নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খুব জটিল,ভীষণ সহজ এবং আবেগী নিতান্তই সহজ-সরল খোলা মনের মানুষ...আমার অভিধানে কান্না বলে কিছু নেই, তবে কষ্ট পাই খুব সহজে... যে যা দেয় তা ফিরিয়ে দেই। সে যদি হয় ভালোবাসা, তবে ভালোবাসা, অবহেলা হলে অবহেলা, কষ্ট হলে কষ্ট... আমার এ নীতি থেকে আজ পর্যন্ত বিচ্যুত হইনি,হতে চাইও না...।
ইতিহাস কি খাওয়া যায় ! টাকা আসে ?
গাছ পকেটভর্তির অন্তরায়। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাছ কেটে সাতটি রেস্তোরা বানালে টাকা আসবে। উদ্ভট আইডিয়াদাতা অনেকের পকেট ভড়বে। উপর থেকে নীচ সবাই লাভবান।
আরও একটি কাজ করা যায়, রেকর্ড সৃষ্টির সুযোগও আছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শপিং কমপ্লেক্স করা যেতে পারে। বিদেশী বিনিয়োগ আসবে, অর্থনীতি চাঙা হবে।
রমনা পার্কটাও শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে আছে। এই ভুতটাও সরানো দরকার। সেখানে হবে ম্যাকাওয়ের আদলে ক্যাসিনো। দেশ-বিদেশের জুয়ারিরা আসবে, দিনরাত রঙলিলা হবে। সাথে আসবে লক্ষকোটি ডলার। ভাগ্য বদলাবে বসদের।
ভাবা যায় ! দেশ তখন কোথায় পৌছবে!
বোটানিকাল গার্ডেন নামে একটি জায়গাও অব্যবহৃত অবস্থায় পরে রয়েছে। অথচ জায়গাটাকে সঠিক ব্যবহার করতে পারলে হাজার কোটি টাকা আয় করা যায়। সেখানে দেশের শীর্ষস্থানীয় কোনো আবাসন কোম্পানিকে দিয়ে কনসোর্টিয়াম করা সম্ভব।
সেখানেও রেকর্ড, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কনসোর্টিয়াম হবে বাংলাদেশে। থাকবে বিপণিকেন্দ্র, বিশ্ববিদ্যালয় কমপ্লেক্স, বাণিজ্যিক কেন্দ্র ও পাঁচতারা হোটেল, অত্যাধুনিক প্রেক্ষাগৃহ। ভবনটির সামনে থাকবে কৃত্রিম সৈকত, ঝরনা। নিজস্ব কৃত্রিম সূর্যও তৈরি করা যেতে পারে। কৃত্রিম বাগান।
মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে সব ? চিন্তায় কুলাবেনা। কেবল টাকা আর টাকা। অর্থনীতি টেনেও নিচে নামানো যাবে না।
দেশের বিসিএস পরীক্ষার্থীদের পড়াশোনা কিছুটা কমে যাবে, চাপটা পড়বে অন্যদেশের পরীক্ষার্থীদের।
সবচেয়ে বড় শপিং মল কোথায়- একবাক্যে সবাই বলবে বাংলাদেশে। পিছনে পরে যাবে মালয়েশিয়ার সানওয়ে পিরামিড।
সবচেয়ে বড় কনসোর্টিয়াম কোথায়- বাংলাদেশে। কষ্টকর অতীত হবে চায়নিজদের জন্য। এতদিন তারা শিচুয়ান প্রদেশের শেংদু শহরকে বড় কনসোর্টিয়ামের জন্য ব্র্যান্ডিং করতো।
এসব দেশের জন্য একরাশ বিনম্র আক্ষেপ।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রমনা পার্ক, বোটানিকাল গার্ডেনের গাছ বিক্রিতেও কিন্তু টাকা পাব। এর বাইরে শহরের আনাচে-কানাচে যে গাছ আছে তাও বিক্রি করে দেব উচ্চমূল্যে।
এরপর পৃথিবীর প্রথম বৃক্ষ শূন্য শহর হবে ঢাকা।
এখানেও রেকর্ড। গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড লাইন দিবে তাদের রেকর্ড বুকে স্থান দেওয়ার জন্য।
আমরা পার্টি করবো। প্রথম বৃক্ষ শূন্য শহরে প্রথম পার্টি হবে আমাদের। এরপর পার্টিতে লাফাতে লাফাতে মনে হবে অক্সিজেন দরকার। একটু ছায়া দরকার। ঠান্ডা আবহাওয়া দরকার।
কিন্তু সময় শেষ..
এরপর তপড়াতে তপড়াতে মারা যাব।
বেঁচে থেকেই কি হবে? একদিনতো মরেই যাব। এতগুলো রেকর্ড! সঙ্গে নিয়েই মরি।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই মে, ২০২১ রাত ১:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন:
আমি গাছ ভালোবাস। যারা গাছ কাটে তারা দেশের শত্রু। ছবিতে দেখুন সবুজ কত সুন্দর। গাছ আমাদের বন্ধু।