নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্টিগমা

রাফিন জয়

স্টিগমা

রাফিন জয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা উন্নয়ন বিরোধী নই, বিদ্যুৎ কেন্দ্র আমরাও চাই, তবে সর্বনাশা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে নয়।

০৪ ঠা মে, ২০১৮ দুপুর ১২:১২


সুন্দরবন বিধ্বংসী রাম্পাল কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতিবছর ৯.৫ লাখ টন ছাই, ৭৯ লাখ টন কার্বনডাই অক্সাইড, ৫১,৮৩০ টন সালফারডাই অক্সাইড এবং ৫৮ টন বিষাক্ত নাইট্রোজেন গ্যাস উৎপন্ন হবে। যা জীব বৈচিত্র্য ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ট।

আবার এইতো, গেলো মাসে পশুর নদীতে ৭৭৫ টন কয়লা ভর্তি কার্গো ডুবিতে নদীর তলানিতে কয়লা জমা পরেছে। ডুবে যাওয়া কয়লা উদ্ধারের কাজ শুরু করতেই পাঁচ দিন সময় লেগেছে (কাজের অগ্রগতিও কারো অজানা নয়।) তাতেই কুমির আর ডলফিনের প্রজনন ও জীবন চক্র হুমকির মুখে। তো সুন্দরবন বিধ্বংসী সর্বনাশা রাম্পাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ১০ হাজার টন কয়লা নিয়ে যেতে হবে পশুর নদী দিয়ে, তখন কার্গো ডুবলে পশুর নদীর অবস্থা কি হবে ভেবেছেন কি? বুড়িগঙ্গা হয়ে যাবে পশুর নদী।

এই পশুর নদী ধ্বংস করে, মায়া হরিণ ধ্বংস করে, জীব বৈচিত্র্য ধ্বংস করে সর্বগ্রাসী সর্বনাশা প্রকল্প চাওয়া মূর্খ ছাড়া আর কাজ হতে পারে? রাষ্ট্রের চোখে আঙুল দিয়ে দেখানো দরকার, চিনের কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের ফলে, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আশেপাশের অঞ্চলে লাঙস এবং কোলন ক্যান্সারের হার একটা তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভারতের কোন একটা অঞ্চলে (ঠিক নামটা মনে পড়ছে না এখন) কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পড়ে পরিবেশের এতটাই বিপর্যয় ঘটেছে যে, উক্ত অঞ্চলে এখন আর কৃষি ফসল জন্মায় না। ওখানকার পানির রং ও স্বাভাবিক নয় এখন আর।

২০১৬ সালে চীনে ১০০টি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে দেশটির এনার্জি রেগুলেটর। যা কিনা চীনের ১১টি প্রদেশে প্রায় ১০০ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতো। তাও আমার আমাদের রাষ্ট্র ঐ সর্বনাশা প্রকল্প গ্রহণ করেছে, যা নাকি অন্য রাষ্ট্রের বাতিল প্রজেক্ট।

এখন প্রটেস্ট করতে গেলেই, বলতে গেলেই উন্নয়ন বিরোধী ট্যাগ দিতে সময় নেয় না রাষ্ট্র যন্ত্র। হয়ে যাও ভারতের কয়লার কন্সিউমার!

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ দুপুর ১২:২৭

শাহিন-৯৯ বলেছেন: কে শুনবে আপনার কথা? আপনি কি ক্ষমতার মসনদের গ্যারান্টি দিতে পারবেন? যদি গ্যারান্টি দিতে পারেন তয় আপনার এই কথা অক্ষরে অক্ষরে মানবে ট্যাগ পন্ডিতরা।

০৪ ঠা মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৯

রাফিন জয় বলেছেন: ক্ষমতায় আসে তারা, দায়িত্ব পালনে না

২| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৪

রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: ভালো লেগেছে...।
কিন্তু দেশের কি হবে...
আমাদের দেশ কি বার বার কুটনৌতিক চালে হেরে যাবে..

