নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

...............

শ্রাবণধারা

" আমাদের মতো প্রতিভাহীন লোক ঘরে বসিয়া নানারূপ কল্পনা করে, অবশেষে কার্যক্ষেত্রে নামিয়া ঘাড়ে লাঙল বহিয়া পশ্চাৎ হইতে ল্যাজমলা খাইয়া নতশিরে সহিষ্ণুভাবে প্রাত্যহিক মাটি-ভাঙার কাজ করিয়া সন্ধ্যাবেলায় এক-পেট জাবনা খাইতে পাইলেই সন্তুষ্ট থাকে......."

শ্রাবণধারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা কেন ভোট দেই - দুর্বৃত্তদের ক্ষমতায়নের জন্য?

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৩৬



আমরা কী ভোট দিয়ে আমাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করি, নাকি স্বনির্বাচিত প্রতিনিধিদের ভোট দিয়ে অবাধ দূর্নীতি আর নৈরাজ্যের জন্য মনোনয়ন দান করি? আমার ধারনা এই যে সাধারন মানুষের পক্ষে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করার অনুকূল অবস্থা আমাদের নেই। তারপরও নির্বাচনের দিনে মানুষ রাষ্ট্রের সাথে তার সম্পর্ক উৎযাপনের একটি সুযোগ পেয়ে থাকে।
ভোট দিয়ে আমরা সংসদে প্রতিনিধি পাঠাই। একজন সাংসদ কী ধরনের নীতি নির্ধারণ করবেন ভোট দেওয়ার আগে আমরা কখনো ভেবে দেখি না। আমাদের স্বার্থরক্ষা করে এমন ধরনের বিল সংসদে উত্থাপন করার মত যোগ্যতা সাংসদের আছে কী না এবং লোকটা ক্ষতিকর বা নির্দোষ কী না - এই ধরনের প্রশ্ন আমরা কদাচিৎ করি।

সাংসদ হবার জন্য কী একজনকে অর্থনীতি, আইন বা প্রযুক্তিবিদ্যার মত বিষয়ে দক্ষ হতে হবে, নাকি তাকে একজন সৎ মানুষ এবং সুনাগরিক হতে হবে? তাকে কী একজন হৃদয়বান মানুষ হতে হবে যে প্রান্তিক মানুষের দুঃখ কষ্টকে ধারন করে ও তাদের জন্য কাজ করার তাগিদ অনুভব করে? এসব প্রশ্নের আগে আরও যে প্রশ্নটি জাগে সেটা হল কেন আমরা ভোট দেই।

সমাজের একজন সুবিধাবঞ্চিত মানুষ চাইতে পারেন যে সরকারী সাহায্যের ভাগ যেন তিনি পান। সংসদে কী আইন পাস হলো তাতে তার চিন্তা নেই। দক্ষ মানুষের চেয়ে যে মানুষ তার গম চুরি করে খাবে না বা তার ভাগের কম্বলটা লোপাট করবে না সেই প্রার্থী তার কাছে যোগ্য।

একজন কৃষক চাইবেন জমিতে দেয়ার জন্য সার বা বীজ যেন ন্যায্য দামে কিনতে পারেন। তার পরিশ্রমের উৎবৃত্ত ফসল বিক্রির সময় তিনি যেন না ঠকেন। অসুখ বিসুখে স্বল্প খরচে সরকারী হাসপাতালের বারান্দায় বা মেঝেতে থেকে হলেও চিকিৎসার আশা করতে পারেন তিনি।

শহুরে মধ্যবিত্তের চাওয়ার ধরণ ভিন্ন। তারা জীবনের নিরাপত্তা চান। আইনের শাসন আর সন্তানের সুশিক্ষা চান। পরিবারের সাচ্ছন্দ চান। সরকারি অফিস আদালতে সেবা চান। ব্যাবসা-বাণিজ্য এবং জীবনধারনে উন্নতি চান। তারা চান সরকারি চাকরির নিয়োগ যেন স্বচ্ছ হয়। তাদের সন্তানরা যেন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে মেধার ভিত্তিতে ভর্তি হতে পারেন।

