নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
" আমাদের মতো প্রতিভাহীন লোক ঘরে বসিয়া নানারূপ কল্পনা করে, অবশেষে কার্যক্ষেত্রে নামিয়া ঘাড়ে লাঙল বহিয়া পশ্চাৎ হইতে ল্যাজমলা খাইয়া নতশিরে সহিষ্ণুভাবে প্রাত্যহিক মাটি-ভাঙার কাজ করিয়া সন্ধ্যাবেলায় এক-পেট জাবনা খাইতে পাইলেই সন্তুষ্ট থাকে......."
জাতি আজ এক ক্রান্তিলগ্নে দাড়িয়ে। ব্লগাররা ইংরেজি নতুন বছরের শুরুতে দুই ভাগে বিভক্ত। এই বিভক্তির কারন জ্বীন-পরীতে বিশ্বাস ও অবিশ্বাস। একদল শুধু যে জ্বীন-পরী চোখের দেখায় দেখেছেন তা নয়, তাদের কেউ কেউ জ্বীনের বাদশা বা পরী-শেহজাদির দেওয়া মিষ্টি ফল পর্যন্ত খেয়েছেন। অন্যদিকে আরেকদল বহু সাধনাতেও কোন জ্বীন বা পরীর সান্নিধ্য লাভ করেন নি। দ্বিতীয় এই দলটিকে ঈর্ষাকাতর বলে মনে হচ্ছে। এত বয়স হল তবু কেন তাদের জ্বীন-পরী ফল খেতে দিলেন না? তাদের মনঃকষ্ট দেখে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের "কেউ কথা রাখেনি" কবিতাটি মনে পরে। " নাদের আলী, আমি আর কত বড় হবো? আমার মাথা এ ঘরের ছাদ ফুঁড়ে আকাশ স্পর্শ করলে তারপর তুমি আমায় পরীস্থানের ফল খাওয়াবে (তিন প্রহরের বিল দেখাবে)?"
ব্লগ-আকাশে যখন এমন দুর্যোগের ঘনঘটা তখন মনে হলো, এই যে আমাদের চারপাশে এত জ্বীন-পরী ঘুরে বেড়াচ্ছে, এদের আমরা কোন কাজেই লাগাতে পারলাম না! শুধু মনে মনে বিশ্বাস করে গেলাম মাত্র! এই অব্যবহৃত শ্রমশক্তি দেশের কাজে না লেগে বিশ্বাসের বোঝা হয়ে রইলো। জাতি হিসেবে এত বড় লজ্জা কোথায় রাখি?
আমরা যদি আরেকটু সচেতন হতাম তাহলে জ্বীন-পরীদের কত ভাবেই না কাজে লাগাতে পারতাম। জ্বীন-ভাইদের এবং পরী-বোনদের শ্রমশক্তিকে কাজে লাগিয়ে আমরা একটি নয়, দশটি নয়, একশোটি পদ্মাসেতু তৈরী করে ফেলতে পারতাম। শুধুমাত্র টেকনিক্যাল নলেজের অভাবে আমরা জ্বীন-পরীদের শ্রমশক্তিকে কাজে লাগাতে পারলাম না। এ অবস্থা আর চলতে দেওয়া যায়না।
একথা সত্য যে আমরা মানি আর নাই মানি জ্বীন-পরীরা কিন্তু আমাদের চোখের আড়ালে তাদের কাজে মহিমার ছাপ রেখে যাচ্ছে। যেমন ধরুন সম্প্রতি একজন ব্লগার প্রশ্ন করেছেন দেশের রিজার্ভ কিভাবে ৪৮ বিলিয়ন ডলার থেকে কমে ২৮ বিলিয়নে চলে এসেছে? তার এই কঠিন প্রশ্নের উত্তর কিন্তু সোজা। দেশের মন্ত্রী-আমলা-রাজনীতিবিদ থেকে সবাই যেখানে তাদের কষ্টার্জিত ডলার বিদেশ থেকে দেশে নিয়ে আসছেন, এমন কী প্রয়োজনে তারা বিদেশে তাদের বাড়ি-ঘর সহায়-সম্পদ বেচে দিয়ে দেশে ডলার নিয়ে আসছেন, তারপরও রিজার্ভ কমে কিভাবে? এটা যে দুষ্ট জ্বীনদের কাজ, বিজ্ঞ ব্যাক্তি মাত্রই সেটা উপলব্ধি করে থাকবেন।
আর কয়দিন পরে দেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। অথচ তার ঠিক আগে আগে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) নামের একটা ভুয়া প্রতিষ্ঠান প্রেস ব্রিফিং করে ঘোষণা দিলো যে আওয়ামী লীগের ১৫ বছরে ব্যাংক থেকে নাকি ৯২ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়েছে। মাত্র ৯২ হাজার কোটি টাকা! এত টাকা কী মানুষের পক্ষে চুরি করা সম্ভব? কার এতবড় তোষক আছে যে এত টাকা লুকিয়ে রাখবে? এখানেও কিন্তু দুষ্ট জ্বীনদের কারসাজি।
সব কাজে শুধু যে দুষ্ট জ্বীনদের দুষ্টামি, মহৎপ্রাণ জ্বীনরা যে দিবা নিদ্রায় ব্যস্ত তা কিন্তু নয়। যেমন ধরুন ইসলামী ব্যাংকের ৩০ হাজার কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতির ঘটনাটি। এত বড় ঋণ জালিয়াতির পরেও নাকি ইসলামী ব্যাংক বছরে বছরে মুনাফা করছে এবং তাদের বাৎসরিক অশোধ্য বা কু-ঋণ (Bad debt) নাকি ৫% এরও কম। এই ধরনের হিসাব নিকাশ কোন মানুষের পক্ষে করা কঠিন হলেও কিন্তু এ ধরনের কাজে আপনি হিসাব বিশেষজ্ঞ এবং গণিতজ্ঞ জ্বীন নিয়োগ দিতে পারেন।
