নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখি হলো আমার জগত, আমার মানস ভ্রমণের অখন্ড মানচিত্র । কল্পনার চরিত্রগুলোকে আমি লেখার জগতে বাস্তবতার ন্যায় সদর্পে চারণ করাতে চাই। আমি তাদের হাসি কান্না সুখ দুঃখে তুলির আঁচড় ছুঁয়ে দিয়ে অপছন্দের আঁকগুলো ইরেজার দিয়ে ঘষে তুলে বসাতে চাই কল্পনার রঙ ।

শাফায়াত উল্লাহ রহমত

খুব জটিল,ভীষণ সহজ এবং আবেগী নিতান্তই সহজ-সরল খোলা মনের মানুষ...আমার অভিধানে কান্না বলে কিছু নেই, তবে কষ্ট পাই খুব সহজে... যে যা দেয় তা ফিরিয়ে দেই। সে যদি হয় ভালোবাসা, তবে ভালোবাসা, অবহেলা হলে অবহেলা, কষ্ট হলে কষ্ট... আমার এ নীতি থেকে আজ পর্যন্ত বিচ্যুত হইনি,হতে চাইও না...।

শাফায়াত উল্লাহ রহমত › বিস্তারিত পোস্টঃ

মা বড়তো হচ্ছি, বেড়ে উঠব কবে?? এই বিজ্ঞাপনটা আজ খুব মনে পড়ছে।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫১

মা বড়তো হচ্ছি, বেড়ে উঠব কবে?? এই বিজ্ঞাপনটা কি আজ আমাদের "বাংলাদেশ" কে উপস্থাপন করছে না.???

'৫২ তে আমাদের বেয়নেট দিয়ে খুচিয়ে উর্দু শিখানো চেষ্টা করা হল,আমরা শিখিনি।

সেই ৪৭ থেকে আমাদের বঞ্চিত করা হল হাজারো অধিকার থেকে, আমরা মানিনি।

রাস্তা হাজারো মিলিটারি,পুলিশ গুলি আমাদের থামাতে পারেনি। এ বৈষম্য, অত্যাচার থেকে বাচার জন্য, নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য আমরা মরতে শিখলাম। "বাঙ্গালী আজ মরতে শিখেছে, তাদের কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না" বাঙ্গালী মুক্তির স্বপ্ন দেখল। অত্যাচার মাত্রা ছাড়ালো, শুরু হল হত্যাজজ্ঞ। বাঙ্গালীর প্রানের নেতা "বঙ্গবন্ধু" কে গ্রেফতার করা হল। বিভ্রান্ত ,বিশৃংখল জাতির জন্য কালুর ঘাট থেকে ঘোষনা এলো "আমি মেজর জিয়া বলছি......"।

রক্তে ভাসল দেশ। অবশেষে "বিজয়" আসলো।

কিন্তু সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে আমরা সব ভুলে গেলাম। চাটুকারে ভরে গেল দেশ। বিভ্রান্ত করা হল আমাদের নেতাদের। এবার আর পাকিস্থানি নয়। এবার আমরাই শুরু করলাম আমাদের সূর্য সন্তানদের হত্যা। স্বাধীন দেশের বয়স বাড়তে থাকলো আমরা হারালাম নেতাদের। হারাতে থাকলাম স্বাধীনতার,মুক্তির স্বাদ।

যখনি কেউ আমাদের মুক্তির স্বপ্ন দেখাতে থাকল আমরা তাকে মারলাম, যখনি কেউ স্বনির্ভর দেশের স্বপ্ন দেখাল আমরা তাকেই মারলাম।

স্বাধীন হয়েছি কিন্তু থামেনি বৈষম্য, এখনো কেউ অনাহারে এপারের মায়া ত্যাগ করে,আর কেউ রাস্তায় খাবার ছুড়ে মারে। আজো আমার বোন ধর্ষিত হয়, লুট হয় আমার দেশের টাকা, আজো বঞ্চিত বাংলাদেশি। আজো আমার মা তার ঘরে না ফেরা ছেলের জন্য কাদে। স্বাধীন হলেও, স্বাধীনতা পায়নি আমরা।

বরং পরাধীনতার কষ্ট এখন নতুন মাত্রা পেয়েছে। ভিনদেশিদের গুলিতে মরে, স্বদেশীদের প্রতি যে ভালবাসা জমেছিল, তা কমেছে। আগে বিদেশিদের গালি দিয়ে যে সান্তনা খুজতাম, তাও গেছে। এখন আমারই আমার উপরে গুলি চালাই, আমার দেশের আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনিই এখন আমাদের উপর গুলি চালায়, আমরাই আজ ধর্ষন করি,লুট করি, জ্বালিয়ে দেই সংখ্যা লঘুদের ঘর ,চাদাবাজি করি। আমরা আজ হাজারো দলে ভাগ হয়ে নিজের ভিতরে করি হানাহানি। আজো প্রতিদিন সকালে কারো না কারো নিখোজ হওয়ার খবর আসে । এখানে সেখানে এখনো পরে থাকে লাশ। এখনো গনতন্ত্রের, সংবিধানের নাম ধরে আমরা ক্ষমতাকে আকড়ে ধরতে চাই। শুধু ক্ষমতার জন্য আমরা হাজারো লাশের মিছিলে দাঁড়িয়ে গনতন্ত্রের "দিশারী" হতে চাই।

২১ ফেব্রুয়ারির প্রভাত ফেরিতে আমাদের আমাদের উপস্থিত হওয়া চাই , চাই। "মাগার" বেয়নেট দিয়ে না খোচালেও আমরা এখন অনেক ভাষায় শিখে ফেলেছি।

নিজেরাই নিজেদের এত মারছি যে, বিদেশি মারলে এখন আমাদের আর গায়ে লাগে না। বরং তাদের কিছু না কিছু দিয়ে খুশি করতে আমরা ব্যস্ত। ব্যাপারটা এমন যে, বিয়ে সময়ে আমার বন্ধু অনেক সাহায্য করেছে। এখন খুশি হয়ে তাকে আমার বাসর ঘরে বসায়ে রেখেই বাসর উদ্দযাপন করতে হবে।

সব দালালদের চাপে পরে আমরা যারা ১০০% বাংলাদেশি দালাল তাদের দেশে থাকা দায়। আজ এক বন্ধুর ওয়ালে স্ট্যাস্টাস দেখলাম "বেশি করে গুলি খান, ভাতের উপর চাপ কমান"।

বড় আর হতে চাই না। এবার একটু বেড়ে উঠতে চাই। শুধু মরতেই শিখলাম, এবার কেউ একটো বাচতে শেখান।

বিজয়ের মাসে, বিজয় দিবসে এবার একটো সত্যিকারের স্বাধীনতার সন্ধান পেতে চাই। যেখানে স্বাধীনতার মোড়কে নতুন কোন শিকল পরানোর পায়েতারা থাকবে না। এমন বাংলাদেশের প্রত্যাশায় সবাইকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.