মধ্যবিত্ত চায় যে তাদের সন্তান সুশিক্ষিত হোক কিন্তু আবার বোর্ডের পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হলে সেই প্রশ্নপত্র কিনতে তারা দ্বিধা করেন না। তারা চান সরকারী চাকরিতে নিয়োগ মেধার ভিত্তিতে হোক এবং সচ্ছ হোক। আবার নিজের সন্তানের চাকরির জন্য বহু লক্ষ টাকা ঘুষ দিতে তাদের বিবেক তাড়িত হয় না।

তাই দেখা যায় বাংলাদেশের রাজনীতিতে ধর্মের চেয়ে ধর্মীয় উন্মাদনার ভুমিকা বড়। ধর্মের মুল বিষয় হলো নিজের বিবেকের কাছে সৎ ও স্বচ্ছ থাকা। সেদিকে আমাদের তাগিদ নেই। ভালো মানুষদের আমরা কদাচিৎ ভোট দেই। এর একটা কারণ এই যে আমাদের দেশে ভালো মানুষ মানে অপদার্থ মানুষ । ভালো কিন্তু অপদার্থ মানুষের দ্বারা সমাজের উপকার হয়না। রাজনীতিবিদদের মূল শক্তি অনেক ক্ষেত্রেই অবৈধ অর্থ। লুটপাট নীতির ছাতার তলে দুষ্টের দল যত সহজে একতাবদ্ধ হয়, দলছুট ভালো মানুষের আদর্শবাদী চিন্তা ও শুকনো কথায় জনগনের চিড়া ভিজে না।

ডাকাতদলের লোকের সাথে ক্ষমতার যোগ হলে যে ছায়া অর্থনীতি তৈরি হয় তাতে অনেক লোক খেয়ে পরে বাঁচে। তাই দেখি অর্থ-প্রতিপত্তিহীন ও পেশী শক্তিতে দুর্বল মানুষ ভোটে দাড়ালে তাদের জামানত প্রায়শঃই বাজেয়াপ্ত হয়।

আমাদের মনস্তত্ত্বের স্ববিরোধিতা এবং দ্বিচারিতাকে পেশাজীবী রাজনীতিবিদেরা সহজে স্বকার্যে লাগায়। একজন সৎ এবং সুনাগরিক মানুষ কী করে সুসংগঠিত হবেন এবং আমাদের প্রতিনিধি হবেন যেখানে আমরা নিজেদের সুবিধার জন্য অন্যায় করতে দ্বিধাবোধ করিনা। তাই শঠ এবং ভন্ড রাজীনীতির লোকেরাই আমাদের গণ-প্রতিনিধি হয়ে ওঠে। আমাদের জনপ্রতিনিধি আমরা নির্বাচন করতে পারি না। বরং তারা নিজেরাই সুসংগঠিত ভাবে নিজেদের নির্বাচিত করে। লাঠি বা হাতুড়ি নিয়ে তারা আমাদের চালিত করে এবং গণমানুষের নাম ব্যবহার করে নিজেদের দুষ্কর্মগুলোর স্বীকৃতি আদায় করে।

তাই দেখা যায় ভোট দিয়ে আমরা দুর্নীতিবাজদের আনুষ্ঠানিক ছদ্ম-স্বীকৃতি দেই মাত্র। ভোট দেওয়ার নামে আমরা আদতে কিছু মানুষকে অবাধ দূর্নীতি এবং নৈরাজ্য করার ন্যায্যতা দেই।

মন্তব্য ৫৪ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৫৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৪১

এক চালা টিনের ঘর বলেছেন: Finally :)


Nicely written :)

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৪৩

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। আপনার টেকনিক্যাল এক্সপার্টিজের জন্য বিষয়টির সমাধান হলো।

অনেক ধন্যবাদ বিজন রয় এবং করুনাধারা আপুকে আগের সেই পোস্টে মন্তব্যের জন্য।

২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৪১

মোগল সম্রাট বলেছেন:



২০০১ সালের পর আর কোনদিন ভোট দিতে যাইনি।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৪৪

শ্রাবণধারা বলেছেন: ২০০৮ এর ভোট দেন নি কেন? সেবার খুবই ভালো ভোট হয়েছিলো।

৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৪১

বিজন রয় বলেছেন: এই তো এখন পাওয়া গেল। নতুন করে পোস্ট দিয়ে ভাল করেছেন।

আমরা ভোট দিই কেন?

