![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সেই কখন থেকে খাবার
রান্না করে বসে আছে মেয়েটি।অপেক্ষা শুধুই
ছেলেটির জন্য।ছেলেটি কল রিসিভ
করলে তারা একসাথে খেতে বসবে।প্রায় ৪
ঘন্টা হতে চলেছে,কিন্তু ছেলেটি কল রিসিভ
করছে না।রাত বাড়ার সাথে সাথে মেয়েটির
চিন্তা বাড়তে থাকে।এ ছাড়া আর কোন উপায় ও
তো নেই মেয়েটির কাছে।আর কিই
বা করতে পারে সে এত দূর থেকে।মেয়েটি থাকে কোন
এক
পাবলিক ভার্সিটির লেডিস হোস্টেলে।আর
ছেলেটি থাকে তার
বাসায়,তার পরিবারের সাথে।মেয়েটির চিন্তিত
মুখের
দিকে তাকিয়ে তার বান্ধবীরা তাকে সান্তনা দেয়।
মেয়েটি শুকনো একটি হাসি দেয়।
কখনো কাউকে বুঝতে দেয়
না তার ভেতরের চাপা কষ্ট গুলো।
অবশেষে মেয়েটির
অনুরোধে তাকে রেখেই তার বান্ধবীরা খেয়ে উঠে।
আর
মেয়েটি অপেক্ষায় থাকে ছেলেটির।এভাবে কেটে যায়
আরো ২ ঘন্টা।এখন রাত ২ টা।
মেয়েটি জানে যে ছেলেটি আজ আর ফোন
ধরবেনা।তারপর ও সে ঘুমোতে যায় না।
ভাবে যে,ছেলেটি ফোন
দিয়ে যদি তাকে না পায়,তাহলে তো অনেক কষ্ট
পাবে।কিন্তু
মেয়েটিতো ছেলেটিকে কিছুতেই কষ্ট দিতে পারেনা।
তাই সে রাত
জেগে অপেক্ষা করতে থাকে তার মনের মানুষের।
ভাবতে থাকে তাদের মধুর স্মৃতি গুলোর কথা।
তারা দুজন এখন
থাকে দেশের দু প্রান্তে,পড়ালেখার জন্য।কিন্তু
দুরত্ব তাদের ভালবাসাকে কমাতে পারেনি।
বরং আরো বাড়িয়েছে।খাওয়া,ঘুম,পড়ালেখা সব
তারা একসাথেই করে।
মেয়েটি পড়তে বসলে ছেলেটিকেও ফোন
দিয়ে পড়তে বসায়।মেয়েটি যখন খেতে বসে তখন
ছেলেটিকেও খেতে বসতে হয়।যোজন যোজন দূর এ
থাকলেও তাদের সব কিছু যেন একসাথেই হওয়া চাই।
এ যেন এক অন্য রকম ভালবাসা।
.
পরদিন সকালে _
.
মেয়ে -জান,তুমি ঠিক আছো তো ? কিছু হয়
নি তো তোমার ?
ছেলে ~হুম,আমি ঠিক আছি সোনা ।
- রাতে ফোন ধরলে না যে ? আমি অপেক্ষায়
ছিলাম
~ আসলে আমি ঘুমিয়ে পরেছিলাম , আর
মোবাইলটাও সাইলেন্ট
করা ছিল তাই
- না খেয়েই ঘুমিয়ে পরলে!আমার ই দোষ।কেন
যে রান্না শেষ
করতে এত দেরী হল!
~ সত্যি বলতে আমি খেয়েই শুয়েছিলাম।মা এত
করে খেতে ডাকলো তাই আর মানা করতে পারি নি.
- খুব ভাল করেছো জান।আর আমি তো এ
নিয়ে সারারাত খুব
টেনশন এ ছিলাম।
~ কেন তুমি খাওনি রাতে? ঘুমাওনি সারারাত?
- না,মানে,আসলে তোমার জন্য
অপেক্ষা করছিলাম।তারপর
কখন যেন ঘুমিয়ে পরেছি,তাই আর খাওয়া হয়নি।
~ ও আচ্ছা.
.
