![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সর্বস্বত্ত লেখকের
একুশে ফেব্রুয়ারী আমাদের গর্ব। এ গর্ব অর্জিত হয়েছে বুকের রক্তের বিনিময়ে। ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছেন এমন জাতি পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া দুস্কর। প্রাণের বিনিময়ে আমরা আমাদের মাতৃভাষার সন্মান রেখেছিলাম। পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী যেমন আমাদের দাবীকে অগ্রাহ্য করতে পারেনি তেমনি দেরিতে হলেও পৃথিবীবাসীও আমাদের এ ত্যাগকে স্বীকৃতি দিতে দ্বিধা করেননি। আমাদের এ ত্যাগের স্বীকৃতি স্বরূপ বিশ্ববাসী একুশে ফেব্রুয়ারীকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করছে। পৃথিবীর প্রত্যেক প্রান্তের মানুষ এখন জানে একুশে ফ্রেব্রুয়ারীর ইতিহাস।
বিপরীত দিক থেকে চিন্তা করলে নিজের মাতৃভাষা নিজের দেশেই অবহেলিত এমন একটি দেশের নাম খুঁজতে গেলে আমাদের এই বঙ্গদেশ ছাড়া অন্যকোন দেশ খুঁজে পাওয়াও দুস্কর হবে। আমাদের নীতিনির্ধারক ও বুদ্ধিজিবীগণ বিভিন্ন সভা, সেমিনারে সর্বস্তরে বাংলা ভাষা ব্যবহারের প্রসঙ্গটির অবতারণা করেন। এ প্রসঙ্গে সর্বস্তরে মাতৃভাষা ব্যবহার সংক্রান্ত একটি আইনের কথাও আমি জানি। এ আইনে আছে কোন বিদেশী সংস্থা, রাষ্ট্রের সাথে যোগাযোগ ব্যতিত অফিস আদালতের সব পত্রাদি বাংলায় লিখতে হবে। এর ব্যত্তয় ঘটলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তির বিধানও আছে। এ আইনের ব্যত্তয় সব সময়ই ঘটছে, তবে এর কারণে কোন কর্মকর্তার শাস্তি হয়েছে তা আমার জানা নেই। যাহোক, এগুলো সরকারের নীতিনির্ধারণী বিষয় এবং এ নিয়ে প্রশ্ন তোলা আমাদের মতো মূর্খদের মানায় না এবং এ বিষয়টি আমার আজকের আলোচনার বিষয়ও নয়। আমার আলোচনার বিষয়টি খুবই সাধারণ এবং আমরা সাধারণ মানুষরা ইচ্ছা করলেই এর প্রতিফলন ঘটাতে পারি। সরকারের নীতিনির্ধারণী মহলের এখানে সাহায্য কিংবা সহযোগীতার কোন প্রয়োজন নেই।
পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশের মানুষের নাম তাদের মাতৃভাষায় রাখা হয়। সেটা আরবী, ফারসী, ইংরেজি, চাইনিজ, আফ্রিকানা যে ভাষাভাষী হোন না কেন। কিন্তু ধর্মীয় আবেগের কারণে আমাদের দেশের বেশিরভাগ লোক আরবীতে নাম রাখাটাকে ধর্মীয় দায়িত্ব বলে মনে করেন এবং এগুলোকে ইসলামী নাম বলে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু সাধারণ পর্যবেক্ষণে আমার কাছে মনে হয় ইসলামী নাম বলে আলাদা কোন নাম নেই বরং এগুলোকে আরবী নাম বলাই অধিক যুক্তিসংগত। কারণ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পূর্বে এবং পরে রাসুল্লাহ কিংবা তার ঘনিষ্ঠ সাহাবাদের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে তা আমাদের জানা নেই। বরং পৌত্তলিক থাকা অবস্থায় তাদের যে নাম ছিল ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পরও তারা সে নামেই পরিচিত ছিলেন, ক্ষেত্রবিশেষে হয়তো কাউকে বিভিন্ন রকমের উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছে। কাজেই এটা প্রতীয়মান যে, ইসলামের আলাদ কোন নাম নেই বরং তারা তাদের মাতৃভাষা অর্থাৎ আরবী নামেই আগাগোড়া পরিচিত ছিলেন। তাছাড়া আরবের যারা বিধর্মী তারাও তাঁদের নাম আরবীতেই রাখেন যা সাধারণভাবে দেখলে মনে হতে পারে এগুলো মুসলিম নাম। উপসাগরীয় যুদ্ধের সময়ে ইরাকের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ছিলেন তারেক আজিজ। তিনি পরে ইরাকের উপ-প্রধানমন্ত্রীও ছিলেন। এদেশের অনেক মানুষের মতোই আমি ভদ্রলোককে মুসলমান বলে মনে করতাম। তবে পরবর্তীতে তিনি মার্কিন সৈন্যদের হাতে গ্রেফতার হলে আমরা জানতে পারি তিনি রোমান ক্যথলিক ছিলেন। কাজেই বিষয়টি স্পষ্ট আরবভুমিতে বসবাসরত মুসলমান ও অন্যান্য ধর্মালম্বীরা তাদের নাম আরবীতেই রাখেন। ঠিক একইভাবে তুরস্কের মুলমানগণ তাদের নাম তুর্কী ভাষায়, ইরানের (পারস্যের) মুসলমানগণ তাদের নাম ফারসী ভাষায় এবং আফ্রিকার অনেক দেশের মুসলমানগণ তাদের নাম তাদের স্বভাষায় রেখে থাকেন। এখানে উল্লেখ্ করা যায় আমাদের প্রতিবেশী ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মিসেস ইন্দিরা গান্ধীর স্বামীর নাম ছিল ফিরোজ। নামের দিক থেকে বিবেচনা করলে তাকে মুসলমান বলাই যুক্তিসংগত। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তিনি একজন ইরানী বংশোদ্ভূত অগ্নিপূজারী ছিলেন এবং তার নামটি তার মাতৃভাষা ফারসীতে রাখা হয়েছিলো। কাজেই এখানেও আরবী কিংবা ফারসীতে নাম রাখা মানেই ইসলামের অনুসরণ-- এই ধারণাটিকে ভুল প্রমাণিত করে বরং মাতৃভাষাতে নাম রাখার রেওয়াজটিকেই প্রতিষ্ঠিত করে।
উপরের বিষয়গুলো প্রমাণ করে আরবীতে নাম রাখার বিষয়ে ধর্মের দিক থেকে কোন বাধ্যবাদকতা নেই বরং নিজ ভাষার প্রতি সন্মান দেখিয়েই আমাদের মাতৃভাষায়ই নাম রাখা উচিৎ। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলেও সত্য আমরা সম্ভবত পৃথিবীর সেই অল্পকয়েক ভাষাভাষীদের একজন যারা নিজের মাতৃভাষায় নাম রাখতে কুন্ঠাবোধ করি।কিন্তু আমাদের নিজেদের অস্তিত্বের স্বার্থেই আমাদের এই রেওয়াজটির পরিবর্তন ঘটাতে হবে, নিজের মাতৃভাষায় নাম রাখতে হবে। কারণ ভয় হয়, এতদ অঞ্চলে ইংরেজী, হিন্দী ও আরবী ভাষার আগ্রাসনের কারণে বাংলাভাষাটি হয়তো একদিন পৃথিবী থেকে বিলীন হয়ে যাবে। আর এ বিলীনের মাঝেও আমাদের সন্তানদের নামের সাথে বাংলা নামটি থাকলে কোনো গবেষক হয়তো গবেষণা করে বলবেন এটা বিলুপ্ত বাংলা শব্দ। একটি আত্ববিস্মৃত জাতি হিসেবে আমাদের এর চেয়ে আর বেশি কিবা চাওয়ার কিংবা পাওয়ার থাকতে পারে?
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:১১
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:২৬
আরিফুর রহমান বলেছেন: একটি আত্ববিস্মৃত জাতি
আমরা সত্যই।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:৪২
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: উপলব্ধি করার জন্য ধন্যবাদ।
৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:৩৮
অচেনা বাঙালি বলেছেন:
আচ্ছা আপনে কে কনতো?
এই বিষয়ে আমার সাথে আপনার কথা অক্ষরে অক্ষরে কিভাবে মিলে?
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:৪৩
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: আমি স্বপন, সাধারণ একজন আমজনতা। সম্ভবত একই মতাদর্শের তাই এতো মিল।
৪| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:৪৭
শান্তির দেবদূত বলেছেন: আপনার সাথে একমত, কিন্তু যতটুকু বাংলা ব্যাকরন মনে পরে বাংলায় ৫ প্রকারের শব্দ আছে, ১. দেশি ২.বিদেশি ৩. ত্বতসম ৪. অর্ধ ত্বতসম ৫. সংস্কিত। এবং এদের মধ্যে খাটি বাংলা শব্দ সবচেয়ে কম।
আপনার কথা মত খাটি বাংলায় নামে লিখলে নাম রাখতে হবে, "কুলা, তেনা, ছালি, তালি, " ইত্যাদি।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:৫০
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: আপনি যে নিকটা ব্যবহার করছেন সেটি কোন ভাষার?
৫| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:৪৪
ইলা বলেছেন: আমার নাম টা কিন্তু বাংলায় রেখেছেন আমার মা।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:৫৩
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: 'মধুর আমার মায়ের হাসি চাঁদের মুখে ঝড়ে, মাকে মনে পড়ে আমার মাকে মনে পড়ে'।
৬| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:০৬
পরশ পাথর বলেছেন: ঠিক বলছেন। আমাদের ডাক নাম যদিও বাংলা শব্দের হয়, কিন্তু আসল নাম রাখা হয় আরবিতে।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:১৭
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: একমত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
৭| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:১০
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
শুধু প্লাস দিয়ে গেলাম- আলোচনায় অংশ নিতে পারলাম না বলে দুঃখিত।
মন-মেজাজ খুব খারাপ......
