নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্টিগমা

রাফিন জয়

স্টিগমা

রাফিন জয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

Homosexuality and Bisexuality

৩০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৪২

সমকামিতা (Homosexuality and Bisexuality) আসলে কেন হয়, এই প্রশ্নের অন্বেষণে বিজ্ঞান থেমে নেই। বিজ্ঞান বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ায় এর অন্বেষণ, বিশ্লেষণ এবং ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য রিসার্চ অব্যাহত রেখেছে। তবে এখনো এই সিদ্ধান্তে বিজ্ঞান সম্পূর্ণ সফল ভাবে উপনীত হতে পারেনি সমকামিতার আসল কারণ ও উপাদান সম্পর্কে।

সুইডেন বিজ্ঞানী ড. ইভাঙ্কা স্যাভিক সমকামী নারী ও পুরুষের যথাক্রমে মুত্র থেকে 'ফর্মন' নামক এক ধরনের হরমোন নির্জাস আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছিলেন। রিসার্চে দেখা গেছে যে, সমকামী সম্পর্কের মাঝে নারী পুরুষ উভয়েই উক্ত হরমোন কারণে প্রভাবিত এবং সমলিঙ্গে আকৃষ্ট হন। তবে তর্কের সম্মুখীন হয়ে এবং অন্য ড. থ্রম্পটন'র আরেক রিসার্চের মধ্য দিয়ে তা প্রমাণিত হয় যে তাতে জেনেটিক্স তেমন কোন প্রকট কারণ নেই বা কোন জটিলতা নেই। তবে পরের রিসার্চের মধ্যে এটাও সম্পূর্ণ ভাবে প্রমাণ করা সম্ভব হয়নি যে, জেনেটিক্স কোন রকম প্রভাব একদম এতে নেই। তারা উভয়েই সম্পূর্ণ সিদ্ধান্তে উপনীত হতে সক্ষম হয়নি। তবে থ্রম্পটন তা প্রমাণ করতে সক্ষম হয় যে, সমকামী সম্পর্কের জন্য পরিবেশের প্রভাবটাই প্রকট। অর্থাৎ তা হচ্ছে অর্জিত আচরণ।

তবে জেনেটিক্স কোন কারণ আদৌ সেখানে প্রকট কিনা, তা নিয়ে খুব বড়সড় করে একটা রিসার্চ করে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। তারা প্রায় ১৪০০০ হাজার যমজদের মাঝে এক রিসার্চ চালায়। যমজদের জেনেটিক আকার বা গঠন একই রকম হওয়াতে তাদের এমন সিদ্ধান্ত ছিল। তবে তাতে দেখা গেছে শতকরা ৩৪ ভাগ ছেলেদের ক্ষেত্রে তারা সমকামী হচ্ছে এবং মেয়েদের বেলায় তা ৩০ ভাগ। এতে করে তারা প্রমাণ করতে সক্ষম হয় যে এতে জেনেটিক্স কোন প্রকট কারণ নেই। তবে একে বারেই নেই তাও বলা যায় না।

তবে কিছু নৃবিজ্ঞানী সেখানে সমকামিতার কারণ হিসেবে জেনেটিক্স কারণ বা জ্ঞাতি সম্পর্ককে বেশি প্রকট বলে দাবী করেন। যদিও তার যথাযথ প্রমাণ তারা প্রকাশ করতে পারেন নি।

অন্য দিকে ড. বেইলি তার এক রিসার্চে প্রমাণ করেন যে, শুধু গে জিন Xq28 (যা পরে তিনি গে জিন নয় বলে ঘোষণা করেন তার রিসার্চের মধ্য দিয়ে) ছাড়াও 8p12, 7q36 এবং 10q26 মার্কার দায়ি।

তবে সবার মতেই (সংখ্যালঘু কয়েক নৃবিজ্ঞানী ছাড়া) একথা প্রকাশিত যে, জেনেটিক্স কারণ ঠিক কতটুকু এবং পরিবেশের কতটুকু, তা ঠিক ঠাওর করে বলা যায় না। তবে তাতে পরিবেশের প্রভাবটাই বেশি। জেনেটিক্স কারণ আদৌ ঠিক কাজ করে কিনা, তা এখনো প্রশ্নের সম্মুখীন। তবে অন্বেষণ অব্যাহত রয়েছে বিজ্ঞানীদের। একদিন অবশ্যই প্রকাশিত হবে বিস্তর ভাবে।