দেশ চালাতে।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৪৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: দেশ কি এই পোস্টের ঠিক উপরের ছবিটির মানুষগুলো চালায়। না কেউ তাদের প্রতিনিধিত্ব করে।

দেশ চালায় খুবই অন্য ধরণের মানুষেরা। তবে এটার জন্য আমরা অনেকটাই দায়ী।

৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৪৯

মোগল সম্রাট বলেছেন:




২০০৮ সালে আমার একটা নামে মামলা ছিলো একটা। ওয়ারেন্ট থাকায় এলাকায় যেতে পারিনি গ্রেফতারের ভয়ে। ইলেকশনের পর মামলা মামলার জামিন ও ডিসচার্জ হবার পর এলাকায় যাই।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৫৩

শ্রাবণধারা বলেছেন: ওহ। আপনার মত মানুষের নামে মামলা! জেনে অবাক হলাম বৈকি।

ইলেকশনের পরে মামলা মামলার জামিন ও ডিসচার্জ হয়েছিলো জেনে খুশি হলাম।

শুভকামনা রইলো।

৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৫০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে প্রতিটি ভোটারের উচিত তাদের ভোটাধিকার সঠিকভাবে প্রয়োগ করা।
এর কোন বিকল্প নেই।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৫৫

শ্রাবণধারা বলেছেন: রাষ্ট্রের সাথে এই ভোটের ভিতর দিয়ে আমাদের মত প্রান্তিক মানুষদের যা কিছু সম্পর্ক। এই একটা দিনে রাষ্ট্র জনগনের। তার পরদিন থেকেই আর নয়।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৫৯

বিজন রয় বলেছেন: দেশ তো চালার এদের প্রতিনিধি।
কিন্তু সে প্রতিনিধি এরা নির্বাচন করে।

তাই এদর দায়িত্ব বেশি।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:০৩

শ্রাবণধারা বলেছেন: প্রতিনিধিদের আমরা ভোট দিলেও নির্বাচিত করার শক্তি আমাদের সীমিত। সেটাই পোস্টের মূল কথা।

আপনি ভেবে দেখুন আপনার এলাকার জন প্রতিনিধি আপনাকে সত্যিই প্রতিনিধিত্ব করে কী না? আমরা তো মুলত সিলেক্টেড পেশাজীবী রাজনীতিকের মধ্য থেকে এক টি দলকে বেছে নেই। যারা প্রায়শঃই সমাজের ক্ষমতাশীল দুষ্ট লোক।

৭| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৫৯

বিজন রয় বলেছেন: তাই এরা খারাপ হলে প্রতিনিধিও খারাপ হয়।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:০৫

শ্রাবণধারা বলেছেন: হ্যা, আপনার সাথে একমত। আমাদের ভিতর থেকেই এই প্রতিনিধিরা তৈরি হয়। আমরা খারাপ তো প্রতিনিধি খারাপ।

৮| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:০৩

মিরোরডডল বলেছেন:




সাধারণ মানুষ দেখে যে তার জীবনের পজিটিভলি কি পরিবর্তন আসবে, অন্যকিছু নিয়ে ভাবার অবকাশ নেই।
প্রার্থীদের মিষ্টি কথায় ভুলে, ভালো থাকার স্বপ্ন নিয়ে ভোট দেয় আর প্রতারিত হয়।
রাজনীতিবিদরা কথা দিয়ে কথা রাখেনা।


০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:০৮

শ্রাবণধারা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ মিরোরডডল।

হ্যা, সত্যিই তাই। সাধারণ মানুষ আসলে ঠিক কখনই তার প্রতিনিধি কে নির্বাচন করতে পারে না। কেন না একদল দুষ্টদের ভিতর থেকেই আমাদের নির্বাচন করতে হয়। আবার সেই প্রকৃয়া নানা ভাবে ম্যানুপুলেটেড।

৯| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:০৩

নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: আমি ভোট দিতে গেলে, আগে খোঁজ খবর নিই, কোন প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা কী না...
বিএনপি হোক, কিংবা আওয়ামীলীগ, নতুবা জাতীয় পার্টি, দ্বিধাহীন ভাবে উনাকে সিল মেরে দিই..
উনিই বুঝবেন দেশ কতটা স্বাধীন আছে, শান্তিতে আছেন...

