নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

...............

শ্রাবণধারা

" আমাদের মতো প্রতিভাহীন লোক ঘরে বসিয়া নানারূপ কল্পনা করে, অবশেষে কার্যক্ষেত্রে নামিয়া ঘাড়ে লাঙল বহিয়া পশ্চাৎ হইতে ল্যাজমলা খাইয়া নতশিরে সহিষ্ণুভাবে প্রাত্যহিক মাটি-ভাঙার কাজ করিয়া সন্ধ্যাবেলায় এক-পেট জাবনা খাইতে পাইলেই সন্তুষ্ট থাকে......."

শ্রাবণধারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

টরন্টোর চিঠি ৩ - ইসরাইলের গণহত্যা আর পাশ্চাত্য গণমাধ্যমের একদেশদর্শীতা

২৪ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৮:০০

কানাডার জ্ঞানভিত্তিক সমাজ, নারীর মার্যাদা ও স্বাধীনতা আর সকল বিষয়ে মানুষের বিচার-বিশ্লেষণ এবং যুক্তিশীল আলাপ আলোচনা করার দক্ষতা দেখে পাশ্চাত্য সমাজ সম্পর্কে শ্রদ্ধাশীল হয়েছিলাম। কিন্তু গত দুই সপ্তাহে গাজায় ইসরাইলের বোমাবর্ষণ, নির্বিচারে গনহত্যা আর পাশ্চাত্যের দেশগুলোর সেই রাষ্ট্রীয় দুষ্কর্মে সহযোগীতা ও সমর্থন দেখে এত হতাশ হলাম যে এই ধারণাগুলোকে নতুন করে মূল্যায়ন করার প্র‌য়োজন অনুভব করলাম।

কানাডার সংবাদ মাধ্যমে তীক্ষ্ণ ভাষায় প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা হয়। রাজনীতি, সমাজনীতি, অর্থনীতি সকল বিষয়ে সূক্ষ্ম বিশ্লেষণ ও যুক্তি-তর্কের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবার প্রবনতা দেখে এদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং উদারনৈতিক গণতন্ত্রের উচ্চ মানদণ্ড সম্পর্কে উচ্ছ্বসিত হয়েছিলাম। কিন্তু গত দুই সপ্তাহে এদের নেতৃত্ব ও প্রচার মাধ্যমের একেবারে ভিন্ন একটি রূপ দেখে নিদারুণ আশাহত হলাম।

প্রচার মাধ্যমগুলো শুধু যে একদেশদর্শী খবর প্রচার করছে তা নয়, মনে হল এরা সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষকে উস্কে দিচ্ছে। কিছু গণমাধ্যমের খবর পরিবেশনের ধরণ এমন ছিলো যে শুধু হামাসই নয়, গাজাবাসী মাত্রই জঙ্গি। অতএব এদের গনহত্যা অনুমোদন যোগ্য। সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প যে স্ফুলিংগের মত প্রচণ্ড দাহ্য এবং গনমাধ্যমের দেউলিয়াপনা বা বিক্রি হয়ে যাওয়া যে এটাকে জঘন্যভাবে উস্কে দিতে পারে সেটা অনুভব করলাম।

