নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্টিগমা

রাফিন জয়

স্টিগমা

রাফিন জয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

না পড়ে অযথা লাইক দিবেন না।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৭

গতবছর যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে মোস্ট প্রবাব্লি, একজন নারী মার্কেটে গিয়ে মূত্রত্যাগ করার জন্য গ্রোসারি শপের ওয়াশরুম ব্যবহার করতে চায়। আশেপাশে কোন পাব্লিক টয়লেট নেই কারণ দেখানোর পরেও কর্তৃপক্ষ তাকে ওয়াশরুম ব্যবহার করতে দেয়না। তখন বিদ্রোহী স্ফুলিঙ্গের মতো ছুটে গিয়ে ক্যাশ কাউন্টারের উপরে উঠে বসে সেই নারী একটা কাপে মূত্রত্যাগ করে তা ঢকঢক করে পান করে নেন। সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ পাওয়া মাত্রই নেটিজেনদের প্রতিবাদে মারাত্মক সমালোচিত হয় ওই গ্রোসারি শপের ম্যানেজমেন্ট, ওনার। সবাই বলে দারুণ প্রতিবাদ করেছে সে নারী। এখন আপনার প্রশ্ন থাকতেই পারে যে সবাই কি তার মানে পাব্লিকলি মুতাকে সমর্থন দিচ্ছে? উত্তর হচ্ছে, আজ্ঞে না বোকাচন্দ্র মহাশয়। এইটা প্রতিবাদের একটা ডায়মেনশন ছিলো।

সেইম ওয়েতে, রাজশাহীতে একদল তরুণ-তরুণী প্রকাশ্যে ধুমপান করে পাব্লিকলি বিড়ি ফুকাকে সমর্থন করেনি। তারা পুরুষতন্ত্রের গালে ঠাস ঠাস করে চড় কশিয়েছে। তারা মিসোজিনি, জেন্ডার ডিস্ক্রিমিনেশন আর সেক্সিযমের বিলোপ চায়। যা আপনার মগজে (পড়ুন নুনুতে) ঢুকবে কিনা আমি জানিনা।

মন্তব্য ৪৩ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৯

ইলি বলেছেন: হুম পড়েছি!!!!

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৭

রাফিন জয় বলেছেন: ধন্যবাদ ইলি।

২| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৪

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: যেখানে অন্যায় সেখানেই প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করতে হবে।

৩| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৪

আমি নই বলেছেন: কিসের মদ্ধে কি, পান্তা ভাতে ঘী। আপনার পোষ্টটাও হয়েছে তাই।

একটা ছেলে যা পারে সেটা আমিও পারি এটা বুঝানোর জন্য পাবলিকলি বিড়িই খাইতে হবে? পজেটিভ কিছুই ছিলনা?? পাগল-ছাগল দিয়ে দেশটাই ভরে যাচ্ছে!!!

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৯

রাফিন জয় বলেছেন: পাগল-ছাগলের সার্টিফিকেট বুঝি আপনি দেন? আর পজিটিভ কিছু আপনি করে দেখান তবে। আমি অবশ্যই তার এপ্রিশিয়েট করবো। আর পার্সোনাল এটাক করাটাকে স্টুপিডিটি বলা চলে।

৪| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৫

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: হুম।

৫| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৩

আমি সাজিদ বলেছেন: আপনি পাবজি জেনারেশনের লোক। মস্তিষ্ক আর জননাঙ্গকে এক করে ফেলা আপনার স্বভাব। বিচার বুদ্ধি ব্যবহার করুন। আপনার সাথে মতের অমিল হলে সব জায়গায় ট্যাগ দিয়ে বেড়াবেন না।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৭

রাফিন জয় বলেছেন: পাবজি জেনারেশনের আমি আপনি কি সার্টিফিকেট দিচ্ছেন? তো আপনাকে জানাচ্ছি, আমি জীবনে কখনো পাবজি, ফ্রি ফায়ার এইগুলাতে এক্সেস করিনি।

৬| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
অন্ধ পুরুষতন্ত্র মোল্লাতন্ত্রের একটি অংশ।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৭

রাফিন জয় বলেছেন: দুটোই মৌবাদ। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

৭| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: না ভুল বললেন। এভাবে কিছু অর্জন করা সম্ভব নয়। এটা তাদের বোকামো হয়েছে।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩২

রাফিন জয় বলেছেন: কীভাবে সম্ভব? আমার নানু-দাদুরা আকিজ বিড়ি খেতো দেখতাম। তারা নাকি দেখেছে আগে বাংলার বনেদি ঘরের মেয়েদের হুকা খাওয়াটাকে আভিজাত্য ভাবতো। তখনতো এই সমস্যাগুলো ছিলোনা। দিনে দিনেতো সমস্যা আরো ডিটারিওরেট করছে।

৮| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:৫৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমিও মেয়ের বাবা। উভয় পক্ষের বাড়াবাড়ি সমর্থন যোগ্য নয়।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩০

রাফিন জয় বলেছেন: বাড়াবাড়ি যাতে না হয়, সেই স্টেপ নেয়ার পক্ষে আমিও। কিন্তু যেহেতু সংশ্লিষ্ট প্রশাসন তা করেনা, তাই বাড়াবাড়িটা দরকার।

৯| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৫৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এই খবরের লিংক থেকে জানা যায় যে, একদল তরুণ-তরুণী না, একজোড়া তরুণ-তরুণী রাজশাহী সার্কিট হাউসের পাশে ফুটপাতে বসে ধূমপান করছিলেন। মেয়েটি শাড়ি ও ছেলেটি টিশার্ট-প্যান্ট পরা ছিলেন। তাদের দুজনের হাতেই সিগারেট ছিল। এ ঘটনা দেখে প্রথমে মাঝবয়সী এক ব্যক্তি তাদের সিগারেট ফেলে দিয়ে সেখান থেকে চলে যেতে বলেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে তর্কবিতর্ক শুরু হয়ে যায়।

হেনস্তাকারী ব্যক্তি তাদের ধমকাতে শুরু করেন। মেয়েটি প্রতিবাদ করে তাকে গলা নামিয়ে কথা বলতে বলেন। তার পরিচয় জানতে চান। মুহূর্তের মধ্যে সেখানে ১৫-২০ জন মানুষ জড়ো হন। সবাই একজোট হয়ে ওই তরুণ-তরুণীকে ওই স্থান ত্যাগ করার জন্য চাপ দিতে থাকেন। তাদের মধ্য থেকে এক ব্যক্তি এসে বিষয়টি মিটমাট করে দেয়ার চেষ্টা করেন।
তিনি প্রথম থেকে আক্রমণকারী ব্যক্তিকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। তখন তাদের উভয়ে মধ্যে বিতর্ক শুরু হয়ে যায়।

