নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যুর বাগানে নিমন্ত্রণ আপনাকে।

মরুভূমির জলদস্যু › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিমুল ফুল

০৫ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ২:৫৯

তপন চৌধুরীর গাওয়া এই গানটি শোনেননি এমন গানপ্রিয় মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না।
পলাশ ফুটেছে শিমুল ফুটেছে এসেছে দারুন মাস
আমি জেনি গেছি তুমি আসিবেনা ফিরে মিটিবেনা পিয়াস...
----- তাজুল ইমাম -----


গায়কের পিয়াস না মিটলেও শিমুল শতশত পাখির পিয়াস মিটায়। আমি দেখেছি শিমুল গাছে শত শত শালিক, বুলবুলি, কাঠ শালিক, টিয়া পাখিকে বসে থাকতে। আর দেখেছি কাঠবিড়ালিদের শিমুল গাছে হামলে পরতে। তাবে শিমুল ফুলে তাদের তেমন কোনো আগ্রহ নেই। ওদের সমস্ত আগ্রহ কচি শিমুল ফলে। ওরা ফলগুলি কুটি কুটি করে খায়। তখন গাছের নিচে অপুষ্ট সাদা সাদা তুলা তুষারের মতো ছড়িয়ে বিছিয়ে থাকে।

শিমুল
অন্যান্য ও আঞ্চলিক নাম : রক্ত শিমুল, লাল শিমুল,
সংস্কৃত নাম : শাল্মলী, মোচা, তূলিনী, কুক্কুটী, রক্তপুষ্পিকা, কণ্টকাঢ্যা, স্থূলফলা, পিচ্ছিলা, চিরজীবিনী।
Common Name : Silk Cotton tree, Bombax, Simal, red cotton tree, Kapok Tree.
Scientific Name : Bombax ceiba



হয়তো ফুটেনি ফুল রবীন্দ্র-সঙ্গীতে যতো আছে,
হয়তো গাহেনি পাখি অন্তর উদাস করা সুরে
বনের কুসুমগুলি ঘিরে । আকাশে মেলিয়া আঁখি
তবুও ফুটেছে জবা,–দূরন্ত শিমুল গাছে গাছে,
তার তলে ভালোবেসে বসে আছে বসন্তপথিক ।
----- নির্মলেন্দু গুণ -----


বাংলাদেশের প্রায় সব অংশেই শিমুল ফুলের দেখা মেলে। অনাদরে অবহেলায় কোনো রকম যত্ন ছাড়াই আমাদের দেশে ছিমুল গাছ জন্মে বনে বাদারে, পথের ধারে, মাঠের পাশে, পাহাড়ে। আমার জানা মতে পরিকল্পিতো ভাবে একটি মাত্র শিমুল বাগান আছে বাংলাদেশের সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের জাদুকাটা নদীর তীরে। আমাদের দেশে শিমুল সেইভাবে চাষ করা না হলেও মালয়, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ চীন, হংকং এবং তাইওয়ানে ব্যাপকভাবে এ গাছের চাষ হয় বলে শুনেছি।

শিমুল একটি পত্রঝড়া বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদ। একটি দ্রুত বর্ধনশীল গাছ। মাত্র ৪ থেকে ৫ বছরের মধ্যে উচ্চতায় আশপাশের আম-কাঁঠাল জাতীয় ২০ থেকে ২৫ বছরের পূর্ণবয়স্ক বৃক্ষকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। ৫০ বছর বা তারও বেশীসময়ে গাছের পরিধি ২ থেকে ৩ মিটার এবং উচ্চতা ১৫ থেকে ৩০ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। পুরনো বিশাল শিমুল গাছের গোড়ায় অধিমূল বা ঠেসমূল বা রুট বাট্রেস থাকে। তখন সেই গাছগুলিকে দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। শিমুল গাছের মূল কাণ্ডের চারপাশে সুবিন্যস্ত হয়ে শাখা-প্রশাখা প্রসারিত হয়। অল্প বয়সী শিমুলগাছে কাণ্ডের গোড়ার দিকে মোটা মোটা বেঁটে কাঁটা থাকে। কাঁটাগুলির গোড়ার অংশ বেশ পুরু এবং অগ্রভাগ সূচালো। তবে বয়স্ক গাছে তেমন কাঁটা থাকে না।



