নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

...............

শ্রাবণধারা

" আমাদের মতো প্রতিভাহীন লোক ঘরে বসিয়া নানারূপ কল্পনা করে, অবশেষে কার্যক্ষেত্রে নামিয়া ঘাড়ে লাঙল বহিয়া পশ্চাৎ হইতে ল্যাজমলা খাইয়া নতশিরে সহিষ্ণুভাবে প্রাত্যহিক মাটি-ভাঙার কাজ করিয়া সন্ধ্যাবেলায় এক-পেট জাবনা খাইতে পাইলেই সন্তুষ্ট থাকে......."

শ্রাবণধারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আধ্যাত্মিক, আধিদৈবিক ও আধিভৌতিক তিনটি ঘটনা - ১

২৪ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:৫৪



রবীন্দ্রনাথের "ক্ষুধিত পাষাণ" বলে একটা অতি চমৎকার গল্প আছে। গল্পটির পটভূমি দ্বিতীয় মাহমুদ শাহের আমলের (১৪৮৯-১৪৯০) একটা অভিশপ্ত প্রাসাদ। সেই প্রাসাদে কেউ রাত্রি যাপন করলে তার গভীর হ্যালুসিনেশন হয়। সে এমন এক হ্যালুসিনেশন যেখানে মানুষ তিনশো বছর আগের একটা সময়ে চলে যায়। প্রাসাদে কোন এক সময়ে অপূর্ব সুন্দরী এক পারস্য তরুণী সখী এবং দাস-দাসী পরিবৃত্ত হয়ে থাকতো। কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত সেই তরুণী অসীম ঐশ্বর্যের অনন্ত কারাগারে বন্দিনী হয়ে ছিলেন। আর তার অভিশাপ লেখা হয়েছিল প্রাসাদের দেয়ালে দেয়ালে। গল্পের শেষে লেখক বলছেন যে, খুব সম্ভবত গল্পটা আগাগোড়া বানানো।

আমার এই গল্পটা বানানো নয়, যদিও গল্পে কিছু রহস্য আছে। পৃথিবী রহস্যময়, এখানে কত বিচিত্র ঘটনা ঘটে! গোলাপের পাপড়ির মত যদি ঘটনার সবগুলো পাপড়ি খুলে খুলে দেখা যেত, তাহলে হয়ত দেখতাম যে কোন রহস্য নেই। কিন্তু জীবনের ক্ষেত্রে তা হয়না। মানুষের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা আছে। হ্যামলেটে শেক্সপীয়ারের সেই অমিয় বানী "দর্শন ও বিজ্ঞানের দৃষ্টিসীমার বাইরে স্বর্গ ও পৃথিবীতে আরো বহু কিছু আছে, হোরাসিও"!

ঘটনাটি পিতার কাছে খুব ছোটবেলায় শোনা। পিতার কর্মস্থল তখন রংপুরে। ঘটনাটি সে শহরের জামে মসজিদের ইমাম সাহেব কে নিয়ে। সম্ভবত স্বাধীনতার অল্প কিছু সময় পরের ঘটনা। এই ইমাম সাহেব তার ধর্মপরায়ণতা এবং সদগুণাবলির জন্য বিখ্যাত ছিলেন। ইমাম সাহেব বৃদ্ধ বয়সে যখন অসুস্থ তখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হল তার জানাজার নামাজ পড়ানোর দায়িত্ব তিনি কাকে দিয়ে যেতে চান। উত্তরে তিনি যার নাম বললেন সে নাম শুনে সকলেই চমকে গেলেন। লোকটি অতি ছোট কাজ করেন। সামাজিক মান মর্যাদায় তার অবস্থান একেবারেই নিচে। শহরে খুব কম লোকই তাকে চেনেন। যারা চেনেন তারা তাকে পাঙ্খাওয়ালা বা পাখাওয়ালা নামে ডাকেন। সকলেই অবাক হলো যে সেই পাখাওয়ালা এতটা ধর্মপরায়ণ ছিলেন যে ইমাম সাহেব তাকে নিজের জানাজা পড়ানোর জন্য ঠিক করেছেন।