জ্বীন-পরীদের অব্যবহৃত শ্রমশক্তিকে কাজে লাগাতে পারলে দেশ অচিরেই প্রভূত উন্নতি করবে। যেমন ধরুন অনেকেই জ্বীন-পরীদের দেওয়া ফলমূলের খুব প্রশংসা করেন। জ্বীনস্থান এবং পরীস্থান উভয় জায়গা থেকে বিনা খরচে আমরা ফলমূল আমদানী করতে পারি। এই কাজে জ্বীন-পরীদের পরিবহনের মাধ্যম হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে। আবার জমি চাষের ঝামেলা নেই বলে উৎপাদন খরচ একেবারে শুন্য। দেশের চাহিদা পূরণ হয়ে গেলে এই ফলমূল বিদেশে রপ্তানী করা যেতে পারে।
আমরা জানি যে অনেক জ্বীন-পরীরা মানুষের রূপ ধরে বিভিন্ন মাদ্রাসায় লেখাপড়া করছেন। জ্বীন-পরীদের উপর শীঘ্রই টিউশন ফি ধার্য করা জরুরী। জ্বীনদের দেশে ডলারের প্রচলন যদি নাও থাকে, তারা স্বর্ণমূদ্রায় তাদের টিউশন ফি পরিশোধ করতে পারবে বলে আশা করা যায়। তবে মাদ্রাসা শিক্ষার পাশাপাশি জ্বীন-পরীদের কুস্তি-বিদ্যা এবং মল্ল-বিদ্যায় পারদর্শী করতে পারলে রাজস্ব আদায় বেশি হবে।
অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণের পাশাপাশি জ্বীন-পরীদের শ্রমশক্তিকে বিদেশে কাজে লাগাতে হবে। যেমন ধরা যাক বৈদেশিক চুক্তির আলোচনায় শক্ত সামর্থ দেখে জ্বীন-পরীদের রাখা যেতে পারে। যেহেতু তারা অদৃশ্য তাই বিদেশি প্রতিনিধি তাদের দেখবেন না। যেসব দেশ আমাদের সাথে দাদাগিরি করে তাদের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এই জ্বীন-পরীরা গোপনে উপস্থিত থাকবে। যখনই কোন দেশের প্রতিনিধি আমাদের দেশের প্রতিনিধির সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করবে তখন এই জ্বীন-পরীর কাজ হবে তাদের কান মলে দেওয়া।
বিশেষ করে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে খুব দশাসই দেখে একজন জ্বীনকে নিয়োগ দিতে হবে। কুস্তি-বিদ্যায় এই জ্বীন বিশেষ পারদর্শী হলে ভালো হয়। যদিও বাংলাদেশ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য নয়, কিন্তু জ্বীন অশরীরী বলে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে উপস্থিত থাকলেও কোন সমস্যা হবে না। যখনই কোন যুদ্ধবিরতির প্রশ্নে বিশ্ব মোড়ল দেশের প্রতিনিধি ভেটো দেবার জন্য হাত ওঠাবে, আমাদের এই জ্বীনের কাজ হবে ঐ প্রতিনিধির হাত টেনে নামিয়ে, গালে কষে একটি চপেটাঘাত করা।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:৫৮
শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ বিজন রয়।
পোস্টে দেশের বিভিন্ন কাজে জ্বীন-পরীর পারদর্শিতার পাশাপাশি কতগুলো সম্ভাব্য প্রকল্প নিয়ে লিখেছি। তবু যদি জ্বীন-পরীতে বিশ্বাস না করে থাকেন তবে আপনার অবিশ্বাসের ব্যাপারে নিরব শ্রদ্ধা
আপনার জন্যও নতুন বছরের শুভেচ্ছা।
২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:১৯
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
জ্বীন দিয়ে অনেককিছু করানোর বাসনা আপনার লেখায় উঠে এসেছে; তবে মানুষ কীভাবে জ্বীন হতে পারে তা নেক্সট পোস্টে জানাবেন।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:৩১
শ্রাবণধারা বলেছেন: শূন্য সারমর্ম, "মানুষ কীভাবে জ্বীন হতে পারে" এটি খুবই যৌক্তিক কিন্তু কঠিন প্রশ্ন। আগে ছিল দরবেশ বাবা, এখন দরবেশ বাবাদের পরবর্তী যুগ জ্বীন-পরীদের যুগে আমরা প্রবেশ করেছি।
৩| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
ভালো একটা স্যাটায়ার পড়লাম।
অনেক কথাই বলার ছিল। ভেবে দেখলাম, না বলাই বুদ্ধিমানের কাজ, তাই বুদ্ধিমান হইয়া রইলাম আর কী
রেইন ফরেস্ট, হিলি অঞ্চল এমনকী ব্লগেও জ্বীন-পরী আছে কিন্তু
০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:৫৯
শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই।
মনে হচ্ছে জ্বীন-পরী বিষয়ে আপনার কাছে অনুসন্ধানী রিপোর্ট থাকতে পারে। এর কিছু কিছু আমাদের জানালে আমরা বাধিত হতাম।
ব্লগেও জ্বীন-পরী আছে শুনেছি। জানিনা এই পোস্ট দেখে তারা মনঃক্ষুণ্ন হলেন কী না
নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইলো।
৪| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:০৮
নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: এই জ্বীন পরীর ভীড় সব জায়গায় আছে...