এ সময় মেয়েটি বলেন, মেয়ে বলেই তাকে বাধা দেয়া হচ্ছে। এ সময় একজন বলেন, এভাবে প্রকাশ্যে মেয়েমানুষ ধূমপান করলে তাদের পাড়ার মেয়েরা নষ্ট হয়ে যাবে। মধ্যস্থতাকারী লোকটি তরুণ-তরুণীকে বোঝান, বুঝছেন না যে, মেয়ে বলেই আপনাকে উঠে যেতে বলছে? আপনারা উঠে যান।

একপর্যায়ে ওই তরুণ-তরুণী উঠে যেতে বাধ্য হন। যাওয়ার সময় মেয়েটি পেছন ফিরে তাকান। তা দেখে হেনস্তাকারী লোকটি চেঁচিয়ে বলেন, আবার ট্যারা চোখে তাকাচ্ছে।

এদিকে সার্কিট হাউসে প্রকাশ্যে ধূমপানের জের ধরে তরুণীকে হেনস্তার পেছনের ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম শহীদ হোসেন বারেক (৪৪)। তিনি উগ্র ভাষা ব্যবহার করে ওই তরুণীকে স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য করেন। বর্তমানে পুলিশ খোঁজ নিচ্ছে হেনস্তা করা ওই ব্যক্তির।

জানা গেছে, শহীদ হোসেন বারেক রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে দুবার নির্বাচন করে জামানত হারান। নির্বাচনে তার ভরাডুবি ঘটে। বর্তমানে তিনি ঠিকাদারি করেন।

এ বিষয়ে রাজশাহী মহানগর পুলিশ (আরএমপি) কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক বলেন, ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত তা জানতে পুলিশ খোঁজ নিচ্ছে। ইতোমধ্যে হেনস্তাকারী ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই ব্যক্তির দ্বারা যারা হেনস্তার শিকার হয়েছেন, তারা অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

খবরের লিংক

---

বিভিন্ন জায়গায় এ ঘটনাটা পড়ে যেটা জানা যায় তা হলো, তরুণীটি হয় একান্ত শখের বশে অথবা নেশার টানে পুরুষ সঙ্গীটির সাথে বসে সিগারেট খাচ্ছিলেন, পুরুষতন্ত্রের গালে চড় মারার উদ্দেশ্যে তিনি সিগারেট খাচ্ছিলেন না, যদি তাই হতো তাহলে তিনি নিষিদ্ধ পাবলিক প্লেসে যেয়ে সেটা করতেন। তার আচরণেও সেরূপ কিছু মনে হয় নি। তবে, হেনস্থাকারীর প্রতি ছুঁড়ে দেয়া তার 'মেয়ে বলে কি বাধা দিচ্ছেন' কথাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাকে চারদিক থেকে ঘিরে ধরা আরো অনেক পুরুষের হাতেই সিগারেট ছিল। পুরুষের হাতে সিগারেট থাকলে মেয়েরা সিগারেট নিতে পারবে না কেন? এরকম তো কোনো আইন নেই - পুরুষ এখানে সিগারেট খেতে পারবে, মেয়েরা পারবে না।

মেইন কালপ্রিট হলো ঐ হেনস্থাকারী। এই তরুণীর উচিত তার বিরুদ্ধে কেইস করা। কেইস করলে পুলিশ ব্যবস্থা নিবে বলে জানিয়েছে।

এ নিয়ে গতকাল একটা প্রতিবাদী আড্ডাও হয়েছে। লিংক - Click This Link

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২০

রাফিন জয় বলেছেন: আপনি যে ঘটনার কথা বলছেন, তা আমিও জানি যে সে তার নিজের ইচ্ছেতেই ধূমপান করছিলো। কিন্তু হেনস্তা হওয়ার পরের ঘটনা হয়তো আপনি জানেন না। ঐঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে গতপরশু একদল ছেলে-মেয়ে এক সাথে সেখানে দাড়িয়ে ধূমপান করে প্রতিবাদ জানিয়েছে। একটু দেখে নিবেন। ঘটনা দুটো আলাদা।

১০| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৫৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
যুক্তি একেক জনের একেক রকম। মস্তিষ্ক আর জনন অঙ্গের উপমার কোন মানেই হয়না।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২১

রাফিন জয় বলেছেন: জননাঙ্গ দিয়ে অধিকার ডিফাইন যারা করে, তাদের মগজেই যে জননাঙ্গ থাকে, সেটাই বুঝিয়েছি।

১১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৫

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এসব কী পোস্ট হচ্ছে আজকাল, মাথায় কী ধরণের উজবুক চিন্তাধারা একেকজনের। কষ্টের দীর্ঘশ্বাস ফেলতে হয়। কালকে মুজিব নামের সম্মানিত ব্লগারও এমন পোস্ট দিয়েছেন। আল্লাহ সঠিক বুঝদান দিন আপনাদেরকে। হেদায়েত দিন আল্লাহ

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২২

রাফিন জয় বলেছেন: আপনার চিন্তাধারা কেমন? নারীরা পাবলিকলি স্মোক করলে সমাজ উচ্ছন্নে যায় আর ছেলেদের বেলায় না?

১২| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪০

রানার ব্লগ বলেছেন: প্রথমত ধুম্রপান স্বাস্থ্যের জন্য হানীকারক দ্বিতিয়ত পবালিক প্লেসে ধুম্রপান আইনত অন্যায় , যদিও কেউই মানে না। মেয়ে টি তার সঙ্গীর সাথে বসে সিগারেট পান করছিলো, ওটা সে শো অফের জন্য করে নাই যতটুকু বুঝতে পারছি। কিন্তু হেনস্তকারী ব্যাক্তি শুধু মাত্র পানকারী মেয়ে বলে তাকে এই ধরনের জনসম্মুখে অপদস্ত করার সাহস দেখিয়েছে, যা অন্যায় এবং শাস্তি যোগ্য অপরাধ, এটা ইভ টিজিঙের আওতাভুক্ত। তিনি এটা পারতেন মেটার কাছে গিয়ে শান্ত ভাবে অনুরোধ করতে পারতেন যে সিগারেট তা পাব্লিক প্লেসে না পান করতে।

লেখকের শেষ লাইনটা হয়তো কারো কারো আপত্তির কারন, যতটুকু বুঝতে পারছি তিনি সরারসরি বুঝাতে চেয়েছেন এই ধরনের লোকেরা মাথা দিয়ে চিন্তা করে না , জনন ইন্দ্রিয় দিয়ে চিন্তা করে যদি সাব্জেক্ট মেয়ে হয়।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৫

রাফিন জয় বলেছেন: একদম তাই। পাবলিকলি ধূমপানকে আমি সমর্থন করি না। ছেলে হোক মেয়ে হোক সে। আমার কোন বন্ধুও (ছেলে-মেয়ে উভয়ের বেলাতেই) যদি ধূমপান করে পাবলিকলি, আমি তাদের বারণ করি। এমনকি পারলে নিজের বন্ধুত্বের অধিকারের বলেই স্মোকিং জোনে নিয়ে যাই।

