নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হিংসা, বিদ্বেষ, পরশ্রীকাতরতা,অল্পবিদ্যা, কুশিক্ষা এবং ডাবল স্ট্যান্ডার্ড দৃষ্টিকোণ না থাকলে প্রকৃত বাঙ্গালি হওয়া যায় না।
"আমি মানসিক বিকারগস্ত লোক। সারাক্ষণ এনক্সাইটিতে বুক ধড়ফড় করে। মায়ের দেয়া কলে আমি খুবই ভয় পেয়ে যাই। বাবা কে আমার সহ্য হয়না। আমার কাছে সবসময় মনে হয়েছে মানসিক ভারসাম্যহীনতার এই অসাধারণ গিফট টা আমি তার থেকেই পেয়েছি। আমার বাবা-মা আমাকে কখনোই অনুপ্রাণিত করেন না। তারা নিজেদের ভয়,আতঙ্ক, সন্দেহ আমার মধ্যে ছড়িয়ে দেন। তারপর আসে কিভাবে আমি অপদার্থ হলাম তা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ। ব্যাক্তিগতভাবে সফলতাহীন হয়ে আমি যখন শুধুই একাকী বাচতে চাচ্ছি সেখানে প্রভাবক হিসেবে আরো অনেক কিছু প্রতিনিয়ত আমার সমস্যা গভীর করে তুলছে।
আমি মানুষের সাথে চলাফেরায় মনযোগী হয়ে উঠেছিলাম অনেকদিন। কিন্তু তাদের মনের নীচুতা পরিস্কার করতে না পেরে ক্লান্তিতে ভুগতে হয়েছে। ভেবেছিলাম ভালো ব্যবহার হিংসা সারিয়ে তোলে। মানবপ্রকৃতি বুঝতে পেরে কুকুরদের প্রতি মনযোগ দিতে হয়েছে। বুঝতে পেরেছিলাম আমি কখনোই কোন মানুষকে খুশি করতে পারবো না। ভাবতাম খুব ধনী হলে সমস্যা থাকে না। কিন্তু তাদেরও বিচিত্র সমস্যা চেপে ধরে।
ভালোবাসার বিদায়ে আমার মন বিচলিত হয়নি। আমি যেখানে নিজের ভেতর আটকে আছি তাতে করে কিইবা করা যেতো। শ্রান্তি হতোনা সঙ্গীর। খুব ভুগতে হতো। তারচেয়ে ভালোই হয়েছে। প্রতিনিয়ত খুচিয়ে মারার চেয়ে বাচতে দেয়া টা ভালো। এছাড়া অনুভুতির তীব্রতা তখনই বেশি হবার কথা যখন মাথার ভেতরের দাপাদাপিটা না থাকে।
নিজেকে নিয়েই বাচতে কস্ট হচ্ছে। মুখোমুখি দাড়াতে কস্ট হচ্ছে। আমি ছুটি চাচ্ছি৷ "
ছেলেটার বুকপকেটে ভেজা চিঠিটার দিকে কেউ খেয়াল করেনি। পকেট গলে চিঠিটা প্রথম বেরিয়ে এসে পড়লো পাশের চা দোকানে। দোকানে আজ খুব ভিড়। রাহিমের মনে ভোরে আসা প্রশ্ন টার একটা উত্তরের মতো পাওয়া গেল অবশেষে।
" মানুষ কেন যে আত্মহত্যা করে। কেন?"
২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:৪০
সাইফুলসাইফসাই বলেছেন: এরকম সমস্যা আমারও হয়
৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১০:২০
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আহা মানুষ এমন করে কেন!
৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১১:৫৫
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: তথাপি ভালো থাকা ও বেঁচে থাকার জন্য চেষ্টা করতে হয়।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:৩১
ঊণকৌটী বলেছেন: এইটা কি গল্প ?