সে সময়ে সরকারী অফিসগুলোতে টানা পাখা চালাতেন এমন এক অতি তুচ্ছ পেশাজীবী লোক ছিলেন। রংপুরের মত ছোট শহরে বিচারপতি বা ডিসি সাহেবের মাথার উপরে এই ধরনের টানা পাখাগুলো চলতো। বড় কাঠের ফ্রেমে লাল রঙের কাপড় দিয়ে তৈরি পাখাগুলো সিলিংয়ের সাথে ঝোলানো থাকতো। সেই কাপড়ের পাখাটি নীচের দিকের একটা অংশ দড়ি দিয়ে যুক্ত করে টান দিয়ে দিয়ে বাতাস করা হতো। যে লোকটি দড়ি টানার কাজটি করতেন তাকে অফিস কক্ষে বসতে দেওয়া হতো না। তিনি বাইরের বারান্দায় বা ছোট কোন ঘরে বসে পরিশ্রমের কাজটি করতেন।

ইমাম সাহেব মারা গেলেন আরও কিছুদিন পরে। তিনি যখন মারা গেলেন তখন সেই পাখাওয়ালার কথা কারো মনে রইলো না। জামে মসজিদের যিনি অতিরিক্ত ইমাম স্বাভাবিক ভাবে তিনিই বড় ইমামের জানাজায় ইমামতি করবেন এমনটা সকলে ধরে নিলেন। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে তার জানাজার দিনে ঠিক সময়ে সেই পাখাওয়ালা উপস্থিত হলেন। ইমাম সাহেবের জানাজার নামাজ সেই পাখাওয়ালাই পরিচালনা করলেন।

কিন্তু পরদিন থেকে রংপুর শহরে পাখাওয়ালাকে আর দেখা গেল না। তিনি দূরে কোথাও চলে গিয়েছিলেন। কারণ পাখাওয়ালার বাইরে তার যে আরেকটি পরিচয় আছে সেটি তখন প্রকাশ হয়ে গিয়েছিল। তাই তাকে অন্য কোথাও চলে যেতে হয়েছিল।

মন্তব্য ৫২ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৫২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:২৯

মিরোরডডল বলেছেন:




তফাত যাও! সব ঝুট হ্যায়, সব ঝুট হ্যায়।

সত্যি বলি, ক্ষুধিত পাষাণ ভয়ের, আমি ভয় পেয়েছিলাম।
জানি কল্পনা, তারপরও ভয়ের।

২৪ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: ক্ষুধিত পাষাণের চেয়ে কঙ্কাল আরও বেশি ভয়ের!!! ক্ষুধিত পাষাণ সম্ভবত রবীন্দ্রনাথের সেরা গল্পগুলোর একটা - এই গল্পের ভাষা, বর্ণনা অপূর্ব!

সবটাই কী কল্পনা? আমাদের গল্পগুলো কি আমাদের ঘরের দেয়ালে একটুও লেখা হয়না???

মনে আছে সেই থিয়সফিস্ট আত্মীয়টির কথা? "আমি বলিলাম লোকটা আমাদিগকে বোকার মতো দেখিয়া কৌতুক করিয়া ঠকাইয়া গেল; গল্পটা আগাগোড়া বানানো। এই তর্কের উপলক্ষে আমার থিয়সফিস্ট আত্মীয়টির সহিত আমার জন্মের মতো বিচ্ছেদ ঘটিয়া গেছে।"

২| ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩

মিরোরডডল বলেছেন:




পাখাওয়ালার ঘটনা ভয়ের কিছুনা।
ইমাম কখনও হয়তো তাকে বলে গিয়েছিলো তার ইচ্ছার কথা, জানাজা পড়াবার কথা।
লোকমুখে ইমাম সাহেবের মৃত্যুর খবর পেয়ে উনি এসেছেন সেই ইচ্ছা পূরণ করতে।

এখানে আধিভৌতিক কি আছে!!!

