![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বেচে থাকার মাঝে আছে প্রচুর আনন্দ ।এই পৃথিবীর মহাযঞ্জে আমি নেই একথাভাবতেও পারিনা ।বেচে থাকুন আনন্দে, আনন্দকে খুঁজে নিন নিজের মত করে।নিজকে অন্যের মত করে সাজাতে যাবেন না । হাজারো মানুষের মাঝে আপনী আপনারমত ।বেচে থাকুন আপনার মত করে ।
বলতে দ্বিধা নেই আমরা ক্রমান্বয়ে সংকর জাতিতে
পরিনত হতে যাচ্ছি। এই আমরা’র মাঝে আমি ও আছি।যুগের সাথে তাল মেলাতে গিযে আমরা
পাশ্চাত্য সংস্কৃতির পরিতাজ্য অংশটুকু গলাধঃকরণ করছি।তাদের সংস্কৃতির ইতিবাচক অংশটুকুর যদি সিকি ভাগ ও ধারণ করতে পারতাম তাহলে একলাফে অনেকদূর যেতে পারতাম। কিন্তু তা আমরা করব না । এফ.এম রেডিও’র তথাকথিত আর.জে আর কিছু টিভি চ্যানেলের উপস্থাপক/উপস্থাপিকার বদৌলতে বাংলা ভাষা তার ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। লাখো শহীদের রক্তে প্লাবিত বাংলা ভাষা আর এই ভাষার এহনে অবমাননা কেবল আমাদের পক্ষে সম্ভব কেননা আমরা স্বাধীনতার ধারক বাহক। হিন্দি-বাংলা-ইংরেজীর সংমিশ্রনে কথা বলতে না পারলে মনের আশ মেটেনা নিজকে আবুল আবুল লাগে।প্রগাঢ় স্মার্টনেস প্রকাশের জন্য চাই হিন্দি-বাংলা-ইংরেজী (অদ্ভূদ) চর্চা । দুর্মুখেরা অনেক কিছুই বলবে। তাদের কথায় কান দিতে নেই।বিশ্ব নাগরিক আমরা তাদের মত ক্ষুদ্র গন্ডির মধ্যে আবদ্ধ নই।এই হল বর্তমান প্রজন্মের (আমাদের) তরিৎ জবাব।
হাজারো বছরের ঐতিহ্যে লালিত আমাদের সংস্কৃতি এত টুনকো নয় যে আমাদের বিজাতীয় কৃষ্টি-কালচার আমদানি করতে হবে যদিও করি তা আমাদের সাংস্কৃতিক দেওয়লিয়াত্ব নয় কি? জাতি হিসাবে যা আমাদের জন্য চরম অবমাননাকর বটে।
অন্যের সংস্কৃতিতে নিজকে জাহির করার মানে কাকের ময়ূর সাজার নামান্তর । আমি অবশ্যই
বর্ষ বরণ করব তবে তা আমার সংস্কৃতির ঢংয়ে বিজাতয়ি কায়দায় নয় অন্য সংস্কৃতির কাছে
হাত পেতে নয়।আমি প্রথমে বাঙ্গালী (হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান) তারপর বিশ্ব নাগরিক। আমি গর্ব করে বলতে চাই আমি বাংলা মায়ের সন্তান। প্রযুক্তির চরম উৎকর্ষতার যুগে যা কিছু মানব কল্যানে কাজে আসে তার সবকিছুরই নির্যাস আমি নেব। কিন্তু অন্ধভাবে কাউকে অনুকরন করে নয়। কারো চরিত্রের মন্দ দিক গুলো যতই রংয়ে চংয়ে মাখানো হোকনা কেন সযত্নে এড়িয়ে চলব। পরিবর্তন কে কেউ অস্বীকার করতে পারেনা যদি কেউ করে তা স্রোতের বিপরীতে সাতার কাটার মতো। ঠিক তেমনি ইংরেজী ভাষার আগ্রাসন, এই এক ভাষার দাপটে অনেক ভাষার অস্তিত্ব বিলিন হওয়ার পথে। আর এর আগ্রাসনকে রুখার সাধ্য কারো নেই সে তার গতিতে এগিয়ে যাবে। তাই ইংরেজী এখন শুধু ইংরেজদের ভাষা নয় এটা সমগ্র
বিশ্বের ভাষা। তাই ইংরেজী ভাষাটাকে ভালভাবে আয়ত্ত করে বিশ্বের সাথে আমরাও এগিয়ে যাব।
পরিশেষে একটি বেদনাদায়ক সংবাদ দিয়ে শেষ করছি। গত ৩১ ডিসম্বের দিবাগত রাতে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনের উন্মাতালে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ঝরে পড়ল তিন তিনটি তাজা
প্রাণ।যারা আর আসবেনা এই পৃথিবীর আলো-ছাঁয়ায়। আর হবেনা কারো চক্ষু সুল,ছড়াবেনা কারো চোখে মুগ্ধতা। সর্বনাশা বিজাতিয় সংস্কৃতির অনুকরনে মধ্য রাতে মোটর সাইকেল নিয়ে হৈ হল্লা করতে
গিয়ে ঘাতক বাসের নিচে চাপা পড়ে অকাল প্রস্থান ঘটে। এতটা উন্মাতাল না হলে থাকতে
পারত মায়ের বুক জুড়ে হযত অনেকে বলবেন কার মৃত্যু কিভাবে হবে তা নিয়তি নির্ধারণ করে
রেখেছেন হবে হয়ত তাই। কিন্তু কিছু কিছু মৃত্যু কখনো মেনে নেয়া যায়না। এই টগবগে
যুবকদের অকাল প্রয়াণ তেমনি এক বেদনাহত ঘটনা যা মন থেকে মেনে নিতে কষ্ট হয়।দপ করে
নিভে গেল জ্বলতে থাকা প্রদীপ গুলো। সবাইকে করজোড়ে অনুরোধ করি আসুন প্রযুক্তিকে
ব্যবহার করি মানব কল্যাণে । নিজের সংস্কৃতিকে লালন করে এগিয়ে যাই সামনের দিকে।
সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা। আগামীর অনাগত দিনগুলো আপনার জীবনে বয়ে নিয়ে আসুক শান্তি , নিরাপত্তা ও সমৃদ্বি।
(রহিম সৈকত)
©somewhere in net ltd.