ছেলেটি এমনি ছিল খুব ভাল।খুব ভালবাসতো তার
প্রিয়তীকে।
তারা দুজন দুজনের খুব ভাল বন্ধু ছিল।একমাত্র
ছেলেটি ছাড়া মেয়েটির জীবনে আর কোন বন্ধু
ছিলনা।শুধুমাত্র ছেলেটিকে নিয়েই ছিল তার
পুরো পৃথিবী।নিজেকে পুরোপুরি উজার
করে দিয়ে ভালবেসেছিলো সে ছেলেটিকে।আর এটাই
হয়ত ছিল তার জীবনের সবথেকে বড় ভুল।অবশ্য
ছেলেটিও খুব টেককেয়ার
করত মেয়েটির।আর মেয়েটিও ছিল খুব লক্ষী।কোন
আবদার
ছিল না তার।শুধু একটু ভালবাসা পেলে,তার মনের
মানুষটির
সাথে প্রতি মাসে একবার দেখা হলেই সে খুশি।এর
বেশী কিছু
চাইনা তার।আর তাই ছেলেটিও প্রতিমাসে একবার
আসত
মেয়েটির ক্যাম্পাসে।দুজন একসাথে কিছুটা সময়
কাটানো,ক্লাশ বাদ দিয়ে সারাদিন
একসাথে ঘুরে বেরানো শেষে রাতে ছেলেটিকে বিদায়
দিয়ে মেয়েটা হল এ ফিরত।মজার ব্যাপার হল,যেদিন
ছেলেটি আসত সেদিন সারাদিন মেয়েটির
মুখে হাসি লেগে থাকত।মেয়েটি এতটাই খুশি থাকত
যে,ছেলেটির সামনে মেয়েটি কখনোই
কিছু খেতে পারতনা।ছেলেটিকে সবসময় হাসি মুখেই
বিদায়
দিতো মেয়েটি।
কখনো কারো সামনে কাদঁতো না মেয়েটি।সবাই
মেয়েটিকে হাসিমুখে দেখলেও মেয়েটির ভেতরের
নিরব
কান্নাটা কখনো কারো চোখে পরেনি।এমন
কি ছেলেটির ও না।
.
.
এভাবেই ভালবাসাময় মধুর জীবন
কাটতে থাকে তাদের।কিন্তু
সময় বদলাতে থাকে।আর সেই
সাথে যে বদলে যেতে থাকে মানুষ
ও।মানুষ মাত্র ই যে পরিবর্তনশীল।হ্যাঁ , সময়ের
সাথে সাথে বদলে যেতে থাকে মেয়েটির মনের
মানুষটিও।এখন
আর তারা একসাথে খেতে বসে না,পড়তে বসে না।
ছেলেটির এখন
আর সময় হয় না ঠিক মত মেয়েটির খোঁজ নেবার।
যেখানে তারা আগে প্রায় সারাদিন কথা বলত ফোন
এ,সেখানে এখন ছেলেটির সারাদিনে ১০ মিনিট ও
সময়
থাকেনা মেয়েটির সাথে কথা বলার।মেয়েটি ছেলেটির
কাছে জানতে চাইলে ছেলেটি নানা অজুহাত দেয়।
মেয়েটি অবাক
হয়,আর ভাবতে থাকে।নীরবে অশ্রু বিসর্জন
করে মেয়েটি।
তারপর ও কাউকে কিছু বলেনা।কিছু
বুঝতে দেয়না কাউকে।এমনকি খুব কাছের
বান্ধবীদের ও না।কিন্তু তার
বান্ধবীরা কিছুটা বুঝতে পারে।জানতে চায় মেয়েটির
কাছে।মেয়েটি এড়িয়ে যায় তাদের।বলে যে তেমন
কিছুনা।আসলে ও ইদানিং একটু ব্যস্ত থাকেতো,তাই
ঠিক মতো কথা হয়না।মেয়েটির মতে "যার
সাথে সারাজীবন থাকবো,তার নামে কটু কথা কেন
অন্যদের বলব" কেউ কখনো কোন ব্যাপার এ
মেয়েটিকে ঝগড়া করতে অথবা রাগারাগী করতে দেখেনি ছেলেটির
সাথে।খুব মধুর এক জুটি ছিল তারা।
.
.
আস্তে আস্তে ছেলেটির
ব্যস্ততা আরো বাড়তে থাকে।আর
মেয়েটি হতে থাকে আরো একা।সেই
সাথে বাড়তে থাকে মেয়েটির একাকিত্বের
মুহুর্তগুলো আর মন খারাপ করা বিকেলগুলো।আর
ওদিকে ছেলেটির ব্যস্ত
সময়গুলো কাটতে থাকে তার বন্ধুদের
সাথে আড্ডায়।এখন আর
প্রতি মাসে মেয়েটিকে দেখতে আসেনা ছেলেটি।
মেয়েটি অনেক
কান্নাকাটি করার পর ও না।বছরে একবার ও এখন
দেখা হয়না তাদের।
মেয়েটি অপেক্ষা করতে থাকে কোন এক
সোনালী ভোরের,যেদিন রাতের অন্ধকার
কেটে যাবে আর তাদের
জীবনের স্বর্ণালী দিনগুলো তারা ফেরত পাবে।
অথবা কোন
দমকা হাওয়ার,যা জীবনের সব দুঃখ
গুলোকে উড়িয়ে নিয়ে যাবে।
.
