নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

...............

শ্রাবণধারা

" আমাদের মতো প্রতিভাহীন লোক ঘরে বসিয়া নানারূপ কল্পনা করে, অবশেষে কার্যক্ষেত্রে নামিয়া ঘাড়ে লাঙল বহিয়া পশ্চাৎ হইতে ল্যাজমলা খাইয়া নতশিরে সহিষ্ণুভাবে প্রাত্যহিক মাটি-ভাঙার কাজ করিয়া সন্ধ্যাবেলায় এক-পেট জাবনা খাইতে পাইলেই সন্তুষ্ট থাকে......."

শ্রাবণধারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

টরন্টোর চিঠি ১ - নিষ্ঠুর এপ্রিল মাস - মহামারীর ঢেউ, ইউক্রেনের যুদ্ধ আর মূদ্রাস্ফীতি

২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:১০


বাংলাদেশে যখন গ্রীষ্মের খরতাপে অতিষ্ঠ জীবন, কানাডায় তখন এপ্রিলের শেষ সপ্তাহেও তুষার পড়ছে। সদ্য গজিয়ে ওঠা নবীন ঘাসের উপর রাতভর জমে ওঠা তুষারের অনেকটাই ধূয়ে গেছে সকালের বৃষ্টিতে। এ বছর শীত যেন শেষই হচ্ছে না। তার সাথে যুক্ত হয়েছে একের পর এক মহামারীর ঢেউ, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের প্রকোপ আর জনজীবনে মূল্যস্ফীতির যন্ত্রণা। বলা হচ্ছে যে চার দশকের মধ্যে মুদ্রাস্ফীতি এখন সর্বোচ্চ। আর ইউক্রেনের যুদ্ধ অন্যান্য পণ্যের সাথে বিশ্বব্যাপী জ্বালানী এবং খাদ্যের দামের উপর বড় প্রভাব ফেলেছে।

হাসপাতালে করোনা রোগীর সংখ্যা আবার বাড়ছে, আর কমছে সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান গুলোতে কর্মীর সংখ্যা। গত ডিসেম্বর-জানুয়ারী মাসের অমিক্রনের ঢেউ শেষ হতে না হতেই এপ্রিলে আবার করোনা সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালে, ক্লিনিকে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মানুষের সাথে মানুষের সরাসরি যোগাযোগে আরো মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। এতদিন পর্যন্ত শিশুরা অপেক্ষেকৃত কম সংক্রমিত হয়েছিল, কিন্তু প্রায় দুইবছর পরে স্কুলগুলো আবার যখন সব পুরোপুরি খুলে দিল, তখন থেকে বাচ্চারাও আক্রান্ত হতে শুরু করলো। আমার দশ বছর বয়সী মেয়েও এবার আর বাদ গেল না। স্কুল থেকে করোনা আক্রান্ত হয়ে সে তিন সপ্তাহ ভুগলো।

মানুষের শরীরে করোনার দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব এখনও চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণার বিষয়। প্রথমে যে জীবানুকে ফুসফুসের জন্য প্রাণঘাতী বলে মনে করা হয়েছিল, এখন দেখা যাচ্ছে শুধু ফুসফুসে নয় করোনার জীবানু কিডনি এবং হার্টের উপরেও ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে। অনেকের শরীরে কোভিডের প্রভাব হতে পারে দীর্ঘস্থায়ী (covid-19 long haul) যার লক্ষণ ক্লান্তি, শ্বাসকষ্ট, কাশি, জয়েন্টে বা বুকে ব্যথা। অন্যান্য সমস্যাগুলির মধ্যে রয়েছে মনোযোগ দিতে অসুবিধা, বিষণ্নতা, পেশী ব্যথা, মাথাব্যথা, দ্রুত হৃদস্পন্দন এবং মাঝে মাঝে জ্বর।