যেখানেই ঘাপলা, সেখানেই জ্বীন পরীর টাল বাহানা...
চমৎকার একটা লেখা পড়লাম...
নতুন বছরের শুভেচ্ছা...
০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:৩৮
শ্রাবণধারা বলেছেন: একদম সঠিক বলেছেন "যেখানেই ঘাপলা, সেখানেই জ্বীন পরীর টাল বাহানা"!!!
আপনাকেও নতুন বছরের শুভেচ্ছা!
৫| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:১১
শেরজা তপন বলেছেন: দুর্দান্ত স্যটায়ার!! আসলেইতো আমরা হুদাই নেতা ব্যাবসায়ী আর সরকারী কর্মকর্তাদের দোষ দেই। সব তো এখন দেখি জ্বীনের কাজ!!
আপনার এই লেখাটা আন্তর্জাতিকভাবে সার্কুলার করা হোক। তৌহিদী জ্বীন জনতা পার্টি এই দায়িত্ব নিতে পারে
এইবার মনে হয় ব্লগে সত্যি জ্বীনের আছর পড়বে!!
০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৩:০১
শ্রাবণধারা বলেছেন: শেরজা তপন, সত্যিই তাই। সবই আসলে জ্বীনের কাজ, আমরা ভুল ব্যাখ্যাতে সান্ত্বনা খুঁজি।
জ্বীন প্রজেক্টের জন্য সার্কুলার করা হলে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বহু প্রতিষ্ঠান উৎসাহী হবে বলে আমার ধারনা। তবে এক্ষেত্রে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে অগ্রাধিকার দিতে হবে!
নতুন বছরের শুভেচ্ছা!
৬| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:১৩
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আমি মাঝে মাঝে শিশুতোষ কল্পনা করি, কখনো ভাবি যদি একটা জ্বীন টিমের কন্ট্রোল নিতে পারতাম তাহলে তাদের শুধু একটা ডিউটি দিতাম, দুনিয়ায় যেখানে অনাচার আর দুর্নীতি হয় সেখানে গিয়ে অদৃশ্য হাত দিয়ে কষে একটা বন চটকনা ব্যস!!
০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৩:০২
শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ গেঁয়ো ভূত, আমরা সকলেই বোধহয় এই ধরনের কল্পনা করতে পছন্দ করি।
ইদানীং বিশেষ করে গাজায় যুদ্ধ বিরতির প্রশ্নে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে দশাসই একটা জ্বীনের বাদশা পাঠিয়ে ভেটো দেওয়া লোকটাকে বন চটকনা মারার তীব্র ইচ্ছা হয়েছিলো!
দুর্নীতিবাজদের জন্যও এরকম একটা ব্যবস্থা করা প্রয়োজন!
নতুন বছরের শুভেচ্ছা!
৭| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: জ্বীন ট্বিন আমাদের বিশ্বাস করতেই হবে। নইলে আমাদের নাম মুসলমান থেকে কাটা যাবে।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৩:০৩
শ্রাবণধারা বলেছেন: নাম যাতে না কাটা যায় সে জন্য জ্বীন-পরীতে বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে পারেন।
বিশ্বাস করা কঠিন কাজ তো নয়। এর জন্য কোন রকম চেষ্টা বা পড়ালেখার প্রয়োজন নেই
নতুন বছরের শুভেচ্ছা!
৮| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:০২
মোগল সম্রাট বলেছেন:
জ্বীন পরী বিশ্বাস না করলে ইমান থাকবে না।
পোষ্টে+++++
০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৩:০৪
শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ মোগল সম্রাট।
শুধু শুধু বিশ্বাস করে আর কী হবে, যদি না এই বিশ্বাসকে শক্তিতে এবং কর্মে রূপান্তর করতে না পারি?
নতুন বছরের শুভেচ্ছা!
