নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডায়েরী হারিয়ে ফেলি।

ৎৎৎঘূৎৎ

হিংসা, বিদ্বেষ, পরশ্রীকাতরতা,অল্পবিদ্যা, কুশিক্ষা এবং ডাবল স্ট্যান্ডার্ড দৃষ্টিকোণ না থাকলে প্রকৃত বাঙ্গালি হওয়া যায় না।

ৎৎৎঘূৎৎ › বিস্তারিত পোস্টঃ

লাশকাটা ঘরে সেই ক্লান্তি নাই।

০৯ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:২৩



-- হি হি হি
-- হাসছেন?
-- আপনি ভালো ধমক খান রোজ তাই না?
-- না। স্যার অনেক ভালো। গত তিন বছরে এই প্রথম।
-- আপনার ভার্সন টা বলুন তো দেখি।
-- ওয়াইল্ড গেস। তেমন কিছু না।
-- বলবেন না তাই তো? আচ্ছা এটা বলুন, এখন পর্যন্ত আপনার মনে হচ্ছে যে আপনার সাথে মিলবে?
-- জ্বী।
-- ওয়াও। ক্ল্যাপ্স ব্রো। খুনে চলে যাবো? নাকি ডিটেলেই শুনবেন। আমি নিজেও জানতাম না আমি এতো ভালো কাহিনি বলতে পারি। একের পর এক তাই না?
-- বই পড়লে,,,,
-- ওর ব্যাপার গুলো আমার মধ্যেও ঢুকে গেলো। তবে থ্রিলারই পড়তাম আমি। প্যানপ্যান পুতুপুতু এসব আমার সহ্য হয়না। মাইন্ডফাকড মুভিজ আর সিরিজ ও,,,, সরি ফর মাই ঘেউ ঘেউ।
-- শাড়ি ও পড়তেন?
-- ওহ নো। বস নেই তাই না?
-- স,,,সরি মানে জুইয়ের শাড়ির অভাব হবে না,,,কিচ্ছু লাগবে না,,,, মানে দাড়ালো শাড়ি ছিলো অনেক।
-- অব্জার্ভার হিসেবে অসাধারণ আপনি। মায়ের বহুত শাড়ি বাবা যত্ন করে রেখেছিলেন। ওর শাড়ি আর রবীন্দ্রনাথ- নজরুল আমার ভেতর ঢুকে নি। দেখলেন তো? শেষমেষ শাড়িতেই তো,,,,
-- আপনাদের সম্পর্ক টা কি,,,,
-- আমি জানি না। একটা ব্যাখা দাড় করিয়েছিলাম যদিও। খুনটা করার পর। নাহ!! খুনটা করতেই হতো। আমি অভিজ্ঞতার জন্য হলেও করতামই। একটা মানুষের চোখ থেকে আলোটা আস্তে আস্তে সরে যাওয়া,,,,খুন আমি করতামই।
-- মায়ের রিপ্লেসমেন্ট? মাদার ফিগার??
-- হি হি হি। যা ইচ্ছে। আমার মা তো এতোকিছু পেয়েও খুশি হন নি। ও তো বাসায় এসে বই আর শাড়ি দেখেই খুশিতে চুপ হয়ে গিয়েছিলো। মায়ের সাথে জড়ানোটা বাদ থাকুক। She is more than that.... Was.....
-- এখানেই বুঝতে পারছি না শুধু।
-- বুঝিয়ে বলছি। আমি রাতে ঘুমাতে পারিনা। একদিন ওর বিছানায় গিয়ে বললাম,
-- জায়গা দে, শোব।
কিছু বলল না। সরে গিয়ে বালিশ ঠিক করে রাখলো আর আমি ঘুমিয়ে পড়লাম। লাইক আ বেবি। এরপর থেকেই ওকে জড়িয়ে ধরে না থাকলে আমার ঘুম আসতো না। আর ও বই পড়তে থাকতো।
-- স্যাডির ব্যাপার টা কী?
-- একদিন গাড়ি থেকে নেমে দুজনের জন্য খাবার কিনে বেঞ্চে বসলাম। জুই গেলো লাইব্রেরিতে। আমি লাইব্রেরি যাওয়া পছন্দ করি না। স্যাডি আসলো। বলল,
-- একটু কথা ছিলো?
-- হু বলো।
-- তুমি আর জুই তো একসাথেই থাকো।
-- এসব পারবো না।
-- হিয়ার মি আউট প্লিজ।
-- ডোন্ট ইভেন ট্রাই
-- আম নট ট্রায়িং। চলে যাবো,,একটু,,শোন,,ও আসার আগেই চলে যাবো।
-- তুমি পাঞ্জাবি পড়ে,,,,বই টই,,,,হা হা হা। ইউ আর নট ট্রায়িং ইয়াহ,,,,হা হা হা।
-- ওর কাছাকাছি থাকলে,,,,
-- কী,,, কাছাকাছি থাকলে?
-- মানে,,,
-- হু। অরা,,,,আবরা কা ডাবরা,,,স্পেল,,,
-- এটাই এটাই এটাই। আচ্ছা আমি যাই ও আসছে।
-- বলে দেখবো??
-- বলবা? সত্যিই?
-- হঠাৎ মনে হলো আরকি। সাউন্ডস ফান
-- আমি ঐ যে সামনের কফি-শপে কফি খেতে বলেছিলাম। শুধু ডানে বামে মাথা নাড়িয়েছে। যাই।