অর্থনীতিতে কোভিডের প্রভাব সুদূরপ্রসারী। করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত দুই বছরে যত মানুষ ছুটি নিয়েছিল বা কাজ ছেড়ে দিয়েছিল তারা সবাই কাজে ফেরেনি। এতে করে শ্রম-ঘাটতি তৈরী হয়েছে, প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদন খরচ গেছে বেড়ে। আবার অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে টাকা ছাপিয়ে সরকার মানুষের জন্য যে সব প্রণোদনা দিয়েছে তাতে করে অর্থের যোগান গেছে বেড়ে। সাপ্লাই চেইন সমস্যা, ক্রমবর্ধমান চাহিদা, উৎপাদন খরচ এবং সরকারী প্রণোদনা সব কিছুরই ভূমিকা আছে মূদ্রাস্ফীতির পিছনে। কয়েক মাস থেকেই বাজারে জিনিস পত্রের দাম বেড়ে গেছে। আবার যুদ্ধের কারণে জ্বালানী তেলের দাম এখন আকাশ ছোঁয়া, যার প্রভাব পড়েছে পরিবহন খাত থেকে সবখানে। এদেশের বাজার আমাদের মত বিশৃঙ্খল নয়, আর মানুষের গড় আয় বেশি বলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেলেও তার চাপ মানুষ এখন পর্যন্ত সহ্য করছে।

মহামারী শুরু হবার পর থেকে বিগত দুই বছরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সূদের হার ছিল ০.২৫ শতাংশ, যা গত তিন চার মাসে বেড়ে হয়েছে ১ শতাংশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঘোষণা দিয়েছে সামনে সূদের হার আরও বাড়বে। মূদ্রাস্ফীতি যখন সর্বোচ্চ, তখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূদের হার বাড়িয়ে মূদ্রাস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রের চেষ্টা করছে। মুশকিল হলো গত দুবছরে সূদের হার সর্বনিম্ন থাকায় অনেক মানুষ অল্প সূদে অনেক বেশী লোন নিয়ে বাড়ি কিনেছে। এ দেশের ব্যাংকগুলো তখন ১.৭ শতাংশ হারে ২৫ বা ৩০ বছরের জন্য লোন দিয়েছে মানুষকে বাড়ি কেনার জন্য। ফলে বাড়ির দাম গত দুই বছরে বহু গুনে বেড়ে গেছে। কিন্তু লোনের মেয়াদ সর্বোচ্চ ৫ বছর পর্যন্ত। অর্থাৎ মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে ৫ বছর পরে বাজারের চলতি সূদের হারে লোন রি-ফাইন্যান্সিং করতে হয়। কারো লোনের পরিমান যদি হয় পাঁচ লক্ষ কানাডিয়ান ডলার তাহলে ১.৭ শতাংশ সূদের হারে মাসে কিস্তি পরিশোধ করতে হয় ১৭৭৫ ডলার, যা সাধারণ একটি কর্মজীবি পরিবারের জন্য বহন করা কঠিন নয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সূদের হার বৃদ্ধির সাথে সাথে সূদের হার যদি ৬% হয়ে যায়, তবে মাসিক কিস্তির পরিমান হবে প্রায় ৩০০০ ডলার, যা একটি পরিবারের পক্ষে বহন করা কঠিন হবে। এমন হলে অনেক পরিবারই লোনের কিস্তি পরিশোধে অক্ষম হয়ে যাবে। যার পরিণতি হতে পারে অর্থনৈতিক মহামন্দা, যেমনটা ২০০০ সালে হয়েছিল।

পৃথিবীর অন্য অনেক দেশের মত কানাডা যখন মহামারীর ভারে কাতর, আর তার সামনে অনেকগুলো অর্থনৈতিক সংকট আর টানাপোড়েন এর মধ্যে শুরু হলো ইউক্রেনের যুদ্ধ। এই যুদ্ধ যে কোথায় গিয়ে শেষ হবে তা আমাদের জানা নেই। দুর্বিষহ এই রক্তপাত অনেকগুলো যন্ত্রণার উপর তীব্রতর আরেক যন্ত্রণা। তাই মনে হচ্ছে এ যেন টি এস এলিয়টের পোড়ো জমির (The Waste Land) নিষ্ঠুর এপ্রিল মাস। মরা মাঠ জুড়ে লাইলাক ফুলের মত ছড়িয়ে আছে জীবন, আশা আর স্মৃতি মিশে আছে একসাথে। বসন্তের বৃষ্টি নির্জীব বৃক্ষের মূলে নাড়া দিচ্ছে।