১৩| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৩৯

অধীতি বলেছেন: দৃষ্টিভঙ্গি এতে বদলাবেনা।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৬

রাফিন জয় বলেছেন: কীভাবে বদলাবে তবে? একটা খসড়া দিলে উপকার হয়। আমার কাছে কোন রেডিমেড উত্তর নেই। বরং তাদের প্রতিবাদকেই দারুণ মনে হয়েছে।

১৪| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ঐ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে গতপরশু একদল ছেলে-মেয়ে এক সাথে সেখানে দাড়িয়ে ধূমপান করে প্রতিবাদ জানিয়েছে।

হ্যাঁ, ঐ ঘটনার কথা তো আমার লাস্ট লাইনে লিখেছি। একটা লিংকও দিয়েছি, যদিও এখন সেই লিংকটা কাজ করছে না। এই যে সেই লিংক - ধূমপান-নিয়ে-তরুণীকে-হেনস্তা-করায়-প্রতিবাদী-আড্ডা

দুটো ঘটনা আলাদা না। প্রথম ঘটনার প্রতিবাদ স্বরূপ এই আড্ডা দেয়া হয়েছে। কিন্তু আপনার পোস্ট পড়ে সেটা বোঝা যায় না বলে অনেক কনফিউশন এবং তা থেকে কিছু বিরূপ মন্তব্য উঠে এসেছে।

শুভেচ্ছা।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২৬

রাফিন জয় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার কমপ্লিমেন্টের জন্য৷ সামনে থেকে আরও গুছিয়ে লেখার চেষ্টা করবো।

১৫| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৭

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ বিষয়টি চমৎকারভাবে উপস্থাপনের জন্য।

আসলে আমাগো আম পাবলিক এখনো বুঝতে পারছে না মেয়েরা কি ধুমপানের জন্য প্রতিবাদ করছে নাকি পুরুষবাদী সমাজে থাপ্পড় দেবার জন্য করছে!!!

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২৮

রাফিন জয় বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্যও আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

১৬| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৪

আমি নই বলেছেন: লেখক বলেছেন: পাগল-ছাগলের সার্টিফিকেট বুঝি আপনি দেন? আর পজিটিভ কিছু আপনি করে দেখান তবে। আমি অবশ্যই তার এপ্রিশিয়েট করবো। আর পার্সোনাল এটাক করাটাকে স্টুপিডিটি বলা চলে।

জনাব পজিটিভ অনেক কিছুই হচ্ছে কিন্তু সেটা আপনাদের চোখে পড়বেনা!! যে দেশে একসময় মেয়েদের বাহিরে বের হতেই বাধা দেয়া হত সেদেশের মেয়েরা এখন সেনাবাহিনির মেজর জেনারেল হচ্ছেন, পুলিসের এসপি হচ্ছেন, হচ্ছেন বিশ্ব সেরা ডাক্তার, কর্পোরেট হাউজ চালাচ্ছেন, উদ্যক্তা হয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছেন, নেত্রী হয়ে দেশ চালাচ্ছেন, খেলোয়ার হয়ে দেশের নাম উজ্জল করছেন। এনাদের জীবনের কথা যদি শোনেন দেখবেন তাদের পথ চলায় হাজারো বাধা এসেছিল, কিন্তু পুর্বে যারা তাদের বাধা দিত আজকে তারাই ওনাদের কে নিয়ে গর্ব করেন, মনে মনে হিংসা করেন ইস এমন মেয়ে যদি আমার ঘরেও থাকত। যারা আপনাকে বাধা দিল তারাই যখন আপনাকে নিয়ে গর্ব করবে তখনই বুঝবেন থাপ্পড়টা অটোমেটিক্যলি দেয়া হল।

জনাব, সমাজে থাপ্পড় দিতে হলে এমন ভাবে দিতে হয় যাতে একজনকে উদাহরন হিসেবে হাজির করে আরো দশজন বাধামুক্ত হয়ে নিজেকে মেলে ধরতে পারে। বিড়ি খেয়ে বা কোনো নেগেটিভ মুভমেন্ট করে সমাজের গালে নয় নিজের গালে নিজেই থাপ্পড় দিচ্ছেন। বোঝার মত মাথা না থাকলে তর্ক না করাই শ্রেয়।

পার্সনালি আমার কথা যদি শুনতে চান তাহলে আমার মেয়েকে আমি প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পুর্বে প্রেম করা, যে কোনো ধরনের নেশা করা এবং ক্ষতি হতে পারে এমন কোনো কিছু ছারা তার কোনো কাজেই বাধা দিবনা।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৫

রাফিন জয় বলেছেন: শুনুন তবে, পুরুষতন্ত্রের কাঠামোর উপরে যেই থাক (নারী বা পুরুষ) সেটা নারী জাগরণে ভূমিকা রাখেনা। যেই দেশের শীর্ষ পর্যায়ের পাচ জনই নারী, তাদের দেশে রিপোর্টেড রেপ কেসের ৩% ও বিচার হয় না। মেজর জেনারেল, এসপি, স্পিকার, বিচারপতি হইছেতো বটে, কিন্তু এখনো দাসত্ব করে পুরুষতন্ত্রের। পুরুষ শোষিত হয় তার সুপিরিয়র কর্মকর্তার কাছে, আর নারী হয় পুরুষ এবং সুপিরিয়র দুজনের কাছে। এইসব আপনি বুঝবেন কিনা আমি সত্যিই জানিনা।
আসেন একটা মজার আলাপ দেই। সতীদাহ প্রথা একটা সময় স্বর্গীয় বলে ভাবতো এই সমাজ। কিন্তু এখন তা অমানবিক। আপনার কী মনে হয়? রেনেসাঁসের কালে তারা আক্রমণের শিকার হয়নি? তাদের মানুষ খুব বাহ বাহ দিছে? এক রোকেয়া রিসার্চারের মতে, রোকিয়া খাতুন রাস্তায় বের হলে রাস্তায় থাকা লোকজন কিছু না করলেও গাছ থেকে বড়ই ছুড়ে মারতো। আর যখন করতো..! মতিচূরের অনেক লেখাই প্রকাশক ছাপায় নাই। শুধু ভয়ে।
এখন যারা থার্ড ওয়েভের আন্দোলন করে, আপনারা ঠিক ঐ সো কল্ড মানুষের মতো তাদের আক্রমণ করেন। তবে একটা সময় আপনারাই বলবেন, তারা খুব সাহসী কাজ করছে। ব্যাপার না ব্রো। খালি অপেক্ষার পালা। পরিশেষে কথা, ধাক্কা না দিলে ইস্পাত শৃংখল ভাঙ্গা যায় না।

