![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যে লাউ ৫৭ ধারা সে কদু ২৯,৩১,৩২ ধারা !
৫৭ ধারা বাংলাদেশে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের একটি বিতর্কিত ধারা ছিল। এটি ২০০৬ সালের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন (ICT Act, 2006)-এর অধীনে সংযোজিত হয়েছিল এবং পরে ২০১৩ সালের সংশোধনীতে আরও কঠোর করা হয়।
এই ধারায় বলা হয়েছিল—
"যদি কেউ ইলেকট্রনিক মাধ্যমে এমন কোনো তথ্য প্রকাশ বা প্রচার করেন যা মিথ্যা, অশ্লীল, মানহানিকর, রাষ্ট্র বা ধর্মের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ায় কিংবা আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে পারে, তাহলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হবে।"
৫৭ ধারার শাস্তি
এই ধারায় অপরাধ প্রমাণিত হলে—
✅ ৭ থেকে ১৪ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড
✅ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা
৫৭ ধারা কেন ব্যবহার হতো?
এই ধারা মূলত অনলাইনে মিথ্যা তথ্য, গুজব, মানহানিকর বক্তব্য, ধর্মীয় বিদ্বেষ, রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচার এবং আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধের জন্য চালু করা হয়েছিল।
তবে, এটি ব্যাপকভাবে গণমাধ্যমকর্মী, লেখক, ব্লগার, অ্যাক্টিভিস্ট এবং সাধারণ নাগরিকদের বিরুদ্ধে অপব্যবহার করা হয়েছে বলে সমালোচনা হয়।
৫৭ ধারার অপব্যবহার ও সমালোচনা
• মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণের অভিযোগ
• ভিন্নমত দমনে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার
• সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি
• স্পষ্ট সংজ্ঞার অভাব, ফলে বিচারকের খামখেয়ালিপূর্ণ রায়
৫৭ ধারার বিলুপ্তি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন
২০১৮ সালে সমালোচনার মুখে সরকার ৫৭ ধারা বাতিল করে নতুন "ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮" চালু করে। তবে নতুন আইনের বিভিন্ন ধারা (যেমন ২৯, ৩১, ৩২) আবার ৫৭ ধারার মতোই বিতর্কিত রয়ে গেছে
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৫৪
ধুলো মেঘ বলেছেন: এত ভয়ানক আইন করেও তো পিনাকীর নিম্নদেশের একটা চুল পর্যন্ত ছেঁড়া যায়নি? ফলাফল? ৩২ এর জিয়াফত।