"April is the cruellest month, breeding
Lilacs out of the dead land, mixing
Memory and desire, stirring
Dull roots with spring rain." (The Waste Land - I. The Burial of the Dead by T. S. Eliot)

পরিশেষে: ইলিয়টের এই বড় কবিতাটা শেষ হয়েছে বৃহদারণ্যক উপনিষদের "দত্ত, দয়াধর্ম, দম্যতা" আর তার পর "শান্তি শান্তি শান্তি" এভাবে। বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনায় খুব প্রাসঙ্গিক বটে।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:২৮

শায়মা বলেছেন: আবারও কি তবে করোনার আঘাতে পৃথিবী অচল হয়ে যাবে? :(

আমি তো ভেবেছিলাম করোনা বুঝি শেষ হয়ে এলো।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৩৩

শ্রাবণধারা বলেছেন: করোণা শেষ হয়ে যায়নি, তবে ওর সাথে আমাদের একটা বোঝাপড়া হয়তো হয়েছে। কিন্তু এই বোঝাপড়া করতে গিয়ে অনেক রকমের ঝামেলা হয়ে গিয়েছে। ইউক্রেনের যুদ্ধের সাথে এই ঝামেলা গুলো যোগ হয়ে আমরা বোধহয় বেশ একটা বিপদে পড়ে গিয়েছি।

২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৫৩

শায়মা বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষের নির্ভিক আচরণে আমার মনে হয় করোনাকে আর কেউ পরোয়াই করবে না। বেশি ভাগ দোকানপাটে মাস্কহীন মানুষ, ধাক্কাধাক্কি ঠেলায়ঠেলি করে চলছে। :(

কেবলই স্কুল খুললো ফিজিক্যালী। অনলাইনের বিরক্তি ছেড়ে বাঁচলাম মনে হোলো। যদিও এই দু বছরের স্কুলে না আসা বাচ্চাদের শাররিক মানসিক সমস্যাগুলি নিয়ে হিমশিম খাচ্ছিলাম তবুও আবারো লকডাউন অনলাইন হলে আর রক্ষা থাকবে না মনে হয়।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:৩৯

শ্রাবণধারা বলেছেন: আবারো লকডাউনের সম্ভাবনা আপাতত নেই বললেই চলে। দুই বছর স্কুল বন্ধ থাকার ফলে বাচ্চাদের যে মানসিক সমস্যা নিজের ১০ বছর বয়সের মেয়ের ক্ষেত্রে তা চাক্ষুস দেখেছি। এবং কোনভাবেই আর সেই অবস্থা দেখতে চাইনা।

মুলত এখনকার সমস্যাগুলো অনেকটা যাকে পোস্ট কোভিড সমস্যা যেটা বহুলাংশে অর্থনৈতিক যা আমরা দেখতে পাচ্ছি। আর কিছু পাবলিক হেলথ বা গণস্বাস্থ্য বিষয়ক যেটা সম্পর্কে আমরা এখনও ভাল করে জানি না।

৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৫৪

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনি কানাডা, আমেরিকা ইউরোপের ভয়ংকর অবস্হাকে সঠিকভাবে তুলে ধরেছেন; অবস্হা খুবই ভয়ংকর; যেখানে আমেরিকা এই যুদ্ধকে থামানোর জন্য মুল শক্তি হওয়ার কথা, সেখানে আমেরিকা ইহাকে উসকায়ে চরম অবস্হানে নিয়ে যাচ্ছে।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:৪২

