![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সোহেল খন্দকার, মুক্ত চিন্তার অধিকারী। নিজে স্বাধীনতা পছন্দ করি, অন্যের জন্যও স্বাধীনতা আদায়ে সচেষ্ট।
রাষ্ট্রপতির মৃত্যু এবং
রাষ্ট্রপতি মো. জল্লিুর রহমান আর নইে। গত ২০ র্মাচ, বুধবার বাংলাদশে সময় বকিলে চারটা ৪৭ মনিটিে সঙ্গিাপুররে মাউন্ট এলজিাবথে হাসপাতালে তনিি ইন্তকোল করনে (ইন্না লল্লিাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজউিন)। তাঁর বয়স হয়ছেলি ৮৪ বছর।
পুরো জাতি আজ শোকে মুহ্যমান। তাই তাঁর মূতুতে রাষ্ট্রীয়ভাবে তিনদিনের শোক পালন করা হলো।
কিন্তু সত্যিই কি পুরোজাতি শোকে শোকাভূত? দেখেতো মনে হয় না। র্ষ্ট্রাপ্রধান হলেন জাতির অভিভাবক। আজ আমরা অভিভাবকহীন। কিন্তু কই কোথাওতো শোকের কোন চিহ্ন তো নেই? তিনদিনের শোক চলাকালীন বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স মিডিয়াতে দেদারছে চলছে নাচ-গান-নাটক-সিনেমা প্রভূতি। শোকাভূত জাতি এসব অনুষ্ঠান দেখে কিভাবে? মিডিয়াগুলো শুধুমাত্র কালোব্যাজ ধারণ ও টিভি পর্দায় কালোব্যাজ দেখিয়ে লিখে রেখেছে “আমরা শোকাভূত!” কিন্তু বসে বসে বিনোদন মূলক অনুষ্ঠান প্রচার করছে। মনে শোক নিয়ে কিভাবে নাচ-গান-নাটব-সিনেমা দেখা যায়? প্রায় প্রত্যেকটি টিভি মিডিয়াতে কিছু টক শোতে মরহুম রাষ্ট্রপতির কর্মকান্ড নিয়ে আলোচনা করেন তাঁর কাছের কেউ। কিন্তু শোকের ছায়া কি সত্যিই এতে উঠে এসেছে? শোকাভূত জাতি শোকের প্রকাশ থাকে জাগতিক অধিকাংশ কাজ হতে বিরত থাকা দিয়ে। সত্যিকারের শোকাভূত মানুষ খাওয়া দাওয়ার কথা ভুলে যায় সেখানে নাচ-গান-নাটব-সিনেমা দেখার সময় কোথায়? এই সত্যিটা কি মিডিয়ার লোকজন জানেন না? নাকি জাতিকে গর্দভ মনে করেন? নাকি মরহুম রাষ্ট্রপতির প্রতি এ এক অবজ্ঞা? কোনটি সত্য? নাকি মূসলমান হিসাবে শোকের বহিঃ প্রকাশ পাল্টে গেছে? মৃত ব্যক্তির জন্য প্রয়োজন তার রুহের মাগফেরাতের জন্য দোয়া করা । কিন্তু এ পর্যন্ত কোন টিভি মিডিয়াতে এ ধরনের কোন অনুষ্ঠান হয়েছে বলে শুনিনি। নাকি এখন শোক প্রকাশ করা হয় নাচ-গান-নাটক-সিনেমা দেখার মাধ্যমে? জানি না,আসলে ঘটনা কি? হয়তো টিভি মিডিয়াগুলো ভয় পাচ্ছে ইসলামী অনুষ্ঠান করে মরহুমের জন্য দোয়া করলে হয়তো ধর্মনিরপেক্ষতা নষ্ট হয়ে যাবে। এটি যদি সত্যি হয় তাহলে ধর্ম পালন করা যাবে না। একজন রাষ্ট্রপতির জন্য যদি দোয়া করা না যায় তা হলে কার জন্য করা যাবে? আওয়ামী ঘরানার এমপি এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পদাক বীর বাহদুর সাহেবতো বীরত্বেও এক হাত দেখিয়ে দিলেন। উনি যে কত বড় বীর তার নমুন রাখলেন তার কর্মকান্ডে। পুরোজাতি যখন শোকাভূত তখন তিনি ব্যস্ত দিনব্যাপী নাচগানের অনুষ্ঠানে, তাকে সহযোগীতা করেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার সহ স্থানীয় প্রশাসন এবং তার দুই ছেলে। এর কি পরিণতি দেখতে পাবে জাতি? পাবে বলে মনে হয় না। কারণ বীর বাহাদুর এমপি সাহে তো আবার সরকারী দলের লোক। সরকারী দলের লোকের কোন অপরাধ নেই। তারা যা করে তাই আইন। তার বিরুদ্ধে কারও কিছু করা বা বলার নেই। রাষ্ট্রপতি মারা গেলে বীর বাহাদুর সাহেবের সমস্যা কোথায়? রাষ্ট্রপতিতো কোন দলের নয়, পুরো জাতির। আর বাহাদুর সাবেহের জাতিকে নিয়ে ভাবার সময় কই? দলের চিন্তায় তিনি অস্থির। দুঃখ হয় দেশের এই উনিশতম রাষ্ট্রপতির জন্য? যে জাতির জন্য জীবনের সবকিছু দিয়ে গেলেন, জীবন সাথিকে হারালেন, জাতির প্রত্যেকটি ন্যায্য সংগ্রামে যিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করে রাষ্ট্রপতি হিসাবে মৃত’্য বরণ করলেন তার জন্র দোয়া করার কেউ মিডিয়াতে নেই। নাকি টিভি চ্যানেলের মালিকগন তাদের কোন আত্বীয় স্বজন মারা গেলে এভাবেই শোকের প্রকাশ ঘটান? মৃতের বাড়িীতে গিয়ে নেচে-গেয়ে আনন্দ প্রকাশ করে? সত্যিই কি মিডিয়াতে সচেতন ও কর্তব্যপরায়ন কেউ আছেন? নাকি এটাও একটি সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের ফল? পুরো জাতি যাতে মৃতের জন্য দোয় কালাম করতে ভুলে যায়। ধর্ম থাকবে কিন্তু প্রাণ থাকবে না। তিলে তিলে ভিতর থেকে ক্ষয়ে ফেলবে। নামে ধর্ম ও সংস্কৃতি থাকে কিন্তু পালন করবো বিজাতীয় সংস্কৃতি। যেমন : খুব সহজে আমাদে মাঝে একটি সংস্কৃতি (?) ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে যা হচ্ছে দাড়িয়ে দাড়িয়ে খাওয়া। দেশের ফাস্ট ফুডের যত দোকান আছে অধিকাংশ দোকানে বসার কোন ব্যবস্থা নাই, যাদেও আছে তাদেও অপ্রতুল ব্যবস্থা। অথচ মুসলিম সমাজে ইচ্ছাকৃতভাবে দাড়িয়ে খাওয়া নিষেধ এবং আমাদেও বাঙ্গালী সমাজেও দাড়িয়ে খাওয়া বেয়াদবি হিসাবে ধরা হতো, খেতে হলে আগে বসতে হয় তার পরে খাওয়া। অথচ এখন আমরা সবাই সহজেই দাড়িয়ে দােিয় খাচ্ছি কোন ধরনের বিকার নেই।
বর্তমান কর্মকান্ড এরই অংশ বিশেষ কিনা আমরা জানি না। তবে ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার এই অবস্থান সত্যিই রহস্যজনক সেই সাথে প্রশ্নবিদ্ধ।
©somewhere in net ltd.