১৭| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:৫৭

আমি নই বলেছেন: লেখক বলেছেন: শুনুন তবে, পুরুষতন্ত্রের কাঠামোর উপরে যেই থাক (নারী বা পুরুষ) সেটা নারী জাগরণে ভূমিকা রাখেনা। যেই দেশের শীর্ষ পর্যায়ের পাচ জনই নারী, তাদের দেশে রিপোর্টেড রেপ কেসের ৩% ও বিচার হয় না। মেজর জেনারেল, এসপি, স্পিকার, বিচারপতি হইছেতো বটে, কিন্তু এখনো দাসত্ব করে পুরুষতন্ত্রের। পুরুষ শোষিত হয় তার সুপিরিয়র কর্মকর্তার কাছে, আর নারী হয় পুরুষ এবং সুপিরিয়র দুজনের কাছে। এইসব আপনি বুঝবেন কিনা আমি সত্যিই জানিনা।

হা হা, আমি বলি কি আর আমার সারিন্দা বাজায় কি!!! আপনি আমার কথাই বুঝতে পারেন নাই। আমার মন্তব্যর কোথাও কি নারী জাগরণের বিরোদ্ধে বলেছি? আমি নেগেটিভ উদাহরন সৃস্টির বিরোদ্ধে বলেছি। আর বিচারের কথা এমন ভাবে বললেন যে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী পুরুষরা তাদের বিরোদ্ধে ঘটা অপরাধগুলোর শতভাগ বিচার পাচ্ছে?

আসেন একটা মজার আলাপ দেই। সতীদাহ প্রথা একটা সময় স্বর্গীয় বলে ভাবতো এই সমাজ। কিন্তু এখন তা অমানবিক। আপনার কী মনে হয়? রেনেসাঁসের কালে তারা আক্রমণের শিকার হয়নি? তাদের মানুষ খুব বাহ বাহ দিছে? এক রোকেয়া রিসার্চারের মতে, রোকিয়া খাতুন রাস্তায় বের হলে রাস্তায় থাকা লোকজন কিছু না করলেও গাছ থেকে বড়ই ছুড়ে মারতো। আর যখন করতো..! মতিচূরের অনেক লেখাই প্রকাশক ছাপায় নাই। শুধু ভয়ে।

সতীদাহ প্রথার বিরদ্ধে যারা ছিলেন তারা বা বেগম রোকেয়া কেউই নেগেটিভ কাজ করেননি, হয়ত সে সময়ের মানুষের বুঝতে সময় লেগেছে কিন্তু একটা সময়ে এসে ঠিকই বুঝেছে কিন্তু যারা বিড়ি ফুকে আন্দোলন করেছে তারা অবস্যই নেগেটিভ উদাহরন সৃস্টি করেছে এবং নেগেটিভ উদাহরন সমাজের কোনো কাজেই আসবেনা, সেটা এখনো না ১০০০ বছর পরেও না।
কিভাবে সমাজে ভাল উদাহরন সৃষ্টি করতে হয় তা শেখার জন্য দংগল মুভিটা দেখতে পারেন, ছোট এবং একটি বিশেষ বিষয়ে হলেও নারী জাগরন কেমনে হয় তা গীতা, ববিতা এবং তাদের বাবা দেখিয়ে দিয়েছে, আজকের দিনে যে ঐ এলাকার মেয়েদের কুস্তি একটা স্বাভাবিক বিষয় হয়েছে তার পিছনের একমাত্র কারন নানা বাধা বিপত্তি পার করে সাফল্যের শিখরে যাওয়া ঐ দুই মেয়ে। আর যুগে যুগে নারী জাগরন এভাবেই ধিরে ধিরে হয়েছে, হচ্ছে, বিড়ি ফুকে আন্দোলন করে নয়।

এখন যারা থার্ড ওয়েভের আন্দোলন করে, আপনারা ঠিক ঐ সো কল্ড মানুষের মতো তাদের আক্রমণ করেন। তবে একটা সময় আপনারাই বলবেন, তারা খুব সাহসী কাজ করছে। ব্যাপার না ব্রো। খালি অপেক্ষার পালা। পরিশেষে কথা, ধাক্কা না দিলে ইস্পাত শৃংখল ভাঙ্গা যায় না।
ধাক্কা দেন, ধাক্কা দিতেতো না করছিনা বাট ধাক্কাটা বেগম রোকেয়ার মত করে যেন এখন না হলে ২০-৫০-১০০ বছর পরে হলেও যেন গ্রহনযোগ্য হয়।

আপনাদের কাছে নারী স্বাধীনতার মানে হল পুরুষের মত বিড়ি ফুকা, শার্ট-প‌্যান্ট পরা, গভির রাত পর্যন্ত বাহিরে থাকা ইত্যাদীর স্বাধীনতা, আর আমার কাছে নারীর স্বাধীনতা মানে হল নিজের স্বকিয়তা বজায় রেখে বিনা বাধায় সমাজের উচ্চস্তরে পদার্পন করা। তফাৎটা এখানেই।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০৬

রাফিন জয় বলেছেন: আপনার চোখে যেইটা এখন নেগেটিভ মনে হচ্ছে, সেইটাই কয়েক যূগ বাদে পজিটিভ হয়ে যেতে পারে। দঙ্গল মুভি দেখছেন বুঝলাম, কিন্তু মেয়ে দুজনের সমাজের খাওয়া খোচা খেয়াল করেন নাই। রোকেয়া যখন পর্দা প্রথার বিরুদ্ধে কথা কইছে, এই সমাজেরসুশীল লোকজন তারে কতোটা নেগেটিভ বলছে আপনি ধারণা রাখেনতো? Sultana's Dream পড়ে দেখবেন একটু। যেইটা পড়ে এখনও সুশীল সমাজ বলে কী নেগেটিভ ভাইব সে তুলছে। বইটা না থাকলে আমার থেকে নিতে পারেন। আমি আগেও বলছি যে তারা ধুমপানরে প্রোমোট করতাছেনা, তারা মিসোজিনিরে আঘাত করতাছে। ফ্রি দ্য নিপল আন্দোলন আপনার নেগেটিভ মনে হতেই পারে, কিন্তু তা কেমন আঘাত করে বলতে পারেন? রোকেয়া পর্দা প্রথার বিরুদ্ধে কথা বলা কতো বড়ো আঘাত ছিলো সেই যূগে তা বুঝেন?