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:১৫
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: কেন ভাই, কী হইসে? ভাবীর সাথে ঝগড়া হইছে।
৮| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:২২
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
নাহ, আপনার ভাবির সাথে ঝগড়া হলেও এত মনমেজাজ খারাপ হয় না (দুজনই দুজনকে বুঝতে পারি.....)......
এই সা.ইনে ঢুকলেই মেজাজটা খারাপ হয়ে যায়.......
রাজাকাররা লাফালাফি করবে- এটাই স্বাভাবিক, কিন্তু এই ব্লগের কর্তৃপক্ষও তাদের তোষণ করবে- আর যারা রাজাকারদের বিরোধিতা করবে- তাদের ব্যান করবে- এটা কেমন করে মেনে নেয়া যায়........
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:২৮
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: মেনে নেয়া যায়না কোন অবস্থায়ই নয়।
৯| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:২৪
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
স্বপন,
এই পোস্ট টা পড়বেন- ধৈর্য ধরে.........
Click This Link
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৮:৫৩
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: পড়েছি এবং মন্তব্য করেছি।
অবিলম্বে আবারও আপনার ব্যান মুক্তি দাবী করছি।
১০| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৭
উন্মনা রহমান বলেছেন:
ভাল হয়েছে। কিন্তুক এবিষয়ে মওলানাদের অভিমত কী? কোন আয়াত, হাদিস বা ফতোয়া আছে কিনা? (শুধুই কৌতুহল)
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:২৪
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: ব্লগেতো অনেক মওলানা আছেন। দেখেন, তারা কী বলেন।
১১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৯
প্রণব আচার্য্য বলেছেন: সহমত
+
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ২:২৬
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: ধন্যবাদ।
১২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ৮:৩৮
স্বাধীনতা তুমি বলেছেন:
লেখককে ধন্যবাদ, কারন আমার মেয়ের নাম রাখার সময় এরূপ সমস্যার সম্মুখিন হয়েছিলাম '৯৪-এ। ১৯৯৪ সালের ৩রা সেপ্টেম্বর আমার মেয়ের জন্ম হয়।
নামের বিষয়টি নিয়ে আমার নিজের মধ্যেই একটা বিতর্ক চলতো শৈশব থেকে। যখনই আমাদের পরিবারে কেউ জন্ম গ্রহন করতো তখন নাম রাখার একটা প্রতিযোগিতা পড়ে যেত যেন সকলের মধ্যে। কারণ যার নামটা সব থেকে সুন্দর হবে, তার নামটায় যে রাখা হবে। আমি হেরে যেতাম বারবার। কারণ আমি সর্বক্ষনই বাংলা শব্দ দিয়ে নাম পছন্দ করতাম, কিন্তু সকলেই আমার দেয়া নামটা বাতিল করে দিত, হিন্দুর নাম বলে। মনটা খারাপ হয়ে যেত প্রতিবারেই। তখন থেকে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম আমি আমার সন্তানের নাম আমি নিজেই রাখবো, অন্য কারও নাম রাখাটাকে প্রধান্য দিবো না।
আমার মেয়ে যখন ওর মায়ের গর্ভে আসলো এবং এ সংবাদটা আমি যখন শুনলাম, তখনই আমি আল্লাহর কাছে দু'হাত তুলে প্রার্থনা করেছিলাম, "হে প্রভূ, আমার স্ত্রীর গর্ভে যে সন্তান দিয়েছো, তাকে তুমি মেয়ে রূপে পাঠিয়ো"। এ প্রর্থনার এই উদ্দেশ্য ছিল যে, আমাদের সমাজে প্রচলিত একটি কথা আমাকে ভীষন ব্যথিত করতো তা হলো, মেয়েরা কখনই বংশের ধারা রক্ষা করে না, শুধু ছেলে সন্তানরই নাকি এ অধিকার। তায় যদি প্রথম সন্তান ছেলে না হয়ে মেয়ে হয় তাহলে ঐ মাকে অনেক যাতনা সহ্য করতে হয় আমাদের সমাজে। এ জন্য আমি আমার স্ত্রী এবং মাকে (আমার বাবা তখন গত হয়ে গিয়েছিলেন) বললাম, "দেখ, যদি আমার মেয়ে সন্তান হয়, তাহলে আমি আর কোন সন্তান নেবো না। কিন্তু যদি ছেলে সন্তান হয় তাহলে যতক্ষন না আমার মেয়ে সন্তান হবে ততক্ষন পর্যন্ত সন্তান নিতে থাকবো।" সকলে আমার কথা শুনে হতবাক। সকলে যেন একবাক্যে বললো, "এতো দেখছি তুই একেবারে উল্টো কথা বলছিস, যদি কারও প্রথমে মেয়ে হয় তাহলে যতক্ষন না ছেলে হয় ততক্ষন সন্তান নেবার চেষ্টা করে, আর তুই বলছিস একেবারে উল্টো কথা।" আমি আর তাদের সাথে এ বিতর্কে গেলাম না শুধু বললাম, "এটায় আমার শেষ কথা"।
এরপর যখন এলো সেই শুভক্ষনটা অর্থাৎ আমার মেয়ের জন্মের মূহুর্তটি এবং আমার মেয়েকে আমার মা আমার কোলে তুলে দিয়ে বললো, "আল্লাহ তোর কথা শুনেছে, তোর মেয়ে হয়েছে, এই দেখ তোর মেয়েকে"! আমি কি যে আনন্দিত হয়েছিলাম সেদিন তা আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। আমি ঐ মূহুর্তে আমার মেয়েকে দু'হাতে উপরে তুলে ধরে চিৎকার দিয়ে সকলকে বললাম, "আমি আমার মেয়ের নাম রাখলাম 'প্রিয়ংবদা পিকী রঞ্জিনী'। আমার কথা শুনে সকলেই যেন হতভম্ব। সকলই চুপচাপ, কারও মুখে কোন শব্দ নেই।
এর দু'দিন পর আমার মা, ভাই এবং আমার শশুর বাড়ীর আত্মীয় স্বজন আমাকে ডেকে বললো, "দেখ, তোমার আগের কথাটা আমরা মেনে নিয়েছি যে তোমার মেয়ে হলে তুমি আর কোন সন্তান নিবে না, কিন্তু আমাদের সকলেরই একটা আপত্তি এই যে, তুমি যে নামটা রেখেছো তা রাখতে পারবে না। কারণ এটা একটা হিন্দুয়ানী নাম। নামটা রাখতে হবে ইসলামীক দৃষ্টিতে"। ওদের কথা শেষ হলে আমি বললাম, "আমি জানিনা নামের ক্ষেত্রে তোমরা ইসলামীক দৃষ্টি কি। আল-কোরআনে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ আছে যে, (এক)- পৃথিবীতে যত ভাষা আছে তা আল্লাহ তায়ালাই সৃষ্টি করেছেন, (দুই)- তোমরা তোমাদের সন্তানদের অর্থবহ নাম রাখো। তবে কেন ভাবছো বাংলা ভাষার কোন শব্দ দিয়ে নাম রাখলে সেটা হিন্দুয়ানী নাম হয়। আমি যে নাম রেখেছি সেটায় থাকবে, এর কোন পরিবর্তন হবে না। কেউ যদি আমার মেয়ের নাম শুনে তাকে হিন্দু ভাবে আমার তাতে কিছু যায় আসে না, তবে আমি খুব খুশি হবো যদি আমার মেয়ের নাম শুনে কেউ যদি তাকে বাঙ্গালী ভাবে তাতে।
এর পরের কথা, আমি এখন অব্দি আর কোন সন্তান নেইনি। কিন্তু নামের ক্ষেত্রে, যে তার নাম শুনে, তাকে প্রথমত হিন্দু ভাবে। আমার মেয়ে একটি ইংলিশ মেডিয়াম স্কুলে পড়ে। তার সহপাঠীদের মা বাবারাও আমার মেয়েকে হিন্দু বলে মনে করতো বহুদিন যাবৎ। একবার অর্থাৎ আমার মেয়ে যখন স্ট্যান্ডার্ড ত্রির ছাত্রী তখন সে তার তিনজন সহপাঠীর বাবা মাকে দাওয়াত দিতে বরলো ঈদে। আমি তখন তাদের ঈদের দাওয়াত দিলাম এবং আমাদের বাসায় আসতে বললাম। আমার কথা শুনে তারা যেন মুখ চাওয়া-চাওয়ি করতে লাগলো। আমি ওদের অবস্থা দেখে বিষয়টা বেশ বুঝতে পারলাম এবং তাদেরকে বললাম, "বুঝতে পেরেছি, আমার মেয়ের নাম শুনে এতদিন মনে করেছেন যে আমরা হিন্দু, আসলে তা নয়, আমরা মুসলমান"। আমার কথা শুনে যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলো যেন তারা। তাদের মধ্যে একজন বললো, "ভাই, নামের জন্য আপনার মেয়ে এ স্কুলে সকলের কাছেই পরিচিত, কারণ আপনার মেয়ের নামটা একেবাই আনকমন এবং আমরা সকলেই ভাবতাম আপনারা হিন্দু"। আমি তাদের কথার আর কোন উত্তর দিলাম না, আবার তাদেরকে ঈদের দিন আমাদের বাসায় আসার কথা বলে চলে আসলাম। চলে আসার পরে মনে মনে বললাম, "হে মোর বাঙ্গালী, এখনও রয়ে গেলে হিন্দুত্বের মধ্যেই"।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৮:৪১
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য। এ বিষয়ে আমার নিজেরও একটা অভিজ্ঞতা আছে। কয়েকমাস আগে আমার ভাগ্নী হয়েছে। আদর করে আমি তাকে বাবু বাবু বলে ডাকি। আমার এক জ্ঞাতি চাচা আমাকে এই নামে ডাকার জন্য নিষেধ করলেন, কারণ তার মতে এটি হিন্দু নাম। আমি তাকে বললাম হিন্দু না, বরং বলা যেতে পারে বাংলা নাম। তখনই আমার মনে হয়েছিলো মাতৃভাষায় নাম রাখা নিয়ে ব্লগে কিছা একটা লিখবো।
আপনার লেখা পড়ে মনে হলো আপনার নিজের মেয়ে হওয়া সত্বেও তার বাংলা নাম রাখতে গিয়ে আপনাকে যথারীতি সংগ্রাম করতে হয়েছে। যারা বাংলাকে হিন্দুর ভাষা বলে থাকেন এবং বাংলা নামকে হিন্দু নাম বলে থাকেন তাদের জন্য মর্ধযুগের কবি আব্দুল হাকিমের কবিতার দু'চরণই যথেষ্ট।
'যে সবে বঙ্গেত জন্মে হিংসে বঙ্গবাণী
সে সব কাহার জন্মনির্ণয় ন জানি'
আপনার প্রিয়ংবদার জন্য রইল অনেক অনেক ভালোবাসা ও শুভেচ্ছ।
১৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ৯:০৭
ধ্রুব বলেছেন: সহমত। ৫+
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ২:২৭
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৪| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৮:৪৮
নরাধম বলেছেন: স্বাধীনতা তুমি, আপনি আমার শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে গেলেন। আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
পোস্ট খুব ভাল হয়েছে। আমি পোস্টের বক্তব্যের সাথে একমত। প্লাসাইলাম। অনেক ধন্যবাদ।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১১:১১
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৫| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:৫৩
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
আমি কিন্তু ব্যান না,
পোস্ট টা আবার পড়েন, এখন কিছু আপডেট করা হয়েছে......