৯| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:১৯
মিরোরডডল বলেছেন:
আমার মাথা এ ঘরের ছাদ ফুঁড়ে আকাশ স্পর্শ করলে তারপর তুমি আমায় পরীস্থানের ফল খাওয়াবে
হা হা হা শ্রাবণ
দুষ্ট দুষ্ট
যেসব দেশ আমাদের সাথে দাদাগিরি করে তাদের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এই জ্বীন-পরীরা গোপনে উপস্থিত থাকবে। যখনই কোন দেশের প্রতিনিধি আমাদের দেশের প্রতিনিধির সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করবে তখন এই জ্বীন-পরীর কাজ হবে তাদের কান মলে দেওয়া।
আমাদের এই জ্বীনের কাজ হবে ঐ প্রতিনিধির হাত টেনে নামিয়ে, গালে কষে একটি চপেটাঘাত করা।
দুর্দান্ত লেখা হয়েছে শ্রাবণ
০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:৫৬
শ্রাবণধারা বলেছেন: সুনীলের কবিতাটা একটু বিকৃত করতে গিয়ে ধর্মবুদ্ধিতে একটু পীড়া অনুভব করছিলাম। আপনার মন্তব্য পড়ে মনে হল, কাজটা হয়তো ততোটা গর্হিত হয় নি!
নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইলো।
১০| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
যারা জ্বীনপরী, দৈত্যদানব, ভুতপেত্নীতে বিশ্বাস করেন, তারা শিক্ষিত হিসেবে গণ্য হওয়ার কথা নয়।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:৫৭
শ্রাবণধারা বলেছেন: শিক্ষিত মানুষ ভুতপেত্নীতে বিশ্বাস করলে আমার তেমন আপত্তি নেই। মানুষ তো যা ইচ্ছা তাই বিশ্বাস করতে পারে। বিশ্বাসের উপর তো কোন ট্যাক্স নেই!
নতুন বছরের শুভেচ্ছা!
১১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৮
নাহল তরকারি বলেছেন: জাতিসংঘে নিরাপত্তা পরিষদে জ্বীনদের নিয়োগ, টিউশন ফি হিসেবে স্বর্নমুদ্রা পড়ে মজা পেলাম। জ্বীনকে রাজনীতির সাথে (ঠাট্টা মশকরার মাধ্যমে) রিলেক্ট করার চেষ্টা করেছেন। সা সফল হয়েছে।
বিজ্ঞান তো বলেছে এলিয়ান আছে। চতুর্থ ডাইমেনশান, পঞ্চম ডাইমেনশান এভাবে ১১ টি ডাইমেনশান বিজ্ঞানীরা বলেছেন। এগুলোর প্রমান তো বিজ্ঞানের কাছে নাই। তারপরেও আমরা এগুলা বিশ্বাস করি। সেভাবে জ্বীনদের বিশ্বাস করতে দোষ কি?
০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:১৬
শ্রাবণধারা বলেছেন: জ্বীনদের বিশ্বাস করতে অবশ্যই কোন দোষ নেই।
আরও ভালো আমরা যদি বিদ্যুৎ শক্তির মত জ্বীন শক্তিকে একসময় কাজে লাগাতে পারি। বিদ্যুৎ শক্তিকে ব্যবহার করার জ্ঞান অর্জনের জন্য কিন্তু মানব সভ্যতাকে কয়েক হাজার বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। জ্বীন শক্তির মত অতি সূক্ষ্ণ শক্তিকে ব্যব হারের জন্য হয়তো আরো হাজার বছর অপেক্ষা করতে হতে পারে।
নতুন বছরের শুভেচ্ছা।
১২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২২
শায়মা বলেছেন: হা হা জ্বীন পরী ভূত প্রেতেরাই মানুষের বেশ ধরে মনে হয় বাংলাদেশে বাস করে। ব্লগেও লেখালিখি ঝগড়া ঝগড়ি মারামারি করে।
এই ক্রান্তি লগ্নে নতুন বছরের শুরুতেই জ্বীন পরীয় শুভেচ্ছা লহো ভাইয়া।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:৩০
শ্রাবণধারা বলেছেন: হ্যা, বাংলাদেশে জ্বীন-পরী-ভূত-প্রেতের শুমারি করা গেলে ভালো হতো।
এটা আমাদের একটি বড় বৈদেশিক মূদ্রা অর্জনের খাত হতে পারে! সোনালী আঁশ, সোনালী গার্মেন্টস এর পরে সোনালী জ্বীন-পরী-ভূত।
নতুন বছরের শুভেচ্ছা!