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ সোনাগাজী ভাই। আপনার রাজনৈতিক বিশ্লেষণগুলো থেকে আমি অনেকটা শেখার চেষ্টা করি। যেহেতু রাজনৈতিক বিশ্লেষণে আমি কাচাঁ, তাই এখানে মুলত অর্থনীতি আর গণস্বাস্থ্য বিষয়টাকে ফোকাস করেছি।

৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:৩৪

প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: বিনিময় মাধ্যম ডলার ,স্বর্ণের মজুত আম্রিকায় ,মিডিয়া পশ্চিমাদের।
আমাদের মতো দেশে মুদ্রার মান কমেই পশ্চিমাদের অর্থনীতি সচল থাকে

২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:৪৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: আমরা পশ্চিমাদের দ্বারা বিভিন্ন ভাবে শোষিত হয়েছি বা এখনও হচ্ছি। তবে আমাদের দেশে মুদ্রার মান কমলে পশ্চিমাদের তেমন লাভ নেই। চীনের মুদ্রার মান অস্বাভাবিক ভাবে কমিয়ে রাখা নিয়ে আমেরিকা প্রায়ই খেদ প্রকাশ করে।

৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:১২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমার দশ বছর বয়সী মেয়েও এবার আর বাদ গেল না। স্কুল থেকে করোনা আক্রান্ত হয়ে সে তিন সপ্তাহ ভুগলো।
আহারে!
বাচ্চাদের কষ্টটা সহ্যকরা যায় না।
আমার দুই মেয়েই স্কুলে যাচ্ছে (এখন রমজানের ছুটি চলছে), এখনতো ভয় ধরিয়ে দিলেন।
আপনার মেয়ের জন্য শুভকামনা রইল।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:৫০

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ মরুভূমির জলদস্যু ভাই। আশা করি ভয়ের কিছু নেই। আমাদের দেশের করোন পরিস্থিতি অন্য অনেক দেশের তুলনায় ভালো। আর যতটুকু দেখতে পাচ্ছি বাচ্চারা দ্রুত ভাল হয়ে উঠছে, যেটা আশাব্যঞ্জক।

আপনার দুই মেয়েই জন্য শুভকামনা। আল্লাহ তাদের ভাল রাখুন, সুস্থ রাখুন।

৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:০৮

বিজন রয় বলেছেন: মানুষ সম্ভবত কোন কিছুরই ভয় পায় না।
এই জন্য পথ চলে, বেঁচে থাকে।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:৪৩

শ্রাবণধারা বলেছেন: আসলেই তাই। মানুষের ভয় পেলে চলে না। বেচেঁ থাকবার জন্য, জীবনানন্দের জন্য আমাদের সাহসী হতেই হয়।
ধন্যবাদ আর শুভকামনা।

৭| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:২৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: শ্রাবণধারা,




মানুষ যেমন নিষ্ঠুর হয়ে যাচ্ছে তেমনি পাল্লা দিয়ে প্রকৃতিও !
আমাদের এখানে গত ক'দিন ধরে দাবদাহ চলছে। এখানে ওখানে ছিটেফোঁটা বৃষ্টি হলেও তাপ কমছেনা মোটেও।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:৫০

শ্রাবণধারা বলেছেন: যথার্ত বলেছেন আহমেদ জী এস ভাই। আমরা প্রকৃতির উপর নিষ্ঠুরতা করেছি, এখন প্রকৃতি তার প্রতিশোধ নিচ্ছে। মনে ভাবি আমাদের সুন্দরবন বাচাঁতে হবে, নদীগুলোকে রক্ষা করতে হবে, ঢাকার মরণঘাতী বায়ুদুষণ রোধ করতে হবে। প্রকৃতির উন্নয়ন না হলে আমাদের মানুষের উন্নতি হবে না।

শুভকামনা রইলো।

৮| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১:২৪

গরল বলেছেন: কানাডার জন্য একটা লাভ ও হয়েছে, ট্রুডো তো ইউরোপিআনদের বলছে রাশিয়ার তেলের ঘাটতি কানাডার তেল দিয়ে পুষিয়ে নিতে। সমস্যা হল কানাডায় তেল শোধনাগারের অভাব। খুব দ্রুত কিছু তেল শোধনাগার স্থাপন করতে পারলে হয়ত অর্থনৈতিক ঘfতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারবে কারণ রাশিয়ার সাথে সংকট খুব শিগ্রই কাটবে বলে মনে হচ্ছে না।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১:৫৫