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১১:২৭
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: আবারও পড়েছি আবারও মন্তব্য করেছি।
ধন্যবাদ।
১৬| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:৫৫
আলেকজান্ডার ডেনড্রাইট বলেছেন: ফেব্রুয়ারী.. পাকিস্তানী.. দাবী... বুদ্ধিজিবীগণ... আরবী.........চৌদ্দ গন্ডা ভুল বানান লিখিয়া অন্তঃসার শূণ্য ভাষা প্রেম প্রকাশ করা হইতেছে। বেওকুফ আর কাহাকে বলে? শেখ হাসিনা শব্দ দ্বয়ের অর্থ জানেন? "সুন্দরী বুড়ি"!!
তাহার পূর্বে বঙ্গবন্ধু, আহমদ শরীফ, হুমায়ুন আজাদ, দাউদ হায়দার, তসলিমা নাসরিন প্রমূখের ম্লেচ্ছ আরবি জাতীয় নাম পরিবর্তন করিতে হইবেক। অতঃপর আমরা নতুন প্রজন্ম উহা ভাবিয়া দেখিতে পারি....উহার পূর্বে নহে।
আগে মশাই ২১ শে ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে আটই ফাল্গুন পালনের ব্যবস্থা করেন......ইংরেজি বর্ষ পঞ্জি ধরিয়া চলিয়া তো বাংলা বর্ষ পঞ্জিকাকে অচল করিয়া দিলেন।
"কিন্তু সাধারণ পর্যবেক্ষণে আমার কাছে মনে হয় ইসলামী নাম বলে আলাদা কোন নাম নেই বরং এগুলোকে আরবী নাম বলাই অধিক যুক্তিসংগত।"............
রাম ছাগল... ম্লেচ্ছদের কয়েকটা ধর্ম পুস্তক পড়িয়া আস। সাধারণ পর্যবেক্ষণ বলিয়া নিজের ব্যক্তি মত দিয়া ধর্ম রীতি পরিবর্তন করা যাইবেনা। উহাতে লিখা আছে......স্বর্গের ভাষা আরবি এবং পরকালে আরবিতেই প্রশ্ন করা হইবে, এবং উহা সকল ভাষাভাষীর কাছে বোধগম্য হইবে। ম্লেচ্ছদের ধর্মীয় বা দাপ্তরিক ভাষা আরবি.....উহাতে নাম না রাখিলে.....পরকালে 'বেআরবি' না ধরিয়া যখন ডাকা হইবে তখন সে লজ্জায় পড়িয়া যাইবে.........
আর যাহারা ম্লেচ্ছর ঘরে জন্ম নিয়া বলে তাহাদের ধর্মীয় পরিচয় বা বিশ্বাসের দরকার নাই, ঈদ, রোজা, কুরবানি করিতে চায় না......তাহারা পশু পাখির নামে সন্তানদিগের নাম রাখিতে পারে...সেই পূর্ণ স্বাধীনতা রহিয়াছে। নচেৎ ব্যক্তি বিশ্বাস আর সংস্কৃতি উপর খবরদারি না করাই উত্তম।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১১:০৬
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: পাবনা থাইকা কবে আইছেন ভাই?
এতো আরবী আরবী করতাছেন, স্বর্গ কোন ভাষা ভাই, আপনি কী স্বর্গে যাবেন না বেহেস্ত যাবেন ?
খুব ভালো ব্যবহার করলাম, কমেন্টটাও মুছলাম না, কারণ রামছাগলটাকে ব্লগের সবাই চিনুক।
ভাই ধর্মপাগল আপনার নিকটা কোন ভাষার, একটা আরবী নিক না রাইখা ইংরাজি নিক লাগাইছেন কে ভাই?
নিকটা বদলান, গাউছুল আজম রাখেন।
১৭| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১২:৩৩
স্বাধীনতা তুমি বলেছেন:
@আলেকজান্ডার ডেনড্রাইট
ব্রাদার, আপনার স্বর্গের ঠিকানাটা কোথায়? কি নাম তার? যেখানে শুধু আরবীতে কথা বলা হবে, আরবী শব্দের নামওয়ালাদের নাম ধরে ডাকা হবে। ওহ্, তায় বুঝি আরবী নাম বদলাইয়া পুংটামীর জন্য এখানে ইংরাজী নামে প্রবেশ করছেন? যেন এই নামে স্বর্গে আপনারে খুঁইজা না পায় পেদানী দেয়ার জন্যে? ব্রাদার আপনি তো দেখি শয়তানরেও হার মানাইলেন।
শয়তান আল্লাহরে যখন কইছিল, আল্লাহ আমি তোমার বান্দারে এখন থেইকা বিপথগামু করমু, তাই আমার নাম ইবলিসের বদলে সিবলিস রাখলাম, যেন তুমি আমারে আখেরাতে খুঁইজা না পাও। কারণ আমার আরবী নামটা রাখলাম স্বর্গে যাবার জন্যে, আর সিবলিস নামটা দিয়া দুনিয়াতে পুংটামী কইরা বেড়াইমু। কি মজা হইবো তাইনা? বেটা শয়তান তা করেনি, বেটায় দেখি এক্কেবারেই বেকুব, কেন যে তখন আপনের মতন উস্তাদরে খঁইজা পায়নি।
ব্রাদার, হাত জোড় করে বলছি যে আপনারা আবাল হাদিস বানায়েন না, আবাল হাদিসের ভারে প্রকৃত হাদিস গুলি তলিয়ে গেছে। আল-কোরআনে যে আয়াতে বলা আছে যে পৃথিবীর সমস্ত ভাষা আল্লাহর সৃষ্টি, সে আয়াতটাকে কি করবেন? আপনাদের আলেমরা কি এখন থেকে সে আয়াতটাকে কি মুছে ফেলবেন? তাহলে কি আপনারা ঐ একই ষড়যন্ত্রে কি লিপ্ত হচ্ছেন, যেমনি তাওরাত, যবুর, ইঞ্জিল কে বিতর্কিত করেছিল তৎকালীন মতলববাজ ধর্মব্যবসায়ীরা ঐসব ধর্ম গ্রন্থকে বিকৃত করে? সাবধান ব্রদার সাবধন, ধর্ম সম্পর্কে একটি মন্তব্য করার আগে আপনাদের পীরদের মত পাঁচ মিনিট মুরাকাবায় বসে সিদ্ধান্ত নিন কি বলবেন। আল্লাহ আপনার প্রতি সহায় হোক। আমিন।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১২:৫৭
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: ছুম্মা আমিন।
১৮| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:০৪
উন্মনা রহমান বলেছেন:
সৌদিতে গিয়ে একজন বাংলদেশী এক অফিসে দেখেন আরবীতে লেখা একটা কাগজের বোর্ড মেঝেতে পড়ে আছে। তিনি শ্রদ্ধাভরে সেটা তুলে চুমু খাচ্ছিলেন। তখন ওখানে অনেকদিন থাকেন এমন আরেকজন বাংলাদেশী দেখে বললেন, আপনি কি জানেন ওটায় কী লেখা আছে? লেখা আছে- টয়লেট। ঐ সামনের টয়লেটে ওটা লাগানো ছিল, খুলে পড়ে গেছে।
এই গল্পটা শুনেছিলাম একজনের কাছে।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ২:০২
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: আপনার মন্তব্যটি পড়ে হাসি পায় আবার কষ্টও লাগে।
এটা এই প্রমাণ করে আমরা না বুঝে, না শিখে, বুদ্ধির ব্যবহার না করে কতোটা অন্ধভাবে ধর্মের অনুসরণ করি।
ধন্যবাদ।
১৯| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:১৯
ইলা বলেছেন: হা হা হা এতো মজার মজার কমেন্ট! বেশ জমে উঠেছে এ আসর। অনেকটা সময় নিয়ে পড়লাম আপনার লেখা ও মন্তব্যগুলো। এখানে মূলতঃ দুিট বিষয় গুরুত্ব পেয়েছে।
প্রথমতঃ বাংলা ভাষা ব্যবহারে তাচ্ছিল্য ও অন্য ভাষায় বিেশষ করে আরবী ভাষায় শিশুদের নাম রাখার প্রতি আগ্রহ।
