নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সালাউদ্দিন রাব্বী

রাবব১৯৭১

সালাউদ্দিন রাব্বী

রাবব১৯৭১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা ও বাংলাদেশের সম্ভাব্য ভূমিকা।

২৬ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:০৯

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা ও বাংলাদেশের সম্ভাব্য ভূমিকা।
বর্তমানে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে "যুদ্ধংদেহী" মনোভাব তৈরি হয়েছে, তা কেবল দুই দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই এটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও গভীর উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কাশ্মীরে পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন লস্কর-এ-তৈয়বা'র সাম্প্রতিক হামলায় নিরপরাধ ২৮ জন হিন্দু ধর্মাবলম্বী পর্যটক নির্মমভাবে নিহত হয়েছেন। নাম জিজ্ঞেস করে ধর্ম যাচাই করে হত্যা করা হয়েছে, যা চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং সন্ত্রাসের নগ্ন রূপ। এই ঘটনা দুই দেশের জনগণের মধ্যে আরও ঘৃণা ও প্রতিশোধস্পৃহা উস্কে দিয়েছে।
বর্তমানে যুদ্ধের সম্ভাবনা প্রায় ৯০% পর্যন্ত পৌঁছেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, বিশেষ করে যদি কূটনৈতিক আলোচনায় কোনও দ্রুত অগ্রগতি না হয়। উভয় দেশের সেনাবাহিনী সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং রাজনৈতিক ভাষায় যুদ্ধের ইঙ্গিত স্পষ্ট।
বাংলাদেশের ভূমিকা কী হওয়া উচিত?
১. নিরপেক্ষতা বজায় রাখা:
বাংলাদেশের উচিত হবে দুই দেশের মধ্যকার যেকোনো দ্বন্দ্বে সরাসরি পক্ষ না নেওয়া। আমাদের নীতি হওয়া উচিত 'বন্ধুত্ব সবার সঙ্গে, বৈরিতা কারও সঙ্গে নয়' বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পররাষ্ট্র নীতির ধারাবাহিকতায়।
কূটনৈতিক তৎপরতা:
বাংলাদেশ জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মঞ্চে শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানাতে পারে। উস্কানিমূলক কোনো বিবৃতি থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন।
সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করা:
যুদ্ধের সময় অনেক শরণার্থী আসার সম্ভাবনা থাকে। তাই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বাড়তি নজরদারি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে হবে।
মানবিক সহায়তার প্রস্তুতি:
যদি যুদ্ধ হয়, তাহলে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। বাংলাদেশকে সম্ভাব্য শরণার্থী সংকট এবং মানবিক সাহায্যের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা:
যুদ্ধের প্রভাবে সার্ক অঞ্চলের অর্থনীতি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বাংলাদেশকে অভ্যন্তরীণ বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে এবং বিকল্প আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার প্রস্তুতি নিতে হবে।
গোপন কূটনীতি:
বাংলাদেশ দুই পক্ষের সঙ্গেই নীরব কূটনৈতিক যোগাযোগ রাখতে পারে, যাতে পরবর্তীতে কোনো শান্তি আলোচনায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিতে সক্ষম হয়।
বাস্তবে যুদ্ধ লাগার সম্ভাবনা কতটুকু?
বর্তমান উত্তেজনা সত্যিই ভয়াবহ।
তবে ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশই পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র তাই সরাসরি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ শুরু হওয়া এত সহজ নয়। কারণ, যুদ্ধের পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে, যা উভয় দেশের নেতৃত্বও জানে।
আন্তর্জাতিক চাপ (বিশেষ করে আমেরিকা, চীন, সৌদি আরবের চাপ) যুদ্ধের সম্ভাবনা কিছুটা কমাতে পারে।
তাই বলাই যায়, সাময়িক সংঘর্ষ বা সীমান্তে ছোটখাটো যুদ্ধ (skirmish) হতে পারে, তবে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের সম্ভাবনা এখনো ৬০%-৭০% এর মধ্যে ওঠানামা করছে।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:২০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অল্প কথায় বাংলাদেশের ভূমিকা সুন্দরভাবেই তুলে ধরেছেন। বাংলাদেশ সরকারিভাবে বা রাষ্ট্রীয়ভাবে এটাই করবে।

তবে, বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশের জনগণই পরস্পরের প্রতি খুবই খুব্ধ অবস্থায় আছেন। মিডিয়া প্রপাগান্ডা ও উস্কানি যদিও পেহেলগাম অ্যাটাকের পর একটু কমেছে, তবে ভিতরে ভিতরে ঠিকই জ্বলছে। এ অবস্থায় জনগণেরও ভূমিকা আছে যে-কোনো ধরনের উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়া থেকে বিরত থাকা। যুদ্ধ একবার লেগে গেলে বাংলাদেশের অর্থনীতি ও নিরাপত্তাও অনেকখানি হুমকির মুখে পড়বে।

২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:২১

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আমাদের কিছুই করার নেই।

৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:৪৮

নিমো বলেছেন: বাংলাদেশের ভূমিকা হচ্ছে সাত বোনকে দখল করে, ইউনূস বর্ণিত সমুদ্রের অভিভাবকত্ব কায়েম করা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.