নাহ হলো না শ্রাবণ, ভয়ের কিছু চাই।
গা ছম ছম করবে, রাতে ঘুমাতে পারবো না এরকম ভয়ের কিছু :)

২৪ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:৪০

শ্রাবণধারা বলেছেন: এই তো চমৎকার ব্যাখ্যা।

তবে আরেকটি কথা আছে। সেটা হলো সেই ইমাম আর পাখাওয়ালার ভীতরে একটি আধ্যাত্বিক সখ্যতা আছে! তারা দুজনই কোন এক সাধনার স্থানে অতি উচ্চাঙ্গের মানুষ ছিলেন, অন্য মানুষেরা যার গভীরতা সম্পর্কে অসচেতন।

৩| ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৩

মিরোরডডল বলেছেন:




নাহ সম্পূর্ণ কল্পনা না। জীবনে ঘটে যাওয়া ছোট রহস্যময় ঘটনা আর কল্পনার সংমিশ্রণ।

এটা বিলিভ করি আমাদের ব্যক্তিজীবনে অনেক সময় এমন ঘটনা ঘটে যেটার হয়তো লজিক্যাল কারণ আছে কিন্তু আমরা সেটা সঠিক জানিনা, তাই রহস্য থেকেই যায়। সবকিছুর হয়তো এক্সপ্ল্যানেশন হয়না।


২৪ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

শ্রাবণধারা বলেছেন: এখন আলোচনাটা কৌতুহলোদ্দীপক হচ্ছে। আমিও ঠিক এভাবেই ভাবি যে ঘটনাগুলোর যৌক্তিক কারণ আছে কিন্তু আমরা সেটা সব সময় জানিনা, কিছু তথ্য উপাত্ত আমাদের বিশ্লেষণের বাইরে থাকে বলেই রহস্যময় মনে হয়। তারপরও জগৎ রহস্যময়। অনেকদিন পাহাড় বা প্রকৃতির মধ্যে থাকলে সেই রহস্যগুলো আমাদের মনে ধরা পড়ে।

বিভূতিভূষণের দৃষ্টিপ্রদীপের জিতুর ঘটনাগুলো আপনার কাছে কী মনে হয়? পুরোটাই বানানো?

৪| ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৯

মিরোরডডল বলেছেন:




আধ্যাত্বিক সখ্যতা ছিলো বা অতি উচ্চাঙ্গের মানুষ ছিলো হয়তো এরকম কিছু না।
গল্পটা হতে পারে খুব সাধারণ।
সবাই তাকে শুধু একজন অতি তুচ্ছ পাখাওয়ালা হিসেবেই দেখতো।
সমাজের নিচু শ্রেণীর মান মর্যাদা নেই এরকম কেউ।

ইমাম ক্লোজলি তাকে দেখেছে, মানুষ হসেবে সে হয়তো খুব সহজ সরল ইনোসেন্ট।
আমাদের সমাজে একজন পরিশুদ্ধ মানুষ পাওয়া কঠিন।
তাই হয়তো ইমাম চেয়েছিলো পাখাওয়ালার মতো একজন নিষ্কলুষ কণ্টকহীন পরিশুদ্ধ মানব তার জানাজা পড়াবে।


২৪ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:০৪

শ্রাবণধারা বলেছেন: এটি অনেক চমৎকার ব্যাখ্যা মিরোরডডল। এমনটি হওয়া বেশ যুক্তিযুক্ত। পাখাওয়ালাকে জানাজা পড়ানোর দায়িত্ব দেবার পেছনে একজন ভালোমানুষ হওয়াটাই যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ কারণ হয়ে থাকতে পারে। এখানে আধ্যাত্বিকতা খোঁজা অপ্রাসঙ্গিক হয়ে থাকতে পারে।