প্রথমতঃ বাংলা ভাষা লেখার কথা বলি। আমরা ছোট েবলায় বর্ণ মালা বইতে লেজ উঁচিয়ে থাকা লী-কার নামে একটি বর্ণ দেখতাম যা আজ আর দেখা যায় না। ও বেটার না হয় ব্যবহার ছিল না কিন্তু চন্দ্র িবন্দু ব্যাটার এই দুর্দশা কেন। এখন আর দুঃখ পেলে 'কাঁদা' সম্ভব নয় কারন তা এখন 'কাদা' হয়ে গেছে। 'বাঁশি'তে আগের মত সুর হয় না কারন তা 'বাশি' হয়ে গেছে। দেখুন তো বাংলা ভাষা লেখায় আমরা কত আধুনিক।
দ্বিতীয়তঃ আপনি দেখছি আরবী ভাষায় নাম রাখার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বাংলা ভাষার পরিবর্তে ইংরেজী ভাষায় যে কত নাম যেমন- বিউটি, কুইন, ওসান, হ্যাপি, লিলি, আপেল, ডলার, ডলি, মুন আরো কত কি। আরবী ভাষায় নামের পাশে এগুলোও তুলে ধরা উচিত ছিল।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:৫৮
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: 'আরবী ভাষার প্রতি আমি ক্ষোভ দেখিয়েছি' এই অভিযোগটা কীসের ভিত্তিতে করলেন তা আমার বোধগম্য নয়। আমি বাংলাকে অর্থাৎ নিজের ভাষাকে গুরুত্ব দিতে বলেছি, আরবীকে অসন্মান করিনি।
আমি কিন্তু ইংরেজি কিংবা হিন্দী ভাষাকেও আমাদের জন্য আগ্রাসী ভাষা বলেছি। ইংরেজির প্রতি কোনো প্রীতি দেখাইনি।
গুরুত্ব সহকারে পড়ার জন্য এবং গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
২০| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:২৭
দিনমজুর বলেছেন:
অচেনা বাঙালির পোস্টে নিচের কমেন্ট করেছিলাম- রিলেভেন্ট হতে পারে তাই এখানেও তুলে দিচ্ছিঃ
আমি ক'টা কথা বলি......
আমার মনে হয়, এই যে- বাঙলাকে হিন্দুর ভাষা বলে ঘৃণা করা - এর কারণ সম্ভবত- বাঙলা সাহিত্যের বড় অংশই হিন্দু পুরান আশ্রয়ী, বিশেষ করে আদি যুগ ও মধ্য যুগের সাহিত্য তো বটেই- সেখানে রাধা-কৃষ্ণ, সীতা-রাম-রাবন থেকে বিষ্ণু-শিব-পার্বতি-ভগবান প্রভৃতি বারেবারে ঘুরে ফিরে এসেছে। এমনকি এখনও গানের ক্ষেত্রে- প্রেম রাধা-কৃষ্ণকে ছাড়া যেন চলেই না, সিনেমাতেও এখানকার মিথ নিতে হলেও সেই সীতা-জগদ্ধাত্রী মাতাকেই টানতে হয়.....
মুসলিম কবি নজরুলও যখন বিদ্রোহী লেখেন- তখন পুরানকে এভোয়েড করতে পারেন না- ভৃগু, পিণাক পানি, ডমরু ত্রিশুল, পরশুরামের কঠোর কুঠার এমন অসংখ্য উপাদানের পাশে জিব্রাইল-হাবিয়া দোজখ হাতে-গোনা কয়েকটি উপাদান পাওয়া যায়.....
এই কারণে একটা ভাষাকে একটা সাম্প্রদায়িক রূপ দেয়ার সাথে- এখানকার মুসলমানদের সাম্প্রদায়িকতার চর্চাকে ভিন্ন করে দেখার কোন মানে নেই....। খোদ আরবী ভাষাতেও বিভিন্ন দেবদেবিকে স্তুতি করে অসংখ্য কবিতা-গান রচিত হয়েছে, এবং মুহাম্মদ সা. এর আবির্ভাবের পূর্বে তো সেটাই স্বাভাবিক- তাই বলে কি আরবী ভাষাকে পৌত্তলিকদের ভাষা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন মুহাম্মদ??? তেমনি এখানেও তাই। রাধা-কৃষ্ণ এখানকার মিথিকল ক্যারেক্টার- রাম-সীতা মিথিকল ক্যারেক্টর- শুধু হিন্দুদের দেবদেবি হিসাবে দেখার মধ্যেই একটা ভুল আছে। গ্রীক দেবদেবীদের নিয়ে যত সাহিত্য রচিত হয়েছে, আজও ঘুরে ফিরে পাশ্চাত্য সাহিত্যে তাদেরকে নিয়ে আসা হয়- তার মানে কি যারা ঐ মিথিকল ক্যারেক্টারগুলো সাহিত্যে ব্যবহার করছেন- তারা সেই দেবদেবীর অনুসারি হয়ে গেলেন???? এমন বিচারটিই হলো- সাম্প্রদায়িক বিচার!!!!!!!!!!
যাহোক- পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ, এবং বন্ধু না.ধ.কেও অনেক ধন্যবাদ তার গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার জন্য।
২১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:২৯
ত্রিভুজ বলেছেন:
@ইলা
ইংরেজী ভাষার নামগুলোতে সম্ভবত সমস্যা নেই... ইংরেজী ইসমাট(!)দের ভাষা! বাংলা একাডেমী'র এক অংশও কিন্তু ইংরেজী! তারা যখন সর্বস্তরে বাংলা প্রচলনের কথা বলে, তখন আমার হাসি পায়... : )
২২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:৩০
দিনমজুর বলেছেন:
এই পোস্টের সাথে খুব রিলেভেন্ট হবে এমন দুটি পোস্টের লিংকঃ
Click This Link
Click This Link
আশা করি- আপনারা পোস্ট দুটিও পড়বেন।
২৩| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:৩১
ত্রিভুজ বলেছেন:
@দিনমজুর
"বাঙলাকে হিন্দুর ভাষা বলে ঘৃণা করা.." - এটা কিসের ভিত্তিতে বললেন?
২৪| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:৩২
দিনমজুর বলেছেন:
অচেনা বাঙালির পোস্টে না.ধ. এবং অ.বা. এর দুটি কমেন্ট তুলে দিচ্ছিঃ
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
আগেই পড়েছিলাম এবং নিরবে + দিয়ে গিয়েছিলাম......
আসলে এনাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন না করে কোন উপায় নেই, কেননা তারাই তো বাঙ্গালি মুসলিমদের মুখ রক্ষা করেছিলেন। অথচ, আমাদের এখানকার সম্ভ্রান্ত মুসলমান বাঙ্গালি বরাবরই বাঙলা থেকে মুখ ঘুরে রেখেছে- বাঙলাকে হিন্দুর ভাষা বলে ঘৃণা করেছে- উর্দুকে আভিজাত্যের লক্ষণ বলে মনে করেছে.......
এবং সেই প্রভাব থেকে আজও আমরা মুক্ত নই, নামকরণের ক্ষেত্রে বাঙলা নাম রাখলেই হলো- সাথে সাথে অভিধা জুটে যায়- হিন্দুয়ানি নাম; অথচ- ইংলিশ/গ্রীক/রোমান নাম যাই রাখা হোক না কেন- ধর্ম নিয়ে টানাটানি হয় না.......
তাইতো মনে হয়- ওনাদের ঐ সংগ্রাম না থাকলে কি যে হতো- এত সংগ্রাম-আমাদের ভাষা আন্দোলনের পরও এখনও বাঙলা নামকে হিন্দুয়ানি বলা হয়- যদি ওনারা সময়মত সেই সংগ্রামটাও না চালাতেন- তবে কি আমরাও সেই বাঙলা থেকে মুখ ঘুরিয়ে রাখতাম কি-না........
আমরা বঙ্গালি মুসলমানরা সেসময়ই কাশ্মির থেকে আগত ব্যবসায়ি উর্দুভাষি নবাবকে নিয়ে যে পরিমাণ লম্ফ-ঝম্ফ করেছি এবং এখনও করি- তাতে আসলেই সন্দেহ হয়.........
এক্ষণে মনে করিয়ে দিতে হয় যে, এই আল এসলামকে কিন্তু সেই নবাবের ভাবাশ্রিত উর্দুপন্থী মোল্লাদের বিরুদ্ধে যথেস্ট সংগ্রাম চালাতে হয়েছে...... আল এসলামে প্রকাশিত উদ্ধৃতসমূহ একটু খেয়াল করে পড়লেই অনেক কিছু পরিস্কার হবে আশা করি.........
