নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খুব জটিল,ভীষণ সহজ এবং আবেগী নিতান্তই সহজ-সরল খোলা মনের মানুষ...আমার অভিধানে কান্না বলে কিছু নেই, তবে কষ্ট পাই খুব সহজে... যে যা দেয় তা ফিরিয়ে দেই। সে যদি হয় ভালোবাসা, তবে ভালোবাসা, অবহেলা হলে অবহেলা, কষ্ট হলে কষ্ট... আমার এ নীতি থেকে আজ পর্যন্ত বিচ্যুত হইনি,হতে চাইও না...।
মানুষ ঠিক কি কারণে মানুষ হয়ে ওঠে?
মানুষ যদি তার মানবিক মুল্যবোধটুকু হারিয়ে ফেলে তবে সে যেকোনো আচরণ করতে পারে। মানুষের আচরণ যদি কুকুরের মতো হয় আর তা যদি সমাজে ক্ষমতার আদলে আরোপ করে ফেলে তবে সেই মানুষগুলোই মানবিক রাষ্ট্রের জন্য হুমকি। নোয়াখালির সুবর্ণচরে অন্যপক্ষকে ভোট দেয়ার অভিযোগে গণধর্ষণ করা হয়েছে; অতঃপর ক্ষমতার অংশীদারিত্ব অর্জনকারী কুকুরদের অত্যাচারের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে চলে গেলেন পৃথিবী ছেড়ে। অনেককেই দেখছি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্ষণকারীর বিচার দাবি করছেন বা চাইছেন। ধর্ষনকারীর বিচার অত্যাবশ্যক এবং সেটা হতে হবে দৃষ্টান্তমূলক।
কিন্তু প্রশ্নটি হলো কেন এই ধর্ষণ? কেন এই বর্বরতা?
বর্বর আচরণ প্রকাশ করবার জন্য যে বিভৎস রুচির প্রয়োজন হয় সেটা কোন সমাজ নির্মাণ করে দিয়েছে? এই বর্বর আচরণের সাহস প্রকাশের উৎস কোথায়?
শুধু ধর্ষকের বিচার করলে ধর্ষিতা কিন্তু পূর্বের সম্মানবোধ এবং উপলব্ধিজাত জীবনধারণের আলোকিত পথটি আর কখনই খুজে পাবেনা। আর একটি ধর্ষণের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির বিধান করার মধ্য দিয়ে ক্ষমতায়নের যে সমাজ প্রতিষ্ঠা হয়েছে তা কিন্তু মুক্ত হতে পারবেনা। ধর্ষণের মোটিফ কিন্তু ভয়ঙ্কর। প্রথমত মতামত প্রতিষ্ঠা করা এবং পরবর্তীতে ভিন্ন মত প্রকাশের বিরুদ্ধে ভয় কে প্রতিষ্ঠা করা। অর্থাৎ ভয় প্রতিষ্ঠা করতে পারলে সমাজে আধিপত্যবাদী মতাদর্শ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। বাংলাদেশের পুলিশ প্রশাসন তা পেরেছে; যেমন পুলিশ দেখলে সাধারণ মানুষ ভয় পায়। কখন জানি ইয়াবা অথবা সরকারী কাজে বাঁধা দেবার অভিযোগে জেল হাজতে যেতে হয়। আর গত দশ বছরে গুমের ভয়ে পুলিশ যেন আতঙ্কের নাম। যে রাষ্ট্রে সাধারণ মানুষ পুলিশকে এতো ভয় পায়; সেই দেশে ধর্ষকরা প্রকাশ্যে গণআন্দোলনের মতো করে স্বামী সন্তানদের সামনে থেকে একজন মাকে, একজন স্ত্রীকে ধরে নিয়ে ধর্ষণ করলো। তবে তারা কারা? তারা পুলিশকেও ভয় না। তারা সমাজকেও ভয় পায় না। তাদের কলিজাতে এতো সাহস দিলোটা কে?
এখনতো মনে হচ্ছে নিশ্চয়ই অ্যামেরিকা, রাশিয়া বা কোনো প্রভাবশালী শক্তি এই ভয়ের যোগানদাতা। হতে পারে এই ভয় না থাকার সাহসের যোগানদাতা ভারত বা চীন। যদি এমন কোনো তথ্য প্রমাণ করা যায় তবে এই বিভৎস সাহসের হাত থেকে সমাজকে মুক্তি দেয়া সম্ভব। সুতরাং আলোচকদেরকে বলছি ভয় কাটানো সাহসের যোগানদাতাদের খুজে বের করতে হবে।
ভয়কে পুজি করেই প্রাচীন রাজারা রাজ্য শাসন করেছে। কিন্তু গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় ভয় কায়েম করলে রাষ্ট্র কখনই জনগণের থাকেনা। রাষ্ট্র যদি শুধুই ক্ষতায়নের অংশীদারদের জন্য সুবিধা বন্টন করার সংষ্কৃতি চালু রাখে তবে সেই রাষ্ট্রের কাঠামোর মধ্যে নৈতিক স্খলন এবং উগ্রবাদী চরিত্রের বিকাশের রাস্তাটি প্রসারিত হয়।
সর্বোপরি মানবিক রাষ্ট্র নির্মাণের প্রচেষ্টা এখন আর দেখা যায়না। মানবিক রাষ্ট্র নির্মাণ করা ছাড়া সামাজিক ব্যাধিগুলো দূর করা সম্ভব নয়। শক্তি, ভয় এবং নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা নয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে সঠিক শিক্ষা, নীতিবোধ, শৃংখলা এবং যোগ্যতমের অধিকার। সকল অমানবিক এবং পৈশাচিকতার পরাজয় ঘটুক ফিরে আসুক আলোকপ্রাপ্তির দিন। আর যেন তুমি ধর্ষিত না হও! আর যেন ধর্ষিত না হয় মানবতা।
২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:০০
রাজীব নুর বলেছেন: দাবী একটাই অই সব শুয়োরের বাচ্চাদের কঠিন শাস্তি দিতে হবে।
৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:১৪
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: বর্বর সময়ের পোস্ট। ভালো লেগেছে।
আপনি অনেকদিন লেখেন না। ফিরে আসুন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:০৮
ফ্রিটক বলেছেন: বোন পারুল তুমি নও! ধর্ষিত হয়েছে মানবতা,! ধর্ষিত হয়েছে বাংলাদেশ