১৮| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৯

আমি নই বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার চোখে যেইটা এখন নেগেটিভ মনে হচ্ছে, সেইটাই কয়েক যূগ বাদে পজিটিভ হয়ে যেতে পারে। বিড়ি খাওয়া আজ থেকে ১০০ বছর আগেও খারাপ ছিল, এখনো খারাপ আছে ১০০ বছর পরেও খারাপই থাকবে, তবে ধুমপান স্বাস্থের জন্য উপকারি প্রমানিত হলে ব্যাপারটা আলাদা। হা হা হা

দঙ্গল মুভি দেখছেন বুঝলাম, কিন্তু মেয়ে দুজনের সমাজের খাওয়া খোচা খেয়াল করেন নাই।
আপনি যে মন্তব্য না বুঝেই উত্তর দ্যান, এটা তার প্রমান। দঙ্গল মুভি নিয়ে লেখা প‌্যাড়াটা আবার পড়েন, দ্যাখেন ওখানে আমি স্পস্ট ভাবে ওদের বাধা বিপত্তি পার করে সাফল্যের শিখরে যাওয়ার কথা বলেছি। বাধা বিপত্তি এইশব্দ দুটো কিন্তু আপনার ভাষায় সমাজের খাওয়া খোচারই সমার্থক।

রোকেয়া যখন পর্দা প্রথার বিরুদ্ধে কথা কইছে, এই সমাজেরসুশীল লোকজন তারে কতোটা নেগেটিভ বলছে আপনি ধারণা রাখেনতো?
বেগম রোকেয়া সরাসরি পর্দা প্রথার বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন এটা নতুন শুনলাম, যতদুর জানি সম্ভবত উনি এক্সট্রিম পর্দা পছন্দ করতেন না। সাধারনত আমরা বেগম রোকেয়াকে নারী শিক্ষার অগ্রদুত হিসেবে চিনি, তিনি নারী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার পক্ষেই কথা বলে গেছেন, নারীদের রাজনীতেতে অংশগ্রহনের ব্যাপারেও তার পজিটিভ মনভাব ছিল। কিন্তু তিনি সরাসরি পর্দা প্রথার বিরুদ্ধে ছিলেন এটা সম্ভবত ঠিক না। তবে এটা ঠিক ঐ সময়ের মানুষরা তাকে বুঝতে পারেন নাই, আমার মন্তব্যে আমি আগেও এ কথা বলেছি।

আমি আগেও বলছি যে তারা ধুমপানরে প্রোমোট করতাছেনা, তারা মিসোজিনিরে আঘাত করতাছে।
আন্দোলন জিনিষটা এমনভাবে করা উচিত যাতে মুর্খ থেকে শিক্ষিত শতভাগ মানুষ এর উদ্দেশ্য বুঝতে পারে। হাস্যকর বিষয় হলো আপনাদের আন্দোলন মানুষ বুঝতেই পারতেছেনা ফলে আপনাকে বার বার বলতে হচ্ছেআমরা আন্দোলনতো এ জন্য করি নাই, ঐ জন্যে করেছি। বিড়ি খাইলে নারী বিদ্বেষ কমবেনা, বাড়বে, আর এটা অলরেডি প্রমান হয়ে গেছে।

ফ্রি দ্য নিপল আন্দোলন আপনার নেগেটিভ মনে হতেই পারে, কিন্তু তা কেমন আঘাত করে বলতে পারেন?
নাহ পারি না। ফ্রি দ্য নিপল আন্দোলনটা কিছু বাস্তবতা না বোঝা বোকা মানুষের কর্ম ছারা কিছুই নয়, যারা শুধু জেদের বসেই কাজটা করেছে। শারিরিক ভাবে ছেলে-মেয়ে কখনই সমান নয়, সমান হবেও না কখনো। কিছু ক্ষেত্রে মেয়েরা কিছু ক্ষেত্রে ছেলেরা এগিয়েই থাকবে। এটাই প্রকৃতির নিয়ম, সুতরাং শারিরিক ভাবে সাম্যতা কখনই পছিবল নয়। যেটা কখনই পছিবল নয় সেটা নিয়ে আন্দোলন এর যুক্তিটা কোথায়?

ভাইটি, শতভাগ শিক্ষিত মানুষের দেশ অস্ট্রেলিয়ায় ফ্রি দ্য নিপল আন্দোলন করে আয়োজন কারিরা পর্নোগ্রাফির প্রচারণাকারী হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছিলেন আর ৩০% আধাশিক্ষিত মানুষের দেশে আপনারা বিড়ি খেয়ে নারী সাম্যতার পক্ষে জাগরন সৃস্টি করতে চান বা নারী বিদ্বেষের বিরোদ্ধে দেয়াল গড়তে চান? আজব মনমানষিকতারে ভাই।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫১

রাফিন জয় বলেছেন: ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ভালো তা আমি কখন বলছি? ধূমপান কোনো কালেই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না। যদিও নিকোটিন কিছুটা মেন্টাল রিলাক্সেশন দেয়। যাই হোক, সমস্যাটা কিন্তু স্বাস্থ্য নিয়ে না আপনার। আপনার সমস্যা মেয়েরা কেনো বিড়ি খাবে। আচ্ছা রাস্তায় রোজ ছেলে বিড়ি খায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিড়ি হাতে ছবি দেয়, তা নিয়ে আপনার বক্তব্য কী? কবে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিছেন্তাদের জরিমানা করতে বলে? এখানেই সেক্সিজমের পর্ট্রেইট দেখা যায়। লিঙ্গ দিয়ে অধিকার ডিফাইন করা হচ্ছে। আমার নানু-দাদুরা আকিজ বিড়ি খেতো দেখতাম। তারা নাকি দেখেছে আগে বাংলার বনেদি ঘরের মেয়েদের হুকা খাওয়াটাকে আভিজাত্য ভাবতো। তখনতো এই সমস্যাগুলো ছিলোনা। দিনে দিনেতো সমস্যা আরো ডিটারিওরেট করছে। সে যাই হোক।
দঙ্গল সিনেমায় মেয়ে দুটো যথেষ্ট খোচা খেয়েছে। আপনার মতো রক্ষণশীল আচরণই তারা ফেস করেছে। কিন্তু পরে সবাই এপ্রিশিয়েট করেছে। প্রথমে সবাই বলছে মেয়ে মানুষ কুস্তি লড়বে এও হয় নাকি? মানে মেয়েরা কি শুধু সন্তান জন্মদান আর যৌন যন্ত্র? এই খোচা আপনি বুঝেছেনতো?
আর রোকেয়া সম্পর্কে যে আপনার ধারণা খুবই হাল্কা, তা নিয়ে বললেও আপনি বুঝবেন না। বরং আপনি তাকে নিয়ে স্টাডি করেন।
আর একটা মতের গোষ্ঠীকে আপনি পাগল বলে আপনি যুক্তি দেয়ার সব ম্যানার ভায়োলেট করছে। ফেশিয়াস কিছু আপনার কাছে আর নতুন মনে হবে না। কার্ল মার্ক্স নিজেই এমন লোকেদের জন্য ৫ বার ফ্রান্স থেকে বহিষ্কার হইছে, আমরা আর কোন চুনোপুঁটি!
শেষ কথা, বিড়ি সিগারেট কোন নিষিদ্ধ দ্রব্য না। পাব্লিকলি স্মোক করলে অবশ্য ৩০০ টাকা জরিমানা করার কথা। সেটা করলে আমি প্রশাসনকে এপ্রিশিয়েট করতাম। কিন্তু উৎসুক জনতা যা করছে, তা রীতিমতো মলেস্টেশন। এখানেই তারা সেক্সিজম ফলাইছে। যার প্রতিবাদ হইছে। কই, মলেস্টেশন নিয়েতো কিছু বললেন না? নাকি আপনিও তার পক্ষে?

