নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আসুন, জ্ঞার্নজনের চেষ্টা করি।

প্রতিটি ক্ষেত্রে ভালো চিন্তা ও সেই সাথে ভালো কাজ করা উচিত। সৎ কাজে আদেশ আর অসৎ কাজে নিষেধ করা উচিত।

বাল্যবন্ধু

আমি একজন সাধারন মানুষ। খাওয়া, পড়া আর ঘুম ছাড়া কোনো কাজ নাই।

বাল্যবন্ধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

আল হামদুলিল্লাহ, ইনশাআল্লাহ, মাশা আল্লাহ… কখন কোনটি বলতে হবে!

০৬ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১১:০৯

ইসলামী বিষয়ে জ্ঞানার্জনের সুযোগ আমাদের সমাজে দিন দিন কমে যাচ্ছে। আগে যেখানে বাচ্চাদেরকে প্রতিদিন ভোর সকালে মকতবে পাঠানো হতো কুরআন পড়ার জন্য, সেখানে এখন তাদেরকে পাঠানো হয় ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল গুলোতে টুইংকল টুইংকল শেখানোর জন্য। আগে যেখানে ফজরের পর মুসলিম পরিবার গুলোর জানালা দিয়ে কুরআন তিলাওয়াতের সূর ভেসে আসতো, আজ সেখান থেকে শোনা যায় হারমোনিয়াম আর গিটারের আওয়াজ।



এভাবে আমাদের এই পুরো সমাজের চেহারাটাই দিন দিন কেমন যেন পাল্টে যাচ্ছে। তাই তো আজ অনেক নামাজী আর দীনদার ব্যক্তিরাও ইসলামের অনেক পরিভাষার যথোপযুক্ত ব্যবহার সম্পর্কে প্রায় সময়ই দ্বিধান্বিত হয়ে পরেন। এই যেখানে ধর্মীয় আবহে থাকা লোকদের অবস্থা সেখানে ধর্ম থেকে দূরে কিংবা বিমুখ মুসলিমদের অবস্থা কেমন হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়।



আমার পরিচিত একজন শীর্ষ ইসলামী বুদ্ধিজীবি আছেন, তার সাথে আমার আমার দেখা হলে যখনি আমি তাকে জিজ্ঞেস করি ভাই কেমন আছেন? তখনি তিনি উত্তর দেন ইনশাআল্লাহ্ ভালো আছি। তাই এই পোষ্টের মাধ্যমে আমি ইসলামের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পারিভাষিক শব্দ বা দোয়ার যথোপযুক্ত ব্যবহার সম্পর্কে আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চাচ্ছি।





আল হামদুলিল্লাহ: আল হামদুলিল্লাহ শব্দের অর্থ, সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্য। যে কোন সুখবর বা ভালো অবস্থা সম্পর্কিত সংবাদের বিপরীতে সাধারণত এটি বলা হয়ে থাকে। যেমন ভাই আপনি কেমন আছেন? জবাবে বলা উচিত, আল হামদুলিল্লাহ, ভালো আছি।



ইনশাআল্লাহ: ইনশাআল্লাহ শব্দের অর্থ, মহান আল্লাহ যদি চান তাহলে। ভবিষ্যতের হবে, করবো বা ঘটবে এমন কোন বিষয়ে ইনশাআল্লাহ বলা সুন্নাত। যেমন ইনশাআল্লাহ আমি আগামী কাল আপনার কাজটি করে দিবো। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ মুমিনদেরকে এর নির্দেশ দিয়েছেন।



মাশা আল্লাহ: মাশা আল্লাহ শব্দের অর্থ, আল্লাহ যেমন চেয়েছেন। এটি আল হামদুলিল্লাহ শব্দের মতোই ব্যবহৃত হয়ে থাকে। অর্থাৎ যে কোনো সুন্দর এবং ভালো ব্যাপারে এটি বলা হয়। যেমন, মাশা আল্লাহ তুমি তো অনেক বড় হয়ে গেছো।



সুবহানাল্লাহ: সুবহানাল্লাহ শব্দের অর্থ আল্লাহ পবিত্র ও সুমহান। আশ্চর্য জনক ভালো কোন কাজ হতে দেখলে সাধারণত এটি বলা হয়ে থাকে। যেমন সুবহানাল্লাহ! আগুনে পুরো ঘর পুরে গেলেও কুরআন শরীফ অক্ষত আছে।



নাউযুবিল্লাহ: নাউযুবিল্লাহ শব্দের অর্থ, আমরা মহান আল্লাহর কাছে এ থেকে আশ্রয় চাই। যে কোনো মন্দ ও গুনাহের কাজ দেখলে তার থেকে নিজেকে আত্মরক্ষার্থে এটি বলা হয়ে থাকে।



আসতাগফিরুল্লাহ: আসতাগফিরুল্লাহ শব্দের অর্থ আমি মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই। অনাকাঙ্খিত কোন অন্যায় বা গুনাহ হয়ে গেলে আমরা এটি বলবো।



ইন্নালিল্লাহ বা ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রা-জিউন:
অর্থ, নিশ্চয়ই আমরা মহান আল্লাহর জন্য এবং আমরা তার দিকেই ফিরে যাবো। যে কোনো দু:সংবাদ বা বিপদের সময় আমরা এটি বলবো।



লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ: অর্থ; মহান আল্লাহর সাহায্য ও সহায়তা ছাড়া আর কোন আশ্রয় ও সাহায্য নেই। শয়তানের কোন ওয়াসওয়াসা বা দূরভিসন্ধিমূলক কোন প্রতারণা থেকে বাঁচার জন্য এটি পড়া উচিত।



