নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার চারিপাশ, আমার ভাবনা, আমার অনুভুতি,আমার চাওয়া, আমার অভিযোগ, আমার আত্মস্বীকারোক্তি, গঠনমুলক সমালোচনা

রহিম রুমন

বাচ্চা সাংবাদিক।

রহিম রুমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রাইভেট ভার্সিটি,প্রাইভেট টিচার

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৩

‘‘প্রাইভেট’’ শব্দটা –ই কেমন যেন স্বার্থপর স্বার্থপর সিল মারা, আবার যদি হয় সেটা প্রাইভেট ভার্সিটি তাহলে তো আর কথা-ই নেই,প্রাইভেট ভার্সিটির প্রতিটি ক্ষেত্র-ই যেন স্বার্থপরতার চরম উদাহরণ । আমার মনে হয়, প্রাইভেট ভার্সিটির টিচাররা পৃথিবীর সব স্বার্থপর টিচারের চরম উদাহরণ । এখানে পরিচিত হয়েছে এমন সকলে-ই স্বার্থপরতার একেকটি চরম উদাহরণ এমনকি যে ক্লাসফ্রেন্ড রা থাকে তারা-ও এর ব্যাতিক্রম নয় ।
পাঠক,প্রাইভেট ভার্সিটিতে কোন ছাত্র যদি কোন কারন বশত,রেজিস্ট্রেশন করতে না পারে, হতে পারে সেটা যেকোন বিপদ-আপদের কারনে অথবা অর্থনৈতিক টানাপড়েনের কারনে কিছু দিনের মধ্যে আপনি দেখবেন সবাই আপনাকে সমানভাবে ভুলে যাবে ,আবার যেদিন আপনার পক্ষে রেজিস্ট্রেশন করা সম্ভব হবে আপনি দেখবেন তখন আবার টিচাররা, বন্ধু বান্ধবরা এমন কি এখনে কর্মরত গার্ডরা পর্যন্ত সকলে পারে তো আপনাকে তাদের কলিজা বের করে দেখাবে যে সে বা তারা আপনাকে কতো মিস করতো , কিন্তু আপনি যে এতদিন ভার্সিটিতে আসেন নাই বা আসতে পারেন নাই এদের কেউ –ই কোনদিন একটা খোজ নেবার চেষ্টা –ও করে দেখে নাই , আপনি সামনে তাই কলিজা বের করা আর কি !
পাঠক , প্রাইভেট ভার্সিটি আর একটা দোকানের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই , উদাহরণ স্বরূপ, একটা চা এর দোকানে কিছুদিন রেগুলার চা বিড়ি খাইলে দেখবেন দোকানদার মামা আপনাকে কিছুদিনের মধ্যে খুব ভালবেসে ফেলবে মনের অনেক কথা খুলে-ও বলবে পারে, তো একদিন আপনাকে তার বাড়িতে দাওয়াত করে –ও খাওয়াবে কিন্তু যখন আপনার কাছে টাকা থাকবে না দুই একদিন হইত সে তার সমাদর বজায় রাখবে , এ রকম কিছুদিন হয়ে গেলে দেখবেন হঠাৎ সে একদিন ভুলে-ই যাবে যে আপনি কোন একদিন তার দোকানের একজন রেগুলার কাস্টমার ছিলেন, আবার আপনি টাকা নিয়ে ফিরবেন দেখবেন যে মামার ভালবাসা আগে মত-ই আছে, এ তো গেলো চা দোকানির চরিত্র , কিন্তু এই চরিত্র কি একজন টিচারের হতে পারে ? এই চরিত্র কি একজন সহ পাঠীর হতে পারে ? এই চরিত্র কি একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হওয়া উচিৎ ? তবে এগুলোর সব-ই একটা প্রাইভেট ভার্সিটিতে সম্ভব , এখানে সব সম্ভব কারন এটা প্রাইভেট ভার্সিটি এখানে সব কিছু –ই প্রাইভেট , যখন টাকা থাকবে তখন আপনার টিচার থাকবে আর যখন টাকা থাকবে না তখন আপনার টিচারের কাছে আপনি অপরিচিত একজন মাত্র , এ হ্যায় প্রাইভেট ভার্সিটি আর প্রাইভেট টিচার মেরে ইয়ার !
পাঠক , ছোট বেলার টিচারদের খুব মিস করি হোক সেটা প্রাইভেট টিচার অথবা স্কুলের টিচার একদিনের জায়গায় যদি দুইদিন পড়তে না যেতাম টিচাররা খোজ করা শুরু করে দিতেন কেন পড়তে গেলাম না ? যদি তারা শুনতেন যে তার ছাত্র অসুস্থ তাহলে তো আর কথা-ই নেই সরাসরি বাড়ি চলে যেতেন খোজ নিতেন কপালে হাত দিয়ে, জিজ্ঞেস করতেন কি অবস্থা এখন , কতটুকু সুস্থ হয়েছি , কেমন লাগছে এখন,খাওয়া দাওয়া ঠিক মতো করছি কিনা ইত্যাদি ইত্যাদি । কথাগুলো মনে করে হঠাৎ বুকের ভিতরটা হাহাকার করছে । ঠিক আছে দিন বদলেছে বদলেছি আমিও কম না , স্কুল কলেজ পেরিয়ে আমি এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে , কিন্তু কোন টিচারদের প্রতি আমার সম্মান একটু -ও কমে যায়নি আগের মতো –ই আছে আমার কাছে আমার সকল টিচারদের সম্মান । আগের মত-ই আছে টিচারদের প্রতি আমার ভালবাসার ধরন । তবে কেন যেন স্কুলের টিচারের মতো ভালবাসা আর কোন টিচারের কাছে পাইনা ? হয়তো উত্তরটা একি প্রাইভেট ভার্সিটির প্রাইভেট টিচার , এখানে টিচারের মায়া মমতা টাকা না থাকলে বন্ধ থাকে ,
এ হে প্রাইভেট ভার্সিটি মেরে ইয়ার , টাকা ছাড়া এখানে কিছু –ই পাওয়া যায় না , শিক্ষা,ভালবাসা,কিছু-ই না ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.