নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সালাউদ্দিন রাব্বী

রাবব১৯৭১

সালাউদ্দিন রাব্বী

রাবব১৯৭১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুদ, ব্যাংকিং ব্যবস্থা ও মাইক্রোক্রেডিটের বাস্তবতা

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:০৩

সুদ, ব্যাংকিং ব্যবস্থা ও মাইক্রোক্রেডিটের বাস্তবতা
আমি সবসময় সহনীয় সুদের পক্ষে। আধুনিক পৃথিবীতে সুদ এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থা ছাড়া অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কল্পনা করা যায় না। ব্যক্তি ও রাষ্ট্রের উন্নয়নের জন্য সহজ শর্তে ঋণ ও সাশ্রয়ী সুদের প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। তবে সেই সুদ হতে হবে সহনীয়, নামমাত্র মর্টগেজে এবং কোনো ধরনের হয়রানি বা জটিলতা ছাড়া।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ ব্যাংক ও মাইক্রোক্রেডিট সিস্টেম একসময় প্রশংসিত হয়েছিল। বিশ্বব্যাপী এটি একটি আদর্শ মডেল হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। মাইক্রোক্রেডিটের যে সুদের হার, তা এতটাই অমানবিক ও উচ্চ যে সাধারণ দরিদ্র মানুষদের জন্য তা এক ধরনের শোষণের রূপ নিয়েছে। অনেক সময় দেখা যায়, এই ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে দরিদ্র মানুষ আরও দরিদ্র হয়ে পড়েন, এমনকি পরিবার-সম্পত্তি হারান।
বাংলাদেশে গ্রামীণ ব্যাংক যেভাবে ও যে সুদের হারে গরিব মানুষকে ঋণ দেয়, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সত্যিই কি এই ঋণের মাধ্যমে দেশের অন্তত ১% মানুষও টেকসইভাবে স্বাবলম্বী হয়েছে? নাকি এই ঋণ তাদেরকে শুধুই আরও জটিলতার মধ্যে ফেলেছে? অনেকের মতেই, এই মাইক্রোক্রেডিট ব্যবস্থা গরিব মানুষের অসহায়ত্বকে পুঁজি করে মুনাফা অর্জনের এক কৌশল মাত্র।
ড. ইউনূস ব্যক্তি হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে নোবেল বিজয়ী এবং পরিচিত মুখ হলেও, দেশে তার কর্মকাণ্ড নিয়ে বিস্তর বিতর্ক রয়েছে। তার বিরুদ্ধে ছিল প্রায় ৭০০ কোটি টাকার কর ফাঁকির অভিযোগ, যা পরবর্তীতে মাফ করে দেওয়া হয়। এছাড়া বয়সসীমা লঙ্ঘন করে তিনি তার প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পদে থেকেছেন, যা আইনবিরুদ্ধ হলেও, ক্ষমতার প্রভাব ব্যবহার করে সে মামলা খারিজ করা হয়।
ড. ইউনূস তার খ্যাতি ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিকে ব্যবহার করে দেশে-বিদেশে অনেক ব্যবসায়িক সুবিধা ও প্রভাব অর্জন করেছেন। কেউ কেউ মনে করেন, তার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষাও বাস্তবায়িত হয়েছে পরোক্ষভাবে।
অতএব, আমাদের প্রয়োজন এমন একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা যেখানে সুদ হবে মানবিক, ঋণ হবে সহজ ও প্রকৃত উন্নয়নের সহায়ক। দরিদ্রদের সহায়তার নামে শোষণ বন্ধ করতে হবে এবং যেকোনো উদ্যোগের কার্যকারিতা ও মানবিক দিকটি বিবেচনায় নিতে হবে।
মাইক্রোক্রেডিটের নামে শোষণ!
আমি সবসময় সহনীয় সুদের পক্ষে। কিন্তু ইউনূসের গ্রামীণ ব্যাংক যে মাইক্রোক্রেডিট সিস্টেম চালাচ্ছে, সেটি কি সত্যিই গরীব মানুষের জন্য? বর্তমানে গ্রামীণ ব্যাংকের সুদের হার প্রায় ২৫-৩০%। একজন দরিদ্র মানুষ যখন এই ঋণ নেয়, তখন তাকে প্রতি সপ্তাহে কিস্তি দিতে হয়। সেই কিস্তির চাপ সামলাতে না পেরে বাংলাদেশে অসংখ্য মানুষ আত্মহত্যা করেছে, পরিবার ভেঙে গেছে, ডিভোর্স বেড়েছে। কিন্তু এসবের কোনো সঠিক পরিসংখ্যান নেই, কারণ এগুলো কেউ তুলে ধরতে চায় না। ইউনূস সাহেবের ব্যাংক গরীবের দারিদ্র্যকে পুঁজি করে কোটি কোটি টাকা মুনাফা করছে, আর গরীবরা সর্বস্বান্ত হচ্ছে। কত মানুষ সব হারিয়ে পথের ফকির হয়েছে, কত মা-বোনের গয়নাগাটি নিলাম হয়েছে, কত সন্তান স্কুল ছেড়ে দিয়েছে এসব নিয়ে কারো মাথাব্যথা নেই। মাইক্রোক্রেডিটের নামে এই শোষণ কি সত্যিই উন্নয়ন?

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:১৯

অপু তানভীর বলেছেন: এই ঋণ নিয়ে আমাদের ব্লগের আহসান সাহেবের মাস্টার্স পাশ করা আত্মীয়কে রাতের আধারে রিক্সা চালাতে হয়েছে। বড় স্যাড !

২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:৫৪

কামাল১৮ বলেছেন: সুদের নামে ইউনুস ডাকাতি করেছে এবং এখনো করছে।সে আর মানুষ হলো না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.