নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন মুক্তমনার সাথে একবার ফোনে কথা হয়েছিলো। প্রথম বারেই সে আমাকে বলেছিল,“একটা কথা বলতে চাই আপনাকে, রাগ করবেন না তো?” আমিও সম্মতি প্রকাশ করলাম এবং তাকে বলতে বললাম। অনেক সময় নিয়ে, অনেক কথার পরে অনেক বিনয়ের সাথে সে বলল, “রাগ করবেন না, তবে আমি না বলেও পারছিনা। আমার মনে হয় আমরা অনধিকার চর্চা করছি। আমরা কথার প্রত্যেক বাক্যের মধ্যে ইংরেজি কেন ব্যবহার করছি! সবাই জানি ভাষার ধর্মই হচ্ছে বদলে যাওয়া। কিন্তু বাহুর বলে হয়তো না, একটু ভালবাসা দিয়েই বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব আমাদের মাতৃভাষা। ইংরেজি চর্চা করতে বারণ করছিনা, তবে মাতৃভাষাকে আগে প্রাধান্য দিতে অনুরোধ করছি।” লজ্জায় মাথা নিচু হয়ে যাচ্ছিল আমার। কারণ সে বলেছিল যে,“আমার মনে হয় আমরা অনধিকার চর্চা করছি।” কিন্তু সত্য এটাই যে, সে তার কথার মধ্যে একটাও ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করেন নি। এর পর থেকেই শুরু করেছি শুদ্ধ মাতৃভাষা বাংলা বলার প্রয়াস! সত্যিই সে মুক্তমনা। নাম উল্লেখ করলাম না তার।
[বাক্য গুলো আমার সম্পূর্ণ ভাবে মনে নেই, তবে এমনি কিছু কথা ছিল।]
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:০১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , ভাল বলেছেন , তবে সঠিক প্রতিশব্দ প্রয়োগ করা কষ্টকর হলে যথোপযুক্তভাবে বাক্যে ইংরেজী শব্দ প্রয়োগ করা যেতে পারে, এ ক্ষেত্রে অবশ্য সেটা লেখকের বা বক্তার দুর্বলতা, ভাষার নয় , উল্লেখ্য বক্তার বা লিখকের জানার সীমাবদ্ধতা তো থাকতেই পারে । তার পরেও কথা হলো তিনি যা বলতে চেয়েছেন তা সঠিক ভাবে প্রকাশিত হয়েছে কিনা এবং তা অপর প্রান্তের শ্রোতা বা পাঠক সঠিক ভাবে বুঝতে পেরেছেন কিনা সেটাও একটা মুখ্য বিষয় । কারণ বক্তব্যে ব্যাবহৃত সবগুলি টেকনিক্যাল টার্মের বাংলা প্রতিশব্দ শ্রোতা কিংবা পাঠকের কাছেও অজ্ঞাত থাকতে পারে বিশেষ করে ব্যবহৃত ইংরেজী শব্দগুলি যদি বাংলায় ব্যবহারের আগে ইংরেজীতেই বহুলভাবে প্রয়োগ হয়ে থাকে এবং পাঠক কিংবা শ্রোতার কাছে ইংরেজীটাই বেশি পরিচিত থাকে । তাই বিষয়টি একেবারে স্বতসিদ্ধ কিছু নয় সেটা একটা প্রায়োগিক মুল্যবোধ বা ভেলু জাজমেন্ট মাত্র ।
শুভেচ্ছা রইল ।