এই বলে স্যাডি প্রায় দৌড়ে চলে গেলো। জুই আসলো। ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করলো,
-- কী?
-- তোমার জিউস।
-- হুহ
-- বেইব। সে তো তোমার জন্য সাইদুল ইসলাম হয়ে গেছে মাস খানেক হলো। চান্স দিয়ে দেখবি? লক্ষ্য করছিস ওর অবস্থা?
-- কি লক্ষ্য করবো?
-- বই থেকে মাথা উঠালে তো লক্ষ্য করবি।
-- কি বলো যাচ্ছেতাই। একবার এসে জিজ্ঞেস করলো কফি খাবো কিনা?
-- ঐ সময় হয়তো তুই আরো গুরুত্বপূর্ণ কিছুতে ব্যস্ত ছিলি তাই না?
-- ও হ্যা। মনে পড়েছে। তুমি কি জানো বিড়ালেরা তোমার মৃত্যুর পর খাবার না পেলে তোমাকে খেয়ে ফেলবে খিদে পেলে।
-- শাট আপ। তোর হবে না। চল। আর আমার কুকুর পছন্দ বিড়াল না।

এরপর কয়েকদিন স্যাডি ছিলো না কথাবার্তায়। একদিন দেখি কানাহাসের বাচ্চা চুপ করে বসে আছে। বই নেই হাতে। একদৃষ্টে চেয়ে আছে। গিয়ে বললাম,
-- কীরে মুভি দেখতে যাবি?
-- যাবো।
-- যাবি?
-- হু।
-- ঘটনা কী?
-- তুমি বললে মুভি দেখতে যাবো কিনা?
-- তুই তো যাস না। বই ও নেই হাতে। কি হয়েছে?
-- ও আসলেই বসে থাকে। আমি উঠে এলেই,,
-- হু। অনেকদিন থেকে। তুই অনেক ইনফ্লুয়েনশিয়াল। ঘুরে আয় ওর সাথে?
-- তুমিও চলো।
-- থ্রিসাম??
-- ছিহ!
-- ঘুরে আয়। ও কিছু করবে না উল্টাপাল্টা।
-- ও বলেছে তোমাকে নিয়ে যেতে।
-- ও বলেছে? আচ্ছা, এর মধ্যে কথাও হয়েছে?
-- আমার সাথে চলো প্লিজ।

জুইয়ের সাথে ঐ দিন গিয়েছিলাম। দেখা গেলো তিনজনই ভালো বন্ধু হয়ে উঠলাম। আর দুজন এখন মৃত। আমি আবারো একা। আপনি যখন একা অভ্যস্ত হয়ে পড়বেন তখন আপনার একা থাকাটা আনন্দের হবে। যখনই বন্ধু জুটবে তাদের অনুপস্থিতি আপনাকে মেরে ফেলবে মিস্টার সহন। আমাদের তিনজনেরই মিল ছিলো। স্যাডির বাবা মা তার ব্যাপারে উদাসীন ছিলেন। ফলাফল বুঝতেই পারছেন।
-- তিনজনকেই একাকী থাকতে হয়েছে কোন না কোন সময়। আই এম সরি।
-- ইটস ওকে। আরেকটা খুন করার পর আমি ওদের সাথে মিট করবো। কিন্তু বুঝতে পারছি না সুযোগ টা পাবো কিনা?

পরের দিন সকালে অপরিচিত এক নাম্বার থেকে কল আসলো সহনের। আরেকটু শুয়ে থাকার ইচ্ছেটার জলাঞ্জলি। বেচে থাকার জন্য চাকরি করতে হয়। এর চেয়ে খারাপ কী হতে পারে ভাবতে ভাবতে কল রিসিভ করলো।
-- সহন?,, হ্যালো,,, শুনতে পাচ্ছো?
-- জ্বী স্যার। এটা কার নাম্বার স্যার?
-- শোন আমি মুন হসপিটালে রুম নাম্বার ৯১০। এখনি আসো।
-- হসপিটালে? স্যার?,,,, হ্যালো,,,হ্যালো স্যার?