আবার এমন হতে পারে যে, পাখাওয়ালার শহর ছেড়ে যাবার ঘটনাটি হয়তো জানাজা পড়ানোর সাথে একেবারে সম্পর্কিত নয়।

৫| ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:০৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: জীবনে ভূত বা শয়তান দেখার অনেক চেষ্টা করেছি। গভীর রাতে কবরের পাশ দিয়ে হেঁটে গেছি, যদি কিছু একটা ঘটে। কিন্তু ঘটে নি। ভুতের 'আগুনের পেয়ালা' বা আগুনের হাঁড়ি আকাশে ওড়ার কথা অনেক শুনতাম। তো, দুইবার সেটা দেখেছি। ব্যাপারটা এত তুচ্ছ বা মামুলি, বিজ্ঞানের ছাত্র মাত্রই তা বুঝবেন। লৌকিক বা অলৌকিক ঘটনাবলি নিয়ে ব্লগে আমার দীর্ঘ সিরিজ আছে। কেউ দেখতে বা পড়তে চাইলে এখানে যেতে পারেন।

কিন্তু একটা ঘটনা আমার জীবনে রহস্যময় রয়ে গেছে, যার সমাধান আজও পাই নি। এক অদ্ভুত জাদুকরের কথা

আমার শ্বশুরের মৃত্যুর ঘটনাটাও অদ্ভুত বা অলৌকিক। আমার স্ত্রী বর্ণনা করেন এভাবে - আমার অসুস্থ শ্বশুর বিছানায় শোয়া। তিনি বাড়িতে উপস্থিত সবাইকে ডাকলেন। আমার বাবাও সেখানে গিয়েছিলেন তাকে দেখতে। তিনি সামনে উপবিষ্ট সবার সাথে একে একে কথা বললেন, তাকে মাফ করে দিতে বললেন। সর্বশেষ ব্যক্তির সাথে কথা বলা শেষ হলে তিনি 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু' বলে শেষ নিশ্বাস ছাড়লেন। এটি আমাকে ভাবায়।

পাঙ্খাওয়ালার ঘটনাটা সত্যিই অলৌকিক মনে হচ্ছে আমার কাছে। তবে, আপনার লাস্ট লাইনের অর্থ বুঝি নাই - পাঙ্খাওয়ালার বাইরে তার আরেকটি পরিচয় প্রকাশ পেয়েছিল - সেটি কোন পরিচয়? তিনি যে অন্য কোথাও চলে গেলেন, আর কি ফিরে আসেন নি?

পৃথিবীতে ভুত-প্রেত বলে কিছু নেই, এটা বিশ্বাস করতে করতে যখন ধর্মীয়ভাবে চিন্তা করি, তখন জিনের অস্তিত্বে বিশ্বাস করার প্রশ্ন চলে আসে। জিনে বিশ্বাস করলে ভুতে কি অবিশ্বাস করা যাবে?

আপনার পোস্টটি খুব আগ্রহোদ্দীপক। লিখেছেন ভালো।

২৪ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:১২

শ্রাবণধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই।

পাখাওয়ালার শহর ছেড়ে যাবার পেছনে তার আরেকটি পরিচয় প্রকাশ পেয়ে যাওয়া বলতে আমি তার ধার্মিক বা আধ্যাত্মিক চরিত্র প্রকাশ হয়ে যাওয়াকে বুঝিয়েছি। হয়ত পাখাওয়ালা চাননি যে কেউ তাকে বিশিষ্ট লোক হিসেবে চিনুক। এতে অনেক সময় সাধকের কাজে অনর্থক বিঘ্ন ঘটে।

আর ভুত-প্রেতের ঘটনাটি প্রথমে উল্লেখ করে মনে হয় আমি লেখাটাকে একটু নিচে নামিয়েছি। আসলে ভূতপ্রেত নয়, যে কোন বিষয় খোলা মন দিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করা জরুরি এটা বোঝাতে গিয়ে আমি প্রসঙ্গটি উল্লেখ করেছি।

