নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্টিগমা

রাফিন জয়

স্টিগমা

রাফিন জয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাস্ট নট ইন মাই নেম অথবা অনলি ইন মাই নেম, ইশ্বর যাই বলুক, গোরু বা শুয়োর যাই কোরবানি হোক, তার যেন ঠিকঠাক বন্টণ হয় রাষ্ট্রের হাতেই, তাই চাই।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:০২

কোরবানি ও যাকাত-ফিতরা যে ভিক্ষাবৃত্তিকে উতসাহ দেয়, তাতে সন্দেহের অবকাশ নেই। তবে আমি এখন অব্ধি এই প্রথার সমর্থক। তবে খানিকটা মোডিফিকেশন নেসেসারি। এর যথেষ্ট কারণও রয়েছে।

রুদ্র মুহাম্মদ শহিদুল্লাহর লেখা কোন একটা কবিতায় পড়েছিলাম '৮০ যোগ ৫ নাকি ১৫' এমন কিছু লেখা৷ এখানে ৮০ যোগ ৫ অর্থাৎ ৮৫% মানুষ অর্থনৈতিকভাবে অসচ্ছল। বাকি ১৫℅ সচ্ছল। এবার আমি কার হয়ে কথা বলবো! সে ভিন্ন প্রসঙ্গ। টু দ্য পয়েন্ট-এ আসা যাক। ৮৫℅ পরিবারের মধ্যে অন্তত ৩০% পরিবার এমনও রয়েছে যে যারা এক কোরবানির ইদ ছাড়া আর গোরুর মাংস খেতে পায়না। তাদের মাসে অন্তত কয়েক বেলা উপোস থাকতে লাগে। ভাবছেন গুল ছাড়ছি কিনা? প্রথম আলোর রিপোর্ট, ৬ কোটি জনগণ এখনো রাষ্ট্রে এক্সিস্ট করে যারা চার দিন কাজ না করলে সঞ্চয় শেষ হয়ে যায়। তাদের জন্য সুশীলদের বক্তব্য কী? সে তারাই জানে। তবে আমার বক্তব্য বলি। যখন আমি আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় বসবাস করছি; আমি ট্যাক্স দিচ্ছি; তখন আমার মৌলিক অধিকারগুলো- খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার নিশ্চয়তা দিবে রাষ্ট্র।সে রাষ্ট্র সোশ্যালিস্ট, ডেমোক্রেটিক, সোশ্যাল-ডেমোক্রেট বা পিপলস রিপাবলিক যাই হোক, জনগণের এই অধিকারের নিশ্চয়তা দিতে রাষ্ট্র বাধ্য। সেখানে কেও যদি জাকাত আদায় করতে চায়, তো টাকা দিবে রাষ্ট্রের রিজার্ভ ব্যাংকে। কোরবানির মাংস যাবে রাষ্ট্রের ফুড ডিস্ট্রিবিউটর কর্পোরেশনের আছে। সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রে যেমনটা হয়।

কিন্তু আক্ষেপের বিষয় অন্য জায়গায়। যে রাষ্ট্রে থাকছি, সে রাষ্ট্রে হেড অফ দ্য গভার্নমেন্ট বুঝে না র‍্যাশন আর স্যালভেশনের পার্থক্য। তার বক্তব্য থাকে, "ত্রাণ নিতে কেউ লজ্জা পাবেন না।" এই রাষ্ট্রে পর্দার দাম কোটি উঠে, খাটের নিচে তেলের খনি পাওয়া যায়, টাকার খনি পাওয়া যায়, বাজেট নামের শুভঙ্করের ফাকি চলে, ৬.১৫ কি.মি. দৈর্ঘ্যের সেতুর বাজেট হাংজু বে ব্রিজের (যার দৈর্ঘ্য ৩৩ কি.মি.) চাইতে বেশি, রিজার্ভের শত শত কোটি টাকা সুইফটকে কাজে লাগিয়ে লুট হয়ে যায়... সেই রাষ্ট্রে যাকাত আর কোরবানি নিয়ে বলা মানে সদ্য ঘুমানো কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাঙানো।