পরিশেষে, অচেনা বাঙালি কে অসংখ্য ধন্যবাদ, চমতকার পোস্টের জন্য....
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১১:৫২
লেখক বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ পড়া ও মন্তব্যের জন্য।
বাংলা নাম নিয়ে বাঙালি মুসলমানদের হীনমন্যতা মনটা খারাপ করে দেয়। এই বিষয়ে ফরহাদ উিদ্দন স্বপন তার পোস্টে একদম আমার মনের কথা বলেছেন। মানুষ শিক্ষিত হলে তার আত্ম মর্যাদা বাড়ার কথা । কিন্তু আমাদের মনে হয় আরো কমছে। আমার মেয়ের নাম বাংলা রাখা হয়েছে। দুই একজন নাম শুনে জিজ্ঞাস করে ভালো নাম কি? মানে টা এরকম যে বাংলা হলো খারাপ নাম আর ভালো হলো বিজাতীয় নাম!
দিন দিন বাচ্চার বাংলা নাম রাখার অবস্থা আরো খারাপ হচ্ছে। আগে তো তাও ডাক নাম বাংলা রাখা হতো। এখন সেটাও বাদ। রুমার মেয়ের নাম সুমাইয়া।
২৫| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:৩৫
দিনমজুর বলেছেন:
ত্রিভুজ,
লিংকের পোস্ট পড়েন।
অচেনা বাঙালির দুটি পোস্ট আছে.......
আবদুল হাকিমের কবিতা মনে আছে....
যে সবে বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গবানী.....
ওটা এখানকার সম্ভ্রান্ত মুসলমানদের উদ্দেশ্যে লেখা ছিলো......
২৬| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:৪৫
উন্মনা রহমান বলেছেন:
আরেকটা কথা শুনলাম। জানিনা সত্য কিনা। বাংলা একাডেমী সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিদেশী শব্দে দীর্ঘ-ঈ কার না হয়ে হ্রস্ব-ই কার ব্যবহার করা হবে। এর পরে কেউ একজন এই প্রশ্ন তোলে যে তাহলে বাংলা একাডেমীর সাইনবোর্ড এ বাংলা একাডেমি লিখতে হবে। যেহেতু এটা দেখতে অদ্ভূত লাগছে, তাই তখন বলা হলো- ব্যতিক্রম হিসেবে একাডেমী শব্দে দীর্ঘ-ঈ কার ব্যবহার করা যাবে!
জাপানী ভাষায় বিদেশী শব্দ লেখার জন্য আলাদা বর্ণমালা রয়েছে (কাতাকানা), আর চাইনিজ শব্দগুলোকে বলা হয় কান্জি। মূল জাপানী বর্ণমালা হলো হিরাগানা।
২৭| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:৪১
ত্রিভুজ বলেছেন:
আবদুল হাকিমের যুগ অনেক আগেই শেষ দিনমজুর। আপনি বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে এই মন্তব্য করতে পারেন না।
২৮| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:৪৭
সেলিম তাহের বলেছেন: off topic:
"এখন আর দুঃখ পেলে 'কাঁদা' সম্ভব নয় কারন তা এখন 'কাদা' হয়ে গেছে। 'বাঁশি'তে আগের মত সুর হয় না কারন তা 'বাশি' হয়ে গেছে।"
অমিত বাংলা প্রয়োগ রীতি বলুন বা প্রাকৃত প্রয়োগ রীতি-ই বলুন, কাঁদা আর বাঁশি- দু'টো শব্দেই চন্দ্রবিন্দুর ব্যবহর সর্ব্বসম্মতিক্রমে এখনো অপরিহার্য ও ব্যাকরণশুদ্ধ @ ইলা
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:০৭
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: উত্তর দেয়না কেন, ইলা?
২৯| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:৪৬
দিনমজুর বলেছেন:
ত্রিভুজ,
আমি তো এখনকার পরিপ্রেক্ষিতে আলোচনা করিনি........
এখনকার পরিপ্রেক্ষিতে কেন এখনও বাঙলা নামকে দেখলেই হিন্দুয়ানি নাম বলা হয় সেটা সম্পর্কিত একটা আলোচনা না.ধ. করতে গিয়ে বলেছিলেন- সেটার রুট সেই সময়কার মুসলমান বাঙালিদের বাঙলার প্রতি ঘৃণা- তার প্রেক্ষাপটে আমি একথাকটি বলেছিলাম- এ ঘৃণার কারণ কি কি হতে পারে.......
লিংক তুলে দিয়েছি, সাথে না.ধ. এর মন্তব্যও তুলে দিয়েছি..... বুঝতে সমস্যা হওয়ার তো কথা নয়!!
৩০| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:৪৬
অচেনা বাঙালি বলেছেন: হা হা হা দিনমজুর। আপনি খাসিকে ভায়াগ্রা খাওয়ানের চেষ্টা করতেছেন।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ২:০৪
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: বরং শ্রীপুরের বড়ি খাওয়ানোর চেষ্টা করা যেতে পারে।
৩১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:৪৯
দিনমজুর বলেছেন:
বুঝলাম না@অচেনা বাঙালি
৩২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ২:৩০
অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট, প্রিয়তে যোগ করলাম। মেয়ের নাম রাখতে গিয়ে টের পেয়েছি এখনো লেজে আরবী জুড়ে দেয়া থেকে বেরুনো কত কঠিন। আরো দুটো শিক্ষিত ও কুসংস্কারমুক্ত শেকড়ঘেষা প্রজন্ম পরই এই পরিবর্তন সম্ভব।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ২:৫০
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আচ্ছা, প্রিয় ভাইস্তির নামটা কী জানতে পারি?
৩৩| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ২:৩১
বামনী তুলাগাছ বলেছেন: +
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ২:৫১
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩৪| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ২:৩৫
ওবায়েদ বলেছেন: (বাংলা একাডেমী) এই একাডেমীটাকেও বাংলায় লিখতে হবে।
কোথায় পড়েছিলাম বাংলাদেশ নামটাও নাকি আরবি, তাহলে এই নামটাও পরিবর্তন করতে হবে।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ২:৪৭
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: কোন হাদিসে পাইছেন বাংলাদেশ আরবি? মনে হয় সুশীল রাজাকার, প্যাচ লাগাইতে আইছে।
সাবধান।
৩৫| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ২:৪৩
অচেনা বাঙালি বলেছেন: আরে গাধার বাচ্চা এক ভাষার শব্দ অন্য ভাষায় মিশে যায়। সেরকম হল একাডেমি। এইটা এখন বাংলা ভাষায় মিশে গেছে।@ উবাইয়েদ
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:৫৮
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: উবায়েদের কথার সাইজে মনে হয় সুশীল রাজাকার, প্যাচ লাগাইতে আইছে।
৩৬| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ২:৪৯
মৎসকন্যা বলেছেন: হুম, বাংলায় নাম রাখতে হবে।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:১৪
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: হুম।
৩৭| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ২:৫৩
ওবায়েদ বলেছেন: আমার আসলেই তেমন পড়ালেখা নাই। তারপর ও জানার জন্য প্যাচ লাগাই। এক ভাষার শব্দ অন্য ভাষায় মিশে যায় । সে রকম কি নাম গুলা মিশে যায়নি?
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:০০
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: কোন কিতাবে পাইছেন বাংলাদেশ আরবি? রেফারেন্স দেন।
৩৮| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:১৪
অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: আমার দেয়া নাম রাজকন্যা রহমান, আমার মা তার ডাক নাম দিয়েছেন বিসমি (প্রথম/শুরু)
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:১৬
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: ধন্যবাদ, রাজকন্যার জন্য রইলো অনেক অনেক ভালেবাসা ও শুভেচ্ছা।
৩৯| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:১১
ওবায়েদ বলেছেন: এই পোষ্ট টি দেখুন।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৮:৫৪
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: আমাদের দেশের কাঠমোল্লারা ওয়াজ করতে গেলে বেশি জোশ আইসা পড়লে নিজে নিজেই হাদিস বানায়। আপনিও তেমনি তর্কে জিতার জন্য ভূয়া লিংক পাঠাইলেন।
ভাই, বেশি চুলকানির ব্যারাম থাকলে কোন আরবী ঘোড়ার আস্তাবল খুঁজে সেখানে কোনো মাদী ঘোড়ার সাথে দিনকয়েক থাকতে পারেন। ভালো ফল পাইবেন। বিষয়টা মওলানা চুক্তিবাদীর খোয়াবনামা কিতাবের ৬৯ নম্বর আয়াতে পাইছিলাম। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেছেন চুলকানি সারানোর ব্যাপারে এটি অত্যন্ত কার্যকরী।
৪০| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৯:৩৮
রোবোট বলেছেন: ভাই মেয়ের বাংলা নাম রেখে দেখেছি, পাবলিক (মুরুববি সহ) বলে, এটাতো হিনদু নাম। হায়রে কপাল মন্দ।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:৫৬
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: এটা কমন অভিজ্ঞতা। আপনার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম কিছু ঘটেনি। আরবী ভাষার প্রতি অন্ধ ভক্তি সংক্রান্ত উন্মনা রহমানের উপরের মন্তব্যটি দেখতে পারেন।
ধন্যবাদ।
৪১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১১:২৯
আলেকজান্ডার ডেনড্রাইট বলেছেন: @লেখক......