৬| ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:১১

BM Khalid Hasan বলেছেন: আমার পরিচিত বেশ কিছু লোকও বলে তারা এমন কিছু মানুষকে (!) পেয়েছে যারা হুট করে এসে হুট করে চলে গিয়েছে। আবার অনেকে শুধুমাত্র বিশেষ ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এটেন্ড করতে দেখেছে। আর্লি ২০০০ পর্যন্ত অহরহ মুরুব্বিদের কাছে ঘটননাগুলো শুনতাম।

২৪ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:১৫

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ।

আজগুবি গল্পগুলো মুরুব্বিদের কাছে বেশ শোনা যায় । তবে দুএকটি গল্পে কিছু মণিমুক্তোও থাকে বটে।

৭| ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:১৩

মিরোরডডল বলেছেন:




ঘটনা দুই তিনের জন্য আবার অপেক্ষা করানো কেনো!
এই পোষ্টে দিয়ে দিলে হতো।
অপেক্ষার ধৈর্য যে নেই 8-|

২৪ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:১৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মিরোরডডল।

আশা করি খুব তাড়াতাড়ি বাকি ঘটনাগুলো লিখে ফেলতে পারবো। ঘটনাগুলো খুব বেশি বড় নয়।

৮| ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:২৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমার বড় ভাই আর মেঝ ভাই রাতে মাছ ধরতে গেলেন টেটা দিয়ে। মাছ ধরে তারা খলিতে রাখছিলেন। অনেক মাছ পাওয়ার পর তারা বাড়ীতে এসে দেখেন খলিতে কোন মাছ নেই।

২৪ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:২১

শ্রাবণধারা বলেছেন: বলেন কী, মাছগুলো সব গেল কোথায়? সেই খলির নিচে কোন ফুটো-টুটো ছিল না তো?

আবার ধরুন মাছ ধরে বাড়ি ফেরার সময় তারা যখন প্রাতঃকালীন কর্ম সারার জন্য একটু দূরে খলি রেখে গিয়েছিলেন তখন বেড়াল বা অন্য কোন প্রাণী এসে মাছ গুলো খেয়ে ফেলেনি তো?

৯| ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:০৬

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আল্লাহ তাআলার ইচ্ছেতেই এমন হতে পারে

২৪ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৪১

শ্রাবণধারা বলেছেন: হ্যা, তা অবশ্যই। তবে তিনি সব কিছু একটা নিয়মের ভেতর দিয়েই করে থাকেন, তাই নয় কী?

১০| ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:০৯

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: পাখাওয়ালার আরেকটি পরিচয় কী?

আমার সাথে ক্লাস সেভেনে থাকতে একটা ঘটনা ঘটেছিল, খুব ভয়ের সময় নির্জন স্থানে আমাকে একজন উদ্ধার করেছিলেন। তিনি কোথা থেকে এসেছিলেন, তার ব্যাখ্যা আমি কখনও পাইনি৷ বিস্তারিত একদিন বলব নি।

এর বাইরে অনেকবার চেষ্টা করেছি, ভৌতিক কিছুর অভিজ্ঞতা পাবাত। সম্ভব হয়নি।

২৪ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:২৭

শ্রাবণধারা বলেছেন: পাখাওয়ালার আরেকটি পরিচয় তার ধার্মিক বা আধ্যাত্মিক পরিচয়, যেখানে তিনি হয়তো ইমামের মতই উন্নত ছিলেন। কিন্তু তিনি তার এই পরিচয়টি মানুষের কাছে প্রকাশিত হোক এটা বোধহয় চাননি। তাই শ হর ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যেতে পারেন।

আবার গল্পের এই অংশটি হয়তো অতিরঞ্জিত হয়ে থাকতে পারে।

১১| ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:০৯

আলামিন১০৪ বলেছেন: পাখাওয়ালা পালিয়েছিলেন কেন?