আরেক দল নাস্তিক সুশীলদের কথা না বললেই নয়। যারা সারা বছর গোরু, শুকর, হাস, মুরগি ইত্যাদি সব খেলেও কোরবানির আগে তাদের পশু প্রেম ও ভিগানিজমের নেকা কান্না বেড়ে যায়। এদেরকে নটি হিপোক্রিট বলাই যায়। আমরা যে খাদ্য শৃঙ্খলেরই অংশ তা তাদের মগজেই আসবে না কোরবানির সময়। এবার শেয়াল যদি মুরগি খায় তাকি শেয়ালের পাপ? প্রতিদিন কতো শুয়োর মারা হয় জানেনতো? স্পেনের পশু মারা উৎসবের বেলায় আপনারা কী করেন? জাস্ট নট ইন মাই নেম অথবা অনলি ইন মাই নেম, ইশ্বর যাই বলুক, গোরু বা শুয়োর যাই কোরবানি হোক, তার যেন ঠিকঠাক বন্টণ হয় রাষ্ট্রের হাতেই, তাই চাই। আপাতত বিদায়। ভালো থাকবেন।

[বন্ধুমহলের কারোর অজানা নয় যে আমি নাস্তিক। তাই ধর্মের ম্যাও প্যাও জ্ঞান দিবেন না। গঠনমূলক কিছু হলে(ধর্মের বাণী হলেও) বলতে পারেন।]

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৩৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাল প্রস্তাব।
কিন্তু ভালটা দেবেন যার হাতে তার মন্দটাও আপনিই বলে গেছেন!
তাহলে উপায়?

আপনাকে উদ্যোগী হতে হবে। সামাজিক সুষম বন্টনের দাবীতে সমাজতান্ত্রিক হতে হবে।
বা ইসলামের মৌলিক বায়তুল মাল এর সাম্যতা ভিত্তিতে বন্টনের সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

যেটাতেই যান সবার আগে আপনার প্রতিপক্ষ হবে ১৫%।
পূজি এবং ভোগবাদের মূর্তিরা।
আগা পাশতলা খুঁজে দেখেছি- ধর্মের সাথে শত্রুতা যতটা না ধর্মের জন্য, তারচে বেশি পূজির জন্য।
পূজিবাদ বরাবরই ধর্মকে শত্রু জ্ঞান করেছেন অন্তর্নিহিত সাম্যতা প্রতিষ্ঠার চেতনাকে।
তাতে যে তাদের ঝোলায় টান পড়ে যায়!

সব শেষেও আপনার প্রস্তাবে সাধুবাদ। সাম্যতা প্রতিষ্ঠিত হোক সমাজে। মৌলিক মানবাধিকার গুলো সুনিশ্চিত হোক রাষ্ট্রীয় দায় থেকে। তাতে কল্যান রাষ্ট্র হতে হলে তাই হোক। সকলে সূখে থাকুক।

