![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সোহেল খন্দকার, মুক্ত চিন্তার অধিকারী। নিজে স্বাধীনতা পছন্দ করি, অন্যের জন্যও স্বাধীনতা আদায়ে সচেষ্ট।
ক্ষতিগ্রস্থ পিলার এবং কলাপসেবল ধওে মৌলবাদি হরতাল সমর্থকেরা টানাটানি করার ফলে বিল্ডিং ধ্বসে পরার কারণ হতে পারে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর চমৎকার ব্যাখ্যা। তদন্ত কমিটির কষ্ট করে তদন্ত করার কি দরকার। শুধু শুধু কমিটি করা হয়েছে। আজই তদন্ত কমিটি তাদের তদন্ত শেষ করে রিপোর্ট দিয়ে দিতে পারে। যে রিপোর্টে থাকবে বিরোধী দলীয় ১৮ দলের ডাকা হরতালের সমর্থকেরা সবাই মিলে পিলার ধরে এবং কলাপসেবল গেট ধরে টানাটানি করে বিল্ডিংটি ফেলে দিয়েছে সরকারকে বিপদে ফেলার জন্য বিশেষ করে যেহেতু বিল্ডিংটি সরকারী অংগ সংগঠনের এক নেতার, তাকে বিপদে ফেলার জন্য এ কাজটি করেছেন। অচিরে এ সমস্ত হরতালকারী সংগঠনের নেতাদের নামে মামলা দিয়ে এদের গ্রেফতার করে জেল ভরে ফেলা হোক। সেই সাথে বলা হোক এর সমস্ত দায়-দায়িত্ব বিরোধী দলীয় নেত্রীর এবং এসব তারই নির্দেশে হচ্ছে।
আমাদের স্ব-রাষ্ট্র-মন্তীর একজন করিৎকর্মা লোক। সাগর-রুনির হত্যাকারীদের নিদির্ষ্ট ঘন্টার ভিতরে গ্রেফতার ও বিচারের আশ্বাস দিয়ে শপথ নেয়া মন্তীর আজ পর্যন্ত কোন কুল কিনারা করতে পারেননি (হয়তো করেননি)। বেচারা মন্তীর! দুঃখ হয় তার জন্য। বঙ্গবীর কাদের ছিদ্দিকীর এক ধমকে বড় টেনশনে আছেন। বাঙ্গলার সূর্য সন্তানদের হত্যার হাতিয়ার হিসাবে স্বেচ্ছায় ব্যবহৃত হয়ে বর্ণচোরা হয়ে আজ দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু দেশে আজও মুক্তিযোদ্ধারা বেচে আছেন। তারা শত্র“ চিনেন। তাই ১৯৭১ এর মতো আবারও গর্জে উঠেছেন বাঘা ছিদ্দিকী। তার চিৎকারে ঘুম হারাম আমাদের মন্তীর এর। তাই মাথা ঠিক নাই । বড়ো টেনশনে আছেন। তো কি বলতে কি বলছেন হয়তো মনে রাখতে পারছেন না। ঠেনশন কমছে না কোন মতেই। কখন আবার তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধীর মামলা হয়ে যায়। কখন আবার তার সমস্যা হয়ে যায়। এর ভিতর আবার বিরোধী দলের হরতালে নাস্তানাবুদ স্ব-রাষ্ট্র-মন্তীর। একের পর এক হরতাল শামাল দিতে পেরেশান তারা। এরপর আবার বিরোধী দলের প্রথম সারির নেতাদের কারাগারে ঢুকানোর নকশা তৈরী ও বাস্তবায়ন করা । বিরোধী দলের দেশ ধ্বংসের! ষড়যন্ত্র প্রতি মুহুর্তে প্রতিরোধ করা এবং তাদের শাস্তি দেওয়া, জঙ্গি ইসলামী মৌলবাদীদের প্রতিহত করা, গণজাগরণ মঞ্চের নিরাপত্তা প্রদান করতে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়ে মানুষের সমস্যা সৃষ্টি করা। কতশত ঝামেলা। এত ঝামেলা শামলে ওঠার ফুরসত কই! এর ফাকে আবার মহা ঝামেলঅ এই সাভারের বিপর্যয়। তাও মালিক আবার তাদের দলেরই লোক। তো দুয়ে দুয়ে চার মিলাতে স্ব-রাষ্ট্র-মন্তীর এর বেশী দেরী হবে কেন? আর এই সহজ জিনিস বুঝতে বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকারটা কোথায়? আসলে আমরা দেশবাসী মোটেও বুদ্ধি রাখি না। আমাদের ডক্টরেট করা মন্তীর কত দ্রুত সমস্যা ধরে সমাধান দিলেন আর দেশবাসী তার কথা শুনে হাসছে! কি অদ্ভুত! এমনই হয়। বুদ্ধিমানের বুদ্ধি বেকুবেরা বুঝতে পারে না। উপহাস করে উড়িয়ে দেয়। স্থপতি মোবাশ্বের সাহেব তো আর এক কাঠি স্বরেশ। উনি বললেন সাধারণ জ্ঞান সম্পন্ন লোক এমন মন্তব্য করতে পারেন না! ঠিকইতো বলেছেন আমাদের মন্তীর সাহেবতো সাধারণ জ্ঞানের অধিকারী নন। উনিতো অসাধারণ সব জ্ঞান রাখেন। না হলে পাকিস্তানের সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধা মারার হাতিয়ার আজ আবার বাংলাদেশের মন্ত্রী হয় কেমনে? তবে উনি শেষের মন্তব্যটি ঠিক করেননি! উনি বলেছেন কাদের নিয় প্রধানমন্ত্রী দেশ চালাচ্ছেন? এরপর হয়তো নাপিতকে দিয়ে বড় বড় অপারেশন করাবে এবং জটিল সব ক্যান্সারের চিকিৎসা করবেন ফুটপাতের সব কবিরাজরা। একি বললেন তিনি! এও কি সম্ভব! আমাদের মন্ত্রীরা কত দক্ষ ও অভিজ্ঞ! আরে যুবলীগ নেতার বাড়ী ধসে দিয়েছে, এটা বিরোধী দল ছাড়া বা মৌলবাদীরা ছাড়া আর কে করতে পারে? অতএব সরকারের উচিত এমন তরিৎকর্মা মন্ত্রীকে একটমন্ত্রণালয়ে বসিয়ে রেখে সব মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টা করে দেয়া যাতে উনি সমস্যার এমন চমৎকার সমাধান করতে পারেন। সেই সাথে সমস্ত কর্মকর্তাদের কাজ অনেক সহজ করে দেন।
©somewhere in net ltd.