নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্টিগমা

রাফিন জয়

স্টিগমা

রাফিন জয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

সংখ্যালঘু মালাউনের বাচ্চা!

২১ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:২৬

এইবার রথ যাত্রায় মাইকিং নিষিদ্ধ করা হয়েছে, বাতাসা-ফল ইত্যাদি ছিটানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তবুও সরকার সংখ্যালঘুদের প্রতি সদয় দাবী করে! এইবার তাদের যুক্তি হয়তো মাইকিং করলে শব্দ দূষণ হয়, বাতাসা, ফল ইত্যাদি ছিটিয়ে দিলে রাস্তার পরিবেশ নষ্ট হয় ইত্যাদি ইত্যাদি... তো সংখ্যালঘুদের প্রতি সমান অধিকার আরোপকারী ব্যক্তিবর্গ মহাদয়গণ, প্রত্যেক ওয়াক্ত নামাজের আগে যে মাইকিং করে আজান করা হয়, তার বেলায় কি শব্দ দূষণ হয় না? প্রত্যেক মাহফিলে যে বড় বড় ধর্ম গুরু বক্তাদের দাওয়াত করে মাইক বাজান, তখন শব্দ দূষণ হয় না? জাতীয় ঈদগাহ মাঠে নামাজের জন্য এত মাইকিং করেন, তাতে শব্দ দূষণ হয় না? আবার প্রতিবার বৃষ্টি নামলেই যে রাস্তায় নোংরা পানিতে সাঁতার কাটতে হয়, তখন রাস্তার পরিবেশ নষ্ট হয় না? প্রত্যেক দিন ইফাতারির দোকান গুল যে দোকান ছেড়ে বাইরে টেবিল পেতে বেচাকেনা করে, তখন রাস্তার পরিবেশ নষ্ট হয় না? ১ থেকে ১০ই মহররম অবধি যে রাস্তায় যে ঘোড়ার পায়ে দুধ ঢালা হয়, তখন রাস্তার পরিবেশ নষ্ট হয় না? হা হা হা, তখন হবে কেন?! এটা যে মুসলিম প্রধান দেশ, সনাতন, খৃষ্টান, বুদ্ধ ইত্যাদি ধর্মের মানুষ গুলো তো মালাউনের বাচ্চা! তাই নয় কি? তবুও আপনারা সদয় আছেন...
এইবার দেখি, শব্দ দূষণ রোধ করতে আপনারা ঈদগাহে মাইকিং বন্ধ করেন কিনা!

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৫

কানিজ রিনা বলেছেন: ইদগাহে মাইকিং বন্ধ হলে সব মন্দিরে পুজার
ঢোল বন্ধ হবে। কোনটা চান?
মসজিদে পাঁচ বেলা আজান দেওয়া হয় এক
মিনিট করে। সেটা যদি শব্দ দুশোন হয়।
মন্দিরে সাতদিন একভাবে ডগর বাজার শব্দ
দুশোন কেমনে?
যে নিজের ধর্ম বিশ্বাস শ্রদ্ধা রাখে। সে অপর
ধর্ম নিয়ে অপমান সূচক কথা বলেনা।

তাই কোনও কিছু অতি রন্জিত ঠিকনা।
আমরা বাঙালী সকল ধর্মের মানুষ শান্তিতে
থাকতে চাই। ভারতে যেমন উগ্র হিন্দু আছে।
এদেশেও তেমন উগ্রমুসলিম আছে।
উগ্রহিন্দু থামানোর কৌশলে মদি সরকার
গরু খাওয়া বন্ধ করেছে, এদেশেও উগ্র
মুসলিম থামাতে অনেক পদক্ষেপ সরকারী
পদক্ষেপ প্রয়োজন। যাতে করে রক্তপাত
হানাহানী না হয়। ধর্য মানুষকে সহনশীল হতে
শিখায়। ধন্যবাদ।