২৪ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৩০

শ্রাবণধারা বলেছেন: পাখাওয়ালা হয়তো তার সদগুনাবলি বা ধর্মপরায়ণতায় ইমামের মতই বিশিষ্ট হয়ে থাকতে পারেন। কিন্তু তিনি চাননি যে তার এই পরিচয়টি মানুষ জানুক। এ কারণে তিনি অন্য শহরে চলে যেতে পারেন।

১২| ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:২৬

শেরজা তপন বলেছেন: পাখাওয়ালা কি শুধু ধর্মপরায়ণ ছিল নাকি এর বাইরে অন্যকিছু? এখানে কি রহস্যময় কিছু আছে?

২৪ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৯

শ্রাবণধারা বলেছেন: গল্পটিতে আর তেমন কোন রহস্যময়তা নেই।

ইমামের আর কোন বিশেষ কেরামতির কথা শোনা যায়নি, পাখাওয়ালার ও নয়।

ইমামকে যদি সমাজের কিছু উচু স্তরের প্রতিনিধি হিসেবে ধরা যায় (এই ইমাম সাহেব তার প্রকাশিত গুনাবলির জন্য সমাজের উচু স্তরে জায়গা করে নিয়েছিলেন), তাহলে পাখাওয়ালা তার পেশার কারণে সামাজিক মর্যাদায় নিচের দিকে ছিলেন। তার ধর্মপরায়ণ গুনের কথাও মানুষ অবগত ছিলেন না। সে হিসেবে এটি একটি দুই ভিন্ন সামাজিক মর্যাদার, ইমাম এবং পাখাওয়ালার, বন্ধুত্বের গল্প।

১৩| ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৬

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:



একই রকম প্যাটার্নের গল্প অনেক শুনেছি,স্থান/কাল/পাত্র ভেদে ক্যারেক্টার পরিবর্তিত হয় শুধু; এসব গল্প টিকে থাকবে বিভিন্ন মোড়কে।

২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৪০

শ্রাবণধারা বলেছেন: কোন গল্পের প্যাটার্ন একই? ক্ষুধিত পাষাণের না কী ইমাম সাহেবের? :)

আমি কিন্তু ঠিক এই প্যাটার্নের গল্প তেমন শুনিনি। আসলে এ গল্পের খুব লৌকিক একটা দিক আছে যেটা বন্ধুত্বের। আপনি চাইলে শুধু সেই অংশটিকেই নিতে পারেন এখান থেকে।

১৪| ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৮

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: সেকথা থাক এখন নিজের গল্পটা বলি। প্রথম ঘটনাটি পিতার কাছে খুব ছোটবেলায় শোনা। পিতার কর্মস্থল তখন রংপুরে। ঘটনাটি সে শহরের জামে মসজিদের ইমাম সাহেব কে নিয়ে।

আমি এই পোস্ট টি (ইমাম সাহেব কে নিয়ে) ওই পর্যন্ত পড়েছি তারপর আর পড়িনি।

২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:১৪

শ্রাবণধারা বলেছেন: হা হা :)। আগের দিনের ইমামরা কিন্তু কিছু অন্য রকম ছিলো। আপনি বাকিটুকু পরলে খুব যে বেশি বিরক্ত হতেন তা হয়ত নয়।

আমি কিন্তু অনেক বছর আগের এক মন্দিরের বামুন পুরোহিতের গল্প-কথা দ্বারা খুব প্রভাবিত। শুধু আমি নই, সেই বামুন পুরোহিতের কথায় বিদ্যাসাগর এমন কি ম্যাক্স মূলার (Max Müller) পর্যন্ত প্রভাবিত হয়েছিলেন! তো বামুন পুরোহিতের গল্পে যদি এত প্রভাবিত হতে পারি তাহলে ইমামের গল্প আর বাকী থাকে কেন বলুন?