১৩| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মাদ্রাসায় জীন পড়াশুনা করে ছাত্র হিসাবে। এটা তো সত্যি কথা। পরীদের মধ্যে শিক্ষার হার মনে হয় কম এই কারণে মহিলা মাদ্রাসায় পরী কম থাকে। আরেকটা কারণ হল মহিলা মাদরাসার সংখ্যা কম। এই কারণে পরীদের পড়ার উপযোগী মহিলা মাদ্রাসার সংখ্যা কম।
হজরত সোলায়মান (আঃ) জীনদের দিয়ে অনেক কাজ করাতেন। তারা হজরত সোলায়মানের (আঃ) নির্দেশে দুর্গ বানাতো এবং আরও অনেক কাজ করতো। অনেক জিনকে সমুদ্রের নীচে ডুবুরী হিসাবে ব্যবহার করা হত। বর্তমান যুগের জীনদের দিয়েও অনেক কঠিন কাজ করানো সম্ভব। কিন্ত তার জন্য রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। জীনদের নিয়ে হাসাহাসি করলে ওরা কাজ করবে না। যে সব হুজুররা জীন নিয়ে কাজ করে তাদের সাহায্য নিয়ে জীনদের সমাজের উন্নয়নের কাজে ব্যবহার করা সম্ভব।
আসলে জীন, পরী নিয়ে হাসাহাসি না করে কিভাবে এদেরকে ভালো কাজে লাগানো যায় সেটা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:৩৭
শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার মন্তব্য এই পোস্টটিকে সমৃদ্ধ করলো।
আপনি হজরত সোলায়মান (আঃ) এর জীনদের দিয়ে কাজের উদাহরণ গুলো দিয়ে গুরুত্ত্বপূর্ণ একটি কাজ করেছেন।
শুনেছি হজরত সোলায়মান (আঃ) এর সৈন্য বাহিনীতে অনেক জ্বীন ছিলো। অতএব এটা একটি ভালো প্রকল্প হতে পারে।
আর পরীদের মধ্যে শিক্ষার হার মনে হয় কম এটা শুনে দুঃখিত হলাম। পরীদের পড়ার উপযোগী মহিলা মাদ্রাসা স্থাপনের মাধ্যমে এই সমস্যার দ্রুত সমাধান আশা করি।
নতুন বছরের শুভেচ্ছা!
১৪| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:০১
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আমি জ্বীনে বিশ্বাস করি।
শ্রাবণ ধারা ভাই ব্লগার চাঁদগাজী তো কিছুতেই বিশ্বাস করতে চাচ্ছেন না জ্বীন আছে। উনার কাছে কি একটা জ্বীন চালান দেয়া সম্ভব?
।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:৪৬
শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ মোহাম্মদ গোফরান ভাই।
চাঁদগাজীর কাছে জ্বীন চালান দেয়ার এই প্রস্তাব পুরাপুরি সমর্থন করছি।
এত ব্যান ইত্যাদির পরেও যেহেতু তেমন কাজ হচ্ছে না, সেহেতু উনার কাছে জ্বীন চালান দেয়া একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ।
নতুন বছরের শুভেচ্ছা!
১৫| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:১০
করুণাধারা বলেছেন: চমৎকার স্যাটায়ার!
০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:৪৭
শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ করুণাধারা। আশা করি ভালো আছেন?
নতুন বছরের শুভেচ্ছা!
১৬| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৪৬
নূর আলম হিরণ বলেছেন: কে বলেছে জিন পরীদের কাজে লাগানো হয়না। আমাদের বিখ্যাত ওয়াজ্বীন তারেক মনোয়ার সাহেব বলেছেন, বড় বড় ব্রিজ এগুলি নাকি জিনের মাধ্যমে বানানো হয়েছে।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:৫৫
শ্রাবণধারা বলেছেন: হ্যা, মনে হচ্ছে তিনি ঠিকই বলেছেন।
ব্রিজ, কালভার্ট দুর্গ এমন কি পিরামিড বানানো থেকে শুরু করে সৈন্য বাহিনীতে কাজ করার এক গৌরবময় ঐতিহ্যের ইতিহাস এই জ্বীন সমাজের আছে!
ইসরাইল যুদ্ধ নিয়ে মনঃকষ্টে আছি বলে জ্বীনদের সৈন্য বাহিনীতে নিয়োগ দেওয়া নিয়ে আপাতত বেশি চিন্তিত আছি, তবে কাজটা কিভাবে শুরু করবো বুঝতে পারছি না!
নতুন বছরের শুভেচ্ছা!
১৭| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৬:২৪
শায়মা বলেছেন: হা হা জ্বীনদেরকে বশীভূত করে কাজ করানো হবে আর বাংলাদেশের ছেলেরা পায়ের উপর পা তুলে ঘুমাবে আর টিভি দেখবে, বাচ্চারা গেম এডিকটেড হবে আর মেয়েরা বিউটি পারলার থেকে আর বাড়িই যাবেনা। কারণ কোনো কাজের তো আর দরকার থাকবে না সবই করে দেবে জ্বীন বাবারা!
আর জ্বীনদেরকে বসে বসে চালাবে চুয়াত্তর ভাইয়া। কারণ ভাইয়া জ্বীনদের প্রধানমন্ত্রী হবেন। আহারে ভাইয়ার আর কোনো বিশ্রাম হবে না। বিশ্রাম নিতে গেলেই জ্বীনেরা তার গলা চেপে ধরবে। এত এত কাজ করানোর জন্য!
