নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সালাউদ্দিন রাব্বী

রাবব১৯৭১

সালাউদ্দিন রাব্বী

রাবব১৯৭১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পোষাক সমাচার

০১ লা মে, ২০১৭ দুপুর ২:২৩

কেউ যদি চটের ছালা বা হিজাব বোরকা অথবা জিন্স পরিধান করে স্বাছন্দবোধ করে তাতে আমাদের কারো আপত্তি নেই কিন্তু কেউ যদি ধর্মের নামে বা তথাকথীয় ধর্মীয় অনুসাশনের নামে যেকোন পোষাক পরতে বাধ্য করে আমাদের সেখানেই আপত্তি।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মে, ২০১৭ বিকাল ৩:০৫

নিভা ইয়ামা বলেছেন: আপত্তি কি কেউ করছে বা আদৌ কি আপত্তির অধিকার কারোর আছে? পোশাক মানুষের ব্যাক্তি স্বাধীনতা। শালীন অশালীন হিশাব সব সময় কষে মেলানো যায় না।

২| ০১ লা মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৬

জল্লু ঘোড়া বলেছেন: অবশ্যই শালীন পোশাক পড়তে হবে। আপনার মুখের সামনে পাকা তেঁতুল ঝুলিয়ে রাখলে মুখে পানি আসবেই। আর যদি কোনো প্যাকেটে এমনভাবে রেখে দেয়া হয় যাতে তেঁতুল দেখা না যায় তাহলে মুখে পানি আসবে না। এখানে মুখে পানি আসার জন্য দায়ী সে যে তেঁতুল ঝুলিয়ে রাখে।

নারীর পোশাকও একই রকম। তবে শালীন পোশাক মানেই যে হিজাব বোরকা তা না।

ব্যক্তি স্বাধীনতার নামে যা ইচ্ছা তাই করা যায় না। ব্যক্তি স্বাধীনতার নামে যদি কেউ অশালীন পোষাক পড়ে তো ধর্ষণও ব্যক্তি স্বাধীনতার পর্যায়ে পড়ে।

আমি ধর্ষণকে কোনোভাবে সমর্থন করছি না এবং নারীর পোশাককেই ধর্ষণের একমাত্র কারণ হিসেবে চিহ্নিত করছি না। কোনো নারী যদি অশালীন পোশাকে বাইরে যায় তো পুরুষরা তার দিকে কুনজর দিবেই। এটা খোলা মরিচ ক্ষেতে ছাগল প্রবেশের মত।

৩| ০২ রা মে, ২০১৭ রাত ১:২৩

ধ্রুবক আলো বলেছেন: পোশাক হলো শালীনতার বর্ম।

০৯ ই মে, ২০১৭ ভোর ৬:১৬

রাবব১৯৭১ বলেছেন: ৪ বছরের বাচ্চা থেকে ৭০ বছরের বৃদ্ধ কে নিরাপদ এখানে? অনেক বোরকা পরা নারীও ধর্ষণের শিকার হয়েছে এখানে আর তনুর অবস্থা তো দেখেছেন সবাই ধর্ষণের সময় হিজাব পরা ছিলেন।

৪| ০২ রা মে, ২০১৭ ভোর ৬:৪৩

হাফিজ রাহমান বলেছেন: মহান স্রষ্টা যদি আপনাকে বাধ্য করে তবুও কি আপনার আপত্তি ? আপনি মুসলিম পরিচয় ধারণ করবেন; অচত ইসলামিক ল এর ব্যাপারে আপত্তি করবেন তা তো হতে পারে না। এ দেশে থাকতে হলে, এ দেশের পরিচয় ধারণ করতে হলে এ দেশের আইন আপনাকে মেনেই চলতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যক্তি স্বাধীনতার প্রসঙ্গ টানা নিতান্তই বাতুলতা।

৫| ০৯ ই মে, ২০১৭ ভোর ৬:২১

রাবব১৯৭১ বলেছেন: এখানে কি ইসলামী আইন চলে? এটা কি ইসলামী রিপাবলিক অফ বাংলাদেশ?

৬| ০৯ ই মে, ২০১৭ সকাল ৯:৩০

নতুন নকিব বলেছেন:


সালাউদ্দিন রাব্বী,
নিশ্চয়ই আপনি মুসলিম। আপনার নাম অন্তত: তাই বলে। আচ্ছা, মুসলিম হিসেবে আপনার কিছু বিশ্বাস অবিশ্বাস রয়েছে। মানে, কিছু জিনিষে আপনি বিশ্বাস করেন, আবার কিছু বিষয়ে আপনার রয়েছে অবিশ্বাস। যেমন, উদাহরন স্বরুপ বলা যায়, আপনি আল্লাহ পাকের একত্ববাদে বিশ্বাস করেন, কিংবা রাসূলে পাক সল্লাল্লা্হু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে শেষ নবী মানেন।

এমনি করেই অনেক বিষয়ে আপনার ভেতরে বিশ্বাস অবিশ্বাস কাজ করে। এরকম গুরুত্বপূর্ন কিছু বিষয়ের প্রতি প্রগাঢ় বিশ্বাস ভক্তি কার্যকর করার মাধ্যমেই একজন মানুষ হয়ে উঠতে পারেন বিশ্বাসী তথা, ইসলাম ধর্মের অনুসারী, পক্ষান্তরে, এমনিভাবেই কিছু গুরুত্বপূর্ন বিষয়ের প্রতি তার অবিশ্বাস তাকে বের করে দিতে পারে বিশ্বাস তথা, ঈমান ইসলামের গন্ডি থেকে।

আচ্ছা, আপনার কাছে বিনীত কিছু প্রশ্ন রাখছি-
আপনি কি আল্লাহকে জীবন মৃত্যুর মালিক মনে করেন?
তাঁর আদেশ নিষেধ মেনে চলা কর্তব্য মনে করেন কি?