হঠাৎ স্যার হাসপাতালে কিভাবে গেলেন আবার অন্য মোবাইল থেকে কল দিলেন। এসব ভাবতে ভাবতে বাইকে উঠলো সহন। দ্রুতই পৌছাতে হবে ভাবলো সে। হাসপাতালে পৌছে তাহমিদের কলটা দেখলো। ৩২ মিনিট আগে করা হয়েছে। নট ব্যাড। মনে মনে খুশিই হলো। মুচকি হেসে ৯১০ এ ঢুকতেই তার চোখ বড় বড় হয়ে গেলো। স্যার শুয়ে আছেন। সাথে সুন্দরী এক ডাক্তার। ভদ্রমহিলা খুব রেগে আছেন মনে হচ্ছে।
-- স্যার?
-- এনার থেকে ডিসচার্জ নেবার ব্যবস্থা করো আগে। সব বলছি।
ভদ্রমহিলা তার দিকে ফিরলেন। বললেন,
-- শুনুন। উনার অবস্থা ভালো নয়। রিপোর্ট গুলো না দেখে আমি কোন রোগী ছাড়ি না। আমার জীবনে এমন অবাধ্য মানুষ আমি দেখিনি।
-- ডক্টর স্যারের স্ত্রী এনক্সাইটির প্যাশেন্ট। স্যার কে না দেখতে পেয়ে কিছুক্ষণ পর পর,,,, কিছু একটা ঘটে গেলে,,,স্যারকে একবার দেখিয়ে নিয়ে আসি ম্যাম। বাইকে এসেছি।
-- কিন্তু,,,উনার শরীরের অবস্থা,,,
-- আপনার মতো ডাক্তার থাকলে আমার শ্বশুর আজো বেচে থাকতেন। কারো কথা শুনতেন না। স্যারের মতো। আমি নিজে নিয়ে আসবো ডক।
-- আমি কিন্তু এভাবে,,,
-- প্যাশন আছে আপনার কাজের প্রতি।। আই নো ডক। অসাধারণ। একই সাথে সুন্দরী আর দায়িত্ববান এমন দেখা যায়না ,,, মানে,,,,
-- যান যান। নিয়ে যান। হয়েছে। আবার দিয়ে যাবেন।

কোনমতে স্যারকে নিয়ে বের হয়ে পড়লো সহন। পুরো হাসপাতালের গন্ডি পার না হয়ে তাহমিদ মুখ খুললো না। রাগে লাল হয়ে আছে মুখ। বাইকে বসেই তাহমিদ বলল,
-- সোজা থানায় চলো। সাইকো হয়ে যাচ্ছে নাকি সবাই দিন দিন।
-- কি হয়েছিল স্যার?
-- সিগারেট নিয়ে বাথরুমে গিয়েছিলাম। কোথাও না কোথাও আমাদের ইয়ে মানে,, ধরো বাতাস। বের হতেই হয় বুঝছো। আমার সিগারেট টা টান দেয়ার পর মনে হয়েছে আমার পুরো চেম্বার ফুল হয়ে গিয়েছে। মুখেও ঢেকুর বের হচ্ছিলো না আর,,,,ইউ নো। হার্টে মনে হলো অনেকগুলো সুই দিয়ে খোচাচ্ছে। কাজের ছেলেটা না থাকলে,,,, সিগারেট বাদ বুঝছো।
-- হা হা হা...... সরি স্যার....হা হা হা,,,
-- হা হা হা। আর তোমার শ্বশুর মশাই,,,,হা হা হা বাহ! পুরা সাইকো ডাক্তার টা। নতুন নতুন এসে সব এমন করে।
-- স্যার আপনাকে আবার দিয়ে যেতে হবে।
-- অবশ্যই হা হা হা। আর আমার ওয়াইফ আমাকে দেখার জন্য ,, হা হা হা।
-- সরি স্যার।
-- গুড জব। টানো এখন। বাসায় চলো আগে। মোবাইলটা থাকলে আজকে আর এ ঝামেলা হয়? চলো চলো। আবার ওখানে আরেকজন সাইকো বসে আছেন।(চলবে)

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: চলুক।

১১ ই মার্চ, ২০২৪ ভোর ৬:০১

ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: ঠিক আছে। দেখি কোথায় যায়।

২| ০৯ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:৪৫

মিরোরডডল বলেছেন:




এই পর্ব ভালো লেগেছে।
প্রথমটায় একটু বুঝতে সমস্যা হয়েছিলো।

১১ ই মার্চ, ২০২৪ ভোর ৬:০২

ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: আমার জগাখিচুড়ি আপনিই বেশি সহ্য করেন। হা হা হা।

৩| ০৯ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:৫০

রানার ব্লগ বলেছেন: কিছু মনে করবেন না, গল্প টা কে ঘটনা দিয়ে বাধুন, পুরাটাই ডায়লগ নির্ভর হচ্ছে।

১১ ই মার্চ, ২০২৪ ভোর ৬:০৪

ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: আমি লেখক নই। তার উপরে অলস। আপনার মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

৪| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:৪৬

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: তৃতীয় পর্বও বেশ এগিয়েছে। আবারও বলছি, চেষ্টা করবেন উপরে পর্ব কত তা লেখার৷ নয়ত নতুন কেউ পড়ে কিছু বুঝবে না৷

৫| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.