: পাশ্চাত্য সংস্কৃতির নিন্মোক্ত কয়েকটি বাক্যের স্থলে আসুন আমরা কুরআন ও সুন্নাহ নির্দেশিত বাক্য প্রয়োগ করি :



কারো সাথে দেখা হলে- হাই, হ্যালো না বলে বলুন- আস সালামু আলাইকুম (আপনার উপর মহান আল্লাহর শান্তি বর্ষিত হোক)

কেউ আপনার কোন উপকার করলে- তাকে থ্যাংক ইউ না বলে বলুন- জাযাকাল্লাহু খায়রান (মহান আল্লাহ আপনাকে সর্বোত্তম প্রতিদান দান করুন

কারো কাছ থেকে বিদায় নেয়ার সময়- টা টা না বলে বলুন- আল্লাহ হাফেজ (মহান আল্লাহ সর্বোত্তম হিফাজতকারী) অথবা ফি আমানিল্লাহ।

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১১:১৯

কি নাম দিব বলেছেন: ভালো লাগলো

০৭ ই জুলাই, ২০১১ দুপুর ২:৪২

বাল্যবন্ধু বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ০৭ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১২:১১

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: আপনার চিন্ত চেতনা লিখার বিষয় বস্তু সুন্দর তবে এই সব কথা আরবিতে হতে হবে এমন কোন কথা নেই। এটা বাংলায় বললেও হবে। আসলে আরবী ভাষা আরবের জন্য। মাবুদ কোরআনের সূরা যুখরুফ এর ৩ আয়াতে বলেছেনঃ
إِنَّا جَعَلْنَاهُ قُرْآنًا عَرَبِيًّا لَّعَلَّكُمْ تَعْقِلُونَ
অর্থঃ আমি একে করেছি কোরআন, আরবী ভাষায়, যাতে তোমরা বুঝ।

আল্লাহ্ বলছেন যাতে তোমরা বুঝ। তোমরা বলতে আরবী ভাষাভাসি মানুষকেই বোঝানো হয়েছে।

০৭ ই জুলাই, ২০১১ দুপুর ২:৫৪

বাল্যবন্ধু বলেছেন: ভাই আমি এখানে কিছু আরবী শব্দের প্রচলিত কথার আসল ব্যবহারের কথা উল্লেখ করেছি। এ সকল শব্দের ভুল ব্যবহার যাতে করে না হয়, তার দিকটা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। বলি নাই যে, সব কথা আরবীতেই বলতে হবে। যেমন- আমরা ভালো কথা শুনলে বলি আলহামদুলিল্লাহ। এখনে আপনি বাংলা ব্যবহার করলে তা শুনতে ভালো লাগবে না। আমরাতো অনেকেই আরবী সুরার বাংলা জানি। তাই বলে কি নামাজের মধ্যে আপনি বাংলা অর্থ পড়বেন? তা অবশ্যই না। তবে নামাজের নিয়ত বাংলায় করা যায়। তাতে কোনো সমস্যা নাই।
আশা করি আপনাকে বুঝাতে পেরেছি। পোষ্টটি আরো একবার ভালো করে পড়ার জন্য অনুরোধ রইলো।ধন্যবাদ।

৩| ০৭ ই জুলাই, ২০১১ সকাল ৮:৪৫

জিসান শা ইকরাম বলেছেন:
জানলাম :)

০৭ ই জুলাই, ২০১১ দুপুর ২:৫৯

বাল্যবন্ধু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আংকেল। :) :)

৪| ০৭ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১১:১৫

ছোটমির্জা বলেছেন:
ভাল পোস্ট

ধরেন কাউকে জিগগেস করলাম - কেমন আছেন? উনি বলেন: ইনশাল্লাহ, ভাল আছি(হবার কথা-'আলহামদুলিল্লাহ')।
এমন ভুল হয়।

খুবই ভাল শেয়ার বাল্যবন্ধু।
ভাল থাকবেন।

১৮ ই জুলাই, ২০১১ দুপুর ১২:৫৭

বাল্যবন্ধু বলেছেন: আপনাকেও অনেক শুভেচ্ছা মির্জা ভাই।
ভালো থাকবেন।

৫| ০৯ ই জুলাই, ২০১১ সকাল ৮:৪৫

কাঙাল বলেছেন: মাশাল্লাহ..... ভাল পোস্ট......

১৮ ই জুলাই, ২০১১ দুপুর ১২:৫৯

বাল্যবন্ধু বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।

৬| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৪৯

রিয়া সরকার রাবিতা বলেছেন: সুভহানাল্লাহ। অনেক ভালো লাগল।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৫৬

বাল্যবন্ধু বলেছেন: বানান ঠিক করেন।
তারপর বলেন, সুবহানআল্লাহ।

৭| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:০১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: +

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:০৬

বাল্যবন্ধু বলেছেন: ধন্যবাদ।

৮| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৫৫

রিয়া সরকার রাবিতা বলেছেন: আমার বানান আরবী ভাষা উচ্চারনের দিক দিয়ে ঠিক আছে।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:০৪

বাল্যবন্ধু বলেছেন: ঐটা মুখে আছে, লেখায় না।
এখানে আপনি বাংলায় লিখতে আসছেন, কিছু বলতে আসেন নাই।

৯| ১৭ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৯

বিরোদিতা বলেছেন: অল্লাহ যেমন চেয়েছেন এর আরবী কি হবে বিস্তারিত

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.