.
আস্তে আস্তে হাসিখুশি মেয়েটি অনেক চুপচাপ
হয়ে যায়।
অবসরের সময়
গুলোকে কাটাতে নিজেকে আটকে ফেলে এ নীল
দুনিয়ার বন্দিশালায়।বাড়তে থাকে বন্ধুর
সংখ্যা,কেটে যেতে থাকে একাকীত্ব।
কিছুটা স্বাভাবিক
হতে থাকে ধীরে ধীরে।
.
.
মেয়েটি সহ্য করতে পারত না ছেলেটির এমন
বদলে যাওয়া।তারপর ও অপেক্ষা করত আবার সেই
মধুর দিনগুলো ফিরে পাবার।এভাবে কেটে যায়
৩টি বছর।ছেলেটিকে অনেক বুঝিয়েও কোন
পরিবর্তন আসেনা ছেলেটির
মাঝে।এদিকে মেয়েটির অনার্স শেষ পর্যায়ে আর
বাসা থেকে প্রতিনিয়ত বিয়ের জন্য চাপ
বাড়তে থাকে।মেয়েটি ছেলেটিকে বলে বিয়ে করতে।
কিন্তু ছেলেটি সোজা জানিয়ে দেয় যে তার
পক্ষে এখন বিয়ে করা সম্ভব না।কারণ তার বড়
বোন এখন ও অবিবাহিতা।
২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:২৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন:
আপনার পোষ্টের লাইনগুলোকে দয়া করে গুছিয়ে প্রকাশ করুন। আপনি কি মোবাইল থেকে এই লেখাটি লিখেছেন?
আপনার পোষ্টটি এখন এইভাবে দেখা যাচ্ছে-
সেই কখন থেকে খাবার
রান্না করে বসে আছে মেয়েটি।অপেক্ষা শুধুই
ছেলেটির জন্য।ছেলেটি কল রিসিভ
করলে তারা একসাথে খেতে বসবে।প্রায় ৪
ঘন্টা হতে চলেছে,কিন্তু ছেলেটি কল রিসিভ
করছে না।রাত বাড়ার সাথে সাথে মেয়েটির
চিন্তা বাড়তে থাকে।এ ছাড়া আর কোন উপায় ও
তো নেই মেয়েটির কাছে।আর কিই
বা করতে পারে সে এত দূর থেকে।
যদি আপনি ইচ্ছেকৃত ভাবে লাইনগুলো এইভাবে না লিখে থাকেন, তাহলে লাইনগুলো নিচের মত করে দেখা যাবার কথা-
সেই কখন থেকে খাবার রান্না করে বসে আছে মেয়েটি।অপেক্ষা শুধুই
ছেলেটির জন্য।ছেলেটি কল রিসিভ করলে তারা একসাথে খেতে বসবে।প্রায় ৪
ঘন্টা হতে চলেছে,কিন্তু ছেলেটি কল রিসিভ করছে না।রাত বাড়ার সাথে সাথে মেয়েটির চিন্তা বাড়তে থাকে।এ ছাড়া আর কোন উপায় ও তো নেই মেয়েটির কাছে। আর কিইবা করতে পারে সে এত দূর থেকে। ...........
যদি আমার সঠিক বলে থাকি, তাহলে অনুগ্রহ করে তা সংশোধন করে নিন।
শুভ ব্লগিং।
৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩২
নেক্সাস বলেছেন: আমি ভাবলাম কবিতা। লিখাগুলো লাইন বাই লাইন গুছিয়ে গদ্যাকার লিখুন।
হ্যাপি ব্লগিং
৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০২
রাবেয়া রাবু বলেছেন: @কাল্পনিক_ভালবাসা & @নেক্সাস , আপনাদের মূল্যবান পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ ..
মোবাইল থেকে লেখা এবং মোবাইল থেকেই পোষ্ট করা বিধায় এই সমস্যাটা হয়েছে । আন্তরিকভাবে দুঃখিত
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:১৩
ফয়েজুল হাসান বলেছেন: একাকীত্বের যন্ত্রণা বড়ই কষ্টের, আর মনের মানুষ চিটারী করলে তা হয়ে উঠে সহ্যের বাহিরে।