আমার জীবনের মূল্য আরেকজন মানুষের জীবনের মূল্যের চেয়ে কম বা বেশি নয়। একজন ইসরাইলীর জীবনের মূল্যও একজন গাজাবাসীর জীবনের মূল্যের চেয়ে কম বা বেশি হতে পারে না। জীবনের চেয়ে মূল্যবান কিছু নেই এবং মানুষ হত্যার মত বড় অপরাধ আর নেই। গাজায় ইসরাইলের গণহত্যার অনুমোদন বা নীরবতা প্রমাণ করে যে উন্নত বিশ্বের নেতৃত্ব ঠিক তদবধি উন্নত বা সভ্য নয়। পাশ্চাত্যের নেতাগোষ্ঠি বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবার মত যোগ্য নয়। বিশেষ দেশ বা অঞ্চলের এই নেতারা মূলত ক্ষমতাবান একটি গোষ্ঠির প্রতিনিধিত্ব করে। মানবিকতার বিবেচনায় এই নেতারা বরং বিগত শতকের সেই সকল নিষ্ঠুর দাস ব্যাবসায়ীর প্রতিনিধিত্ব করে যারা ধর্ম-বর্ণ-জাতীয়তার মিথ্যা মানদণ্ডে মানুষের মনুষ্যত্বকে বহু শতাব্দী শৃঙ্খলিত করে রেখেছিল, একজন মানুষের চেয়ে আরেকজন মানুষ শ্রেষ্ঠ এই মিথ্যা বিশ্বাসে। আজ মানুষ ইতিহাসের সেইসব দাস ব্যবসায়ীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করিয়েছে। আমার মনে কোন সন্দেহই নেই যে, এই মানবতা বিরোধীদের বিচারও একদিন মানুষ করবে।

প্রবল হতাশার মধ্যেও, প্রচার মাধ্যমের একদেশদর্শীতার মাঝেও কিছু কিছু ঘটনা আশার সঞ্চার করে। আজ সকালে রেডিওতে শুনলাম টরন্টো ডাউনটাউনে একদল লোক রাস্তা আটকে গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য মিছিল করছে। এরা মুসলিমদের কোন দল নয় বরং ইহুদী সম্পদায়েরই একটি দল। সে দলের একজন প্রতিনিধির ছোট একটি সাক্ষাতকারও রেডিও প্রচার করলো। তাদের প্রতিনিধি বললেন যে, এই নরহত্যা, শিশুহত্যার মত পাশবিকতা আর মানা যায়না। অচিরেই এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে।

এই ঘটনাটি থেকে এটা স্পষ্ট যে গাজাবাসী বা মুসলমান মানেই জঙ্গি নয় এটা যেমন সত্য, তেমনি ইহুদীমাত্রেই মানুষ হত্যার অনুমোদনকারী বা সমর্থক নয় - এটিও সত্য। গাজাবাসীর অমানবীকরণ (dehumanization) যেমন একটি ঘৃণ্য কাজ, তেমনি অতি ধর্মান্ধদের ইহুদীবিদ্বেষ এবং সাম্প্রদায়িক কথোপকথনও ঘৃণ্য।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৮:৪২

সোনাগাজী বলেছেন:



কানাডা, আমেরিাকর মিডিয়া কোম্পানীগুলো দেশের মানুষের মনোভাব সব সময় তুলে ধরে না; এরা মালিকানা ও ১টি শ্রেনীর কন্ট্রোলে আছে।

২৪ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:৪১

শ্রাবণধারা বলেছেন: এটা একটা আশাব্যঞ্জক কথা। শুনে খুশি হলাম। মানুষের বিবেক বহু বছর পড়ে হলেও যে জেগে ওঠে বা উঠবে সে বিষয়ে আমার সন্দেহ নেই।

কিন্তু ইতিমধ্যে যে অনেক দেরী হয়ে গেছে, ঘাতকের গণবিধ্বংসী মারণাস্ত্র মুহূর্তের জন্যও থেমে নেই। জানিনা এটা কখন থামবে।

২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:০৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: মিডিয়া এখন হয়ে গেছে আর পাঁচটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির মতো।কোম্পানীর স্বার্থরক্ষার জন্য খবর পরিবেশন করছে।যারা নিরপেক্ষ তাদের দেশদ্রোহীর অভিযোগে নানাভাবে হয়রানি করা এখন সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

২৪ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:৪৪

শ্রাবণধারা বলেছেন: মিডিয়া এখন হয়ে গেছে আর পাঁচটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির মতো - একথা একেবারে যথার্ত। যুদ্ধের সময়ে বোঝা যায় মিডিয়ার উপর আমরা কি ভীষণ নির্ভরশীল আর এদের মগজধোলাইয়ের ক্ষমতাও কি বিশাল।

৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:০৭

সোনাগাজী বলেছেন:



