নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাফসান জানি নয়ন

ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন ছিল , চান্স পাইনি । তবে হ্যাঁ , ভেটেরিনারিতে পরছি , বুঝেন নি এখনও , মানে গরুর ডাক্তার !!!! হাসছেন, তাই না!!!!! আমরা ভেটেরিনারিয়ানরা শুধু গরু না , একাধারে বাঘের ডাক্তার, সিংহের ডাক্তার, হাতির দাক্তার,কুকুরের ডাক্তার , মুরগি , হাঁস , কুমির , এমন কি উটেরও ডাক্তার ! \nআর হ্যাঁ , ওষুধের নাম মুখস্থ করতে করতে বিরক্ত হয়ে গেলে লেখালেখি করতে বসি , না হলে ছবি তুলতে বেরিয়ে পড়ি। \n\nতাই যা লেখি বা ছবি তুলি , সব হচ্ছে ব্রেইন এর শেষ প্রান্তের সামান্য নির্যাস !

রাফসান জানি নয়ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবনের গল্প

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪৪

মেয়েটি ঘুমোচ্ছে। কোন আলিশান প্রাসাদে নয়,কোন মখমলের বিছানায় নয়।হাসপাতালের ছোট্ট লোহার বিছানায়। চারদিকে পাখির কলরব নয়, বোগীদের মুহুর্মুহু আর্তনাদে বাতাস ভারি।মা পাশে বসে আছে।পরম মমতায় মাথায় আলতো করে হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন।আমরা ক'জন গেলাম দেখতে। ফুটফুটে একটি মেয়ে। বয়সটা বেশি হয় নি।মাত্র ৪ বছর।ফুল ফোটার আগেই ঝরার অপেক্ষায় দিন গুনছে।আমরা যেতেই তার ঘুম ভেঙে গেল।চোখ ডলতে ডলতে আমাদের দিকে তাকাল।তার চোখের দিকে তাকালাম।চোখেরনিচে কালি পড়ে গেছে।নোনা জলের রেখা চোখ বেয়ে চিবুক স্পর্শ করেছে।বেশিক্ষন তাকাতে পারলাম না সেই চোখের দিকে।ওর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বের হয়ে আসলাম।

৩ ভাই-বোনের মধ্যে ও ছোট।বড় বোন ক্লাশ এইটে পড়ে,ক্লাশের ফাস্ট গার্ল।কিন্তু জানে না,পড়াশোনা কতদূর করতে পারবে কি না!!!!!!!! মেজো ভাইটা প্রতিবন্ধী! আর ও thalacemia এ আক্রান্ত! প্রতি মাসে ১ব্যাগ করে blood লাগে।এ পর্যন্ত ২৯ বার blood দেয়া হয়েছে। এ মাসে অবস্থা নাকি বেশি ভালো না,তাই ২ ব্যাগ blood লাগছে।বাবা স্কুলের কেরানি।নুন আনতে পানতা ফুরোয়.....................
..
...ও হ্যা, গতবার যে মেয়েটিকে blood দিছলাম, ওর নাম ছিল মিনা।এর নামটা কি যেন!!! জানা হয় নি,কি হবে জেনে।ভালো থেকো তুমি,এই দোয়া করি।

...
গল্পটার শেষ কোথায়,আমি জানি না।সৃষ্টিকর্তাই জানেন!
হে আল্লাহ,তুমি কি পারতে না, গল্পটা একটু অন্যরকম করতে,একটু সহজভাবে গল্পের চিত্র নাট্যটা সাজাতে!!!!!!!!!!!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.