২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:১৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের মতো রাষ্ট্র যে বণ্টন করতে গেলে কি করে সেটা সব মানুষ জানে। সেই রাষ্ট্রের হাতে আপনি কোরবানির বণ্টন চাচ্ছেন। কোরবানির চামড়া নিয়ে এবার যা হয়েছে এর জন্য রাষ্ট্রেরও ভুমিকা আছে। তাই ভালো রাষ্ট্র ব্যবস্থা হলে আপনার প্রস্তাব মানুষ ভেবে দেখত। ১৪০০ বছর আগে জাকাত রাষ্ট্রীয়ভাবেই সংগ্রহ ও বণ্টন করা হত। কিন্তু তখনকার সরকার আর বাংলাদেশের সরকারের নীতি নৈতিকতার আকাশ পাতাল ফারাক আছে। তাই এই সরকারের হাতে জাকাত দিতে বেশী কেউ আগ্রহী না। জাকাত নেয়ার মধ্যে লজ্জা থাকা উচিত না। এই লজ্জা আমাদের সমাজ বানিয়েছে। জাকাত গরিবের অধিকার। এটা দয়া না। এটা গ্রহণ করা ভিক্ষা বৃত্তিও নয়। জাকাত আপন ভাইকেও দেয়া যায়। নিকট আত্মীয়কেও দেয়া যায়। জাকাত না দিলে শাস্তির ব্যবস্থা আছে ইসলামি আইনে। জাকাতের ব্যাপারে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি ঠিক নেই। কারণ আপনি বলেছেন কোরবানি, জাকাত, ফেতরা ভিক্ষা বৃত্তিকে উৎসাহিত করে। সমাজে দরিদ্র মানুষ সাধারণত থাকেই। তাই দান, জাকাত এগুলির প্রয়োজন আছে। যে সব দেশে ধর্ম বলতে গেলে নেই সেখানেও দান, সাহায্য আছে। বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়ানোকে আপনি খারাপভাবে দেখছেন। পেশাদার ভিক্ষুক ধর্মে অনুমোদন করে না। দান আর জাকাত নিলেই সেটা ভিক্ষুকের কাজ এটা আপনার ভুল ধারণা। দান, জাকাত ইত্যাদি অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকেও কল্যাণকর। সব মানুষেরই গরীব আত্মীয় থাকে। তাদের সাহায্য করা, দান করা, জাকাত দেয়া এটাকে উৎসাহিত করা উচিত। সরকারের উচিত দুর্নীতি বন্ধ করে সেই টাকা দিয়ে মানুষের উন্নয়ন করা। তা না করে সরকার লোক দেখানো ত্রাণ দিচ্ছে যার বড় অংশ চুরি হচ্ছে। তবে যে ত্রাণই সরকার দিক না কেন সরকার যখন বলেন ‘ ত্রাণ নিতে কেউ লজ্জা পাবেন না’ এটাকে খারাপ মনে করার কিছু নেই। কারণ আপনি বা আমিও তো বিপদে পরতে পারি। রাষ্ট্রের কাছ থেকে সাহায্য গ্রহণ করার মধ্যে খারাপ কিছু দেখি না। যুক্তরাষ্ট্রের মতো আধুনিক দেশেও প্রায় ৩ কোটি লোক অনেক কষ্টে আছেন। এদেরকে সরকার সাহায্য করার চেষ্টা করে। অনেক ধনী মানুষও এদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। তাই সব দেশেই দান, সাহায্য ইত্যাদি প্রথা যা আছে তা ইতিবাচক। প্রয়োগে পদ্ধতিগত ভুল থাকতে পারে সেটা ভিন্ন কথা।

৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৪৪

রাফিন জয় বলেছেন: ভৃগু, আমার মতো চুনোপুঁটিরা কীইবা করবে। আর্নেস্তা সাহেবেরা যে চুপ।

৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৪৫

রাফিন জয় বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্ত, র‍্যাশন আর স্যালভেশনের পার্থক্য আপনিও যে করতে পারছেন না দাদা। আমি র‍্যাশনের পক্ষ্যে, ত্রাণের পক্ষে না। আর জাকাত গ্রহণ আলবাত একটা ভিক্ষাবৃত্তি। আপনি আমার লেখার আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার কথা বাদ দিয়েছেন। মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা দিবে রাষ্ট্র। তাই ভিক্ষাবৃত্তি কিনা, সেখানে আপনার ভুল জাজমেন্ট। দান এবং ভিক্ষা'র ডেফিনিশনটা একটু দেখে নিবেম। ১৪০০ বছর আগে সমাজতন্ত্রের ধারণা ছিলোনা। থাকলে জাকাত বিষয়টা মোটেই আসতো না। আর ১৪০০ বছর আগে মসজিদ থেকে ফিতরা নির্ধারণ করে দেয়া হতো৷ এখনো রাষ্ট্রীয়ভাবেই ফিতরার রেইট ঘোষণা করা হয়। জাকাত কথাটা পাইনি। রেফারেন্স থাকলে একটু দিবেন।