১৯| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩০

আমি নই বলেছেন: আপনার সমস্যা মেয়েরা কেনো বিড়ি খাবে।
ছেলে-মেয়ে যেই হোক আমি বিড়ি খাওয়ার বিরোদ্ধে।

আচ্ছা রাস্তায় রোজ ছেলে বিড়ি খায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিড়ি হাতে ছবি দেয়, তা নিয়ে আপনার বক্তব্য কী?
সম্ভব হলে বারন করি, সম্ভব না হলে ইগনোর করি এবং বিড়ি খোড়ের বিড়ি খাওয়াটাকে মন থেকে ঘৃনা করি।

আমার নানু-দাদুরা আকিজ বিড়ি খেতো দেখতাম। তারা নাকি দেখেছে আগে বাংলার বনেদি ঘরের মেয়েদের হুকা খাওয়াটাকে আভিজাত্য ভাবতো। তখনতো এই সমস্যাগুলো ছিলোনা। দিনে দিনেতো সমস্যা আরো ডিটারিওরেট করছে। সে যাই হোক।
ওকে বিড়ি খান, আভিজাত্য ফলান!

দঙ্গল সিনেমায় মেয়ে দুটো যথেষ্ট খোচা খেয়েছে। আপনার মতো রক্ষণশীল আচরণই তারা ফেস করেছে। কিন্তু পরে সবাই এপ্রিশিয়েট করেছে। প্রথমে সবাই বলছে মেয়ে মানুষ কুস্তি লড়বে এও হয় নাকি? মানে মেয়েরা কি শুধু সন্তান জন্মদান আর যৌন যন্ত্র? এই খোচা আপনি বুঝেছেনতো?
খোচা খায়নি বলেছি কোথাও? না বলেছি ওরা পজেটিভ উদাহরন সৃষ্টি করেছে। উল্টা বোঝেন কেন?

আর রোকেয়া সম্পর্কে যে আপনার ধারণা খুবই হাল্কা, তা নিয়ে বললেও আপনি বুঝবেন না। বরং আপনি তাকে নিয়ে স্টাডি করেন।
উল্টা পাল্টা বললে কেউ বুঝবেনা, শুধু আপনারা ছারা।

আর একটা মতের গোষ্ঠীকে আপনি পাগল বলে আপনি যুক্তি দেয়ার সব ম্যানার ভায়োলেট করছে। ফেশিয়াস কিছু আপনার কাছে আর নতুন মনে হবে না। কার্ল মার্ক্স নিজেই এমন লোকেদের জন্য ৫ বার ফ্রান্স থেকে বহিষ্কার হইছে, আমরা আর কোন চুনোপুঁটি!
হুম বুঝেছি আপনি মহাজ্ঞানী।

শেষ কথা, বিড়ি সিগারেট কোন নিষিদ্ধ দ্রব্য না। পাব্লিকলি স্মোক করলে অবশ্য ৩০০ টাকা জরিমানা করার কথা। সেটা করলে আমি প্রশাসনকে এপ্রিশিয়েট করতাম।
তার মানে ঘরের বাহিরে একমাত্র প্রশাসন ছারা কেউ কাউকেই বিড়ি খাইতে নিষেধ করতে পারবেনা!!! আপনার নানু-দাদুরা না হয় আকিজ বিড়ি খাইত, সবার পরিবারতো আর অভিজাত নয়।

কিন্তু উৎসুক জনতা যা করছে, তা রীতিমতো মলেস্টেশন। এখানেই তারা সেক্সিজম ফলাইছে। যার প্রতিবাদ হইছে। কই, মলেস্টেশন নিয়েতো কিছু বললেন না? নাকি আপনিও তার পক্ষে?
আলোচনাটা ছিল বিড়ি খেয়ে প্রতিবাদের বিষয়ে, মলেস্টেশন নিয়ে পোষ্ট দিয়েন অবস্যই সেখানেও কথা হবে।
যদি স্পেসিফিক্যালি রাজশাহীর বিষয়ে মন্তব্য চান তাহলে বলব, মেয়েটি প্রকাশ্যে ধুমপান করে অপরাধ করেছে। যে ব্যাক্তি শুধু মাত্র মেয়ে বলে ঐ মেয়েটিকে উঠিয়ে দিয়েছে সেও অপরাধ করেছে। পরে যারা জেদের বসে একই স্থানে বসে ধুমপান করে প্রতিবাদ জানিয়েছে তারাও অপরাধ করেছে।

যাইহোক অনেক কথা হল, একটা লাস্ট প্রশ্ন করি, আশা করি কোনো জেনেরিক উত্তর না দিয়ে যতটা সম্ভব ডিটেইলস আর স্পেসিফিক উদাহরন সহ উত্তর দিবেন ।
আপনি নারী স্বাধীনতা বা নারী-পুরুষের সাম্যতা বলতে কি বোঝেন? কি করলে এটা প্রমান হবে যে নারী-পুরুষ সমান?

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৫

রাফিন জয় বলেছেন: শুধু তবে আপনার প্রশ্নের উত্তরটাই দিচ্ছি।
যেইদিন মানুষ লিঙ্গ দিয়ে আর অধিকার ডিফাইন করবে না, নারীকে নারী ভাবার আগে মানুষ ভাবতে শিখবে, সেটাই হবে আমার কাছে নারী-পুরুষের সমতা। আমার কাছে ফেমিনিজম সিমোনের চিন্তাধারা। আমার কাছে ফেমিনিজম ওরিয়ানা ফাল্লাচির লেখা "Letter to a child never born" এর মতো। আমার কাছে নারী মুক্তি "দ্যা সেকেন্ড সেক্স বইয়ের প্রতিটা লাইনের মতো।
যদি আমাদের দেশ 'সিডোও চুক্তির বাকি দুটো ধারাতেও স্বাক্ষর করে তার শতভাগ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে পারে, তা হবে আমার কাছে নারী মুক্তি।

২০| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১১

আমি নই বলেছেন: লেখক বলেছেন: শুধু তবে আপনার প্রশ্নের উত্তরটাই দিচ্ছি।
ধন্যবাদ অন্য বিষয় গুলো স্কিপ করার জন্য, কারন আমি আপনাকে যেটা বলি আপনি আবার সে্টাই আমাকে বলেন। এর চাইতে আপনার ভাবনা গুলো বোঝার চেষ্টা করাই বেটার।

