নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খুব জটিল,ভীষণ সহজ এবং আবেগী নিতান্তই সহজ-সরল খোলা মনের মানুষ...আমার অভিধানে কান্না বলে কিছু নেই, তবে কষ্ট পাই খুব সহজে... যে যা দেয় তা ফিরিয়ে দেই। সে যদি হয় ভালোবাসা, তবে ভালোবাসা, অবহেলা হলে অবহেলা, কষ্ট হলে কষ্ট... আমার এ নীতি থেকে আজ পর্যন্ত বিচ্যুত হইনি,হতে চাইও না...।
আপনি ভাবছেন মহামারী (করোনা ভাইরাস) ছড়িয়ে পড়েছে আপনি মারা যাবেন,বাসা থেকে বের হওয়া বন্ধ করে দিচ্ছেন অথচ-
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ পাক বলছেনঃ-
কুল্লু নাফসিন জাইকাতুল মউত,
অর্থাৎ,
প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে।
-মৃত্যু থেকে বাঁচার সকল রাস্তা বন্ধ
আপনি ভাবছেন করোনা ভাইরাস সংক্রমণের জন্য শহর ছেড়ে পালাবেন কিন্তু-
হাদীসে বলা হয়েছেঃ-
যখন মহামারী ছড়িয়ে পড়বে,আর তুমি সেখানেই রয়েছো,তখন সেখানেই অবস্থান করবে।মহামারী এলাকা থেকে পলায়ন করা জিহাদের ময়দান হতে পলায়ন করার মতোই অপরাধ।
(মিশকাতুল মাসাবীহ-৬১)।
আপনি বলছেন মহামারীতে(করোনা ভাইরাসে)
আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে আপনি জানাযা পাবেন না আর-
রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেনঃ-
মহামারীতে মারা যাওয়া প্রত্যেক ব্যাক্তিই শহীদ।
(মিশকাতুল মাসাবীহ-১৫৪৬)
আপনি খাদ্য সংগ্রহ করছেন করোনা ভাইরাসের ভয়ে, যেন পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হয়ে গেলে আপনাকে খাদ্যের অভাবে মারা যেতে না হয় কিন্তু-
কুরআনে পাকে বলা হয়েছেঃ-
"যমীনের উপর বিচরণশীল এমন কোনো জাতি নেই,যার রিযিক আল্লাহ পাক নির্ধারণ করেন নি।"
(সূরাঃহূদ-৬)
আপনার ঘর ভর্তি খাবার মজুদ আছে অথচ-
সেদিন মৃত্যুর ফেরেশতা(মালাকুল মউত) এসে হাজির হয়ে বলবেঃ-
ওহে আমি পুরো পৃথিবী সন্ধান করে আপনার জন্য এক ফোটা পানির ব্যবস্থা করতে পারি নি,এক টুকরো রুটি পর্যন্ত সংগ্রহ করতে আমি ব্যর্থ হয়েছি,সুতরাং আমাকে এখন আপনার জান কবজ করতেই হবে।
অতঃপর-
ধৈর্য্য ধারণ করুন।
মৃত্যু যেমনই হোক প্রস্তুত থাকুন ঈমানের সাথে,পবিত্রতার সাথে আল্লাহ পাকের ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য।
২| ২৩ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: চাবি খুঁজে পাইতেছে না বলে দেশটা লক-ডাউন করতে পারতেছে না!
৩| ২৩ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৫৮
লীনা জািম্বল বলেছেন: মরার জন্য অপেক্ষা করলেই হয়--আর কিছু করতে হবেনা ।
৪| ২৩ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:০৮
হাবিব ইমরান বলেছেন:
প্রথমে মনে মনে ভাবুন, 'আমি কবে মারা যাবো সেটা আগে থেকে আল্লাহ ঠিক করে রেখেছেন৷ আমি যা ই করি না কেন ঐদিনই মারা যাবো। তার আগে পরে আমি কখনোই মারা যাবো না। আল্লাহ যদি চান তবেই মারা যাবো। অন্যথায় না।'
.
এটা ভালোভাবে ভাবুন। ভাবতে থাকুন। ভাবতে থাকুন। ভাবতে থাকুন...!
.
ভেবেছেন? গুড।
.
এবার আপনি বাসার ছাদে উঠে নীচে লাফ দিন, অথবা কাছাকাছি রেললাইনে গিয়ে ট্রেনের সামনে দাড়িয়ে যান, অথবা ব্লেড দিয়ে হাতের রগ কেটে ফেলুন, অথবা চুপচাপ দড়ি নিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলে পড়ুন।
.