আমেরিকা ও কানাডার সামনে ২৪ লাখ মানুষের খাবার, পানি, জ্বালানী ও ঔষধ বন্ধ করলো; ইহাতে এসব দেশের সরকারের অজ্ঞানতা ধরা পড়েছে। যাক, বাইডেন এখন কিছুটা করছে।

২৪ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:৪৮

শ্রাবণধারা বলেছেন: "যাক, বাইডেন এখন কিছুটা করছে।" - এটা যদি তাদের বিগত গণহত্যার অনুমোদনের সিদ্ধান্তে কোন পরির্তন আনে তাহলে খুব ভালো খবর। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমার এটাকে একধরনের উপহাসময় আইওয়াস বলে মনে হচ্ছে।

৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:০৮

কামাল১৮ বলেছেন: ন্যাটোভুক্ত দেশ গুলির পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারিত হয় আমেরিকার নীতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে।এর বাইরে যাবার ক্ষমতা কারো নাই।

২৪ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:৪৯

শ্রাবণধারা বলেছেন: পররাষ্ট্রনীতি নিশ্চয়ই মনুষ্যনীতির বাইরে নয়। একসময় দাসপ্রথাও পররাষ্ট্রনীতি অন্তর্ভুক্ত ছিলো নিশ্চয়ই?

৫| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:৪৬

ক্লোন রাফা বলেছেন: আমার ২২ বছর পর আপনি বুঝতে পারলেন পশ্চিমা মিডিয়া সত্য প্রচার করেনা। আমি ২০০১ সালেই বুঝে গিয়েছিলাম কি বিপদজনক পশ্চিমা মিডিয়া।বেশিরভাগ সময় এই মিডিয়াগুলো স্ট্যান্টবাজি করে।২য়ত এই মিডিয়াগুলো মানুষকে রেডিক্যালাইজ করে । যার প্রতিফলন দেখলেন শিকাগোতে এক ফিলিস্তিনি শিশুকে ২৬ বার ছরিকাঘাতে হত্যা করে। এবং শিশুটির মা’কেও হত্যার চেষ্টা করে জখম করে।২০০১ এ অনেক শিখ হত্যা করে মুসলিম মনে করে। এগুলো সবই ঘটেছে বিখ্যাত সব মিডিয়ার কল্যাণে।

ধন্যবাদ, শ্রাবণধারা।

২৪ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:৫২

শ্রাবণধারা বলেছেন: "এই মিডিয়াগুলো মানুষকে রেডিক্যালাইজ করে" - একদম সত্যি কথা।

শিকাগোতে ফিলিস্তিনি শিশুকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনাটি লেখায় উল্লেখ করতে গিয়েও করিনি এর বীভৎসতার কারনে।

৬| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:১৩

শেরজা তপন বলেছেন: হায়রে মানবতা!!!
ক'দিন আগেই ম্যাক্রো আসলেন এদেশে। গভীর রাতে জলের গানের সাথে কত আন্তরিকতা মাখামাখি- তার শিল্প ও সীল্পির প্রতি আন্তরিকতা ভালবাসায় মুগ্ধ হয়ে গেলাম! আজ তিনি যাচ্ছেন তেল আবিবে ইসরাইলের প্রত সঙ্ঘতি প্রকাশের জন্য। কানাডার প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন সাক্ষাৎ ফেরেশতা যেন- সারা বিশ্বের যেখানেই মানবতাবিরোধী কর্মকান্ড হচ্ছে সেখানেই তিনি সরব। একজন শিখ নেতা হত্যার জন্য তিনি যে পরিমান হল্লা চিল্লা করলেন কিন্তু হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নারী শিশু হত্যার পরেও তিনি ইসরাইলকে অকুন্ঠ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন।
শালার রাজনীতির ক্ষ্যাতা পুরি! সব মানুষ শালার রাক্ষস!
মিডিয়া রাজনীতির সংবাদ প্রকাশ করে এক পক্ষের মনোরঞ্জনের জন্য আর অন্যপক্ষকে ঘায়েলের জন্য- এটা সারা বিশ্বে সব খানেই। কোথাও নিরপেক্ষতা নেই।