পলাশ-মঞ্জরি পরায়ে দে লো মঞ্জুলিকা
আজি রসিয়ার রাসে হবো আমি নায়িকা লো মঞ্জুলিকা।।
কৃষ্ণচূড়ার সাথে রঙ্গনে অশোকে
বুলালো রঙের মোহন তুলিকা লো মঞ্জুলিকা।।
মাদার শিমুল ফুলে
রঙিন পতাকা দোলে
জ্বলিছে মনে মনে আগুন শিখা লো মঞ্জুলিকা।।
----- কাজী নজরুল ইসলাম -----


শিমুল গাছের পাতা শীতের শেষে ঝরে যায়, ফাল্গুনে ফুল ফোটে। লাল লাল বড় বড় পুষ্ট ফুলে যখন গাছ ছেয়ে যেতে শুরু করে তখনো গাছটি থাকে পাতাহীন। পত্রহীন গাছে লাল ফুলের এমন রূপ মুগ্ধ করে না এমন লোক পাওয়া ভার। তবে এই ফুলের কোনো সৌরভ নেই। সৌরভহীনতা ফুলের সৌন্দর্যের কোনো হানী করতে পারে নি। শিমুল ফুল গাঢ় লাল রঙের হলেও কখনো কখনো ফিকে লালও দেখা যায়। হলুদ রঙের শিমুল ফুলও দেখতে পাওয়া যায়। তবে তাদের সংখ্যা খুবই কম।

শিমুল ফুল ঘণ্টাকৃতির হয়। ফুলে বেশ পুরু পাঁচটি পাপড়ি থাকে। পাপড়ি গুলি সুসজ্জিত। একটি ফুল ৪ থেকে ৫ ইঞ্চি লম্বা হতে পারে। ফুলের আকার আর পুরত্বের কারণে একটি শিমুল ফুলের ওজন ৩০ থেকে ৫০ গ্রাম হতে পারে। ফুলের অনেকগুলি পুংকেশের থাকে। স্ত্রীকেশর পুংকেশর অপেক্ষা লম্বায় বড় হয়।



গুঞ্জামালা গলে কুঞ্জে এসো হে কালা।
বনমালী এসো দুলায়ে বনমালা॥
তব পথে বকুল ঝরিছে উতল বায়ে,
দলিয়া যাবে বলে অকরুণ-রাঙা পায়ে,
রচেছি আসন তরুণ তমাল-ছায়ে,
পলাশ শিমুলে রাঙা প্রদীপ-জ্বালা॥
----- কাজী নজরুল ইসলাম -----



শিমুল গাছে মোচাকৃতি ফল হয়। বৈশাখ মাসে ফল পাকে এবং ফল ফেটে বীজ ও তুলা বের হয়ে আসে। বীজের রং কালো। শিমুল তুলায় উন্নতো মানের আরামদায়ক বালিশ, লেপ, তোশক, কুশন ইত্যাদি তৈরি করা হয়।

শিমুল আসলে এক ধরনের দেশি তুলা গাছ। এটি শিমুল তুলা নামে পরিচিত। শিমুল তুলার বেশ নাম ডাক ও চাহিদা রয়েছে দেশে।

শিমুল গাছের ছাল ঘা সারাতে সহায়তা করে। রক্ত আমাশয়ে দুর করে। ছাল ফোড়ার উপর প্রলেপ দিলে উপকার হয়। শিমুল চারার কচি মূল খুবই উপকারি ঔষধী।


যে বসন্তে উৎকণ্ঠিত দিনে
সাড়া এল চঞ্চল দক্ষিণে;
পলাশের কুঁড়ি
একরাত্রে বর্ণবহ্নি জ্বালিল সমস্ত বন জুড়ি;
শিমুল পাগল হয়ে মাতে,
অজস্র ঐশ্বর্যভার ভরে তার দরিদ্র শাখাতে,
পাত্র করি পুরা
আকাশে আকাশে ঢালে রক্তফেন সুরা।
----- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর -----





ছবি ও বর্ণনা : নিজ
তথ্য সূত্র : বাংলাপিডিয়া, উইকিপিডিয়া, অন্তর্জাল।
ছবি তোলার স্থান : কিশোরগঞ্জ, বাংলাদেশ।
ছবি তোলার তারিখ : ২৪শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দ।