তবে সমকামিতা বা বিপরীত লিঙ্গে আকৃষ্ট হওয়া ব্যক্তির ইচ্ছে ও রুচি সাপেক্ষ। যাদের স্বাভাবিক বলা হয় বা যারা বিপরীত লিঙ্গের প্রতি যারা আকৃষ্ট হন, তারা সম লিঙ্গের সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা যেমন কল্পনাও করতে পারেনা, সমকামীদের বেলায় তা ঘটে ঠিক উলটো।

তবে আমি আমার আগের পোস্টে বলেছিলাম, ''আমাদের সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিতে যাদেরকে আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠরা স্বাভাবিক বা Normal মনে করি, আর যাদের স্বাভাবিক না বা abnormal মনে করি, তাদের মাঝে দৃষ্টিভঙ্গিগত পার্থক্য ছাড়া আর কোন পার্থক্য নেই। মূলত বিষয়টা হচ্ছে ভালবাসা নিয়ে। আর ভালবাসার সাইন্টিফিক ব্যাখ্যা হল দুই ধরণের হরমোনাল কার্যাবলী নিয়ে। ভালবাসা মস্তিষ্কের থ্যালামাসের রাসায়নিক একটা কার্যক্রম।। ডোপামিন এবং নরেপিনেফ্রিন নামক হরমোনের কারণে মানুষের মাঝে ভালবাসা বোধ জন্মায়।

সুতরাং উক্ত হরমোনাল কারণে যেকোনো মানুষের মধ্যে ভালবাসা জন্মাতে পারে। তা একটা ছেলের প্রতি আরেকটা ছেলে, একটা ছেলের প্রতি একটা মেয়ে কিংবা একটা মেয়ের প্রতি আরেকটা মেয়ের হতে পারে। যদি একটা একটা ছেলের সাথে আরেকটা ছেলে কিংবা একটা মেয়ের সাথে আরেকটা মেয়ের সম্পর্ক একটা ছেলে ও মেয়ের মতই হয় বা সম্পূর্ণ ভালবাসা পায়, তবে কেন বাঁধা বিপত্তি? তাই এটা নিতান্তই বাস্তব যে Homosexual relationship বা Same-sex relationships কোন অশুভ বিষয় না, অশুভ হল আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি!''

আমি এখনো ঠিক একই কথা বলব। জেনেটিক্স কারণে সমকামিতা হোক বা ইচ্ছে শক্তি ও রুচির কারণে, সেদিক নিয়ে আমার ঠিক কোন হিন্দোল নেই।

[তথ্য অনেক জায়গা থেকে সংগৃহীত। যাদের থেকে এতো তথ্য পেয়েছে, তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। ]

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:০৮

অনল চৌধুরী বলেছেন: তাই এটা নিতান্তই বাস্তব যে Homosexual relationship বা Same-sex relationships কোন অশুভ বিষয় না, অশুভ হল আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি!''-নিজের মানসিক বিকৃতি সবার উপর চাপাতে চাচ্ছেন কেন?
আপনি নিজে জানোয়ার,জানোয়ারই থাকেন,আর উইরোপ -এ্যামেরিকাতে গিযে অবাধে নষ্টামি করেন।

৩০ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৮

রাফিন জয় বলেছেন: নিজের ভাষাকে সংযত করুন। আর একটা কথা মনে রাখবেন, আপনার চলন, বলন, আচরণ, খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদি জটির সমষ্টিয় হচ্ছে আপনার সংস্কৃতি।

২| ৩০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:১০

অনল চৌধুরী বলেছেন: বাংলাদেশের এইন অনুযায়ী এসব অসভ্যতার চর্চা ও প্রচার দন্ডনীয় অপরাধ।

৩| ৩০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:১২

চানাচুর বলেছেন: অনেক বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা পড়লাম। ধর্মীয় মতে, এটা বিকৃত চিন্তা থেকে আসে। জানোয়াররা সমকামী হয় এবং অজাচার করে। এজন্যই বোধহয় বলা হয় মানুষের সাথে জানোয়ারের পার্থক্য কেবল এই ধর্মে।

৪| ৩০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৪০

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: যুক্তিসংগত তথ্যবহুল লেখা। অনেক কিছু জানলাম। ধন্যবাদ আপনাকে। :)

৫| ৩০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৬

এস,এম,মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেছেন: যত বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেন না কেন, এগুলো আসলে সমকামীতাকে কোনরুপে বৈধতা দেয়ার অযুহাত মাত্র।

সমকামীতা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।

৩০ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৬

রাফিন জয় বলেছেন: সেটা আপনার দৃষ্টিভঙ্গিতে!