২| ২১ শে জুন, ২০১৭ রাত ৮:১০

শৈবাল আহম্মেদ বলেছেন: আমি মনে করি,শব্দ দূষণ সকলের জন্যই অমঙ্গল। ফলে প্রত্যেক ধর্মের বিশেষ কোন দিনে সাউন্ড বকস বাজতে পারে। কিন্তু প্রতিনিয়ত কারোর মাইক বাজানোর প্রয়জন হলে অবশ্যই হ্যান্ড মাইকের উপরে গেলে সেটা অন্যায় হবে। এবং মাইক টোটাল বন্ধ করে দেওয়া উচিত।

৩| ২১ শে জুন, ২০১৭ রাত ৮:৩১

শৈবাল আহম্মেদ বলেছেন: ঢোল-ডগর টোটাল বন্ধ করে দেওয়া উচিৎ। এটা অনেক পুরানো সংস্কৃতি। যেমন বৈদ্যতিক বাল্ব আসার আগে টেমির আগুনে মানুষ দেখত। কিন্তু এখনতো আর টেমির আলোয় দেখা সম্ভব নয়। তেমনি এগুলো যারা বাজায় এবং যারা শ্রবণ করে উভই নিজেদের দিকে তাকালে- বদ্ধ বোকার কাজ ছাড়া অন্য কিছু মনে করবেনা।

৪| ২১ শে জুন, ২০১৭ রাত ৮:৫৬

রাফিন জয় বলেছেন: আমার মুল বক্তব্য এটাই এই নিয়ম শুধু হিন্দুদের ক্ষেত্রে নয় সর্ব ক্ষেত্রে যেন প্রযোজ্য হয়। কীর্তনের পক্ষে যাচ্ছি না, তবে সংখ্যালঘুদের প্রতি এটা অবিচার বলেই মনে হচ্ছে এখন রাষ্ট্রের এমন আচরণ

৫| ২১ শে জুন, ২০১৭ রাত ১১:০৩

সোহানী বলেছেন: সহমত কানিজ।

৬| ২২ শে জুন, ২০১৭ রাত ১২:৫৯

কানিজ রিনা বলেছেন: সংখ্যা লঘু বলে কোনও কথা নাই সংখ্য লঘু
বলে বলে নিজেদের আর খাট করেন না।
এদেশে খৃষ্টান বৌদ্ধরাও বাস করে তারা
নিজেদের সংখ্যা লঘু ভাবেনা।
আর আমাদের দেশের হিন্দূরা সংখ্যয় কম
হচ্ছে দিনকে দিন ভারত চলে যেয়ে।
ভারতে মুসলিমরা অনেক নির্যাতিত তারা
কখনও নিজের দেশ ছেরে অন্য দেশে চলে
যায়না। ধন্যবাদ।

৭| ২২ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:১৭

শৈবাল আহম্মেদ বলেছেন: কানিজ রিনার কথাগুলো খুবই নিরপেক্ষ ও বাস্তব সম্মত হয়েছে। এজন্য সংখালঘুদের বিষয়টা আরেকটু ভেবে দেখার জন্য অনুরোধ করলাম।

৮| ২৩ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৩১

বিজন রয় বলেছেন: শিরোণামটি ভাল লাগেনি।

২৩ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:১২

রাফিন জয় বলেছেন: আমারও লাগেনি

৯| ২৩ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪১

নতুন বলেছেন: সংখ্যালঘু মালাউনের বাচ্চা!

শিরোণামটি ভাল লাগেনি।

হিন্দু/বৌদ্ধ বা খৃস্টান কারুর ধমীয় অনুস্ঠানে সমস্যা হবারর কথা না।

সমস্যা হয় অতি উৎসায়ী পাগলা জনগনের জন্য।

মাইকে ওয়াজ করা যেমন এক রকমের অত্যাচার.... তেমনি পুজার সময় মাইকে হিন্দিগানও অত্যাচার.....

সবাই যদি অপরের সমস্যা যাতে না হয় সেটা ভেবে কাজ করে তবে কখনোই অন্য মানুষ সমালোচনা করবেনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.