শ্রাবণধারা বলেছেন: হা গড়ল ভাই ঠিক বলেছেন, তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় কানাডার লাভ হয়েছে বটে। কিছুদিন আগে খবরে জেনেছি, এবার অ্যালবার্টার বাজেট ডেফিসিট সম্পূর্ণ কাটিয়ে উদ্বৃত্ত হয়েছে যেটা খুব ভালো খবর। আশা করি তেলের দাম বাড়ায় ক্যালগেরীতে এমন কি আপনাদের সাস্কেতুচুয়ানেও আরও অনেক জব তৈরী হবে।
যতটুকু শুনেছি কানাডার চার ভাগের তিনভাগ তেলই আমেরিকান রিফাইনারিতে যায়, কারণ হেভি ক্রুড পরিশোধন করার মত রিফাইনারি এখানে নেই। আর ট্রুডো সরকার যেহেতু পরিবেশ রক্ষায় বদ্ধপরিকর তাই হয়তো হেভি ক্রুড রিফাইনারির কথা বিগত সময়গুলোতে শুনতে পাইনি।

৯| ১০ ই মে, ২০২২ রাত ৩:১০

আরাফাত৫২৯ বলেছেন: সুন্দর লেখা। আচ্ছা, কানাডাতে কি এই এপ্রিলেও বরফ পড়ছে?

বাই দ্যা ওয়ে, পৃথিবীতে টানাপোড়ন শেষ হবে তখনই যখন মানুষ তার চাহিদার লাগাম টেনে ধরবে। আপনি খেয়াল করলে দেখবেন গত ১০ বছরে এমন অনেক প্রযুক্তি ও পেশা তৈরি হয়েছে যার আসলে কোন দরকার নাই। এই কারণে এজ এ টোটাল একটা বিশাল সংখ্যক মানুষ আপাত দৃষ্টিতে কাজ করলেও আসলে কোন প্রোডাকটিভিটি হচ্ছে না, কিন্তু এরা আবার ঠিকই পশ লাইফ লিড করতেছে। যেমন ধরেন, আলগা ভ্লগার, বিটকয়েন মাইনার এই টাইপ হাজারো আলগা জব আর আলগা প্রযুক্তি দিয়ে দুনিয়া ভরে গেছে। মানুষের চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। এইসব কারণে এত কামড়াকামড়ি।

১০ ই মে, ২০২২ ভোর ৫:৪০

শ্রাবণধারা বলেছেন: টরন্টোতে এপ্রিলে বরফতো পড়েই, কোন কোন বছর মে'র শুরুতেও পড়ে। তবে কানাডা সুন্দর দেশ, আর প্রকৃত কানাডিয়ানরা অত্যন্ত নম্র এবং বিনয়ী । আমার ধারণা এদের মস্তিষ্ক ইউরোপীয়ান হলেও, এদের হৃদয়ে কোনভাবে এস্কিমো জনগোষ্ঠির প্রভাব থেকে থাকবে। :)

প্রাচ্যদেশীয় মানুষের চাহিদা এবং ভোগবাদীতা সম্পর্কে আপনার পর্যবেক্ষণ অত্যন্ত সঠিক। এদের অর্থনীতির একটা বড় অংশজুড়ে আছে ফটকা-কারবারী। এই ফটকা-কারবার গুলোই আলগা জব, আলগা প্রযুক্তি সৃষ্টি করে চক্রকারে খারাপ সময় ডেকে আনে এবং বহু সাধারণ মানুষের জন্য দুঃস্বপ্ন বয়ে নিয়ে আসে।

১০| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৫৬

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ফ্লু নিয়ে ফ্লুক চলছেই।
ফ্লু কখনই শেষ হবার নয়।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০৯