এতো আরবী আরবী করতাছেন, স্বর্গ কোন ভাষা ভাই, আপনি কী স্বর্গে যাবেন না বেহেস্ত যাবেন ?...........রামছাগলটাকে ব্লগের সবাই চিনুক।.....ভাই ধর্মপাগল আপনার নিকটা কোন ভাষার, একটা আরবী নিক না রাইখা ইংরাজি নিক লাগাইছেন কে ভাই?
আমার কোন স্থলে না যাইলেও চলিবে....আপনি বেহেশত যাইতে পারিবেন কিনা সেই রাস্তা মাপুন.........আপনি উৎকৃষ্ট বুদ্ধিমান মানুষ? তাহা না হইলে যাকে তাকে রাম ছাগল বলিবার সাহস হইত না।.......আমাকে ধর্ম পাগলে ভাবিলেন কিভাবে? শুধু ম্লেচ্ছদের ধর্মরীতির কেচ্ছা বলিলাম...বিশ্বাস নাহা হইলে ধর্ম বিদ্বান দ্বারা যাচাই করিয়া নিন। আমি খ্রেরেস্টান হইলে আপনার আপত্তি আছে?
আপনার বাপ মা সুন্দর ভাবিয়া আপনার একখানা আরবি নাম দিয়াছে,
আপনি কি আপনার আরবি নামটাকে ঘৃণা করেন?
আপনার বাবা-মা একটা দুষণীয় কাজ করিয়াছে?
"তাহার পূর্বে শেখ মুজিব, আহমদ শরীফ, হুমায়ুন আজাদ, দাউদ হায়দার, তসলিমা নাসরিন প্রমূখের ম্লেচ্ছ আরবি জাতীয় নাম পরিবর্তন করিতে হইবেক। অতঃপর আমরা নতুন প্রজন্ম উহা ভাবিয়া দেখিতে পারি....উহার পূর্বে নহে।"
পূর্ব প্রজন্ম দোষ করিয়াছে ...এখন বুদ্ধিমান প্রজন্ম হইয়াছে তা শুধরাইতে।
অমি রহমান পিয়াল অর্থ কি? উন্মনা রহমান অর্থ কি?
স্রষ্টা (রহমান বা দয়ালু) উন্মনা? তাহার স্রষ্টা নিশ্চয় উন্মনা?
রাজকন্যা রহমান অর্থ কি? বাংলা আরবি মিলাইয়া এমন খিচুড়ী মার্কা অর্থহীন বাংরবি নামের হেতু কি?
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১২:১৭
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: রামছাগল আপনি আমাকে আগে বলছেন, আপনার আগের কমেন্টটা দেখেন। আমি কখনও কাউকে বাজ কথা বলিনা সে আমার মতের পক্ষে হউক কিংবা বিপক্ষে হউক (যদি সে আমাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ না করে থাকে এবং ঠিক এই কাজটাই আপনি করেছেন)।
আমি কোথায়ও বলি নাই আমি আরবি নাম ঘৃণা করি। আরবি জাতিসংঘের অফিসিয়াল ০৬টি ভাষার একটি। পৃথিবীর বহুলোক এ ভাষায় কথা বলে। কাজেই একটি বহুল চর্চিত ভাষাকে আমি ঘৃণা করবো কোন যোগ্যতায়। আমি শুধু বলতে চেয়েছি মাতৃভাষায় নাম রাখাটা ধর্মীয়ভাবে দোষের না।
ভাই আরবি বিশারদ, আমার নামটা আরবি না ফারসী। তবে বাংলা স্বপন নামেই আমি পরিচিত।
অন্যের মতের বিরোধীতা কীভাবে ভদ্র ভাষায় করতে হয় তা আগে শিখুন তারপরে কমেন্ট করুন।
৪২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১১:৪৬
দ্বীপবালক বলেছেন: স্বপন, আপনার পোস্টের সাথে কণ্ডিশনালি একমত। নামের মানে যদি খারাপ না হয় তাহলে তা যে কোন ভাষায় রাখা যেতে পারে।
তবে বাংলা নামের যে কথা বলেছেন সেখানে একটু সমস্যা আছে। সে ক্ষেত্রে শান্তির দেবদূতের সাথে একমত। বাংলা নাম হতো সে নামগুলো যেগুলো খাঁটি বাংলা শব্দ থেকে উদ্ভূত।
আসলে বাংলা নাম বলে কিছু নেই আছে ভারতীয় নাম। নাম আরবী হতে পারে, ফারসী হতে পারে, ভারতীয় হতে পারে। যে নামগুলোকে বাংলা নাম বলে চালাতে চাওয়া হচ্ছে তা শুধু বাঙ্গালীরাই ব্যবহার করেননা। ভারতের সব অঞ্চলের মানুষ সেগুলো ব্যবহার করেন, তা তিনি বাঙ্গালীই হোন, গুজরাটি হোন, বা সিন্ধী হন অথবা হন মারাঠি, বিহারী, বা হিন্দুস্তানী।
আবার বাংলা ভাষার পাঁচ প্রকারের শব্দ সবই এখন বাংলা। সে হিসেবে আরবী, ফারসী, সংস্কৃত থেকে আসা সব শব্দই বাংলা। তাই আরবী ফারসী নামও বাংলা নাম যেমন সংস্কৃত থেকে উদ্ভূত নামগুলোও তেমন বাংলা।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ২:০২
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: 'স্বাধীনতা তুমি' এর কমেন্ট টা দেখেন।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ২:০২
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: 'স্বাধীনতা তুমি' এর কমেন্ট টা দেখেন।
৪৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১২:১৮
উন্মনা রহমান বলেছেন:
নামের অর্থ থাকা কি খুবই দরকার? নতুন শব্দ হলে অসুবিধে কী? প্রোপার নাউনের অর্থ খোঁজেন ক্যান? শব্দটা সুন্দর হলেই হলো। ফার্স্ট নেম, মিডল নেম, লাস্ট নেম বা বিশাল নাম থাকার ও কোন প্রয়োজন দেখি না। বরঞ্চ নাম আনকমন বা মৌলিক হলেই ভাল। যে কোন ভীড়ের মধ্যে গিয়ে আবুল, মফিজ, জয়নাল, রফিক, ফারজানা, রহিমা বলে জোরে ডাক দেন, দেখবেন বেশ কয়েকজন এসে বলবে- ডাকতাছেন ক্যান?
৪৪| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১২:২৫
আলেকজান্ডার ডেনড্রাইট বলেছেন: @ স্বাধীনতা তুমি...
ম্লেচ্ছদের ধর্ম বিশ্বাস করিতে চান না..উত্তম কথা...স্বর্গ যদি ঈশ্বরের মত মানুষের সৃষ্টি বিশ্বাস করিয়া থাকেন.. তাহা
নিজেই মনের মাধুরী মিশাইয়া বহু ভাষা ভাষীর একখানা স্বর্গ বানাইয়া ফেলুন......নচেৎ বামুনের কাছে নম শূদ্র ম্লেচ্ছদের ধর্ম বাণী শুনাইয়া লাভ নাই।
ওহ্, তায় বুঝি আরবী নাম বদলাইয়া পুংটামীর জন্য এখানে ইংরাজী নামে প্রবেশ করছেন? যেন এই নামে স্বর্গে আপনারে খুঁইজা না পায় পেদানী দেয়ার জন্যে?
..... পুংটামি শব্দটা আপনার কন্যাকে শিখাইবেন ম্লেচ্ছ জাত কে গালি দিবার জন্য। আরবি ভাষার লোক কি 'রঘুনাথ চ্যাটার্জী' নাম উচ্চারণ করিতে পারিবেনা? তাহা হইলে নরকের দ্বারে এ অধম 'আলেকজান্ডারের' উচ্চারিত হইবেক।
শয়তান আল্লাহরে যখন কইছিল, আল্লাহ আমি তোমার বান্দারে এখন থেইকা বিপথগামু করমু, তাই আমার নাম ইবলিসের বদলে সিবলিস রাখলাম, যেন তুমি আমারে আখেরাতে খুঁইজা না পাও। কারণ আমার আরবী নামটা রাখলাম স্বর্গে যাবার জন্যে, আর সিবলিস নামটা দিয়া দুনিয়াতে পুংটামী কইরা বেড়াইমু। কি মজা হইবো তাইনা?
...............দাদা আপনি কি ধরেনর ঈশ্বরের কথা বলিয়া রসিকতা করিলেন যে অসুরের নাম পরিবর্তন হেতু তাহাকে খুজিয়া পাইবেনা?
জল ঘোলা না করিয়া ম্লেচ্ছদের ধর্মে বিশ্বাস বা পড়াশোনা কোনটাই করেন নাই, আগ্রহী নন...সে কথাই খোলাসা করিয়া বলুন না।
ব্রাদার, হাত জোড় করে বলছি যে আপনারা আবাল হাদিস বানায়েন না, আবাল হাদিসের ভারে প্রকৃত হাদিস গুলি তলিয়ে গেছে।
.........ম্লেচ্ছদের ধর্ম শাস্ত্র লইয়া দেখি আপনার ব্যাপক গবেষণা!!! আবাল শব্দটা আপনার কন্যাকে শিখাবেন....বাপ বেটি মিলিয়া অপছন্দনীয় হাদীস গুলাকে 'আবাল' বলিয়া বাছিয়া বাছিয়া গালি দিবে। নিজের পছন্দ মত না হইলেই আবাল বলিয়া গালি দেয়া কি বিশ্বাসী ম্লেচ্ছদের বৈশিষ্ট্য?
আল-কোরআনে যে আয়াতে বলা আছে যে পৃথিবীর সমস্ত ভাষা আল্লাহর সৃষ্টি, সে আয়াতটাকে কি করবেন?