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:১১

শ্রাবণধারা বলেছেন: এটা একটি মোটামুটি ভালো মানদন্ড হতে পারে। তবে একজন মুক্তিযোদ্ধা দেশ চালাতে দক্ষ নাও হতে পারেন। আবার তার চরিত্রের খুব বড় পরিবর্তন হতে পারে। তারপরও মুক্তিযোদ্ধা শুনলেই মনে শ্রদ্ধা জাগে, মনে হয় হয়তো তিনি দেশের জন্য ভাল কিছু করবেন।

১০| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:০৫

বিজন রয় বলেছেন: অটঃ আপনি কি আপনার অনেক পোস্ট ড্রাফট বা ডিলিট করেছেন?

আপনার ব্লগে মাত্র ১৬টি পোস্ট আছে।

নাকি গত ১৪ বছরে এই ১৬টি পোস্ট করেছেন?

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:১২

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ প্রশ্নটি করার জন্য। আসলে আমি খুবই কম লিখেছি। ব্যস্ততাও কিছুটা দায়ী এত অল্প লেখার জন্য।

১১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:১৪

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


ভোট দেয়াতে অভ্যস্ত তাই ভোট দেই,সিস্টেম যে অবস্থায় থাকুক না কেন।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৩৪

শ্রাবণধারা বলেছেন: এই একটা দিনে আমারা রাষ্ট্রের উপর নিয়ন্ত্রন পাই, হোক সেটা ছদ্ম নিয়ন্ত্রন। তাই যে কোন অবস্থায় বা পরিস্থিতিতে হলেও আমাদের ভোট দেওয়া উচিত।

অনেক ধন্যবাদ।

১২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:২৮

কামাল১৮ বলেছেন: শেষ লাইনটা মন কেড়েছে।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৩৫

শ্রাবণধারা বলেছেন: শেষ লাইনটা মন কেড়েছে জেনে আপ্লুত।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৩২

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: দু:খের বিষয় মাত্র একটি সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে পেরেছিলাম। ২৮ বছর আর ভোট দিতে পারিনি। কিন্তু ভোটের প্রক্রিয়াটা কেমন জানি উল্টে গেছে!

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৩৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: ভোটের প্রক্রিয়াটা সত্যিই উল্টে গেছে।

সুষ্ঠু নির্বাচন হলে একটা দিনের জন্য হলেও মানুষ কিছুটা ক্ষমতাবান হয়।

১৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:২১

শেরজা তপন বলেছেন: আমার এখানে যতগুলো প্রার্থী তাঁর একজনও এমপি হবার যোগ্য নন! তবুও এদের মধ্য থেকে কাউকে ভোট দিতে হবে।
না দিলে কি হবে -তবুও হবে কেউ কিন্তু আমার ইজ্জত যাবে। বাইরে বেরুলেই আমার আঙুলে অনেকে কালি খুজবে!!

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৩১

শ্রাবণধারা বলেছেন: "শেরজা তপন বলেছেন: আমার এখানে যতগুলো প্রার্থী তাঁর একজনও এমপি হবার যোগ্য নন! তবুও এদের মধ্য থেকে কাউকে ভোট দিতে হবে।"

এই পর্যবেক্ষনটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন। তার মানে আমরা আসলে আমাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারি না!

১৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:২১

শেরজা তপন বলেছেন: বলা হয়নি ভাই, লেখা ভাল হয়েছে।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৩১

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার পূর্বের মন্তব্যটিও অনেক ভালো ছিলো।

১৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:২৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

তবু তো আমরা ভোট দেই।
অপেক্ষাকৃত কম দুষ্কৃতিকারীকে আমরা ভোট দেই।
ভালো মানুষকে আমি আপনি বা কেউ ভোট দেয় না। যদি দিত তাইলে এত এত ভালো মানুষদের জামানত বাজেয়াপ্ত হইতো না।
২০০৮ নির্বাচনে অনেক ভালো মানুষ ছিল কিন্তু ভোট পেয়েছে বিএনপি'র বা আওয়ামী লীগ। জামাত নেতারা সবাই পরাজিত হয়েছিল। খেতে বোঝা যায় মানুষ অপেক্ষাকৃত ভালো মানুষকে ভোট দিয়েছিল তখন।

