নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনামিকা আমার প্রথম ভালোবাসা।

রাতদুপুর

সিম্‌পল

রাতদুপুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে জেলাভিত্তিক মহিলা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রকল্প (৬৪ জেলা)

১২ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:২৩

দেশের জনসংখ্যার অর্ধেকই নারী । দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারী সমাজ শিক্ষাগত যোগ্যতায়, বৃত্তিমূলক দক্ষতায় এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়নে এখনও বেশ পিছিয়ে আছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে তাদের ধারনা এখনও খুব বেশি নয়। অধিকাংশ শিক্ষিত যুব মহিলা কম্পিউটারে দক্ষতা তথা তথ্য প্রযুক্তিগত সুবিধা থেকে বঞ্চিত। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার মহতী উদ্যোগের আওতায় বহুবিধ পদক্ষেপের ধারাবাহিকতায় শিক্ষিত বেকার মহিলাদের অগ্রাধিকার প্রদানসহ আগ্রহী ছাত্রীদের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে তাদের কর্মসংস্থান এবং যোগাযোগ প্রযুক্তি নির্ভর করে উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করাই এ প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য। প্রকল্পটি সম্পূর্ণ বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত এবং ৬৪ জেলায় এর কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে সরকার যে সকল যুগান্তকারী কর্মসূচী ও প্রকল্প গ্রহণ করেছে তার মধ্যে “জেলাভিত্তিক মহিলা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রকল্প (৬৪ জেলা)” শীর্ষক প্রকল্পটি অন্যতম। প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ১১৮৭৯.২৫ লক্ষ টাকা এবং মেয়াদকাল জুলাই ২০১৩ থেকে জুন ২০২৩পর্যন্ত।

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড অনুমোদিত ৬ মাস মেয়াদী (৩৬০ ঘন্টা) “কম্পিউটার অফিস এ্যাপ্লিকেশন” ও “গ্রাফিক্স ডিজাইন এন্ড মাল্টিমিডিয়া প্রোগ্রামিং” কোর্সে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক রেজিস্ট্রেশন , পরীক্ষা ও সনদ প্রদান করা হয় । “কম্পিউটার অফিস এ্যাপ্লিকেশন” কোর্সে ৩৯০০৬ জন ও “গ্রাফিক্স ডিজাইন এন্ড মাল্টিমিডিয়া প্রোগ্রামিং” কোর্সে ৯৬০০ জনসহ মোট ৪৮৬০৬ (আটচল্লিশ হাজার ছয়শত ছয়) জন শিক্ষিত বেকার মহিলাদের অগ্রাধিকার প্রদানসহ আগ্রহী ছাত্রীদের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে তাদের কর্মসংস্থান এবং যোগাযোগ প্রযুক্তি নির্ভর করে উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।

এ পর্যন্ত “কম্পিউটার অফিস এ্যাপ্লিকেশন” কোর্সে মোট ৩৯০৩৪ জন এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন ও মাল্টিমিডিয়া কোর্সে ৯৬০০ জনসহ সর্বমোট ৪৮৬৩৪ জন শিক্ষিত বেকার মহিলাদের অগ্রাধিকার প্রদানসহ আগ্রহী ছাত্রীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। জানুয়ারি-জুন ২০২৩ সেশনে উভয় কোর্সে ৩২১৩ জনের প্রশিক্ষণ চলমান রয়েছে। উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত প্রশিক্ষণ সম্পন্নকারী মোট ৪৮৬৩৪ জনের তথ্য ডাটাবেজে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষে সরকারী/বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরী পেয়েছেন ৫৩৬০ জন, আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে আয় করেন ১১৫৮ জন এবং উদ্যোক্তা ৬৩৯ জন, এবং বাকীরা অন্যান্য/ব্যক্তিগত/পারিবারিক কাজ করে থাকেন। (চলবে)

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৯

প্রামানিক বলেছেন: বাংলাদেশ এগিয়ে যাক এটাই কামনা করি

২| ১২ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: খুব ধীরে হলেও দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

৩| ১২ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:০৪

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: বিগত কয়েক দশকেও বাংলাদেশ ইন্টারনেট ব্যবস্থাকে উন্নত করতে পারে নি। এটা সম্ভব না হলে শুধু প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতভাবে সম্ভব নয়। দক্ষ জনবলকে সম্পদে রূপান্তর করার জন্য প্রযুক্তি সম্পর্কিত অবকাঠামোগত উন্নয়নও প্রয়োজন। ইংরেজীতে শিক্ষা ব্যবস্থায় আরো জোর দিতে হবে।

৪| ২৭ শে জুন, ২০২৩ রাত ১২:৩০

খায়রুল আহসান বলেছেন: এ প্রকল্পের অধীনে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা তাদের নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে কেমন পারফরম্যান্স দেখাচ্ছেন, সেটা ফলো আপ করা হচ্ছে কি? এ ব্যাপারে আর কোন আপডেট থাকলে জানাবেন।
যাহোক, পোস্টটা পড়ে নারীবান্ধব এ কর্মযজ্ঞের কথা জেনে প্রীত হলাম। প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা সবাই তাদের নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করুক, তাদের জন্য এ শুভকামনা এবং উদ্যোক্তাদের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
আশাকরি, সময় করে এ পোস্টে রেখে যাওয়া পাঠকের মন্তব্যগুলোর জবাব দিয়ে যাবেন।

১২ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৮

রাতদুপুর বলেছেন: প্রকল্পের নিজস্ব ওয়েব ডাটাবেজে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের তথ্য সংরক্ষিত আছে। যেহেতু ৩০ জুন ২০২৩ এর পর থেকে এর কার্যক্রম চালু নাই, তাই ফলোআপ/ মনিটরিং করা হয় না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.