=================================================================

আজি যত কুসুম কলি ফুটিলো কাননে

অশোক, অর্কিড, অলকানন্দা, অলকানন্দা (বেগুনী), অলকানন্দা (হলুদ), অ্যালামন্ডা (বেগুনী), আকন্দ, আমরুল, অপরাজিতা, আফ্রিকান টিউলিপ,
উগান্ডা শিখা, উর্বশী, উর্বসী, এরোমেটিক জুঁই, এ্যালামন্ডা (বেগুনী)
কলাবতী, কচুরিপানা ফুল, কসমস, কালো পঙ্গপাল, কালো বাসক, কালো বাদুড় ফুল, কর্ণফ্লাওয়ার, কন্টকলতা, ক্যালেনডুলা, ক্যাসিয়া রেনিজেরা, কামান গোলা, কাগজ ফুল, কাঠগোলাপ, কাঁটামুকুট, কন্টকমুকুট, কাঞ্চনার, কাঞ্চনক, কুর্চি, কুরচি, কৃষ্ণচূড়া, খাড়া মুরালি
গাঁদা, গেন্ধা, গন্ধা, রক্তগাঁদা, গামারি, গামার, গাম্বার, গোলাপ, গোলাপি আমরুল, গ্লুকাস ক্যাসিয়া, গৌরিচৌরি, গিরিপুষ্প, গুলেটু, গুলমোহর, ঘোড়া চক্কর
চন্দ্রপ্রভা, চন্দ্রমুখী চন্দ্রমল্লিকা (হালকা গোলাপি), চন্দ্রমুখী চন্দ্রমল্লিকা (সাদা), চন্দ্রমুখী চন্দ্রমল্লিকা (লালচে গোলাপি), চন্দ্রমুখী চন্দ্রমল্লিকা (কমলা), চন্দ্রমল্লিকা (হলুদ-সাদা), ছোটপানা
জবা, সাদা জবা, ঝুমকো জবা, ঝুমকা জবা, লঙ্কা জবা, পঞ্চমুখী জবা, বহুদল জবা, রক্ত জবা, হলুদ জবা, ক্রিম জবা, গোলাপী জবা, হাইব্রিড গোলাপী জবা, হাইব্রিড ক্রিম জবা
জারবেরা, জ্যাকারান্ডা, ঝুমকোলতা, ঝুমকো জবা
টগর, জংলি টগর, ডালিয়া, তমাল, তারাঝরা
দাঁতরাঙ্গা, দাদমর্দন, দদ্রুমর্দন, দাদমারী, দেবকাঞ্চন, দোলনচাঁপা, দুপুরমনি, ধুতুরা
নাগেশ্বর, নাগচম্পা, নাগেসর, নাগলিঙ্গম, নীল হুড়হুড়ে, নীল জ্যাকারান্ডা, নীলচূড়া, নীল বনলতা, নীল লতা, নীলাতা, নীল-পারুল, নীল-পারুল লতা, নয়নতারা,
পপী, পুন্নাগ, পারুল লতা, পঞ্চমুখী জবা, পুর্তলিকা, পুত্তলিকা, পটপটি
ফাল্গুনমঞ্জরী, ফুরুস (সাদা)
বরুণ, বড়নখা, বিড়াল নখা, বিলাই আঁচড়া, বাদুড় ফুল, বাগানবিলাস, বাসন্তীলতা, বোগেনভিলিয়া, বোতল ব্রাশ, ব্লিডিং হার্ট, বন পালং, বন তেজপাতা, বার্মিজ গোলাপি সোনাইল, ভাট ফুল, ভ্রমরপ্রিয়া
মাধবীলতা, মাধবিকা, মধুমঞ্জরি, মিয়ানমার ফুল, মূলাপাতা
রঙ্গন, রুক্সিনী, রক্তক, রুদ্রপলাশ, রাজ অশোক, রাজ অশোক, রাধীকা নাচন, রাধাচূড়া, রত্নগণ্ডি, রাণীচূড়া, রসুন্ধি লতা, রুয়েলিয়া, রক্ত জবা, রক্তকাঞ্চন, রক্তপুষ্পক, রক্ত শিমুল
লতা মাধবী, লতা পারুল, লাল আকন্দ, লাল কাঞ্চন, লাল শাপলা, লাল শিমুল
শটি ফুল, শাপলা (সাদা), শাপলা (লাল), শিউলি, শেফালি, শেফালিকা, শিবজটা, শিবঝুল, শিমুল, শ্বেত অপরাজিতা, শ্বেত পুষ্পা, শ্বেত অকন্দ
সন্ধ্যামালতী, সুলতান চাঁপা, সুভদ্রা, সুখ মুরালি, সোনাপাতি, সিদ্ধেশ্বর, সিদ্ধেশ্বরা, সোকরে, সোর্ড লিলি
হাতি জোলাপ,