..........পরের কথাটা তো চাপিয়া গেলেন!! নিজের মত কোরানের ব্যাখ্যা করিলেন। ম্লেচ্ছদের কুরআন আরবি ভাষায় কেন? তাহারা তো বাংলা ভাষায় ধর্ম কর্ম নামায কালাম পড়িতে পারে..ইহাতে তো ধর্মের বাণী বুঝিয়া ধর্ম করা যায়। কি বলেন...আপনার ধর্ম শাস্ত্র এ বিষয়ে স্বীকৃতি দিবে? পছন্দ না হইলে নিজেই ধর্ম সংস্কার করিয়া নিজেই ধর্মীয় আইন কানুন লিখিয়া ফেলুন....ধর্ম তো মানুষেরই সৃষ্টি।
আপনাদের আলেমরা কি এখন থেকে সে আয়াতটাকে কি মুছে ফেলবেন? ...............
মুছিবার সাহস কাহার নাই...........ধর্মের ব্যাপারে আপনার অবজ্ঞা, অনীহা, তাচ্ছল্যের হেতু ধর্মীয় পড়াশুণা না করিয়ে নিজের মন মত ব্যাখ্যা করিতেছেন? আরবি ভাষা বুঝিয়া কোরআন পড়িবেন, নচেৎ যে জানে তাহার কাছে জানিয়া লইবেন........আর বিশ্বাস, শ্রদ্ধা না থাকিলে উহা নিষ্প্রয়োজন।
৪৫| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১২:২৯
স্বাধীনতা তুমি বলেছেন:
@দ্বীপবালক
নামরে সাথে আপনার কমেন্টের যথেষ্ট মিল আছে। পৃথিবীর মানচিত্রে যেমন একদিন দেখা যায় হঠাৎ করে একটা দ্বীপ জেগে উঠেছে, অথচ কিছুদিন আগেও সেখানে ছিল অথৈই পানি। তায় বলে কি দ্বীপটাকে মানুষ পরিত্যাগ করে? সেটাকে কি মানুষ বসবাস যোগ্য করে গড়ে তুলে না? অবশ্যই করে। আর বালক অর্থই হচ্ছে অবধ শিশু।
আপনার মন্তব্যটাও যেন আপনার নামের মত, যেন একটি অবধ শিশু গজে উঠা দ্বীপটারে হঠাৎ দেখে জেদ করে বাবা মাকে বলছে, পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মিশিয়ে দাও ঐ দ্বীপটিকে।
ভাইজান, বাংলা ব্যকরণ পড়ুন এবং দেখুন কোন কোন শব্দ গুলো বিদেশী শব্দ এবং সেই শব্দ গুলো কোথায় কোথায় ব্যবহার যোগ্য। ঐ সব শব্দ দিয়ে আপনার সন্তানের নাম রাখলে রাখতে হবে টেবিল, চেয়ার, আলমারী, ট্রেন, মটর ইত্যাদি। আর বাকী যে চার প্রকার শব্দ রয়েছে তা বাংলার আদি রূপ মাত্র। যেমন ঐ গজে উঠা দ্বীপের মত। আর অপনি আবাল বালকের মত বলে দিলেন বাংলা নাম বলে কিছু নেই আছে ভারতীয় নাম। আসলেই আপনি একটা আবাল মূর্খ একজন বালক বলেই এমন্তব্য করতে পারলেন। আবারও বলি ভাইজান--- (মিষ্টি সুরে বললাম) ভারতীয় ভাষা বলে কোন ভাষা নেই পৃথিবীতে, আছে হিন্দি ভাষা। আর মূল হিন্দি ভাষারও উৎপত্তি আমাদের বাংলা ভাষার মত সংস্কৃত ভাষা থেকে। আর একটা কথা মনে রাখবেন একটি ভাষা পূর্ণাঙ্গ রূপ নিতে তাতে কিছু অন্যান্য ভাষার কিছু শব্দে প্রবেশ ঘটে, তাতে ভাষা কলংকিত হয় না।
কিছু একটা মন্তব্য করার আগে পড়াশুনা করুন। ব্লগে অনেকে অনেক কথা বলে, সবটায় গ্রহন করতে হবে তার কোন মানে নেই। যাচাই বাছায় করে তারপর গ্রহন করুন। ধন্যবাদ ভা----ই----জা----ন---।
৪৬| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১২:৩২
আলেকজান্ডার ডেনড্রাইট বলেছেন: @লেখক, "আমি শুধু বলতে চেয়েছি মাতৃভাষায় নাম রাখাটা ধর্মীয়ভাবে দোষের না।"
.........আজ্ঞে দাদা আপনি কি ধর্ম বিশারদ যে ধর্মীয় ভাবে কোনটা সিদ্ধ আর কোনটা নিষিদ্ধ সেটা ম্লেচ্ছদের শিখিতে হইবে আপনার কাছ হইতে?
ইন্দোনেশিয়ার মানুষ নাম রাখে........"আবদুল্লাহ স্বরসতী"....জানেন?ধর্ম বিশ্বাসটা খিচুড়ী মার্কা হইলে এমনই হয়।
২১ ফেব্রুয়ারি বাদ দিয়া ৮ ই ফাল্গুন পালন করুন, মানুষের ব্যক্তিনাম, ব্যক্তি ধর্ম বিশ্বাস, আচার লইয়া অযাচিতভাবে এমন ফতোয়াবাজি করিবার মানে নাই।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১২:৪০
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: ভাই কারো উপরে চাপাইয়া দেওয়ার মতো কিছুই বলি নাই। নাম রাখাটা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আপনি আলেকজান্ডার থেকে একিলিস, একিলিস থেকে হেক্টর হয়ে গেলেও আমার কোন সমস্যা নাই। আপনার নাম আপনি যা ইচ্ছাই তাই রাখুন। আমি শুধু নাম রাখার ব্যপারে আমার অভিমত বলেছি। আপনি এমন ক্ষেপছেন যে আমাকে সাইজ করতে পারতে স্বর্গের দরোজাটা আপনার জন্য খুলে যাবে।
ভাই আরেকটা কথা, রামছাগলটা কে আগে কইছিলো ভাই? উত্তরটা কী দিবেন? আরবী ভাষায় দিয়েন।
৪৭| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১২:৩৭
উন্মনা রহমান বলেছেন:
১২ নাম্বার রুটের মিনিবাস মোহম্মদপুরের আসাদ এভিন্যু তে ঢোকার পর কনডাকটর চিৎকার করছে- টাউন হল নামেন! একটু পর আবার চিৎকার- সলিমুল্লা নামেন!
বৃদ্ধ এক ব্যক্তি কনডাকটরের সামনে এসে বলছে- ক্যান, নামুন ক্যান?
কনডাকটর- না নামলে না নামেন, চ্যাতেন ক্যান?
বৃদ্ধ যাত্রী- ক্যান, তুমিই তো আমারে নামতে কইলা! আমিই সলিমুল্লাহ।
৪৮| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১২:৪৮
আলেকজান্ডার ডেনড্রাইট বলেছেন: @ উন্মনা, বরঞ্চ নাম আনকমন বা মৌলিক হলেই ভাল। ১০০ ভাগ সহমত। অর্থের দিক খেয়াল রাখিতে হইবে.....অর্থবহ মানুষের অর্থযুক্ত+শ্রুতিমধুর+আনকমন নাম থাকিতে হইবে সেটা বাংলায় হোক বা হিন্দিতেই হোক।
আরবিতে নাম রাখিল, "মাহফুজ", মানে 'রক্ষিত'.'আলম' মানে পৃথিবী.......'মাহফুজুল আলম' মানে 'সুরক্ষিত পৃথিবী'.......বাংলা আরবি মিলাইয়া 'সুরক্ষিত মাহফুজ', 'মাহফুজুল পৃথিবী' .........এসব খিচুড়ী বানাইয়া তামাশা করার মানে নাই.........এর চেয়ে 'সুরক্ষিত পৃথিবী' রাখুন...
ম্লেচ্ছদের ধর্মে বিশ্বাসী হইলে মনে রাখিবেন........স্রষ্টার 'রহমান' নামের পূর্বে পরে শ্রুতিমধুর, আনকমন করিবার নিমিত্তে যা তা বসাইয়া ইতরামো করার মানে নাই..আর বিশ্বাস না থাকিলে ঘরের মধ্যে কুরান পুরান লইয়া ফুটবল খেলিতে পারেন কেহ বাধা দিবেনা।.
৪৯| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:০১
স্বাধীনতা তুমি বলেছেন:
@গুরু আলেকজান্ডার ডেনড্রাইট কে:
গুরু, ও আমার মহা গুরু, আপনি কোথায়, দয়া করিয়া আপনি কি আপনার ঠিকানাটা আমাকে দিবেন, আমি লাল সুতা লইয়া আসিতেছি অপনার নিকট আসিতে চাই, আপনারই একমাত্র শিষ্য হইবার তরে। আপনি এই অধমরে আপনার শিষ্য বলিয়া গ্রহণ করুন।
ব্যাটা আবার অন্যেরে ম্লেচ্ছ কয়, যে ধর্মে মানুষেরে ছত্রিশটা জাতে বিভক্ত করে রেখেছে সেটা আবার কবে থেকে আর্য হল আমার তো মাথায় ঢুকেনা। ও আমার আর্য বংশদ্ভুত দাদা, আমি আছি প্রস্তুত, আপনি কি বিষয়ে আলোচনা করতে চান তাতেই, এতে আমাকে আপনার শিষ্যত্বের প্রয়োজন হবে নেই।
৫০| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:০৮
আলেকজান্ডার ডেনড্রাইট বলেছেন: ক্ষমা চাহিতেছি।
প্রসঙ্গঃ ইসলামের দৃষ্টিতে মাতৃভাষায় ব্যক্তির নামকরণ
'ইচলামি দৃষ্টি' পাইতে হইলে আপনাকে যে অনেক পড়াশোনা করিয়া আসিতে হইবে দাদা । নইলে আমার মত হাতুড়ে ডাক্তার রোগ হাতড়াইয়া রোগী মারার মত অবস্থা হইবেক।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ২:০৬
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: এতো পড়ালেখা কইরা শেষ পর্যন্ত নামটারে বদলাইয়া ম্লেচ্ছ হইলেন কেন ভাই?