যেইদিন মানুষ লিঙ্গ দিয়ে আর অধিকার ডিফাইন করবে না, নারীকে নারী ভাবার আগে মানুষ ভাবতে শিখবে, সেটাই হবে আমার কাছে নারী-পুরুষের সমতা।
এটা একটা জেনেরিক অথবা রেডিমেড উত্তর বলা যায়, আমি আসলে এটু ডিটেইলস এ জানতে চাচ্ছি। যেমন ধরেন ঠিক কোন কোন অধিকারগুলো মেয়েদের কাছে থাকলে মোটামুটি ধরা যায় মেয়েরা স্বাধীন? বোঝেনইতো আপনাদের মত ওরিয়ানা ফাল্লাচি, সিমোন, মার্কস পড়া মহাজ্ঞানীতো আর সবাই নয়।

এর সাথে দয়া করে দুনিয়ার কয়েকটা দেশের নামও বলেন যেখানে আপনার দেয়া সঙ্গা অনুযায়ী নারীরা স্বাধীন।

আমার কাছে ফেমিনিজম সিমোনের চিন্তাধারা। আমার কাছে ফেমিনিজম ওরিয়ানা ফাল্লাচির লেখা "Letter to a child never born" এর মতো। আমার কাছে নারী মুক্তি "দ্যা সেকেন্ড সেক্স বইয়ের প্রতিটা লাইনের মতো।
ওকে..

যদি আমাদের দেশ 'সিডোও চুক্তির বাকি দুটো ধারাতেও স্বাক্ষর করে তার শতভাগ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে পারে, তা হবে আমার কাছে নারী মুক্তি।
সিডোও চুক্তির সবগুলো ধারাতে স্বাক্ষর করে তার শতভাগ প্রয়োগ নিশ্চিত করেছে এবং একারনে নারী বিদ্বেশ নেই এমন কয়েকটা দেশের নাম বললেও উপকার হত।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৩

রাফিন জয় বলেছেন: এই ভাই আপনি কি আসলেই যুক্তির জন্য কথা বলেন? নাকি শুধু মাত্র জিতে যাওয়ার জন্য? এটা একটা সাইকিক ডিজওর্ডার। আপনার সেই সমস্যা থাকলে কাউন্সেলিং করান। পেট্রিয়োর্কির যে বিলোপ ঘটেনি তা আপনি জানেন না? পুরো পৃথিবীর কোথাও শতভাগ সমতা বিরাজ করে না। তাই আমরা পৃথিবীর এই ডিজওর্ডার রিডিউস করতে চাই। সিডোও চুক্তির ধারাগুলো পড়ে তার যৌক্তিকতা এনালাইসিস করে দেখবেন। আসেন তবে কয়েকটা রাষ্ট্রের সোর্স দেই। Gender Gap Index একটু দেখে নিবেন। প্রথম ৫টা রাষ্ট্রের নাম একটু দেখে নিবেন। তাদের রাষ্ট্রের সাথে সিডোও চুক্তির স্বাক্ষর মিলিয়ে নিবেন। এখানে সিডোও এ স্বাক্ষর করলেই সেটা ফেমিনিস্ট রাষ্ট্র হয়ে যায় না। স্বাক্ষর না করেও সেইম কাজ করলে তাকে ফেমিনিস্ট কান্ট্রি বলা যেতে পারে।
ঐ এক লাইনে এভেঞ্জার সিরিজের গল্প বলার মতো আপনার অবস্থা। সিডোও চুক্তি বলার পরেও আপনাকে আর কোন অধিকারের কথা বলতে বলেন? এটাকে আজায়রা বাতেলা বলা চলে।
সিমোনের পুরো বইয়ের রিভিউ আপনাকে একটা কমেন্টে বলে দিলে আপনি কতোটুকু বুঝবেন? সিডোও-এর ধারা না হয় বুঝবেন, কেনো তার সমর্থন করা দরকার তা নিজেই একটু এনালাইসিস করেন। বাংলাদেশ কোন দুটো ধারায় স্বাক্ষর করেনি জানেনতো? না জানলে এখনি গুগল করেন। তারপর দেখেন কী অবস্থা। আপনি মিসোজিনিস্ট কিনা আমি জানি না, তবে খুবই আঁতেল মার্কা যুক্তি দেন। অন্যের ভিউও নিতে পারেন না।
আর আমি আপনার কথা আপনাকে ব্যাক করিনি। আপনি এই আলাপ মগজে নেয়ার ক্যাপাবিলিটি আদতে রাখেন কিনা সেই চিন্তা করে আর কোন কথা না বলে শুধু লাস্ট লাইনে করা প্রশ্নের উত্তর দিবো বলেছিলাম।

২১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৭

আমি নই বলেছেন: হা..হা.. রাগেন কেন?
আপনার সাথে আলাপ ছিল বিড়ি খেয়ে প্রতিবাদের যৌক্তিকতা নিয়ে, আমিতো সেটা ছেরেই দিয়েছি। পরে জাষ্ট জানতে চেয়েছি, এবং বুঝতে চেয়েছি আপনাদের ভাবনা।

আমি জানি আমি নারী শিক্ষার, নারী ক্ষমতায়নের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী এবং যেকোনো প্রকারের নারী বিদ্বেশের বিপক্ষে তবে উদ্দেশ্য যাই হোক বিড়ি খেয়ে বা উন্মুক্ত বক্ষ প্রদর্শন করে প্রতিবাদের মত কার্যকলাপেরো বিপক্ষে। আমি নারী-পুরুষের স্বাভাবিক এবং সমাজের জন্য যেটা ভালো সেই প্রতিযোগিতার পক্ষে, কিন্তু জেদের বশে একটা ছেলে বাবা খেতে পারলে আমি পারবোনা কেন, বা একটা মেয়ে শাড়ী পরতে পারলে আমি পারবোনা কেন এই জাতীয় অসুস্থ প্রতিযোগিতার বিপক্ষে।

এনিওয়ে, অন্যের ভিউও নিতে পারার ক্ষমতা আপনারো খুব একটা নেই এবং আমারো মনে হয়েছে আপনিও জেতার জন্য অযথাই আগডুম-বাগডুম বলছেন :) এবং নিজেকে অনেক জ্ঞানী প্রমানের জন্য বিখ্যাত লেখকদের প্রসংগ এনেছেন যাদের অনেক ভাবনাই শুধু আমাদের দেশে নয় বেশিরভাগ পশ্চিমা দেশেও অচল। আমার পক্ষ থেকে আলোচনা এখানেই শেষ।

ভালো থাকুন আপনাদের ভাবনা নিয়ে। ধন্যবাদ।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৫