২০০৮ এর তত্ত্বাবধায়ক সরকার অব্যাহত রাখতে 'না ভোট' এর অপশন চালু ছিল। এটা রাখা হয়েছিল তথাকথিত নির্বাচন বিমুখ ভালো মানুষদের জন্য। কিন্তু সেই ভালো নির্বাচনেও 'না' ভোটের
বাক্সটি খালি ছিল।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:১৯

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার কথাগুলো নিদারুন ভাবে সত্য। ভোটারদের মনস্তত্ব বোঝার জন্য আপনার বক্তব্যটি গুরুত্বপূর্ন। কেন আমরা ভাল মানুষদের ভোট দেই না? কারণটা হলো আমাদের দেশে ভাল মানুষ মানে অপদার্থ মানুষ। অপদার্থ ভালো মানুষের দ্বারা কারো কোন উপকার হয়না। বড় দুই দলের রাজনীতির মূল প্রেরণা শক্তি এবং জ্বালানী হলো হরিলুটের অবৈধ অর্থ। বড় দুই লুটপাট নীতির ছাতার তলে যত দুষ্টের দল একতা বদ্ধ হয়, দলবিহীন ভালো মানুষের আদর্শবাদী শুকনো কথায় চিড়া ভিজে না।

আবার, একজন বড় ডাকাত বা ড্রাগডিলারের সাথে ক্ষমতার যোগ হলে যে আন্ডারগ্রাউন্ড অর্থনীতি বা ছায়া অর্থনীতি তৈরি হয় সেটার ফলে অনেক খারাপ মানুষ এমন কি ভালো মানুষেরও উপকার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কখনো কখনো একদল দুষ্কৃতিকারীদের শাস্তি দেবার জন্য আরেকদল দুষ্কৃতিকারীদের ক্ষমতায়নেরও প্রয়োজন হয় বৈকি।

১৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

অপু তানভীর বলেছেন: সংসদে নির্বাচিত হওয়ার সব থেকে বড় যোগ্যতা হচ্ছে তাকে জনগনের ভোটে নির্বাচিত হতে আসতে হবে । এবং সেই নির্বাচন হতে হবে সঠিক সুষ্ঠ । এটা যদি না হয় তাহলে সেই সাংসদ যতই সৎ যতই ভাল হোক তাকে কিছুই যায় আসে না । ক্ষমতা পাইলে কেউ সৎ থাকে না ।
ক্ষমতা খুবই ভয়ংকর একটা ব্যাপার । একবার যদি কারো হাতে ক্ষমতা আসে এবং সে যদি জানে তাকে আর কোন ভাবেই কেউ সেই ক্ষমতা থেকে হটাতে পারবে না, তার কার্যক্রমের জন্য কোন জবাবদীহিতা কারো কাছে করতে হবে না তাহলে সে যতই সৎ আর ভালো মানুষ হোক, সেটা বজার রাখা তার পক্ষে সম্ভব না । আমাদের দেশের মানুষের বেলাতে তো আরও নয় ।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৩১

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার সাথে প্রায় একমত। জনগনের ভোটে নির্বাচিত হবার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু এই পদ্ধতিটাকে পেশাজীবী রাজনীতিবিদেরা ম্যানুপুলেট করে।

একটা দেশের মধ্যবিত্ত সমাজ যখন নৈতিকতা শুন্য হয় তখন এই ম্যানুপলেশন সহজ হয়ে যায়। দেশটা একটা পুলিশি দেশে পরিনত হয় আর জনপ্রতিনিধিরা শোষক হয়ে ওঠে।

১৮| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৪২

ফিনিক্স পাখির জীবন বলেছেন: আমাদের এম পি- মন্ত্রীদের দেখলেই বোঝা যায় আমরা বাংলাদেশীরা আসলে কেমন!
আমরা নিজেরাই নিজেদের বিক্রি করে দিয়েছি বহু বহু আগে; অন্ধ সমর্থন, স্বার্থপরতা আর অসততার কাছে।
এর মধ্যেই ধুকে ধুকে মরব, এটাই এখন আমাদের নিয়তি।
এটা থেকে মুক্তি নাই।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:০৫

