি। মুসীবত ভাষার জনককে ধন্যবাদ। পড়িয়া ধন্য হইলাম।
২৮| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রেমপত্রটা তেমন ভালো হয়নি, কারণ "তুমি কাছে থাকলে তোমার তাজা মাংস আমি আমার দাঁঁত দিয়ে ছিঁড়ে নিতাম" - এই কথাটা মোটেই ভালো লাগেনি।
২৯| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:২৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: বোধকরি সেই প্রেমিক প্রবরের মাঝে কিছুটা ক্যানিবালিজম এর প্রবণতা বিদ্যমান ছিল।
৩০| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৪৪
মিরোরডডল বলেছেন:
খায়রুল আহসান বলেছেন: বোধকরি সেই প্রেমিক প্রবরের মাঝে কিছুটা ক্যানিবালিজম এর প্রবণতা বিদ্যমান ছিল।
হা হা হা ...................
উফ! অনেক আনন্দ পেলাম
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: চিঠিতে আবেগ কোম হোয়েছে।
চিঠি লিখতে পারতাম আমি। অনেক মানুষের জন্য আমি চিঠি লিখে দিয়েছিলাম। তখন আমার হাতের লেখাও সুন্দর ছিলো। এখন টাইপ করি। তাই হাতের লেখা জানি কেমন হয়ে গেছে।
যাইহোক, অনেকে পত্রমিতালি করতো। তখন মোবাইল ছিলো না। আমি তাদের চিঠি লিখে দিতাম।