৬| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ৩:৩০

স্বতু সাঁই বলেছেন: একজন সমকামীর ইতিবৃত্ত.

আমার এক বন্ধু সমকামীদের অধিকার নিয়ে কাজ করতো। শুধু তাদের অধিকার নিয়ে কাজ করতো তা না, সে নিজেও সমকামীতে আসক্ত অনেক আগে থেকেই ছিলো। বহুদিন পর তার সাথে দেখা। সে তার কাজের অভিজ্ঞতার কথা এসে আমাকে মাঝে মাঝে বলতো। সমকামীর পক্ষে যুক্তি দেখানোর জন্য অনেক বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও দিতো। আমি কোন মন্তব্য করতাম না, শুধু ওর কথাগুলো শুনতাম। একদিন সে আমাকে বলে,
"কি হয়েছে তোর, তুই আমার কাজের ব্যাপারে কি মোটেও সন্তুষ্ট না?" আমি বললাম,
"কিছু মনে না করলে একটা কথা বলতে পারি। তবে আমার কথা বলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তুই কোন মন্তব্য করতে পারবি না।"
"বল।"
"সমকামীদের বিষয়ে তুই নিজেই বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা অনেক শুনিয়েছিস আমাকে। তোর ভাষ্য মতে এটা অনেকটা নাকি জেনেটিক্যাল বিষয়। তোর কথা সব মেনে নিলাম এবং সে কারণেই তুই তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছিস। বেশ ভালো কথা। এখানে আমার একটা প্রশ্ন। তোর ছেলেটা বড় হলো। জেনেটিক্যালী সেও তোর মতই সমকামী হলো। এক রাতে তোর সাথেই শুয়ে আছে। মধ্য রাতে বুঝতে পারলি যে তোর ছেলে তোর লুঙ্গী তুলে তোর গুহ্যে তার শিশ্ন প্রবেশ করানোর চেষ্টা করছে। তখন কি তুই তাকে বাধা দিতে পারবি? কারণ তুই সমকামীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছিস। সেখানে তোর বাধা দেওয়ার কোন অধিকার নেই। অতএব বিনা বাক্য ব্যয়ে তোকে তোর সন্তানের দ্বারা যা হওয়ার তাই হতে হবে। এই হয়ে যাওয়ার ঘটনার কথা কি তুই গর্বভরে সকলের কাছে বলতে পারবি, আমার পুত্র আমাকে এই করেছে? এ কাজ তোর পুত্র করতেই পারে কারণ সমকামীদের তো আর কোন বিধি বিধান নাই যে পুত্র পিতার সাথে সহবাস করা অবৈধ। সহবাসের বিধি বিধান তো শুধুু বিপরীতকামীদের ক্ষেত্রে। অতএব তোর পুত্র গোপনে লুঙ্গী না তুলে প্রকাশ্যে বলে, বাবা আজ আমি তোমার সাথে শুবো। তাহলেও তার আশা পূর্ণ করতেই হবে। কারণ তুই তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছি।" আমার কথাগুলো শুনতে শুনতে তার মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে যায়। আমাকে আর কোন উত্তর না করে, উঠে চলে যায়। আমিও তাকে পিছন থেকে ডাকি নি। সে ঘটনার বহুদিন পর আবার এসেছিলো আমার কাছে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম,
"কি রে কেমন চলছে তোদের কাজ কর্ম?" সে উত্তরে বললো,
"ছেড়ে দিয়েছি ঐসব কাজ।"

০১ লা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:০৭

রাফিন জয় বলেছেন: আপনার ইন্টারেস্ট তো নারীদের প্রতি। আপনি কি কোন রাতে আপনার মায়ের সাথে সহবাসের কথা চিন্তাও করতে পারেন? মোটেই না। সমকামিতা মানে শুধুই সেক্সিজম, তা কিন্তু নয়। এই বিষয় গুলো একটু ভেবে দেখেন। আমার কথাতে কিন্তু পূর্ণ ভালবাসা পাওয়ার কথা ছিল।
আপনি তো সমকামিতায় সমর্থন করেন না, আপনি তো বিপরীত লিঙ্গের সম্পর্কে সমর্থন করেন। এর মানে কি রোজ আপনি নতুন নারীর সাথে সহবাস করাকে সমর্থন করছেন?