রাফিন জয় বলেছেন: তারমানে আমার ধারণাই ঠিক। আপনি আজাইরাই বকবক করছেন। প্রথম দিন মেয়েটা স্বাভাবিক ভাবেই বিড়ি খাচ্ছিলো। সেখানে সচরাচর সবাই বিড়ি খায়। ওটারে আলাদা করে স্মোকিং জোন কারোর বলার দরকার হয় না। কিন্তু মেয়েটা বিড়ি খাওয়া নিয়েই সমস্যা বাধে। যার প্রতিবাদ বাকিরা করছে।
রাস্তা আটকাইয়া আপনি মিছিল করারে ডেমোক্রেটিক রাইট বলেন, হরতাল করারে ডেমোক্রেটিক রাইট বলেন, তখন কমন পিপলের সমস্যা হয়না? কিন্তু বলা হয় সেটা বৃহত্তর লক্ষ্যে ক্ষুদ্র বলিদান।
এইবার কে কেমনে আন্দোলন করবে সেইটা কি আপনি ডিফাইন করে দিবেন? আপনার ডায়মেনশন পছন্দ না হলে ক্রিটিসাইজ করেন, কিন্তু পাগল-ছাগল বইলা আক্রমণ করার অধিকার আপনারে কে দিছে? শুরু থেকেই সেইম কাজ করছেন।
আর কতোটা জ্ঞানী বা কতোটা স্টুপিড তা আমার চাইতে ভালো আপনি জানেন না। আপনার সেই সার্টিফিকেট দেয়ার দরকার নাই। আর যেই লেখকদের কথা বলছি, তাদের ভিউ চলে না বেশিরভাগ পশ্চিমা দেশেই, এইটা দেইখা আপনারে আর এর উত্তর দেয়ার ইচ্ছা নাই। কারণ আপনার সেখানে মিনিমাম স্টাডি থাকলে এটা বলতেই পারতেন না।
আর হ্যা, ফ্রি দ্য নিপল আন্দোলন আমাদের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে এখন সম্ভব না। তাই এটা নিয়ে এখন না ভাবলেও চলবে। এটা এখানে কেউ করতে যাবে না।

২২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৭

আমি নই বলেছেন: আমার আবারো কথা বলার ইচ্ছা ছিলনা কিন্তু বলতে হচ্ছে। এখানে একটা বিষয় ক্লিয়ার আপনাকে আমি আমার কথা বুঝাতে পারিনাই বা আপনি বুঝতে চেষ্টা করেন নাই। আপনার শেষ মন্তব্যর শেষ প‌্যারাটাই আমার বক্তব্য ছিল, আমি এটাই বুঝাতে চেয়েছিলাম যে, আমাদের আর্থ-সামাজিক এবং শিক্ষার প্রেক্ষাপটে অনেক কিছুই সম্ভব না, যেটা ১৮ নম্বর মন্তব্যর শেষ প‌্যারায় লিখেছি, কিন্তু আপনি বোঝার চেষ্টা করেন নি। যে সময়ে যেটা সম্ভব নয় সে সময়ে সেটা করার চেষ্টা করাও ঠিক নয়, বরং সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করা উচিত এবং বর্তমান প্রেক্ষাপটে যেটা করা জরুরি সেদিকেই ফোকাস করা উচিৎ।

ভালো থাকবেন।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৫

রাফিন জয় বলেছেন: আপনি নিজের প্লট অবধি চেঞ্জ করে ফেলেছেন। প্রথম ব্যপার, আপনি তাদের এই প্রতিবাদ সময় দিয়ে বিচার করেননি, করেছেন নেগেটিভিটি বলে। তার উপরে বলছেন যখন যা করা ঠিক না তা তখন করা উচিৎ না। আচ্ছা কখন আর কী করা উচিৎ? আর সময়ের অপেক্ষায় বসে থাকা খুবই একটা ভোকাস ধারনা। সময় ক্রিয়েট করে নিতে হয়। প্লাটফর্ম বানিয়ে নিতে হয়। কেউ রেডিমেড প্লাটফর্ম আশা করলে তা নিছক বোকামি। আজ থেকে একশ বছর পরে যদি কোন বিপ্লব ঘটে যায়, তা ১০০ বছর সময় অতিক্রম করার কারণে হবে না, হবে নতুন পরিস্থিতি আজকে থেকেই ক্রিয়েট করার কারণে। নিঃসন্দেহে ঐ ছেলে মেয়েদের প্রতিবাদ একটা দারুণ ডায়মেনশন ছিলো।

২৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৩৪

আমি নই বলেছেন: ধুমপান করাটাকে আমি আগেও নেগেটিভ ভাবে দেখেছি, এখনো দেখি, ভবিস্যতেও দেখবো তা উদ্দেশ্য যাই হোক, এবং আমি এটাও মনে করি এই জাতীয় প্রতিবাদ করে সমাজ পরির্বত সম্ভব নয়। এটাই আমার স্ট্যন্ড, ক্লিয়ার?

আমার দৃষ্টিকোন থেকে সমাজ থেকে নারী বিদ্বেষ কমাতে হলে আগে সমাজে শিক্ষিতের হার বাড়াতে হবে, নারীর ক্ষমতায়নে জোর দিতে হবে, এবং সর্বপরি সবচাইতে গুরুত্বপুর্ন হল মহিলা/পুরুষ/শিক্ষিত/অশিক্ষিত নির্বিশেষে সচেতনতা বাড়াতে হবে। মানুষকে বোঝাতে হবে যে নারী বিদ্বেষ, বর্নবাদী আচরন এগুলো খুন-খারাপির মতই অপরাধ। এভাবেই নারী বিদ্বেষ সহ সকল অপরাধ কমিয়ে আনা সম্ভব।

সময়ের কথা বলেছি আপনার মন্তব্যে করা "আর হ্যা, ফ্রি দ্য নিপল আন্দোলন আমাদের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে এখন সম্ভব না" এই লাইনের সাথে একমত হয়েই। আপনিতো আর বাচ্চা নন, ওরিয়ানা ফাল্লাচি-সিমোন পড়া মানুষ আপনাকে কেন ওয়ার্ড বাই ওয়ার্ড বুঝিয়ে বলা লাগবে?

লাস্ট মন্তব্যে আপনিই আবার বলতেছেন "আচ্ছা কখন আর কী করা উচিৎ? আর সময়ের অপেক্ষায় বসে থাকা খুবই একটা ভোকাস ধারনা। সময় ক্রিয়েট করে নিতে হয়।" এটা কি স্ববিরোধিতা নয়? একবার বলতেছেন এখন সম্ভব না, তো আবার বলতেছেন সময়ের অপেক্ষায় বসে থাকা খুবই একটা ভোকাস ধারনা, আপনিতো নিজেই নিজের বিরোধিতা করতেছেন। যদি সময়ের অপেক্ষায় বসে থাকা খুবই একটা ভোকাস ধারনাই মনে করেন এবং ফ্রি দ্য নিপল আন্দোলন এতই ইফেক্টিভ মনে করেন তাহলে এখনই ফ্রি দ্য নিপল আন্দোলনটাও করেন, কি দরকার প্রেক্ষাপট/সময় বিবেচনা করার?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.