নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইয়ে মানে, আপনি যে ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চা, তার প্রমাণ সেহেরীতে আভিজাত্য খাবার খেয়ে রোজা রেখে সারাদিন আরামে ঘরের মাঝে শুয়ে থেকে সন্ধ্যায় আবার সেই আভিজাত্য খাবার দিয়েই ইফতার করার মধ্য দিয়ে এবং বলে বেড়ানোতে যে রোজার মাসে সব খাবার দোকান বন্ধ রাখতে হবে...! হুম ঠিক পড়েছেন, ভুল কিছু বলি নাই। অন্য ধর্মের মানুষরা কি মানুষ না? তারা কি খাবে এবং কোথায় খাবে? আর তাছাড়া যখন একজন খেটে খাওয়া মানুষকে আপনি রোজার দিনে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার থেকে আপনি খাবার ছিনিয়ে নিচ্ছেন, তখন কি একবার ও ভেবে দেখেছেন, মানুষটার পরিশ্রমের কথা? যদি না ভাবেন, তো কেন হোটেল আর রেস্টুরেন্টের জানালা, দরজা এবং দোকানের আসবাব ভাঙছেন? তার আগে একবার সকাল থেকে দুপুর ১২টা অবধি রিক্সা চালান, না হয় ঠ্যালা ঠেলেন। দেখেন আপনার রোজার জ্বালা কেমন। আপনার মত এমন আভিজাত্য খাবার খেয়ে সারা দিন ঘরের মধ্যে শুয়ে থেকে যে কেউ সারাদিন না খেয়ে থাকতে পারবেন! তাছাড়া শরীয়তের কোন উৎস মতেই বা আপনি/আপনারা এইসব করছেন বা সমর্থন করছেন? এইসবের মধ্য দিয়ে কি আপনি খেটে খাওয়া মানুষ আর অন্য ধর্মের মানুষের ওপর অন্যায় করছেন না? রোজার উদ্দেশ্য কি তা জানেন কি আদৌ আপনি?
তো শুনে নিন,
“রোজা রাখা বা সিয়ামের উদ্দেশ্য হলো, পাপ কাজ থেকে বিরত থাকা এবং নিজেদের কামনা-বাসনা নিয়ন্ত্রণের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পরহেজগারি বা তাকওয়া বৃদ্ধি করা। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন,
‘ হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর; যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো (সূরা বাকারা, আয়াত ১৮৩)। ’
‘তাকওয়া’ শব্দটির মূল অর্থ ‘রক্ষা করা।’ এর অনুবাদ করা হয়েছে নানাভাবে। যেমন পরহেজগারি, আল্লাহর ভয়, দ্বীনদারি, সৎ কর্মশীলতা, সতর্কতা প্রভৃতি। রোজা রাখা হয় এ জন্য যে, এই তাকওয়ার দীক্ষায় আমরা দীক্ষিত হবো। রোজা ঢালের মতো কাজ করে, যা গোনাহের হাত থেকে আমাদের বাঁচায়। এর মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ে আমরা আখেরাতে আল্লাহতায়ালার প্রদত্ত শাস্তি থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারি।”
সূত্র ; উইকিপিডিয়া
আপনি অন্যের আহার ছিনিয়ে নিচ্ছেন, অন্য ধর্মের মানুষের আহার জ্বালা দেখবেন না, খেটে খাওয়া মানুষের আহার জ্বালা দেখবেন না, তার পরেও আপনি ‘তাকওয়া‘ দীক্ষায় দীক্ষিত?! আমি বলি আপনি ছাগলে তিন নাম্বার বাচ্চা!
১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:৫৫
রাফিন জয় বলেছেন: কেন, তা কি জানতে পারি?
২| ১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:০০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন বিষয় পজেটিভ এসপেক্টে আরো ভাল হতো।
অনেক রাগ জেমেছে বুঝতে পারছি! আসলেই তারা তাই!
সিয়াম এর মানে বুঝলে তো সমাজটাই বদলে যেত।
++++
১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:০৮
রাফিন জয় বলেছেন: একদম সত্য দাদা
৩| ১৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:০২
দ্যা ফয়েজ ভাই বলেছেন: খেটে খাওয়া মানুষের ক্ষিদের জ্বালা বুঝতেই তো সিয়াম।কিন্তু আমরা কি তা করছি???আমরা রোজা রাখছি ঠিকই কিন্তু রাজার হালে রয়েছি।যদি কোনদিন তাদের মত পরিশ্রম করে রোজা রাখার অভ্যাস করতে পারি,সেদিনই কথাগুলো বলা ঠিক হবে।
ভালো লাগলো।
১৮ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:২৬
রাফিন জয় বলেছেন: সহমত
৪| ১৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:৪০
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: উচ্চ থেকে মধ্যবিত্ত, সবাই রোজার মূল লক্ষ্য্ হারিয়ে সেহেরী/ইফতারে ভুড়িভোজের ব্যাবস্থা করে!!
৫| ১৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:৫৫
নিগূঢ় বলেছেন: রোজার মাসে এত রাগারাগি কীসের?
১৮ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:২৭
রাফিন জয় বলেছেন: হি হি হি
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:৩৯
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: এবং বলে বেড়ানোতে যে রোজার মাসে সব খাবার দোকান বন্ধ রাখতে হবে...! এ কথা সমর্থন যোগ্য নয়।