০১ লা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:১১

রাফিন জয় বলেছেন: বাবার বিপরীতে সেখানে কিন্তু বিপরীত লিঙ্গের সম্পর্ক সমর্থন কারীদের মা ও ছেলের মাঝে যৌন সম্পর্ক ও তুলে ধরা যেতে পারে। যুক্তি দিয়ে খণ্ডন করার চেষ্টা করেন!

আমার কথা গুলো তর্কের জন্য নয়, আলোচনার জন্য। আর আমি সমকামী নই, তবে সমকামিতাকে অশুভ মনে করি না!

৭| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ ভোর ৫:১৫

জগতারন বলেছেন:
"এখানে আমার একটা প্রশ্ন। এক রাতে তোর সাথেই শুয়ে আছে। মধ্য রাতে বুঝতে পারলি যে তোর ছেলে তোর লুঙ্গী তুলে তোর গুহ্যে তার শিশ্ন প্রবেশ করানোর চেষ্টা করছে। তখন কি তুই তাকে বাধা দিতে পারবি? কারণ তুই সমকামীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছিস। সেখানে তোর বাধা দেওয়ার কোন অধিকার নেই। অতএব বিনা বাক্য ব্যয়ে তোকে তোর সন্তানের দ্বারা যা হওয়ার তাই হতে হবে। এই হয়ে যাওয়ার ঘটনার কথা কি তুই গর্বভরে সকলের কাছে বলতে পারবি, আমার পুত্র আমাকে এই করেছে? এ কাজ তোর পুত্র করতেই পারে কারণ সমকামীদের তো আর কোন বিধি বিধান নাই যে পুত্র পিতার সাথে সহবাস করা অবৈধ। সহবাসের বিধি বিধান তো শুধুু বিপরীতকামীদের ক্ষেত্রে। অতএব তোর পুত্র গোপনে লুঙ্গী না তুলে প্রকাশ্যে বলে, বাবা আজ আমি তোমার সাথে শুবো। তাহলেও তার আশা পূর্ণ করতেই হবে। কারণ তুই তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছি।"

সুন্দর প্রশ্ন!!!

এই প্রশ্নটিই আমরা এই ব্লগ লেখক-রাফিন জয়-এর প্রতি রইলো বা করি ! এবার দেখি সে কি ও কী উত্তর দেয়।

০১ লা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:০৮

রাফিন জয় বলেছেন: আপনার ইন্টারেস্ট তো নারীদের প্রতি। আপনি কি কোন রাতে আপনার মায়ের সাথে সহবাসের কথা চিন্তাও করতে পারেন? মোটেই না। সমকামিতা মানে শুধুই সেক্সিজম, তা কিন্তু নয়। এই বিষয় গুলো একটু ভেবে দেখেন। আমার কথাতে কিন্তু পূর্ণ ভালবাসা পাওয়ার কথা ছিল।
আপনি তো সমকামিতায় সমর্থন করেন না, আপনি তো বিপরীত লিঙ্গের সম্পর্কে সমর্থন করেন। এর মানে কি রোজ আপনি নতুন নারীর সাথে সহবাস করাকে সমর্থন করছেন?

০১ লা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:১১

রাফিন জয় বলেছেন: বাবার বিপরীতে সেখানে কিন্তু বিপরীত লিঙ্গের সম্পর্ক সমর্থন কারীদের মা ও ছেলের মাঝে যৌন সম্পর্ক ও তুলে ধরা যেতে পারে। যুক্তি দিয়ে খণ্ডন করার চেষ্টা করেন!

আমার কথা গুলো তর্কের জন্য নয়, আলোচনার জন্য। আর আমি সমকামী নই, তবে সমকামিতাকে অশুভ মনে করি না!