অশোক ফুলের ছবি, নাগেশ্বর ও ভমর, পলাশ ফুটেছে......, ডালিয়া, ধুতরা ফুল, একটি দাঁতরাঙ্গা ফুল

মিষ্টি জলপাইয়ের ফুল, ডালের ফুল, চুকাই ফুল, চুকুর ফুল, সরষে ফুল, সর্রিষা ফুল, তিল ফুল, বিষকাটালি, পাহাড়ি বিষকাটালি,

বাংলাদেশের সংরক্ষিত উদ্ভিদের সচিত্র তালিকা, অশোক সমগ্র, কৃষ্ণচূড়া, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া ও কনকচূড়া বিতর্ক, পলাশ ও পারিজাত পরিচিতি, চাঁপা নিয়ে চাপাবাজি, আতা কাহিনী, বিলম্ব, মাছি ফাঁদ উদ্ভিদ, জল জমানি পাতা, শিউলি
=================================================================

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:৪০

নয়া পাঠক বলেছেন: ভাল লাগল, ভাইয়া রক্তরাঙ্গা শিমুল ফুলের বাহার দেখে।

০৫ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য এবং ভালো লাগা জানানোর জন্য।

২| ০৫ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:২৩

কামাল১৮ বলেছেন: আমাদের যশোরের বাড়ীতে বিরাট বড় বড় তিন চারটা শিমুল গাছ ছিলো।আমরা কয়েক বছর সেই গাছর ডাল পালা কেটে চেলা করে রান্না বান্নার কাজ সারতার।কয়েকটা বিরাট বড় বড় তেতুল গাছ ছিলো।দিনের বেলায় তার নিচে যেতে গাঁ ছমছম করতো।সেখানে আজ আর কোন গাছ নাই।সব হয়ে গেছে আবাদি জমি।মানুষ বন উজাড় করে নিজের সর্বনাশ করছে।

০৫ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:২২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আমার বাসায় সেই ছোট বেলায় বিশাল এক আম গাছ ছিল, বেশ বড় একটা কাঠাল গাছ। পাশের বাসায় ছিলো এক মহা তেঁতুল গাছ। আরেকজনের বাড়িতে ছিলো বিশাল কৃষ্ণচূড়া গাছ। এক ভাইয়ের বাড়িতে ছিলো বাঁশ বাগান। পাশেই ছোল আরো একটি বড় বাঁশ বাগান। এখন কিছুই নেই। সব কেটে আবাস হয়ে গেছে। শুধু তেঁতুল তলার তেঁতুল গাছটি এখনো ধুকতে ধুকতে টিকে আছে।

৩| ০৬ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:০৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কাব্যিক বর্ণনাসহ পোস্টটি ভালো লাগলো। আমি ফুল তেমন চিনি না, তবে, শিমুল, জবা, হিজল, মান্দার, শাপলা, কচুরিফুল, কলমিফুল, কাশফুল - আমার পরিচিত। বাড়ির পাশেই শিমুল গাছ ছিল। শিমুল ফুলে তেমন ঘ্রাণ নাই, তবে, শিমুল তলা দিয়ে যাওয়ার সময় পচা শিমুল ফুল পায়ের নীচে পড়ে আছাড় খাওয়া যেমন স্বাভাবিক, আবার কেমন একটা মাদকতাও মনকে স্পর্শ করে। শিমুল ফল ফেটে তুলা উড়ে যাওয়ার দৃশ্যও সুন্দর। শিমুল গাছে ফিঙ্গে বা সাতভাই চম্পা জাতীয় কিছু পাখি বসতে দেখতাম, তাও সুন্দর লাগতো। দূর থেকে দেখলে মনে হতো আগুন লেগেছে। প্রেমে পড়ার আগে যেসব কবিতা লিখেছিলাম, শিমুল ও কৃষ্ণচূড়া ফুলের অনেক নাম ছিল সেসব কবিতায় :)