কি হলো? করুন করুন। সময় বেশি নেই। এটাই গেমের অংশ। দ্রুত যান। রেললাইন আছে তো পাশে? না থাকলে ছাদে যান। টিনের ঘর? রগ কাটুন। ব্লেড খুজে পাচ্ছেন না? আরে ভাই গামছা নিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলেন তো। কুইক। ইটস গেমিং টাইম ব্রো...!
.
রগ কেটেছেন? লাফ দিয়েছেন? ফ্যানে ঝুলেছেন? ভেরি গুড। এবার মরে যাওয়ার ঠিক আগে আগে ভাবুন এটা কি সুইসাইড হলো কিনা। নিজের বিবেক বুদ্ধি দিয়ে বিবেচনা করুন। এটা কি সুইসাইড হচ্ছে? ভাবুন। ভেবে বের করুন।
.
এইতো ঠিক ধরেছেন। এটাকে সুইসাইড ই বলে। আপনার মৃত্যু এভাবে আছে, আল্লাহ এভাবে রেখেছে, তারপরও আপনার এটা সুইসাইড, কেন?
.
কারনটা হলো, আল্লাহ আপনাকে একটা বিচার বুদ্ধি দিয়েছেন। ব্রেন দিয়েছেন। বোঝার ক্ষমতা দিয়েছেন৷ পাগল বানাননি। যাতে আপনি নিজের ভালো বুঝতে পারেন। যাতে আপনি আল্লাহর দোহাই দিয়ে সুইসাইড না করে ফেলেন। যাতে আপনি আপনার জীবনে বেঁচে থাকার জন্য সঠিক যা করা দরকার সেটা করতে পারেন।
.
কথা কি ক্লিয়ার?
.
সুতরাং আল্লাহর দোহাই দিয়ে, মৃত্যু থাকলে মরব এই দোহাই দিয়ে যদি আপনি করোনা ভাইরাসের কাছে গিয়ে তার সাথে কোলাকুলি করে নিজের দেহে টেনে আনেন, সেটা হবে সুইসাইডের শামিল। সেজন্য আপনাকে অবশ্যই আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে।
আপনার অসচেতনতা ও আল্লাহর দোহাই দিয়ে বেশি বোঝার জন্য যদি আপনার পরিচিত বা অপরিচিত কোনো বয়স্ক অথবা অসুস্থ মানুষ মারা যায়, সেটার জন্যও আপনাকেই দায়ী করা হবে।
.
ভেবে দেখুন, আপনি জানেন আপনার হাতে বিষ আছে, জেনেশুনেও আপনি সেই বিষাক্ত হাত দিয়ে আপনার বন্ধুকে ভাত খাইয়ে দিলেন। আপনি কি খুনি হচ্ছেন না? খুনের গুনাহ কি আপনি পাবেন না?
.
করোনা ভাইরাসও একটা বিষ ভাই। আপনি জেনেশুনে সেটা অন্যদের মধ্যে ছড়ালে আপনিও খুনি হবেন।
.
আরো ভালোভাবে বুঝাই। ধরেন আপনার বড় কোনো রোগ হলো। ঔষধ না খেলেই মৃত্যু। আপনি কি তখন বলবেন, যে জীবন মৃত্যুর মালিক আল্লাহ। আমি ঔষধ খাবো না। মৃত্যু থাকলে মরব। বলবেন না, তাইনা? আল্লাহও বা আল্লাহর রাসূল এরকম শিক্ষা আমাদের দেননি। ঔষধ খেতে বলেছেন।
.
আর এই করোনা ভাইরাসের আপাতত ঔষধ হলো ঘরে থাকা, মাস্ক পরা, হাত সাবান দিয়ে ধোয়া, জনসমাগম না করা, মুখে হাত না দেয়া।
এই ঔষধ আপনি না মেনে কেন আল্লাহর দোহাই দিচ্ছেন? নেক্সট টাইম একশো চার জ্বর হলে প্যারাসিটামল না খেয়ে বইলেন, আল্লাহ বাঁচাবে। দেইখেন মরার পর আল্লাহ কি বলে!
বাজারে না গিয়ে বলেন আল্লাহ খাওয়াবে রিজিক থাকলে, পড়ালেখা না করে বলেন আল্লাহ পাশ করাবে। দেখেন কাজ হয় কিনা।
.
আল্লাহ চেষ্টা করতে বলেছেন ভাই। আর সেই চেষ্টাটাই হলো এখন সচেতন থাকা। এই মুহুর্তে হুজুর নয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কথাগুলো মেনে চলাই সুন্নত। বোঝা গেছে?
.