০৪ ঠা মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৯

রাফিন জয় বলেছেন: এই রূপ রেখা দেখে তো মনে হচ্ছে ধ্বংস হবে দেশ।

৩| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ দুপুর ২:১৩

করুণাধারা বলেছেন: চমৎকার পোস্ট, সাথের কার্টুনটিও দারুন। খুব ভালো লাগলো।

৪| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: সরকার কখনও কারো কথা শুনে না।

৫| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩৯

মো: মাসুদ রানা (এম আর) বলেছেন: আমরা বর্তমানে বিশ্বাসী । আমাদের সূদরপ্রশারী কোন চিন্তা ভাবনা নাই এবং আমরা ভালো কিছু ভাবতে পারিনা কারন পেট নিতী।

০৪ ঠা মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩১

রাফিন জয় বলেছেন: নিতান্তই বাস্তব। তারা ক্ষমতা লিপ্সু শুধু, দায়িত্বের জন্য নয়।

৬| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:


সরকার দেশের মানুষের জন্য বিদ্যুত তৈরি করার জন্য এই প্রকল্প নিয়েছে, মানুষের সাথে এটা নিয়ে আলাপ করলে সমস্যার সমাধান হতো।

০৪ ঠা মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৬

রাফিন জয় বলেছেন: ৩রা জানুয়ারি ফেসবুকে একটা পোস্ট করেছিলাম। সেটা এখানে আবার তুলে দিচ্ছি।

কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন পদ্ধতি যেখানে সারা বিশ্ব পরিত্যাগ করছে, রাষ্ট্র তখন গো ধরে বসে আছে। থাকার কারণটাও একেবারে অমূলক নয়। রাষ্ট্র পক্ষ NTPC'র পাল্লায় পড়ে যে বসে আছে। সেই খপ্পরে পড়েই বাংলাদেশ এখন ভারতের কয়লা কন্সিউমার হতে যাচ্ছে। তারা দেখাবে বন্ধুত্ব এবং দৃশ্যমান উন্নয়ন।
রাষ্ট্রের চোখে আঙুল দিয়ে দেখানো দরকার, চিনের কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের ফলে, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আশেপাশের অঞ্চলে লাঙস এবং কোলন ক্যান্সারের হার একটা তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভারতের কোন একটা অঞ্চলে (ঠিক নামটা মনে পড়ছে না এখন) কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পড়ে পরিবেশের এতটাই বিপর্যয় ঘটেছে যে, উক্ত অঞ্চলে এখন আর কৃষি ফসল জন্মায় না। ওখানকার পানির রং ও স্বাভাবিক নয় এখন আর।
গেলো বছর চীনে ১০০টি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে দেশটির এনার্জি রেগুলেটর। যা কিনা চীনের ১১টি প্রদেশে প্রায় ১০০ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতো।
আসা যাক একটু রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দিকে। তবে প্রথমেই বলতে হবে রাষ্ট্রের চিন্তাধারা এখনো বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে পড়ে আছে। কেননা রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের প্রথম প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিলো ১৯৬১ সালে পাকিস্তান সরকারের সময়ে। পরবর্তীতে ৬৯'র সময় তা করাচীতে স্থানান্তরিত হয়।
তবে রাষ্ট্র আমাদের দেশে এখন এই তথ্য প্রযুক্তির অবাধ প্রবাহের যুগে সেই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে যে, যেখানে এই পারমাণবিক শক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্র গুলো বর্জন করতে শুরু করেছে। পাশা পাশি নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহারকে নিশ্চিত করছে। তাছাড়া এখানেও একটা হারহিম করা বিষয় হচ্ছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য প্রায় ৭৫% ঋণ দিচ্ছে রাশিয়া।
অন্যদিকে চীন এখন সৌর শক্তিকে ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য একটা পদ্ধতি ব্যবহার করে সমুদ্রে ভাসমান বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণ করছে। যার প্রতি মেগাওয়াট উৎপাদন ব্যয় ৮ কোটি টাকা মাত্র। অন্য দিকে রূপপুর সর্বগ্রাসী বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন ব্যয় মেগাওয়াট প্রতি ৬০ কোটি টাকা!
কিন্তু আমাদের তেল-গ্যাস-খনিজ রক্ষার জাতীয় কমিটি এখন নির্বিকার চিত্তে বসে আছে। কোন কর্মসূচী নাই। কোন আওয়াজ নাই। কারণটা কি এটাই যে এখন মিডিয়া আর এসব খায় না?! এখন আর নিজেদের ব্যানার প্রদর্শন সম্ভব হয় না?!

৭| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আলাপ আলোচনা মাধ্যমে যে সমস্যার সমাধান বের হয়ে আসতে পারে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.