আপনি কি রাসূলে পাক সল্লাল্লা্হু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে শেষ নবী মানেন?
তাঁর আদেশ নিষেধ, সুন্নাত নিজের বাস্তব জীবনে মেনে চলা কর্তব্য মনে করেন কি?

আপনি কি কুরআনুল কারীমকে আল্লাহর কিতাব মানেন?
এতে বর্নিত আদেশ নিষেধ মেনে চলা কর্তব্য মনে করেন কি?

উপরের এই ছয়টি প্রশ্নের উত্তর যদি আপনার কাছে 'হ্যাঁ' হয়ে থাকে তাহলে বলছি, পরিষ্কারভাবে (আপনিসহ প্রত্যেক মুসলিম মাত্রেরই) জেনে রাখা দরকার, কুরআন নারীদের হিজাব ব্যবহারের নির্দেশ প্রদান করেছে। সুতরাং এখানে দ্বিমত পোষন করলে তার বিশ্বাস তথা ঈমান নিয়ে নতুন করে ভেবে দেখতে হবে।

আর কুরআনের কিছু অংশ গ্রহন করা আর কিছু অংশকে ছেড়ে দেয়া মারাত্মক অন্যায়। এগুলো সুবিধাবাদী মুনাফিক শ্রেনির লোকদের চরিত্রের মধ্যে পরে। আর এ বিষয়ে কুরআন কঠোর ভাষায় হুশিয়ার করেছে আমাদের।

প্রয়োজনে নিচের আয়াতের ব্যাখ্যা তাফসীর দেখে নিতে পারেন। আমি শুধু অনুবাদ তুলে ধরছি-

''অতঃপর তোমরাই পরস্পর খুনাখুনি করছ এবং তোমাদেরই একদলকে তাদের দেশ থেকে বহিস্কার করছ। তাদের বিরুদ্ধে পাপ ও অন্যায়ের মাধ্যমে আক্রমণ করছ। আর যদি তারাই কারও বন্দী হয়ে তোমাদের কাছে আসে, তবে বিনিময় নিয়ে তাদের মুক্ত করছ। অথচ তাদের বহিস্কার করাও তোমাদের জন্য অবৈধ। তবে কি তোমরা গ্রন্থের কিয়দংশ বিশ্বাস কর এবং কিয়দংশ অবিশ্বাস কর? যারা এরূপ করে পার্থিব জীবনে দূগর্তি ছাড়া তাদের আর কোনই পথ নেই। কিয়ামতের দিন তাদের কঠোরতম শাস্তির দিকে পৌঁছে দেয়া হবে। আল্লাহ তোমাদের কাজ-কর্ম সম্পর্কে বে-খবর নন।'' সূরাহ বাক্কারাহ, আয়াত ৮৫।

আপনাকে কষ্ট দেয়ার উদ্দেশ্যে নয়, যদি মহান আল্লাহ পাক, তাঁর প্রিয়তম রাসূল সল্লাল্লা্হু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং আল কুরআনের মহান বানীর প্রতি আপনার বিশ্বাসে আরও একটু ঘনিষ্টতা এনে দিতে এই লেখা সামান্যতম ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়, তাহলেই নিজেকে ধন্য মনে করব।

আপনার একটি প্রশ্ন দেখলাম। আপনি লিখেছেন- এখানে কি ইসলামী আইন চলে?

উত্তরে বিনীতভাবে বলছি, ভাই, ধরুন, এখানে ইসলামী আইন চলে না, তাই বলে কি আপনি আল্লাহর অবাধ্যতায় লিপ্ত হবেন? যেহেতু আল্লাহ পাক হুকুম করেছেন, সেহেতু সত্যিকারের ঈমানদার হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হল, কোন প্রকারের বাহানা কিংবা ছলনার আশ্রয় না নিয়ে আল্লাহ পাকের নির্দেশের সামনে মস্তক অবনত করে দেয়া।

আপনার উত্তরোত্তর কল্যান কামনা করছি। আল্লাহ পাক আমাকে আপনাকেসহ সকলকে ইসলামের সহীহ জ্ঞান অর্জন করে সেই মোতাবেক নেক আমল করে জান্নাতের উপযুক্ত করে নিজেদের গড়ে তোলার তাওফীক দান করুন। আমীন।

৭| ০৯ ই মে, ২০১৭ সকাল ৯:৫৮

নতুন নকিব বলেছেন:



হিজাব বিষয়ে আরও জানতে নিচের লিঙ্ক থেকে বইটি দেখে নিতে পারেন-
শরীয়তের দৃষ্টিতে পর্দার হুকুম

ভাল থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.