ভাইরাস আল্লাহ দিছেন ঠিক আছে, তো এটা থেকে বেঁচে থাকার উপায়টা কি আল্লাহ দেননি? এটাও তিনিই দিয়েছেন। সুতরাং প্লিজ আল্লাহকে স্মরণ করার সাথে সাথে এগুলোও মেনে চলুন।
.
এটা বইলেন না যে, এসব সচেতন হয়েটয়ে লাভ নাই, আল্লাহ মৃত্যু রাখলে মরবই।
তারচেয়ে এটা বলুন যে, আমরা সচেতন থাকব৷ আল্লাহ হায়াৎ রাখলে বাঁচবো।
.
ওকে?
.
পরিশিষ্টঃ
হাদীস: ১- রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “তোমরা কুষ্ঠরোগ হতে দূরে থেকো, যেমন বাঘ হতে দূরে পলায়ন কর।” (বুখারী ৫৭০৭নং)
(ধরেন বলা হলো মসজিদে একটা বাঘ বসে আছে, তো আপনার কি মসজিদে যাওয়া উচিত হবে? নাকি অন্য পন্থায় বাসায় দুয়েকজন মিলে জামাত করা বা একা নামাজ পড়া উচিত হবে? আমি কোনো সিদ্ধান্ত দিচ্ছি না৷ জাস্ট প্রশ্ন করছি)
.
হাদীস: ২- নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “চর্মরোগাক্রান্ত উটের মালিক যেন সুস্থ উট দলে তার উট না নিয়ে যায়।” (বুখারী ৫৭৭১, মুসলিম ৫৯২২নং)
(আপনার শরীরের রোগ থাকলে আপনি সুস্থদের মধ্যে আইসেন না। কোয়ারেন্টাইনে থাকুন)
.
হাদীস: ৩- রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘কোনো মানুষ মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে সে যা শুনে (সত্যাসত্য যাচাই না করে) তাই বলতে বা প্রচার করতে থাকে’ (বুখারি)। কোনো মিথ্যাবাদী কখনো প্রকৃত মুমিন হতে পারে না।
(এই হাদিস মতে মামুন মারুফের স্বপ্ন যাচাই বাছাই না করে প্রচার করার জন্য মুফতি ইব্রাহিম কি মিথ্যাবাদী হবে না?)
.
হাদীস: ৪- একদিন হযরত মুহম্মদ (সাঃ) দেখলেন এক বেদুইন উট না বেধেই তড়িঘড়ি করে নামাজ পড়তে আসছে।
নবীজি (সাঃ) বেদুইন কে জিজ্ঞাসা করলেন, " উট বেধে নামাজ পড়তে আসছ না কেনো?"
বেদুইন উত্তর দিলো, "আল্লাহর উপর আমার অগাধ বিশ্বাস আছে, আল্লাহই আমার উট দেখে রাখবেন।"
শুনে নবীজি (সাঃ) বললেন, "উট বাঁধো আর আল্লাহর উপরে ভরসা করো।" (তিরমিযি)
(সুতরাং আমরা আল্লাহর উপর ভরসা করে বাইরে ঘুরতে, রেস্টুরেন্টে খেয়ে, দলবেধে আড্ডা দিতে চলে যাব না। আমরা ঘরেও থাকব, হাতও ধোঁবো, আবার আল্লাহর ওপর ভরসাও করব।)
.
সবশেষে পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেছেন, "নিজেরা পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত আল্লাহ তাদের অবস্থার পরিবর্তন করেন না।" (কোরআন ১৩ঃ১১)
(এটারও ব্যাখ্যা লাগবে?)
.
সবাই সাবধানে থাকুন, আল্লাহকে স্মরণ করার সাথে সাথে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়মটাও মেনে চলুন৷ আল্লাহ আমাদেরকে করোনা ভাইরাস থেকে বেঁচে থাকার তৌফিক দান করুক। আমিন।
(সংগৃহিত)
৫| ২৩ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:০১
নেওয়াজ আলি বলেছেন: গ্রাম কিংবা শহরের খেটে খাওয়া মানুষ না খেয়ে মরবে।
৬| ২৩ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:০৬
রাশিয়া বলেছেন: না খেয়ে কেউ মরেনা। মরে খিদের জ্বালায় মারামারি করতে গিয়ে, লুটপাট করতে গিয়ে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:১৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
নাস্তিকে দেশটা ভরে গেছে
তাই কেউ কুরআনের শিক্ষা
গ্রহণ করছে না। তারা পালিয়ে
রক্ষা পেতে চায়। আল্লাহ তাদের
হেদায়েত দান করুন। আমিন