৫| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:২০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: উন্নত বিশ্বই মৌলিক অধিকার দিতে পারছে না। আপনি দরিদ্র দেশে কিভাবে আশা করেন। আমেরিকাতে কত হোমলেস আছে গুগোল থেকে দেখে নিয়েন। বিপদে আপদে ত্রাণ সব দেশেই আছে। জাকাত কখনই ভিক্ষা বৃত্তি না। এটা সম্পদ পুনঃ বণ্টনের পদ্ধতি যা রাষ্ট্রের মাধ্যমে হত। এটা ration, ত্রাণ নয়। কারণ ত্রাণ হলে এটার জন্য শাস্তির ব্যবস্থা থাকত না। জাকাত না দিলে রাষ্ট্র শাস্তি দিতে পারে। এখন সেই রাষ্ট্র নাই তাই সেটা সঠিকভাবে হচ্ছে না। আপনার ভাই বা আত্মীয়কে জাকাত দেবেন এটা কিভাবে ভিক্ষা বৃত্তি হয়। জাকাতের হক নিকট আত্মীয়দের বেশী। ভিক্ষা হয় ৫ টাকা, ১০ টাকা বড় জোর ১০০ টাকা। আর জাকাত এক জনের জন্য লাখ টাকাও হতে পারে। রাষ্ট্রীয়ভাবে যে জাকাত দেয়া হত এর অনেক রেফারেন্স আছে। উদাহরণ স্বরূপ এটা দিলাম জাকাত ব্যবস্থা । নেটে খুজলে আরও অনেক পাবেন।

সমাজতান্ত্রিক ধারণা ব্যর্থ হয়েছে। এরা নতুন কিছু আর দেখাতে পারছে না আধুনিক বিশ্বকে। আপনি যা বলছেন theoretically ঠিক আছে কিন্তু এটার বাস্তবরূপ গরীব দেশে হতে অনেক দেরী আছে। কারণ অনেক ধনী দেশই তা পারছে না। উন্নত বিশ্বের সাথে তৃতীয় বিশ্বকে তুলনা করার মতো পর্যায়ে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলি পৌছায়নি। আপনি যখন মন্তব্যের উত্তর দিবেন তখন উল্টা তীর ক্লিক করলে ভালো হবে নতুবা আমার কাছে আপনার মন্তব্যের বার্তা আসবে না।

৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৪৪

রাফিন জয় বলেছেন: আধুনিক বিশ্ব দিয়ে কি শুধু আমেরিকা বুঝায়? স্ক্যান্ডিনেভীয় রাষ্ট্রের দিকে তাকালেও পারতেন। কিউবার দিকে দেখেছেন? বিদ্রোহী ভৃগুর মন্তব্যটা দেখতে পারেন। আর ভিক্ষা কোটি টাকার হতেও পারে। ভিক্ষার ডেফিনিশন অবশ্যই আপনি জানেন। আর আমি জাকাত প্রথাকে সমর্থন করি এখনো তা কিন্তু বলেছি। তবে মোডিফিকেশন দরকার। আর আমি শুধু বাংলাদেশ বা সাউথ এশিয়ান প্রেক্ষাপট বিচার করছিনা। বদল দরকার পুরো বিশ্বের। আর মোবাইলে উল্টা এরো কথায় জানিনা। একটু বলেদিলে সুবিধা হয়।