০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:৫০
শ্রাবণধারা বলেছেন: গৃহকর্মে কিভাবে জ্বীন-পরীদের ব্যাবহার করা যায় এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্ট হতে পারে। এই প্রজেক্ট পরিচালনার ভার যদি আপনি গ্রহন করেন তাহলে আমরা সকলে অনুপ্রাণিত হবো। এই কাজে আপনার চেয়ে আর কোন গুনী মানুষ ব্লগে আছে বলে মনে হয় না।
গৃহকর্মে নান্দনিকতা এবং শিল্পের সুষমা বিষয়ে কিছু ট্রেনিং যদি জ্বীন-পরীদের দেওয়া যায়, তাহলে খুব ভালো হয়। জ্বীন-পরীদের সৃষ্টিশীলতা এবং শৈল্পিক জ্ঞান কী ধরণের আপনি মনে করেন? যদি এটা খুব নিচের দিকে হয়, তাহলে অবশ্য পরিচালক হিসেবে এটা আপনার জন্য কিছু বিড়ম্বনা হতে পারে।
সম্পূর্ণ মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব অবশ্যই সাড়ে চুয়াত্তর ভাইকে দেওয়া যেতে পারে। আপাতত এ বিষয়ে তার মতো যোগ্য ব্যক্তি আর কেউ নেই।
১৮| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:২৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বড়ই আচানক ঘটনা।
আফসোস!
০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:৫৫
শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার বিভিন্ন বাস্তব সমস্যা বিষয়ক লেখাগুলোবেশ উপভোগ করি।
কিন্তু কেন যে কিছুদিন থেকে আপনি সকলের পোস্টে "আফসোস, বড়ই আচানক ঘটনা" এই একই ধরনের মন্তব্য করছেন তা বোধগম্য নয়। মনে হচ্ছে আপনার জন্য কোন জ্বীনের বাদশার পরামর্শ আমাদের নিতে হতে পারে।
নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইলো।
১৯| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:০৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ইসলামে জীন অবিশ্বাসের সুযোগ নেই। আল আকসআ নির্মাণএ সোলায়মান আঃ আর জ্বীন বিষয়ক ঘটনা বেশ প্রসিদ্ধ। এখন সেখানে চলছে যুদ্ধ। তবে পরিশ্রমী হতে হবে মানুষদেরই। জ্বীন বশীভূত করার চেয়ে মানুষ তার বুদ্ধি খাটিয়ে অনেক বেশি আউট পুট পেতে পারে। কথা আছে না জানার কোন শেষ নাই জানার চেষ্টা বৃথা তাই তবুও আমার জানা চাই জানা ছাড়া এ জীবন যেন মোর বৃথা তাই।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:২৮
শ্রাবণধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার ভাই, সহজ সরল এবং স্পষ্ট মন্তব্যের জন্য।
জ্বীন বা পরীতে বিশ্বাসী বা অবিশ্বাসীদের নিয়ে ঠাট্টা করা এই পোস্টের উদ্দেশ্য নয়। বিশ্বাস-অবিশ্বাসের সত্য মিথ্যা নিরূপন নয় নিছক রম্য করাই উদ্দেশ্য।
আমাদের কল্পনার জ্বীন-পরীরা অনেকটা সুপার-হিরোদের মত, স্পাইডারম্যান বা ব্যাটম্যান যেমন। মনুষ্য সীমাবদ্ধতায় তাদেরকে কাজে লাগালে কেমন হত এটা তারই হাস্যরসাত্মক বর্ণনা।
নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইলো।
২০| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:৫৩
শায়মা বলেছেন: না না জ্বীন পরীরা শিল্পের কিছুই বুঝবে না ভাইয়া। তারা বেরসিক ও পর্দানশীন হবে নিশ্চয়! ছবি আঁকা পাপ নাচা গানা পাপ এইসব ভেবে আমাকে গলা চেপে ধরতে আসতে পারে। এমন সব বেরসিকদের সাথে আমি নাই।
বেরসিক চুয়াত্তর ভাইয়া কাজ করুক ওদের সাথে।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:০৭
শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে আমি হাসতে হাসতে শেষ!
মনের গভীরে জ্বীন-পরী সম্পর্কে আপনার কি ধারণা তা দারুনভাবে প্রকাশ পেয়েছে। তবে আমার ধারনা জ্বীন-পরী সমাজেও কিছু কিছু পরিবর্তন আসছে এবং তাদের কেউ কেউ নাচ-গান বিষয়ে আগ্রহী হচ্ছে।
নাচ-গান-শিল্প-সাহিত্যের সাথে নিশ্চয়ই একটা পুরো সমাজের সংস্কৃতির এবং বুদ্ধিবৃত্তির সম্পর্ক আছে। আমাদের প্রয়োজন বুদ্ধিমান এবং বুদ্ধিমতী জ্বীন-পরীর, তাই নয় কী?
২১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:৫৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
জীনপরীদের নিয়ে বড়ই প্যারার মধ্যে আছি। তারা কেবলই প্যারা দিয়ে চলেছে।
কবে যে এই প্যারার শেষ হবে কে জানে!
আপনার পোস্ট পড়ে অনেক প্যারা পেলাম।
দেশে এসে দেখি উঠতি বয়সীরা প্যারা ছাড়া কোন বাক্যই বলতে পারছে না। বিরাট প্যারা রে ভাই!