২৪ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:০৫

শ্রাবণধারা বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

মানবতা বা বিশ্ব-মানবতা এই শব্দ গুলো আসলে পাশ্চাত্যের পরিভাষায় নতুন করে বোঝার চেষ্টা করছি।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী কিন্তু আসলে খুব এভারেজ একজন লিডার। আর এরা ঠিক বিশ্বনেতা নয়, বরং ভোটের রাজনীতি করা আঞ্চলিক নেতা। সেকারনেই শিখ নেতার (যিনি সন্ত্রাসী বলে ভারতীয় রাষ্টযন্ত্র দাবী করে) মৃত্যুতে বড় বিবৃতি দেন, কিন্তু প্যালেস্টাইনের প্রশ্নে নিশ্চুপ থাকেন এবং ইসরাইলকে সমর্থন করেন।

৭| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩০

বিষাদ সময় বলেছেন: গাল্ফ ওয়ার থেকেই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম গুলোর চেহারা স্পস্ট হয়ে গেছে। এখন সব কিছুই ব্যবসা। পাবলিক যে রকম নিউজ খাবে সে রকম নিউজ প্রকাশ করবে। অথবা অর্থের বিনিময়ে কোন গোষ্ঠির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবে।
ভিয়েতনামে ৩০ লাখ, ইরাকে ১০ লাখ, আফগানে ১০ লাখ মানুষ হত্যা করে পশ্চিমা আর তার দোসররা যখন মানবতার ভন্ডামী করে তখন......
কি আর বলবো মুসলমানরা যতদিন তাদের জজবা দেখানো বন্ধ করে নিজেদের মেধা, মনন, ব্যাক্তিত্ব গঠনে মনোনিবেশ না করবে ততদিন তাদের আবস্থার উন্নতি হবে না।

২৪ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:১১

শ্রাবণধারা বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

হ্যা, অব্স্থা এমন যে সবার উপরে ব্যবসা আর বন্দুকই সত্য তাহার উপর নাই।

যুদ্ধ, দুর্যোগের সময়ই গণমাধ্যম গুলোর চেহারা এত স্পস্ট করে ধরা পড়ে, অন্যসময় ভালো-মন্দের আলো ছায়ায় আমরা এদের চিনতে পারিনা।

আপনার মত আমিও মুসলমানদের আত্নদর্শন বা নিজেকে চেনা দরকারি বলে মনে করি।

৮| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:০৬

কামাল১৮ বলেছেন: পররাষ্ট্র নীতি আর আভ্যন্তরীণ নীতি এক না।আভ্যন্তরীণ নীতি কানাডার নিজস্ব।এখানে কারো হাত নাই।পররাষ্ট্রনীতে ন্যাটোর প্রভাব আছে।সেখানে মোড়ল আমেরিকা।

২৫ শে অক্টোবর, ২০২৩ ভোর ৬:১৮

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ কামাল ভাই। পররাষ্ট্র নীতি, আভ্যন্তরীণ নীতি বিষয়গুলো সম্পর্কে তেমন ধারণা রাখিনা। আমেরিকার মোড়লিপনাকে স্বীকার করার পরেও প্রশ্ন করা যায়, তাদের পররাষ্ট্র নীতিগুলো কিভাবে নির্ধারিত হয়?

আমেরিকা যেহেতু গণতান্ত্রিক দেশ তাই বলা যায় ৫৩৫ জন কংগ্রেস সদস্য এই নীতিগুলো নির্ধারণ করে। একসময় এরাই নিশ্চয়ই দাসপ্রথাকে উচ্ছেদ করেছে? একজন আমেরিকান নাগরিক আর একজন আফ্রিকান নাগরিকের জীবনের মূল্য যে সমান, আশাকরি একটা সময় তাদের পররাষ্ট্র নীতিগুলো এই মূল্যবোধকে ধারণ করবে।

৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১:২২

রাজীব নুর বলেছেন: মুসলিম বিশ্বের নেতৃত্বের মধ্যে পরিবর্তন খুবই জরুরী । মুসলিম বিশ্বের মধ্যে অধিকাংশ নেতৃত্ব নর্দমার নিকৃষ্ট কীট পতঙ্গের ন্যায়।

২৫ শে অক্টোবর, ২০২৩ ভোর ৬:৩২

শ্রাবণধারা বলেছেন: মুসলিম প্রধান দেশগুলোর মধ্যে অনেকগুলোতে এখনও গণতান্ত্রিক সরকার পদ্ধতি নেই। তাদের সরকার মানে রাজা, বাদশা, আমির - যে শব্দগুলোই আমার কাছে লজ্জাজনক বলে মনে হয়। তাদের নিরঙ্কুশ ক্ষমতা মধ্যযুগীয়। তাই তাদের কেউ কেউ খুনী স্কোয়াড পাঠিয়ে এমব্যাসীতে সাংবাদিক হত্যা করে তার শরীর কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলে। এই ঘটনাগুলো বীভৎস হতাশাব্যঞ্জক।

১০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২৩ ভোর ৬:১০

কামাল১৮ বলেছেন: আমেরিকার পররাষ্ট্র নীতি নির্ধারিত হয় রাশিয়া চীনকে কেন্দ্র করে।কানাডার চীন রাশিয়ার সাথে বড় রকমের কোন সমস্যা নাই।আমেরিকার আছে।
দাস প্রথার বিরুদ্ধে বড়রকমের আন্দোলন গড়ে উঠেছিলো আমেরিকাতেই।গরু ছাগলের মতো হাটে বাজারে মানুষ বিক্রয় হতো।কতোবড় অমানবিক প্রথা।
ইসলামে এখনো এই প্রথা নিষিদ্ধ না।আইএস চালু করেছিলো তাদের এলাকায়।হাজার হাজার ইয়াজিতি সম্প্রদায়কে দাস বানিয়ে বিক্রয় করতো।মেয়েদের করতো যৌন দাসি।

২৬ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:২৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: আইএস এর দাস প্রথা চালু করার খবরটি দেখেছিলাম। কাগজের মূদ্রা বাদ দিয়ে স্বর্ণ মূদ্রা চালু করা থেকে শুরু করে রোজা না রাখলে ফাঁসি দিয়ে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখার মত কিছু নিয়ম চালু করে তারা মধ্যযুগের অন্ধকারকেও হার মানিয়েছিলো।

আইএস তালেবান থেকে শুরু করে আমাদের দেশের হেফাজতের মধ্যেও মধ্যযুগকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার প্রবণতা আছে। সামন্তযুগের রাজা বাদশার মত তারা ভোগ করতে চায়, মেয়েদের কে দাসী বানিয়ে ক্ষমতাবান রাজার মতো তাদের ভোগ করতে চায়।

এই ব্লগেও ইসলামী ব্লগারদের কেউ কেউ যখন বেহেস্তের বর্ণনা দেয় সেটাও মধ্যযুগ ও সামন্তযুগের সাথে পুরোপুরি মিলে যায়। সেখানে বেহেস্তের হুরেরা কেউ পা টেপে, কেউ মাথা ম্যাসেজ করে, কেউ নৃত্যগীত পরিবেশন করে ইত্যাদি ইত্যাদি।

১১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:০২

মারুফ তারেক বলেছেন: ভালো

২৭ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার মন্তব্য কিছুই বোঝা গেল না। অপ্রাসঙ্গিক, অস্পষ্ট ভাবে কথা বলা "ভালো" নয়।

১২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:৩৬

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: সবাই আমেরিকার প্রেসক্রিপশনে চলছে; আমেরিকার বিরুদ্ধে যাওয়ার উপায় নেই!!

৩১ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৭

শ্রাবণধারা বলেছেন: হ্যা, সেটাই দেখতে পাচ্ছি। আবার আমেরিকা কার বা কিসের প্রেসক্রিপশনে চলে সেটাও ভাবার বিষয়।

১৩| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৪৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বহুদিন পর ব্লগে আপনার আগমন সুস্বাগতম ।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৫৫

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.