৭| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:০৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জাকাত ভিক্ষা না। কারণ জাকাত না দিলে শাস্তি দেয়া যায় ইসলামি রাষ্ট্রে। আমি এটা বুঝাতে চাচ্ছি। ইসলামি রাষ্ট্রে জাকাত দেয়া বাধ্যতামূলক ধনীদের জন্য। না দিলে রাষ্ট্র বল প্রয়োগ করতে পারে। জাকাত দেয়া হত রাষ্ট্রের কোষাগারে। কোষাগার নিশ্চয়ই ভিক্ষুক না যে তাকে ভিক্ষা দেয়া যাবে। কোষাগার থেকে জাকাত অভাবি মানুষের মধ্যে বণ্টন করা হত। এটা রাষ্ট্র কর্তৃক rationing এবং ত্রাণ নয়। জাকাত দরিদ্রের অধিকার এবং ভিক্ষা নয়। এটা অনেকটা করের মত। রাষ্ট্রের নিজস্ব তেমন আয় থাকে না। তাই কর, জাকাত এগুলির মাধ্যমেই মানুষের জন্য রাষ্ট্রকে কাজ করতে হয়। ইসলামি রাষ্ট্র যেহেতু নাই তাই জাকাত ঠিকভাবে আদায় ও বণ্টন হচ্ছে না। আপনার সাথে আমার দ্বিমত হোল আমি বলতে চাচ্ছি যে জাকাত ভিক্ষা নয়। জাকাত আপন ভাইকেও দেয়া যায়। আপন ভাইকে কেউ ভিক্ষা দেয় না। যাকে জাকাত দিচ্ছেন তাকে উদ্দেশ্য না জানিয়েও জাকাত দেয়া যায়। তাই এটাকে ভিক্ষা বলা ঠিক না। ভিক্ষা কখনও বাধ্যতামূলক হয় না। জাকাতের মূল উদ্দেশ্যই হোল আয় বৈষম্য কমিয়ে আনা। ১৪০০ বছর আগে কিছু সময়ের জন্য এমন সময়ও এসেছিল যে জাকাত দেয়ার লোক পাওয়া যেত না। আপনি সম্পদের সুষম বণ্টন ও মানুষের মৌলিক অধিকারের ব্যাপারে রাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে যা বলতে চাচ্ছেন তা আদর্শ ইসলামি রাষ্ট্রে অতীতে ছিল আর এখন আছে কিছু পুঁজিবাদী রাষ্ট্রে যেখানে welfare economy নীতি অনুসারিত হয় ( যদিও এগুলির মধ্যে কিছু ত্রুটি আছে)। আপনি পুরো বিশ্বের বদল চাচ্ছেন। কিন্তু এটাকে বাস্তবায়ন করা অত সহজ নয়। খুব কম দেশই তা পেরেছে অনেক কাঠ খর পুড়িয়ে ধাপে ধাপে। আমার এই মন্তব্যের যেখানে আমার নিকের ছবি আছে সেই বরাবর ডান পাশে দেখবেন সবুজ রঙের তীর চিহ্ন আছে, লাল ক্রস আছে, মন্তব্যের লাইক আছে। আপনি প্রতি মন্তব্যের জন্য তীর চিহ্নে ক্লিক করলে নীচে বক্স আসবে। সেখানে প্রতি মন্তব্য লিখবেন নচেৎ আপনার মন্তব্যের বার্তা আমার কাছে আসবে না।

