নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কেউ না আমি কেউ না

খাঁজা বাবা

বল বীর – বল উন্নত মম শির! শির নেহারি’আমারি নতশির ওই শিখর হিমাদ্রির!

খাঁজা বাবা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের ব্যবস্থা কি পর্যাপ্ত?

০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৪৩



বাড়ি ওয়ালার কাছে বাড়ি ভাড়া মউকুফ চাই,আমরা ব্যাংক, এন জি ও'র কাছে ঋন মউকুফ চাই, কম্পানীগুলোর কাছে হাসপাতাল, পি পি ই ও ত্রান চাই। কিন্তু যে সরকার ট্যাক্সের বিনিময়ে আমাদের যে কোন পরিস্থিতিতে সাহায্য করতে দায়বদ্ধ, তার কাছে কিছুই চাই না।

তার পরেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই করোনা পরিস্থিতিতে বিভিন্ন খাতের জন্য প্রনোদনা ও বরাদ্দ দিয়েছেন।

১। ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সার্ভিস সেক্টরের প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ৯% সুদে ৩০ হাজার কোটি টাকার ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল সুবিধা দেওয়া হবে। যার অর্ধেক সুদ সরকার বহন করবে।
২। ক্ষুদ্র (কুটির শিল্পসহ) ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ৯% সুদে ২০ হাজার কোটি টাকার ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল সুবিধা দেওয়া হবে। যার ৫% সুদ সরকার বহন করবে।
৩। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রবর্তিত এক্সপোর্ট ডেভলপমেন্ট ফান্ডের বর্তমান আকার ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হতে ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হবে। ইডিএফ-এর বর্তমান সুদের হার LIBOR + ১.৫ শতাংশ (যা প্রকৃত পক্ষে ২.৭৩%) হতে কমিয়ে ২ শতাংশ নির্ধারণ করা হবে।
৪। ৫% সুদে প্রি-শিপমেন্ট ক্রেডিট রিফাইন্যান্স স্কিম নামে বাংলাদেশ ব্যাংক ৫ হাজার কোটি টাকার একটি নতুন ঋণ সুবিধা চালু করবে।
৫। রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন/ভাতা পরিশোধ করার জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার একটি আপৎকালীন প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে।

৫টি প্যাকেজে আর্থিক সহায়তার পরিমাণ হবে ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা।
এগুলি সব প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা বা প্রনোদনা, যা হয়ত ভবিষ্যতে অর্থনীতিকে সচল রাখবে।

কিন্তু এই করোনা সমস্যা মোকাবেলায় অপ্রাতিষ্ঠানিক ও সামাজিক সহায়তার অংশ হিসেবে সরকার কি করছে? স্বাস্থ্য খাতে সরকার কি করছে?

আমি যতটুকু জানি তা হচ্ছেঃ
১। সরকার চাল বিতরন করছে, সম্ভবত তা যারা বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় কার্ডধারী তাদের।
২। রোহিংগাদের জন্য প্রস্তুতকৃত চড়ে ১ লাখ মানুষ কে স্থানান্তরের ব্যবস্থা। আপাতত সেখানে কেউ যাবে কিনা সন্দেহ আছে।

বাস্তবতা হচ্ছে
১। এখন প্রায় ১ কোটি মানুষের খাদ্য সহায়তা দরকার, যা সরকার ভাবছে না।
২। পর্যাপ্ত চিকিৎসা উপকরন ও ব্যবস্থা দরকার যা নিয়ে সরকার ভাবছে না। গুটি কয় বেশরকারী উদ্যোগে সংকটে শিশির কনার মত।
৩। মানুষকে ঘরে রাখার ব্যবস্থা করা, দরকার হলে জোর করে, যা হচ্ছে না।


মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:০২

মেটালক্সাইড বলেছেন: এই ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীসহ সবাই মুখে কুলুপ এঁটেছে!!!! :)

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:২১

খাঁজা বাবা বলেছেন: হা

২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



গার্মেন্টস কর্মীদের কি কাজে যোগদান করতে হবে, নাকি হবে না?

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:২১

খাঁজা বাবা বলেছেন: একদিন কাজ করিয়ে আবার ছুটি দিয়েছে

৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশকে ৮৬০ কোটি টাকা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক.। ব্যবসায়ীদের যে পরিমান সাহায্য সহযোগিতার কথা ঘোষনা করা হয়েছে তাতে ব্যপক লুটপাঠের সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে। উন্নত দেশে সরাসরি জনগনকে কি কি সাহায্য সহযোগিতা দেয়া হবে, তা ঘোষনা দেয়া হয়েছে। পিএম এর ঘোষনাায় সেসবের কোন আভাস মেলেনি যাতে সাধারন মানুষ নিশ্চিন্ত হতে পারে।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:২২

খাঁজা বাবা বলেছেন: এ সকল সাহায্য সরাসরি সাধারোন মানুষ পাবে না

৪| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৪৫

মা.হাসান বলেছেন: কোনো দেশেরই এই সক্ষমতা নেই যে বসিয়ে বসিয়ে এক বছর দেশের লোক কে খাওয়াবে। করোনা দীর্ঘদিন থাকার সম্ভাবনা আছে। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করা দরকার। স্বাস্থ্য-অর্থ-সামরিক-খাদ্য এই সব বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেয়া দরকার। এই দুর্যোগ কালে সরকারের সমালোচনা না করে সবারই সহযোগিতার হাত বাড়ানো দরকার। ইউক্রেনে আগাম গন কবর খুড়ে রাখা হচ্ছে। দৃষ্টিকটু, কিন্তু প্রয়োজনীয়। দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যেন অবনতি না হতে পারে আগে থেকে সতর্ক থাকতে হবে।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:২৪

খাঁজা বাবা বলেছেন: সরকারের সমন্বিত কোন কাজ নেই
সব খাপছাড়া

৫| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: সরকারের প্রনোদনা ৭২,৭৫০ কোটি টাকা যদি ১৮ কোটি জনগনের মাঝে সমান ভাগে ভাগ করে বন্টন করা হয় তাহলে জনপ্রতি পাওয়ার কথা ৪০৪১.৬৬ টাকা।
এখন দেখা যাক জনগন কত পায় ?

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:২৩

খাঁজা বাবা বলেছেন: জনগন কিছুই পাবে না

৬| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৪৪

নেওয়াজ আলি বলেছেন: দলীয় নেতা কর্মী মোটা তাজা হবে

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:২৭

খাঁজা বাবা বলেছেন: তারা তো অধীর অপেক্ষায় ছিল এই দূর্যোগের।

৭| ০৫ ই মে, ২০২০ সকাল ১১:২১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাংলাদেশে অনানুষ্ঠানিক খাতে ৮০% লোক জীবিকা নির্বাহ করে। যে প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়েছে তার প্রায় পুরাটাই কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের জন্য।

০৬ ই মে, ২০২০ বিকাল ৩:১৯

খাঁজা বাবা বলেছেন: লুট পাটের আর এক পদ্ধতি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.