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার সবগুলো কথা অতি অপ্রিয় সত্য।

আমাদের নিয়তিকে আমরাই তৈরি করি। জানিনা কবে কিভাবে আমরা এখান থেকে বের হতে পারবো। তবে সেই পথ আমাদের খুজে পেতেই হবে।

১৯| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৪৩

অপু তানভীর বলেছেন: যখনই সুষ্ঠ ভোটের কথা ওঠে দলকানাদের কথা তো বাদই দিলাম, কিছু সুশীল এসে হাজির হয় এই বক্তব্য নিয়ে যে ওমুক দল কী কম অন্যায় করে, কম পাপ করে !
এই বলদ গুলোর এইটা বোঝে না যে যখন একজন জনগনের ভোটে নির্বাচিত না হয় তখন তার জন গনের প্রতি কোন দায়বদ্ধতা থাকে না, কোন জবাবদীহিতা থাকে না আর এই দায়বদ্ধতা না থাকাটা একটা দেশের জন্য সব থেকে ভয়ংকর ব্যাপার ! দেশের নাগরিকের যদি ভোট দিয়ে নিজের ইচ্ছেমত নেতা নির্বাচনের ক্ষমতা না থাকে তাহলে তাদের আসলে কোন ক্ষমতাই থাকে না । তারা দেশের জনগন থাকে না, তারা হয়ে যার প্রজা !

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:০৮

শ্রাবণধারা বলেছেন: দায়বদ্ধতা না থাকলে জবাবদীহিতাও থাকে না। একেবারে সঠিক কথা।

এই মুহূর্তে আমাদের কোন ক্ষমতাই আসলে নেই, কিভাবে আমরা সেটা ফিরিয়ে নিয়ে আসবো জানা নেই। তবে সেটাকে আমাদের খুঁজে বের করতে হবে এটা অনুভব করি।

২০| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:০৫

নতুন বলেছেন: তাই দেখা যায় ভোট দিয়ে আমরা দুর্নীতিবাজদের আনুষ্ঠানিক ছদ্ম-স্বীকৃতি দেই মাত্র। ভোট দেওয়ার নামে আমরা আদতে কিছু মানুষকে অবাধ দূর্নীতি এবং নৈরাজ্য করার ন্যায্যতা দেই।

বর্তমানে আয়ামীলীগ সরকার গঠন করবে। তার জন্য নির্বাচন দেখানো দরকার তাই আজ দেখানো হবে যে জনগনের ভোটে নিবার্চিত সরকার তাদের।

আজ জনগন আয়ামীলীগের জন্য একটা নাটকে অংশগ্রহন করছে মাত্র।

আরেকটা জিনিস হইলো আমাদের দেশের মানুষরাই সার্থসিদ্ধির জন্য ভালো মানুষকে নির্বাচিত করেনা।

ইউরোপের গনতান্তিক দেশগুলির ইতিহাস দেখা দরকার তারা কিভাবে জনগনের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেছে। ঐখানে তো জনগনকে কেউ বাধ্য করেনা বা করতে পারেনা।

তারা আজকের এই অবস্থায় কিভাবে এলো?

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:১৩

শ্রাবণধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

"আজ জনগন আয়ামীলীগের জন্য একটা নাটকে অংশগ্রহন করছে মাত্র।" একেবারে সঠিক। তবে যারা নাটকে অংশ না নিয়ে ছুটিতে বেড়াতে গেছে তারাও কিন্তু আদতে নাটকের অংশই হয়ে গেছে। জনগন থাকুক না থাকুক নাটক হবেই কেন না ক্ষমতার লাটাই আমাদের হাতে নেই।

ইউরোপের দেশগুলি তো বটেই ভারতেও জনগনের ভোটাধিকার নিশ্চিত হয়েছে। জানি না কবে আমরা ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য জাতি হিসেবে প্রস্তুত হবো।

