নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখি হলো আমার জগত, আমার মানস ভ্রমণের অখন্ড মানচিত্র । কল্পনার চরিত্রগুলোকে আমি লেখার জগতে বাস্তবতার ন্যায় সদর্পে চারণ করাতে চাই। আমি তাদের হাসি কান্না সুখ দুঃখে তুলির আঁচড় ছুঁয়ে দিয়ে অপছন্দের আঁকগুলো ইরেজার দিয়ে ঘষে তুলে বসাতে চাই কল্পনার রঙ ।

শাফায়াত উল্লাহ রহমত

খুব জটিল,ভীষণ সহজ এবং আবেগী নিতান্তই সহজ-সরল খোলা মনের মানুষ...আমার অভিধানে কান্না বলে কিছু নেই, তবে কষ্ট পাই খুব সহজে... যে যা দেয় তা ফিরিয়ে দেই। সে যদি হয় ভালোবাসা, তবে ভালোবাসা, অবহেলা হলে অবহেলা, কষ্ট হলে কষ্ট... আমার এ নীতি থেকে আজ পর্যন্ত বিচ্যুত হইনি,হতে চাইও না...।

শাফায়াত উল্লাহ রহমত › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারী দিবস এর ভাবনা।

০৯ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১২:৪৯

জার্মান দার্শনিক নিটশে বলেছিলেন, ‘সমাজ-রাষ্ট্রে চলতে গিয়ে আমরা কিছু দৃষ্টিভঙ্গি-মূল্যবোধ তৈরি করি। তৈরি করে আমরা তা ভুলে যাই, আর ভুলে যে যাই, তাও আমরা ভুলে যাই, ফলে তৈরি করা ওই সব দৃষ্টিভঙ্গি-মূল্যবোধকেই আমরা বৈধ আর স্বাভাবিক মনে করি।’ বোধ করি, এ কারণেই একজন মানুষ যখন পুরুষতান্ত্রিক জল-হাওয়ায় বেড়ে ওঠে, তখন সে পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়েই নারীকে দেখে, বিচার ও বিবেচনা করে। আসুন, কয়েকটি নমুনা পরীক্ষা করি।

এক. নারীর পোশাকে পকেট নেই কেন?

খেয়াল করে দেখুন, বাংলাদেশের নারীদের পোশাক—বেশির ভাগের পোশাক হয় শাড়ি, নয় সালোয়ার-কামিজ। শাড়ি আর সালোয়ার-কামিজে পকেট থাকে না; পক্ষান্তরে পুরুষের পোশাক শার্ট, প্যান্ট, পাজামা-পাঞ্জাবি—প্রতিটিতেই পকেট থাকে। কেন পুরুষের পোশাক পকেটযুক্ত আর নারীর পোশাক পকেটহীন? কারণ, ‘পকেট’ মানে ‘অর্থ’। পুরুষতান্ত্রিক সমাজকাঠামোয় এ সত্য নির্মাণ করা হয় যে টাকাপয়সা অর্থাৎ সমাজ ও রাষ্ট্রের ‘অর্থনৈতিক এলাকা’ কেবল পুরুষের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তাই পুরুষ নারীর পোশাক থেকে পকেটকে ‘নাই’ করে দিয়েছে, যাতে অর্থের ওপর নারীর কোনো নিয়ন্ত্রণ তৈরি না হয়। পুরুষের টাকা এত বেশি যে কেবল পকেটে কুলায় না, উপচে পড়ে, এ জন্য তার বাড়তি ব্যাগ দরকার। কী নাম ব্যাগটির? ‘মানি ব্যাগ’। এ প্রত্যয়টি আবারও ‘মানি’ বা ‘অর্থ’ বা ‘ইকোনমি’র সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। বিপরীতে মেয়েদেরও একটি ব্যাগ থাকে, যার নাম মানি ব্যাগ নয়, ভ্যানিটি ব্যাগ। বাংলা একাডেমির অভিধানে ভ্যানিটি ব্যাগের বাংলা করা হয়েছে: ‘প্রসাধনপেটিকা, ছোট আয়না, প্রসাধনসামগ্রী ইত্যাদি রাখার জন্য ক্ষুদ্র থলে...’। পাঠক, বুঝুন এবার, কীভাবে নারীর পোশাক এবং অভিধান-ব্যাকরণ—দুটোই পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা।

আরো আছে রোকেয়া এখনো অবরোধবাসিনী কেনো বা মোটরবাইক: মেয়েদের কেন দুই পা এক দিকে?

প্রশ্নগুলো অবান্তর কিনা জানিনা। খুব ভাবায়।

শুভ হোক আজকের নারীর পথচলা। অনেকদুর যেতে হবে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: পুরুষরা ভালো হ্লেই আর কোনো সমস্যা দেখি না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.