কমেন্ট লিখতে লিখতে একটু নস্টালজিকই হলাম। তবে, পলাশ, শিমুল একই ফুল কিনা জানি না, পার্থক্য করতে দিলে করতে পারবো না। কৃষ্ণচূড়ার বেলায়ও তাই হবে।

সুন্দর পোস্ট।

০৬ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:২৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- চমৎকার এই স্মৃতিচারণ মন্তব্যে রইলো পলাশ ফুলের শুভেচ্ছা।
পলাশ ফুল

বুঝতেই পারছেন পলাশ আর শিমুল একই ফুল নয়।

সেই সাথে কৃষ্ণচূড়াকে চিনতে পারবেন আমার লেখা কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া ও কনকচূড়া বিতর্ক পোস্টটি দেখলে।


উপরের দুটি ছবি কৃষ্ণচূড়ার
মাঝে দুটি ছবি রাধাচূড়ার
নিচের দুটি ছবি কনকচূড়ার

৪| ০৯ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ৯:০৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: সৌরভ না থাক, পত্রহীন গাছে শুধু উজ্জ্বল টকটকে লাল বর্ণে শোভিত শিমুল ফুলের বর্ণটাই মনটাকে মাতোয়ারা করে তোলে।
অল্পবয়সী গাছের গোড়ার দিকে কাঁটা থাকে, অথচ বয়স্ক গাছে তা থাকে না- এ যেন প্রকৃ্তিরই এক অনবদ্য রক্ষাকবচ। কারণ বয়স্ক হয়ে গেলে (এবং অতি দ্রুত) শিমুল গাছের আর কোন রক্ষাকবচের প্রয়োজন হয় না।
জাদুকাটা নদীর তীরে তাহিরপুরের শিমুল বাগানটিতে এখনো যাওয়া হয় নাই, তবে আগামীতে যাবার ইচ্ছে রয়েছে।
অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন একটি পোস্ট; পোস্টে চতুর্থ ভাল লাগা। + +
উদ্ধৃত কবিতাংশগুলোও ভালো লেগেছে।

০৯ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:৪০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার এই মন্তব্যের জন্য।
- শিমুল একক ফুল হিসেবে যতটা সুন্দর, সমষ্টিগত ভাবে তার চেয়েও বেশী সুন্দর। আমার বেশ পছন্দ একে।
- তাহিরপুরে আমারও যাওয়া হয়নি। হয়তো আগামি ফুলের সিজনেই চলে যাবো। আপনার জন্যও শুভকামনা রইলো, আপনার ইচ্ছেও পূর্ণ হোক।

৫| ০৯ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ৯:১০

খায়রুল আহসান বলেছেন: ৩ নং প্রতিমন্তব্যটির জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। বিশেষ করে ছবিসহ পার্থক্যটা বুঝিয়ে দেয়ার জন্য, এবং এ বিষয়ে আরেকটি পোস্টের লিঙ্ক দিয়ে যাবার জন্য।

০৯ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:৪৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- স্বাগতম আপনাকে।
- আসলে ফেসবুকে কিছু কিছু ফুল বা গাছ নিয়ে অনেকেই বিতর্কে লিপ্ত হয়। কেউ কেউ জানতেও চায় সঠিক কোনটি। সঠিকটি জানালে কেউ কেউ মেনে নেয়, কেউবা আবার নিজের ভুল জানাটাকেই আকড়ে ধরে বসে থাকে। তেমন কয়েকটি ফুল হচ্ছে
রাধাচূড়া বনাম কৃষ্ণচূড়া
রাধাচূড়া বনাম কণকচূড়া
মাধুবীলতা বনাম মধুমঞ্জুরি লতা
পারুল বনাম লতা পারুল
ইত্যাদি

৬| ০৯ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: "শিমুল একক ফুল হিসেবে যতটা সুন্দর, সমষ্টিগত ভাবে তার চেয়েও বেশী সুন্দর" - সঠিক। চমৎকার বলেছেন। গাছের ডালে ডালে ফুটন্ত এ ফুলের শোভা মনটাকে উন্মাতাল করে দেয়। আপন রঙে রঙে এ ফুলের সামষ্টিক সৌন্দর্য মানুষের মনকেও রাঙিয়ে দিয়ে যায়।

শিমুল নিয়ে আমার প্রিয় একটি গানঃ https://www.youtube.com/watch?v=KfMit13hiKM

০৯ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:১৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- গানটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। আগে কখনো এই গানটি শুনিনি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.