৮| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৪২

আকন বিডি বলেছেন: শুয়োর দিয়ে কোরবানী? :-/

৯| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩০

রাফিন জয় বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্ত, সব ঠিক আছে। বিষয়টা ট্যাক্সের মতো হলে ঝামেলা নেই। আর যেকোনো রাষ্ট্র চাইলেই তা করতে পারে। এখানে আপনার সাথে আমি একমত। কিন্তু মূল কথা ইসলামি রাষ্ট্র বিষয়টা একটু ঝামেলার। এই সিস্টেম ফলো করলে একটা রাষ্ট্রকে প্রথমেই সাম্প্রদায়িক হতে হবে। কিন্তু ট্যাক্স এড করলে তখন ঝামেলা নেই। মূল কথা জাকাতও একরকম ট্যাক্স। জাকাত তাই যাওয়া দরকার রাষ্ট্রের রিজার্ভে। ট্যাক্স সব রাষ্ট্রই নেই। তবে বন্টন করেনা সিস্টেম। এখানে ঝামেলা। তাই বলেছিলাম আমি জাকাতের পক্ষে, তবে রাষ্ট্রের হাত ধরে হবে কাজটা। কিন্তু রাষ্ট্রের যা অবস্থ, তাই সো কলড সিস্টেমেই জাকাতের পক্ষে আপাতত। আমাদের দুজনের পয়েন্টই সেইম। তবে দেখছি আলাদা ডায়মেনশন থেকে। আপনার জন্য শুভকামন। যদিও শব্দটা ভাববাদী। তবুও শুভকামনা। কিন্তু কোরবানির বিষয়টা অন্য। এখানে কিন্তু রাষ্ট্রের কোনো ডিস্ট্রিবিউটিং অর্গান নেই। সেটা দরকার। আর তা করা যে খুব শক্ত কাজ তাতে সন্দেহ নেই। তবে অসম্ভব নয় যদি সবাই সচেতন ও এক হয়। আর মোবাইলে অপশন খুজে পাচ্ছি না। দুঃখিত।

১০| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:০৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সরি, আমি মোবাইল থেকে সামু ব্যবহার করি না। তাই মোবাইলেরটা বলতে পারবো না। কোরবানির মাংস নিয়ে তেমন সমস্যা হয় না। তবে চামড়া নিয়ে হয়। আমাদের সরকারের এই বছরের চামড়া নিয়ে অরাজকতায় ভূমিকা আছে। ইসলামি নিয়মে মাংসের ক্ষেত্রে যাকাতের মত সরকার হস্তক্ষেপ করতে পারে না। কারণ জাকাত হোল ফরজ এবং ইসলামের ৫ টি স্তম্ভের একটি। পক্ষান্তরে কোরবানি অনেক মাজহাবে সুন্নতে মুয়াক্কাদা আবার অনেক মাজহাবে ওয়াজিব। ফরজ কেউ বলেননি। কোরবানি যেহেতু ফরজ না তাই শরিয়া অনুযায়ী রাষ্ট্র কোরবানির মাংস বণ্টনে হস্তক্ষেপ করে না। তাছাড়া মাংস বিলানোর ক্ষেত্রে যে কোরবানি দিচ্ছেন তার ইচ্ছার উপর সব কিছু নির্ভর করে সে কতটুকু বিলাতে চায়। কারণ বিলানোর পরিমাণের ক্ষেত্রে অনেক মতভেদ আছে। অনেক আলেম বলেছেন স্রেফ এক টুকরা বিলালেও চলবে। তবে অনেকে এক তৃতীয়াংশ বিলানোর কথা বলেছেন। তাছাড়া কাকে মাংস দেবে বা না দেবে এটা নির্ধারণ করবে যে কোরবানি দিয়েছে সে। তাই রাষ্ট্র এই ক্ষেত্রে কোরবানির মাংসের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে না। পুরো ব্যাপারটাই ধর্মীয় তাই ধর্মীয় বিধান মানতে হবে। রাষ্ট্র তখনই হস্তক্ষেপ করতে পারে যখন এটা নিয়ে কোনও অনিয়ম বা অরাজকতা সৃষ্টি হয়। এছাড়া কোরবানিদাতার অনুমতি সাপেক্ষে রাষ্ট্র কোরবানির মাংস বণ্টনের দায়িত্ব নিতে পারে।

১১| ০৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: ভয়ে মন্তব্য করতে সাহস পেলাম না।

১২| ০৭ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৪৬

রাফিন জয় বলেছেন: তাইতো বললাম এটা ভিক্ষাবৃত্তিকে সাপোর্ট করে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.