৮| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:০৫

স্বতু সাঁই বলেছেন: বিপরীত লিঙ্গের ক্ষেত্রে ধর্মীয় বিধান দ্বারা কিছু সম্পর্কের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা আছে। তাই ইচ্ছে করলেও কেউ নিষিদ্ধ সম্পর্কগুলির সাথে যৌনতার কোন সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে না। কিন্তু সমকামীদের কোন ধর্ম ৃেই বা কার সাথে কে যৌন সম্পর্ক করবে এর সঠিক বা নির্দিষ্ট বিধান নাই। সমকামীকায় যদি কোন ক্ষতির কারণ না থাকে তাহলে ছলে বাবার সাথে আপত্তি থাকবার কথা নয় সম্পর্ক

৯| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৩১

স্বতু সাঁই বলেছেন: সমকামীতায় যদি কোন ক্ষতির কারণ না থাকে তাহলে ছেলে বাবার সাথে যৌন সম্পর্কে আপত্তি থাকবার কথা নয়। আর ছেলে যদি ইচ্ছে করে তাহলে বাবার উচিত হবে না ছেলের অধিকার হরন করা। আমার বক্তব্যটা এতক্ষনে নিশ্চয় ক্লিয়ার হয়েছে।

আমার আলু খেতে মোটেও পছন্দের নয় তাই আলুর কোন প্রকার বিশেষ রান্না বা খাবারে আমার রুচিও হয় না। কেউ যদি আলুর কোন খাবারে গল্প করে তাহলে সেটাতেও আমার কোন রুচি আসে না। আমার মনে হয় অধিকাংশ মানুষের ক্ষেত্রে তাই। কিন্ত কেউ আলুর খাবারের প্রতি আসক্ত না হয়ে, আলুর খাবারের গল্প শুনতে বা শুনাতে বা খাবার জন্য অন্যকে আগ্রহ জাগানোর চেষ্টা করে, এটা কি কেউ বিশ্বাস করবে ভাই। তুমি যদি চাও আমি আমার পরিচিত সমকামীতার অধিকার নিয়ে আন্দোলন করছে তাদের দশ জনের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে পারবো যারা ফ্রি ফ্রি সমকামী যৌনকর্মীদের সাথে যৌনাচার করার জন্য তাদের অধিকার নিয়ে কথা বলে। কারণ আমাদের সমাজে সমকামীদের এতো সাহস হয় নি যে তারা সরাসরি তাদের অধিকার নিয়ে আন্দোলন করবে। তাই যারা আন্দোলন বা অধিকার নিয়ে কথা বলছে তারা এই সুযোগ নিয়েছে। এই দুনিয়ায় ভীই ভাইয়ের পাশে দাঁড়ায় না স্বার্থ ছাড়া। আর আপনি মহানুভবতার কথা বলে কি অন্যকে তা বিশ্বাস কিভাবে করাতে পারেন? আলু এমন কোন বিশেষ খাবার নয় যে পছন্দ নী করেও মানুষকে সেই খাবার খাওয়ার জন্য উঠে পড়ে লাগতে হবে।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:১৪

রাফিন জয় বলেছেন: সমকামিতার মানে সমলিঙ্গের সাথে অবাধ যৌনাচার নয়। যদি তাই হত, তবে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি যারা আকর্ষণ বোধ করেন, তাদের অবশ্যই মা বা বাবার সাথে ও যৌনাচারে লিপ্ত থাকার কথা। একবার ভাবেন তো, আমরা কি সমলিঙ্গের কোন ব্যক্তির সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করাতে কখনো সম্মত হব? আমার তো সেখানে গা ঘিন ঘিন করতে থাকবে। কিন্তু বিপরীত লিঙ্গের বেলায় কিন্তু তা হবে না। কিন্তু সমকামীদের বেলায় বিষয়টা হয় সম্পূর্ণ উল্টো। তাই রুচিবোধটাই এখানে মুখ্য। অযথা ধর্ম এর মাঝে টেনে এনে কোন লাভ নেই। ধর্ম স্থির, তার কোন পরিবর্তন নেই। চাইলেই আপনি কোন ধর্ম গ্রন্থের কোন একটি বাক্য পরিবর্তন করতে পারবেন না। কিন্তু সমাজ বিজ্ঞানী ম্যাকাইভার তার Sociology গ্রন্থে বলেছেন যে সমাজ সদা পরিবর্তনশীল। শুধু তিনি একা নয়, সব সমাজ বিজ্ঞানীই তা বলেন এবং তা প্রমাণিত। সেখান স্থির ধর্ম দিয়ে আপনি সমাজ বিচার করতে পারবেন না!