শ্রাবণধারা বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। তাই দেখতে পাচ্ছি। WHO বলছে, আসছে শীতে আবারো অনেক মানুষ কোভিড আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হবে।

১১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৩৪

জুন বলেছেন: আমার ছেলেও এই বছর জানুয়ারি সেশনে প্রথম স্বপ্নের দেশের টরেন্টো গিয়ে এমন ধাক্কা খেয়েছে যা বলার নয়। জেদ করে গিয়েছে এখন তার স্বপ্ন ভেংগে চুরমার। ওর বাবা বলছে "চলে আসো"। শত শত শিক্ষিত মানুষদের ইমিগ্রেন্ট হিসেবে নিয়ে কি কাজ করায় শুনি? কি ভবিষ্যৎ? কোন ডিগনিফাইড জব পায় কি তারা শ্রাবণধারা? জানায়েন একটু। আমরা খুব চিন্তিত।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:২৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: জুন আপু, আরেকটু বিষদভাবে জানতে পারলে হয়তো বলতে পারতাম কেন ওর স্বপ্নভঙ্গ হলো, তবে আপনার বিভিন্ন পোস্টে আপনার ছেলে সম্পর্কে যতটুকু জেনেছি, তাতে বলতে পারি, ও এখানে খুবই ভাল করবে ইনশাআল্লাহ। আপনারা চিন্তিত হবেন না। এখানে শুরু করাটা একটু কঠিন, কিন্তু এখানে পরিশ্রমের ফল বেশ দ্রুতই পাওয়া যায়।

ভাইয়াকেও চিন্তা করতে বারন করবেন। আর হ্যা, টরেন্টো থেকে ওর কোথাও যাবার প্র‌য়োজন নেই, সে ঠিক জায়গাতেই আছে।

কানাডায় পাঁচ বছর হওয়া উপলক্ষে আমি কদিন আগে ফেসবুকে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। আপনার এই মন্তব্য পড়ে মনে হচ্ছে, লেখাটা বোধহয় এখানেও দেওয়া যেতে পারে।

১২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ২:১২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



ভাল লাগল পোষ্টের কথামালা ।
পোষ্টের শেষ কথাগুলি সত্যি হোক
তার পর শুরু হোক শুধু শান্তি ,
শান্তি আর শান্তি ।

শুভেচ্ছা রইল

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:১২

শ্রাবণধারা বলেছেন: পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আলী ভাই। ভালো থাকবেন।

১৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৫৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: যদিও আট মাস আগে লেখা হয়েছে এ চিঠি, তথাপি আজ আপনার এ টরোন্টোর চিঠি পড়ে বেশ ভালো লাগল।
করোনা বোধকরি একেবারে নির্মূল হবার নয়। ২০২১ সালের অগাস্ট মাসে আমি এবং আমার স্ত্রী একসাথে আক্রান্ত হয়েছিলাম। আরোগ্য লাভের পর থেকে লক্ষ্য করছি যে আমার শ্রবণশক্তি লোপ পেয়েছে, দৃষ্টিশক্তিও কিছুটা। স্মৃতিশক্তিও অনেকটা ঝাপসা হয়ে গেছে। আশাকরি, আপনার মেয়ের উপর করোনার প্রভাব খুব বেশি ক্ষতিকর হয়নি।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৩১

শ্রাবণধারা বলেছেন: সালাম এবং ধন্যবাদ খায়রুল আহসান ভাই। করোনায় আপনার দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা হয়েছে জেনে দুঃখিত হলাম। দোয়া করি আল্লাহ যেন আপনাকে শীঘ্র রোগমুক্ত করেন।

লেখাটাতে কানাডার অর্থনীতি বিষয়ে যে আশঙ্কা করেছিলাম দুঃখের বিষয় সেই আশঙ্কাগুলো খুব খারাপ ভাবে ফলে গেছে (খারাপের আশঙ্কা করলেও লেখাটা লিখবার সময় ততটা নিরাশাবাদী ছিলাম না)।

আর এখন দেশের জন্যও ভয়টা অনেকগুন বেড়ে গেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.