০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:১১
শ্রাবণধারা বলেছেন: আমরা আসলেই অনেক প্যারার মধ্যে আছি - একথা সত্যি। কিন্তু তাই বলে মাথা নষ্ট করে ফেললে তো খুবই মুশকিল!
আপনাকে প্যারা বা কষ্ট দেবার জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।
শুভকামনা রইলো।
২২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:০৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: যাক, পোস্টটা সবাই স্পোর্টিংলি নিয়েছে দেখে ভালো লাগলো।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৪৩
শ্রাবণধারা বলেছেন: সত্যি তাই! ধন্যবাদ।
২৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৪৯
অপু তানভীর বলেছেন: কয়েকটা মন্তব্য পড়ে বেশ মজা পেলাম । স্যাটায়ার ব্যাপারটা সম্ভবত তারা ধরতেই পারে নি । স্যাটায়ার পোস্টের এটাও একটা মজা !
তবে অন্তত একজনের মন্তব্য আশা করেছিলাম । তার মন্তব্য এখনও না দেখে খানিকটা হতাশ হলাম ।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৪৬
শ্রাবণধারা বলেছেন: হ্যা, এটা আমিও লক্ষ করেছি যে সকলে এটাকে স্যাটায়ার হিসেবে নেয়নি। প্রথমে ব্যাপারটা একটু গোলমেলে মনে হলেও, পরে আমার কাছেও মজা লেগেছে।
নতুন বছরের শুভেচ্ছা।
২৪| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:১৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আমি পরী বালা পাই।
জীন বালা পাই না।
ডর লাগে।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৪৭
শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনি পরী ভালা পেলেও আপনার জন্য জ্বীনই ভালো হবে বলে মনে হচ্ছে!!!
২৫| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: আসল কথা হলো- যখন ধর্ম আবিস্কার হয়, তখন মানুষ জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নত ছিলো না। তাই রসিকে সাপ ভাবতো। সেই যুগ তো আর নাই। এখন আধুনিক যুগ। এখন সেই যুগের মতো চলাফেরা করাটা বোকামী হবে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৫৪
শ্রাবণধারা বলেছেন: আধুনিক যুগে আধুনিক জ্বীন-পরীর উপর আমরা বিশ্বাস রাখতে পারি। আবার ইচ্ছা হলে বিষয়টাকে ভুলে থাকতে পারি যুগের সাথে তাল মিলিয়ে।
তবে যদি আপনার সাথে দেখা হয়েই যায় কোন ভাবে, সালাম দিয়ে হ্যান্ডশেক করতে ভুলবেন না কিন্তু। আর পারলে একটা সেলফি!
২৬| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৩০
প্রামানিক বলেছেন: আমি ছোট থাকতে ভুতের আলো দেখেছি কিন্তু সেই দৃশ্যটি সাইন্সের সাথে মিলাতে পারছি না।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:০২
শ্রাবণধারা বলেছেন: ছোট বেলায় ভুতের আলো দেখার ঘটনাটি নিশ্চয়ই এতদিন পরে একটা দুর্লভ স্মৃতি হয়ে গেছে?
থাকুক না সেই রহস্যময় আলো। আমাদের জীবনে কত কিছুই তো রহস্যময়!
নতুন বছরের শুভেচ্ছা।
২৭| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৫:১৭
আলামিন১০৪ বলেছেন: ভাই জান, জীনেরা মানুষের গোলামী করে না...আর এরা মানুষকে অনেক ভয় পায় ...তাই এরা মানুষের সামনে সচরাচর আসেনা,, তবে আপনার মতো অবিশ্বাসী মানুষদের এরা অনেক পছন্দ করে ...কারন আপনাদের সাইজ করলে কেউ কিছটি টের পানে না...ভিডিও দেখুন কিভাবে এই মেয়েটিকে চুবিয়ে মেরেছে...
https://www.youtube.com/watch?v=8vLqOPvr4JU
৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৫:৩৯
শ্রাবণধারা বলেছেন: জ্বীন সম্পর্কে নতুন তত্ত্ব এবং তথ্য দেবার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
সত্যি বলতে কি জ্বীন বিষয়ে আমার কোন মৌলিক গবেষণা নেই। ধার করা ধারণা দিয়ে এই লেখা। তাদের সম্পর্কে আমি যে বিশ্বাসী নই এটা আপনার কেন মনে হলো?
আর দয়া করে "এই মেয়েটিকে চুবিয়ে মারা" টাইপ ক্লীপের লিংক আমার পোস্টে আর দেবেন না। জ্বীন-পরী বিষয়ে আপনার বিশ্বাস, জ্ঞান বা অজ্ঞান আপনার নিজের ভিতরের অন্ধকারে রাখতে পারলে ভাল, কেন না দিনের আলোয় এগুলো শুধু কালি ছড়ায়। শুভকামনা।
২৮| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:০৮
আলামিন১০৪ বলেছেন: জীন নিয়ে ফান পোস্ট বিশ্বাসীদের কর্ম নহে...
৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৪৪
শ্রাবণধারা বলেছেন: জ্বীন-পরীর অস্তিত্ত্ব বা বিশ্বাস-অবিশ্বাসের সত্য মিথ্যা নিরূপন এ পোস্টের উদ্দেশ্য ছিলো না।
আপনার বিশ্বাস নিয়ে আপনি নিশ্চিত থাকুন, কোন সমস্যা দেখি না। সমস্যা তখনি যখন আপনি বিশ্বাসের শিং দিয়ে গুতো দিতে আসেন। এটা অনভিপ্রেত।
২৯| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৫১
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া কেমন আছো?
দেখতে এলাম তোমার পোস্টের জ্বীন পরীদের অবস্থা কেমন???
কয়েকদিন আগে গোফরান ভাইয়ার পোস্টে দেখেছিলাম ছবি আঁকা ভালো নয়, গান গাওয়া ভালো নয় এসব নাকি মাদ্রাসার বই এ লেখা!!!
এসব বই মনে হয় জ্বীন পরীরা লিখেছে ভাইয়া।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৪৫
শ্রাবণধারা বলেছেন: মোটামুটি ভালো আছি। আপনি কেমন আছেন?
আপনার অতি সুন্দর শেষ পোস্ট "মধুর বসন্ত এসেছে" তে রবীন্দ্রনাথের গানগুলো পড়ে ভাবলাম যে একটা মন্তব্য করি। কদিন ধরে মনের ভিতরে যে গানটা ঘুরছিলো সেটার কথা বলি। কিন্তু দেখি সেখানে বিরাট ক্যাচাল হচ্ছে, তাই আর মন্তব্য করা হলো না। অতি আশ্চর্য যে আপনি আমার পোস্টে এসে সেই কথাটি বলার সুযোগ করে দিলেন!
যে গানের কথা বলতে চেয়েছিলাম সেটা হল "যেতে যেতে একলা পথে/ নিবেছে মোর বাতি। / ঝড় এসেছে, ওরে, এবার/ ঝড়কে পেলেম সাথি।"। মনের ভিতরে ঘুরছিল শুধু এই দুটি লাইন: "যে পথ দিয়ে যেতেছিলেম/ ভুলিয়ে দিল তারে, / আবার কোথা চলতে হবে / গভীর অন্ধকারে।" বহুদিন আগে সুচিত্রা মিত্রের গলায় এই গানটা শুনেছিলাম, যেটা মনের ভিতরে আজও প্রবল ভাবে রয়ে গেছে।
"ছবি আঁকা ভালো নয়, গান গাওয়া ভালো নয়" - এই নিয়ে মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন!!!
৩০| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৫৮
বাউন্ডেলে বলেছেন: লেখক বলেছেন: জ্বীন-পরীতে বিশ্বাসই যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন বাণিজ্যিক ভিত্তিতে এদের কাজে লাগানো।
বিশ্বজুড়ে বানিজ্য চলমান আছে আদি থেকে আজ পর্যন্ত।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:০২
শ্রাবণধারা বলেছেন: হয়তো আছে। আমাদের ইন্দ্রয়গ্রাহ্যতার বাইরে আর কিছু যে নেই, এমন কথা জোর দিয়ে বলতে পারিনা। থাকলে আছে, না থাকলে নেই।
সত্যি বলতে কী, আসলে জ্বীন-পরী সম্পর্কে আমার সরল দৃষ্টিভঙ্গি এটাই - "থাকলে আছে, না থাকলে নেই"। আপনি বিশ্বাস করতে চাইলে কোন আপত্তি নেই। অবিশ্বাসেও নেই আপত্তি।
৩১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৯
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এখানে জ্বীনকে বাণিজ্যিকভাবে কাজে লাগনো হচ্ছে।
আমি ভাবছি জ্বীনের সাহায্যে মিষ্টির ব্যবসা শুরু করবো, আমাদের সারে চুয়াত্তর ভাইকে নাকি জ্বীন মিষ্টি এনে দেয়।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৫৬
শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার পোস্টটা পড়েছিলাম। এই ধরনের ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। তবে আপনার বর্ণিত ঘটনায় টাকার অংকটা অনেক বেশি ছিলো এই যা।
জ্বীন-পরীর সাথে কোন কারনে মিষ্টির একটা সম্পর্ক আছে। জ্বীন-পরীদের বোধহয় ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা নেই। যদি থাকে তাহলে জ্বীন-পরীদের দেশে ইনসুলিন সাপ্লাই দিতে পারেন কী না এটাও ভেবে দেখতে পারেন। মিষ্টির ব্যবসা খারাপ নয় তবে এটা আপনাকে সেলিব্রিটি বানাবে না। জ্বীন-পরীদের দেশে ইনসুলিন সাপ্লাই দিতে পারলে একটা চান্স আছে।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:১২
বিজন রয় বলেছেন: আমি জ্বীন-পরীতে বিশ্বাস নয়, মানুষকে বিশ্বাস করি, শ্রমতে বিশ্বাস করি।
নতুন বছরের শুভেচ্ছা।