নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ভালোবাসাহীন জগতের বাসিন্দা, জীবন যেখানে নীরস। প্রতিনিয়ত খুঁজে যাই ভালবাসার রূপ এবং অবগাহন করতে চাই যুক্তির সাগরে।

রায়হানুল এফ রাজ

আমি খুব সাধারণ মানুষ।পৃথিবীতে এই অল্প সময় বিচরণে আমি বুঝে গেছি আমার সম্বল একমাত্র আমি। প্রকৃতির মাঝে আমি আমিই। আমার অস্তিত্বও আমি। তাই নিজেকে নিয়ে খেলতেই আমি বেশি পছন্দ করি। মেতে থাকতে চাই যুক্তির খেলা নিয়ে।

রায়হানুল এফ রাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রতিউত্তর (অনুগল্প)

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৮

এক
আকাশ ক্লান্তি জড়ানো চোখ নিয়ে অনেক কষ্টে একটি সিগারেট ধরায়। হাত মুখ-ধুয়ে, চোখে-মুখে পানি দিয়ে এসেছে তবুও তার কেমন যেন লাগছে, আকাশ ঠিক বুঝতে পারছে না। আগে কোন দিন তো এমন হয় নি। কত মেয়েকে সে তুলে নিয়ে এসেছে, মজা করেছে। তবে আজকের মেয়েটা অনেক বেশিই সাহসী ছিল, না হলে সেই উঠিয়ে আনা থেকে বিছানায় ফেলে তৃপ্তি পাওয়া পর্যন্ত এত ঘাম ঝরাতে হয়?
খুব বেশি অহংকার ছিল মেয়েটির, রুপের অহংকার। আজ সেই অহংকার সমূলে শেষ হয়েছে। কলেজ যাওয়ার সময় কি ঢংই না করত। সহজে কথা বলতে চাইত না। একদিন একটা কাগজ হাতে ধরিয়ে দিয়েছিলো আকাশ, অহংকারী মেয়েটা নেয়নি বরং ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলো। আজ সেই অহংকার কোথায় গেল? এখন নিথর হয়ে পড়ে আছে দেহটা।
সিগারেট শেষ করে আকাশ আবার দেখতে গেল মেয়েটাকে। শরীরটা পড়ে আছে। আকাশ মুখে একটা আফসোসের শব্দ উচ্চারণ করে মনে মনে ভাবল, কি হতো স্বেচ্ছায় রাজি হলে? রাজি হলে তো আর জীবন খোয়াতে হতো না। আকাশের মুখে একটি তৃপ্তির হাসি ফুটে উঠলো।
তৃপ্তি যাই হোক, এখন তো দেহটাকে ফেলে আসতে হবে। ছেলে গুলো কেন যে এখনো আসছে না আকাশ তা বুঝতে পারছে না। হটাৎ আকাশের বিচলতা থেমে গেল। দেরি হলেও ছেলেগুলো সব চলে এসেছে। খুব তাড়াতাড়ি কাজটা শেষ করতে হবে।
দুই
আকাশ সব ছেলেগুলোকে নিয়ে মোড়ের চায়ের দোকানে বসেছে। অনেক কষ্ট করল ছেলেগুলো, তাদের তো কিছু খাওয়াতে হয়। সবাই খুশী মনে চা নিয়ে বসেছে। সব চেয়ে বেশি খুশী আকাশ। সে আজ কত আনন্দিত তা একমাত্র সে ছাড়া আর কেউ জানে না।
তিন
আকাশের ফোনটা সেই কখন থেকে বেজেই যাচ্ছে। একবার স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে দেখল মা বারবার ফোন করছে। সে ইচ্ছা করেই ফোনটা ধরল না। একটু পরে সে নিজেই ফোন করল বাড়িতে। অনেক ক্ষণ পর ফোন ধরে কেউ একজন ওপাশ থেকে বলল, আমাদের ছুটকি আর নেই, তাকে কে যেন.................
আর কোন শব্দ আকাশের কানে যায় না। তার চোখের সামনে ভেসে উঠে তার আদরের ছোট বোন ছুটকির কচি মুখখানা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.