২১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৪০

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: দেখুন দুষ্কর্ম করে এমন লোক সব দলেই আছে। তবে তুলনা মূলক ভাবে দুষ্কৃতকারী বর্তমানে মৌলবাদী দলগুলোর মাঝে বেশী বিদ্যমান। যেহেতু সমাজে ধর্মীয় গোঁড়ামি ও মগগড়া ফতুয়বাজী কায়েম করতে চাওয়া দলগুলো যেকোন মুল্যে নারীদের গৃহ বন্দী করে রাখতে চায়, দেশকে কথিত ইসলামি রাষ্ট বানাতে চায়, বাংলাদেশকে পাকিস্তান - আফঘানিস্থান এর মতো জঙ্গি রাষ্ট বানাতেচ চায়, সেহেতু আমার মনে হয় বিএনপি -জামাতের চেয়ে আওয়ামী লীগ ভালো।


যদিও মৌলবাদী গোষ্ঠী প্রচার করে আওয়ামী লীগ নাস্তিক দের দল, তা সত্য নয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একজন ইসলাম ধর্মাবলম্বী। তিনি নামাজ আদায় করেন ও নামাজ কায়েম করার জন্য প্রতিটি পৌরসভায় আধুনিক মডেল মসজিদ বানিয়েছেন।


তাই আমি মনে করি আওয়ামী লীগ এর আজন্ম এদেশে ক্ষমতায় থাকা উচিৎ।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৪৩

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার বক্তব্যের সাথে সম্পূর্ণ না হলেও অনেকাংশে একমত।

তবে এই পোস্টের উদ্দেশ্য বড় দুই রাজনৈতিক দলের তুলনা নয় বরং ভোটারদের মনস্তত্ত্বকে বোঝার চেষ্টা করা।

সন্দেহ নেই অধিকাংশ মানদণ্ডে আওয়ামী লীগ মন্দের ভালো। তবে "মন্দের ভালো" মানে কিন্তু মন্দই। আসলে আমরাই যে মন্দ - আমাদের প্রতিনিধিরা তো কেউ স্বর্গ থেকে আসা কোন মানুষ নয়!

২২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৩০

আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: অনেকদিন পর সামুতে অসাধারণ একটা পোষ্ট পড়লাম। ঠান্ডা মাথায়, বিচার বিশ্লেষণ করে আমজনতার মনের কথা লিখেছেন।

এক জায়গায় সব পলিটিশিয়ানরা সমানভাবে সাকসেসফুল। সেটা হল, দেশের মানুষকে কনফিউজড করা। ঘুরে ফিরে একই গল্প বার বার বলা, ম্যানিপুলেটিভ কথাবার্তা বলা। আমরা সেগুলো শুনতে শুনে এতই অভ্যস্ত যে বার বার না শুনলে ঘুম হয় না। শুনে যাই, আর বলে যাই, ঘুরে ফিরে সেই একই কথাবার্তা।

৭ জানুয়ারী ২০২৪। এই বিশেষ দিনটির বিশেষ একটা দিক রয়েছে। কমেডি। ক্যালেন্ডারে বিশ্ব হাসি দিবস আছে। 05 May: World Laughter Day.

দেখা যাক, ওয়ার্ল্ড কমেডি ডে হিসেবে ক্যালেন্ডারে ৭ জানুয়ারী স্থান পায় কিনা।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৩৫

শ্রাবণধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আফলাতুন হায়দার চৌধুরী।

নিজে একজন আমজনতা হিসেবে চেষ্টা করেছি আমজনতার মনের কথা লিখতে। তবে আরেকটি চেষ্টা ছিলো আমাদের ভোটের মনস্তত্ত্বকে ব্যাখ্যা করতেই। জানিনা সে চেষ্টা আদৌ সফল হয়েছে কী না।

হ্যা আমাদের পলিটিশিয়ানরা দারুনভাবে সফল! আর জনগন দারুনভাবে ব্যর্থ।

ভোটের এই বিশেষ দিনটিকে কমেডি ডে হিসেবে বিবেচনা করা যেতেই পারে তবে এই কমেডির ভিতরে নিদারুন বঞ্চনা আর হতাশা লুকানো আছে।

২৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:০৬

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: সবকিছু যুক্তিপুর্ণ এবং দারুণ ভাবে সব ফুঁটিয়ে তুলেছেন, আসলে এখানে আমার তেমন কিছু বলার নেই।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৪০