আপনি কখনও উত্তর দেন না। খালি উপরের দিকে ছুটেন। অবশ্য গরম বায়ু উর্ধ্বমুখী হবে এটাই তার ধর্ম।
৫১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:৩১
ঢিল মারে কে মোর টিনের চালে বলেছেন: আসেন ভাইয়েরা আমার পৃথিবীর সনচেয়ে বড় আবালের সাথে পরিচিত হই: আলেকজান্ডার ডেনড্রাইট। ইহা এমনই এক আবাল যে জানে না ডেনড্রাইট নামের কোনো গুস্ঠি দুনিয়াতে নাই, আছে একটা রাসায়নিক পদার্থ!
এই রাসায়নিক আবাল বেহেশতে যাইবে এইটাই বড় আশ্চর্য বিষয়!
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ২:৩৩
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: এই রাসায়নিক আবাল বেহেশতে যাইবে এইটাই বড় আশ্চর্য বিষয়!
একমত
৫২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:৪২
স্বাধীনতা তুমি বলেছেন:
@ ঢিল মারে কে মোর টিনের চালে
ভাই আমার গুরুরে নেংটা করেন না, শিষ্য হয়ে আমার লজ্জা লাগবে, আমি যে উনারে গুরু মানছি, উনি আমারে পাঠ্যক্রম দিয়েছেন, ভাল করে ধর্ম শিক্ষা করে আসার জন্য্, আমি এখন পাঠ করছি। পাঠ শেষে উনার কাছে আমার অনুশীলনে যেতে হবে।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:০৮
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: উনার কাছ থেকে শিখার পর আমাকেও শিখাইয়েন। কারণ আমার মতো গণ্ডমূর্খকে তো আর তিনি সরাসরি ছাত্র হিসেবে কবুল করবেন না। তাই তাই ভায়া মিডিয়া হিসেবে আপনার কাছ থেকেই শিখতে হবে।
৫৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:৫২
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
খেলা উঠেছে জমে.......
পল্লব মুনতাকা
রাজাকার পুত্র ওয়ামি
আওরঙ্গজেব........
এমন অসংখ্য রাজাকারে
শিবিরের যোদ্ধায়- সাথি/রোকন
ভরপুর
সা.ইন
মুক্তযুদ্ধ সে-তো গৃহযুদ্ধ
গোআ- মহান নেতা
পাকিস্তান- স্বপ্নের দেশ
৭১- গণ্ডগোলের সময়
আল বদর- অগ্রসেনা
শহীদ বুদ্ধিজীবি- ইণ্ডিয়ার দালাল-নাস্তিক-মুরতাদ-
কৃতকর্মের পাওনা-হিসাব ১৪ ডিসেম্বরেই মেটানো হয়েছে....
রবীন্দ্রনাথ- হিন্দু, বাংলাদেশ চেতনার বিরোধি
জাতীয় সঙ্গীত- শীঘ্রই পাল্টানো দরকার
বাংলাদেশ- একসময়ের দুঃস্বপ্ন
আর আজ??
প্রাণের দেশ- দেশপ্রেমে একেবারে গদগদ!!!!!!!!!
.......... এমন পোস্টে ভরপুর
সা.ইন
এস্কিমো
অমি রহমান পিয়াল
তীরন্দাজ
লাল দরজা
প্রশ্নোত্তর........
এ টিম
ধর্মপ্রাণ আস্তিক
নাস্তিক...
অসংখ্য ব্লগার
বেদনায় নীল,
ক্রোধে লাল....
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আহত...
না মেনে
শুরু হয় যুদ্ধ,
যা আছে হাতিয়ার..
আছে
যুক্তি
আছে তেজ
আছে ভালোবাসা
আছে আবেগ
আছে ঘৃণা- আছে তীব্র ক্ষোভ...
আছে গালিগালাজ....
....সংগ্রামে ভরপুর
সা.ইন
মিরাজ
মাহবুব মোর্শেদ....
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারি..
একই সাথে গালি বিরুদ্ধেও প্রাণবাজি
সমস্যা বাটনে জানান দেয়া
বুঝিয়ে শুনিয়ে গাধা মানুষ করাতো পবিত্র কাজ
ওয়ামির সাথে
তিনকোনার সাথে
সম্ভব হলে গোআর সাথেও....
বাবারা এসো
দুষ্টুমি করে না সোনারা..
শোনো তোমরা
রাজাকারি অতি দুষ্টু কাজ
বুঝোনা কেন
আছে কত দলিল দস্তাবেজ দেখ পড়ে
পড়ে আজ থেকে হও দেশপ্রেমিক!!!!!!!!!
এমন গাধা-মানুষ করা
পোস্টে ... ভরপুর
সা.ইন
আমরা তো জানি
গাধা মানুষ করা গেলেও-
ছাগু কখনও হয় না মানুষ....
তাই শুকরের সাথে সহবাসে
যারা নই রাজি...
থু দিয়েই পাই শান্তি..
দলিল দস্তাবেজ যারা তৈরি করলো
তাদের আর কি বুঝাই
গোআর চাঁদ বদন পোস্টে তাই
গালিই দেই
"এক চুতমারানির বাচছা
আরেক চুতমারানির বাচছারে নিয়া
পুস্টাইছে...
দুই চুতমারানির বাচছারেই গাদাম লাতথি...।"
আসেন সবে সুশীলগণ
আমার ব্যান দাবি করে
আন্দোলন শুরু করেন...
কিন্তু জানেন,
একদিন শুধু
রাজাকার আর দালালে
ভরপুর
সা.ইন
রাজাকারইন
রাজাকারিব্লগ।
৫৪| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:৫৮
ঢিল মারে কে মোর টিনের চালে বলেছেন: এতো দেখি গোপন আতাত
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৮:৩৭
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: আপনার মন্তব্যটি আমি ঠিক বুঝিনি। দয়া করে পরিস্কার করবেন।
৫৫| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৯:১১
মদনবাবু বলেছেন: ভালো আলোচনা চলছে দেখি
৫৬| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:২৭
আলেকজান্ডার ডেনড্রাইট বলেছেন: এই রাসায়নিক আবাল বেহেশতে যাইবে এইটাই বড় আশ্চর্য বিষয়!.............................
আজ্ঞে পুনরায় আপনার গালি দিবার কি আবশ্যকীয়তা ছিল?
'ডেনড্রাইট' রাসায়নিক পদার্থ !!! ইহা কাহার আবিষ্কার? কই থাকে?
ঢিল মারে কে মোর টিনের চালে কে দেখি পুনরায় ইস্কুলে ভর্তি হইতে হইবেক। তাহার মাথা ঘষিলে কিছু মিলিতে পারে!!!
লেখক বলেছেন: এতো পড়ালেখা কইরা শেষ পর্যন্ত নামটারে বদলাইয়া ম্লেচ্ছ হইলেন কেন ভাই?
আমি লিখা পড়া করিলে উত্তম হেকিম-ডাক্তার হইতাম.....হাতুড়ে হইতাম না।
নাম বদলাইয়া ম্লেচ্ছ হই নাই। এটা তো খ্রেরেস্টান দের নাম আর আপনারটা ম্লেচ্ছদের।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:৩৯
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: খ্রেরেস্টানটা কী মুসলমান কিংবা ম্লেচ্ছদের চেয়ে উত্তম, যে নামটা পাল্টাইলেন? নাকি খ্রেরেস্টান নামটা থাকলে কোন পশ্চিমা দেশে রিফিউজি হইতে সুবিধা হ্ইবো?
৫৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:২২
রাতমজুর বলেছেন: ভালো লিখেছেন। দুএকটা মেগা শহর ছাড়া পুরো দেশের কাহিনী ই এই। আমি নিজেও একজন শিকার।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৮:৫৭
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: ধন্যবাদ। তবে আপনার নিজের অভজ্ঞতার বিষয়টি শেয়ার করলে আরো ভালো লাগতো।
৫৮| ১১ ই মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১২:২৩
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: test
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ২:৫৮
মদনবাবু বলেছেন:
কিন্তু দুঃখের বিষয় হলেও সত্য আমরা সম্ভবত পৃথিবীর সেই অল্পকয়েক ভাষাভাষীদের একজন যারা নিজের মাতৃভাষায় নাম রাখতে কুন্ঠাবোধ করি।কিন্তু আমাদের নিজেদের অস্তিত্বের স্বার্থেই আমাদের এই রেওয়াজটির পরিবর্তন ঘটাতে হবে, নিজের মাতৃভাষায় নাম রাখতে হবে। কারণ ভয় হয়, এতদ অঞ্চলে ইংরেজী, হিন্দী ও আরবী ভাষার আগ্রাসনের কারণে বাংলাভাষাটি হয়তো একদিন পৃথিবী থেকে বিলীন হয়ে যাবে।
একমত ।