১০| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৫০

স্বতু সাঁই বলেছেন: সমাজবিজ্ঞান, কোন বিজ্ঞান নয়। তাই পরিবর্তনশীল। কিন্তু চিরন্তনীবাণী অপরিবর্তনীয়, যা সার্বোজনীন। এ বিষয়ে যদি জ্ঞান না থাকে তাহলে কথা না বাড়ানোই উচিৎ। একজন মুণির কথাকে তখনই আমি অবৈজ্ঞানিক বলতে পারি যখন আমি নিজেকে একজন মুনির সমকক্ষ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারি। নচেৎ কোন মুণির বিপরীতে কোন উক্তি করার অর্থ হলো পাগলের প্রলাপবকা স্বরূপ।

০৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:০৭

রাফিন জয় বলেছেন: সমাজ বিজ্ঞান কোন বিজ্ঞান নয় কে বলল আপনাকে? সমাজ সদা পরিবর্তনশীল এবং ধর্ম বিধান বা গ্রন্থ অপরিবর্তনশীল তা আপনি ভুল প্রমাণ করে দেখান তাহলে!

১১| ১৮ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৩৯

আবু ছােলহ বলেছেন:



রাফিন জয়,
ভাল লাগলো আপনার ব্লগ শিরোনামে ঝুলিয়ে রাখা কথাটি, ''সত্যের অন্বেষণে আছি, কিন্তু পথ খুঁজে পাচ্ছি না!''

সত্যিই যদি সত্যের অন্বেষণে থেকে থাকেন, সত্যকে খুঁজে পাবেন অবশ্যই। প্রকৃত সত্য তো ঐশি বানীর ভেতরেই নিহীত। মানব জাতির উন্নয়ন, সংশোধন, উত্তোরন সবকিছুই কেবলমাত্র এই একটি জায়গাতেই নিখুঁত নির্ভেজালভাবে পাওয়া যাবে। বিশ্বাস করুন ভাই, আর কোথাও নেই। কোন মতবাদ, মতাদর্শ, তন্ত্র-মন্ত্র যাই বলেন না কেন, কোথাও নেই। সুতরাং, খুলে দেখুন মহাগ্রন্থ আল কুরআন, আপনার ধারনার বিপরীতে এই ঐশি গ্রন্থ 'সমকামিতা' সম্পর্কে কি ভয়ঙ্কর সংবাদ দিয়েছে মানবজাতিকে!

এ বিষয়ে অল্প হলেও কিছু গুরুত্বপূর্ন আলোচনা দেখেছিলাম একটি পোস্টে। সেই পোস্টে সমকামিতার অসারতা প্রমানে এবং এই নিকৃষ্টতর ইতর কাজটি মহান স্রষ্টা বিরোধী হওয়ার ক্ষেত্রে 'নতুন নকিব' এর মন্তব্যগুলো বিশেষভাবে কুরআন হাদিসের রেফারেন্সে সমৃদ্ধ মনে হয়েছে। যদি সময় করে কখনও দেখে নিতেন কৃতজ্ঞতা থাকবে। সেই পোস্টে যাওয়ার লিঙ্কটি দিচ্ছি-

আনন্দ উৎসব থেকে সমকামী যুবক গ্রেফতার: মানবাধিকারে ওপর চপেটাঘাত!

ভাল থাকুন।

১৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৩৮

রাফিন জয় বলেছেন: আমার ধর্মের সাথে কোন বিরোধ নেই। সবাই বলেছে ইসলামে তা নিষিদ্ধ। একবার তার মূল কারণ কি দেখেছেন কেন নিষিদ্ধ করা হয়েছিল? সেটা একবার যুক্তি দিয়ে ভাবেন। ধর্ম কল্যাণের জন্য মানুষ না, মানব কল্যাণের জন্য ধর্ম। এখন পুরই উল্টো হচ্ছে। ধর্ম অপরিবর্তনশীল, কিন্তু সমাজ পরিবর্তনশীল। আধুনিকতা শুধু নিজের পোশাক পরিচ্ছেদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখবেন না, চেতনা শক্তিকেও করেন।

১২| ১৮ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:০৮

টারজান০০০০৭ বলেছেন: যুক্তিবিদ্যার এই এক অপকারিতা ! এমনকি হোগাজীবী বা তাহাদের সমর্থকরাও পুটুকামীতার পক্ষে লিখিতে পারে !

১৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৩৯

রাফিন জয় বলেছেন: ভাষাকে সংযত করবেন।

১৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৫৩

টারজান০০০০৭ বলেছেন: সরি , আমার ভাষা পুটুকামীতার চেয়ে খারাপ নহে ! X((

১৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:১৬

রাফিন জয় বলেছেন: নিজের সংস্কৃতি প্রদর্শন করছেন

১৪| ১৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:২০

তাতিয়ানা পোর্ট বলেছেন: Same love

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.