শ্রাবণধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। তবে কিছু বললে আরো ভালো হতো। দেখুন উপরে আমাদের হাসান কালবৈশাখী ভাই কত চমৎকার মন্তব্য করেছেন। মূলত তিনি ভালো মানুষদের জামানত বাজেয়াপ্তের প্রসঙ্গটি উপস্থাপন করায় আমি এই পোস্টটিকে আরেকটু আপডেট করার সুযোগ পেয়েছি।

২৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৪১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আফসোস।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৪৭

শ্রাবণধারা বলেছেন: "আফসোস", "আচানক ঘটনা" এই দুটি শব্দগুচ্ছের ভিতরে আপনি আপনার চিন্তাকে বেঁধে রেখেছেন। শব্দগুলো ব্যবহার করা বন্ধ করুন, দেখবেন চিন্তাগুলো মুক্তি পাবে, বের হয়ে আসবে।

২৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের ভুলে যাওয়া রোগ আছে।
এজন্য আমরা ভোট দেই।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:১৭

শ্রাবণধারা বলেছেন: হতে পারে। তবে ভোট দেয়ার ভিতরে আমরা আদর্শিকভাবে নির্বাচন করি, নিজের পছন্দকে প্রকাশ করি। আবার জনগন হিসেবে আমাদের যে কিছুটা হলেও মূল্য আছে সেই অনুভুতি লাভ করার একটা সুযোগ পাই।

গনতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ব্যক্তি মানুষের মূল্য আছে, অন্য কোন ব্যবস্থায় যেটা প্রায় নেই- এটা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ন মনে হয়।

২৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:২২

সোনাগাজী বলেছেন:


একজন সাংসদের দায়িত্ব হলো, সারা দেশের সকল শ্রেণীর মানুষের জীবনকে সুখী ও স্বচ্চল করার জন্য আইন প্রনয়ন; যেই সাংসদ আজকের বিশ্ব ও নিজের জাতিকে সঠিকভাবে বুঝতে পারবেন, সেইজনই সঠিক আইনের প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করবেন ও প্রনয়ন করার জন্য ব্যবস্হা নেবেন।।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:২৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনি এই বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন সময়ে লিখেছেন।

আমাদের জনগনের কথা বাদ দিলাম, সাংসদদের মধ্যেও এই ধারনাটি বোধহয় খুব বেশি নেই যে তাকে সংসদে বিল উত্থাপন করতে হবে এবং জনবান্ধব আইন প্রনয়ন করার জন্য কাজ করতে হবে।

কেউ যখন অনেক টাকা-পয়সা খরচ করে দলের নমিনেশন পেয়ে সাংসদ হয়, তখন তার মূল লক্ষ্য থাকে কিভাবে স্বল্প সময়ে কয়েক শত বা কয়েক হাজার কোটি টাকা চুরি করা যাবে।

কদিন আগে এক ভদ্রলোক কথা প্রসঙ্গে বললেন যে, ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান এমপি হয়েছেন - তার লক্ষ্যই হয়তো ক্ষমতা ব্যবহার করে কয়েক হাজার কোটি টাকা বানানো! সাকিব আল হাসানের মত একজন পরিশ্রমী ক্রিকেটারের লক্ষ্য যদি এই হয়, তাহলে ড্রাগ-ডিলার, দাগী সন্ত্রাসী বা শেয়ার মার্কেটের জালিয়াতেরা এমপি হয়ে দেশকে সম্পূর্ন ধংসের জন্য কাজ করবে এটা ধরে নেওয়া যায়।

২৭| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৪:২০

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: গনতন্ত্রকে সঠিক পথে চালিত করার জন্য ভোটের কোন বিকল্প নাই ।
....................................................................................................
উদাহরন আমাদের চোখের সামনে ।
শতবাধার পরও পাকিস্হানে একমাত্র ভোট প্রয়োগের কারনে এখনও ন্যায় যুদ্ধ চলছে ।
আমাদের দেশে বিরোধী দলের বুদ্বিদীপ্ত নেতার অভাবের কারনে গনতন্ত্রর
যুদ্ধটা দেখতে পারলাম না ।
বিদেশীরা এসে কোনদিনই আমাদের গনতন্ত্র শেখাবে না ।
ইতিহাস বলে তারা সবসমই ঘোলা পানিতে শিকার করতে অভ্যস্ত ।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৪:২৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার সবকটি কথাই সঠিক। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে হলো শেষের লাইন দুটি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.