১৫| ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪১

এম ডি মুসা বলেছেন: পৃথিবীতে আটশো কোটি মানব সন্তান, বেশিরভাগ ঘটনাগুলি মনে উপমহাদেশেই বেশি হয়। গল্প উপন্যাস সব সময় মানুষ কেন্দ্রিক বেশি হয় উপমহাদেশ যা এশিয়া মহাদেশে ।

২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:১৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: হ্যা একথা সত্যি যে আমাদের উপমহাদেশ এ জাতীয় গল্পগুলো বেশি বেশি ছড়ায়, যার অধিকাংশই হয়ত আজগুবি কথা বা অতিরঞ্জিত।

১৬| ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৬

বিষাদ সময় বলেছেন: ভূত, জিন আছে না নেই তা জানিনা। । যদিও সাহিত্য এদের ব্যাপক বিচরন। তবে বাস্তবে ভৌতিক বেশির ভাগ গল্পই হয় hearsay বা শোনা কথা, কান কথা। আধিভৌতিক ঘটনা প্রত্যক্ষকারী ব্যাক্তির জবানিতে খুবই কম শোনা যায়।

২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:১৯

শ্রাবণধারা বলেছেন: একদম সঠিক বলেছেন। এই গল্পগুলোর অধিকাংশ শোনা-কথা, প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার গল্প নেই বললেই চলে।
তবে আমার এমন দুএকটি প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার গল্পই আছে যেগুলো বলবো।

এ লেখার উদ্দেশ্য আসলে রহস্য কে প্রতিষ্ঠা করা নয়, বরং গোলাপের পাপড়ির মত সেগুলোকে উন্মোচন করা।

১৭| ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: খলি ভাংগা ছিলো না। তা হতেই ছিলো। কিন্তু মাঝখানথেকে মাছ উদাও। আমার বড়ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ক্যামেস্ট্রিতে মাষ্টার্স। তিনি জীন-খুতে বিশ্বাস করেন।

২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:২৩

শ্রাবণধারা বলেছেন: ওহ তাই না কী! সাংঘাতিক ঘটনা দেখা যাচ্ছে। মাছ গুলো জ্যান্ত ছিলো না তো যে লাফিয়ে লাফিয়ে খলই থেকে মাটিতে পড়েছে?

১৮| ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:২৩

কামাল১৮ বলেছেন: বস্তুনিষ্ঠ তথ্য উপাত্তের অভাবে অনেক ঘটনার ব্যাখ্যা করা যায় না।লোকে হয় বাড়িয়ে বলে নয়তো নিজের মতো করে বলে।মূল ঘটনার হদিস পাওয়া যায় না।
অলৌকিক নয়,লৌকিক ।প্রবীর ঘোষ,বহু অলৌকিক ঘটনা ব্যাখ্যা দিয়েছেন তার এই বই এর মধ্যে।পড়ে দেখলে অবাক হয়ে যাবেন।তার সংগঠন থেকে দশ লক্ষ রুপি ঘোষণা করা আছে কেউ অলৌকিক কিছু দেখাতে পারলে তাকে দেয়া হবে।তার মৃত্যু পর্যন্ত কেউ তার চ্যালেঞ্জ গ্রহন করে নাই।
একবার আমাদের শায়েদাবাদের হুজুর আজমির থেকে আসার সময় কলকাতার এক হোটেলে অবস্থান করছেন।প্রবীর ঘোষ খবর পেয়ে তার সাসে দেস
দেখা করতে যান।কঁচা ডিম ফুদিয়ে সেদ্ধ করে দেন এই হুজুর।প্রবীর ঘোষ একটা ডিম দেন তার হাতে।টাউট পীর সাহেব ফু দিয়ে ডিমটা প্রবীরকে ফেরত দেন।বলে ভেঙ্গে খান।প্রবীর ফু দিয়ে ডিমটা হুজুর কে ফেরত দিয়ে বলে আপনি ভাঙ্গেন।হুজুর বোঝতে পারে এই ডিমটা কঁচা।

২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:২৮

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ কামাল ভাই। আমি প্রবীর ঘোষকে চিনতাম এবং তার বিখ্যাত দুটি বইও ছাত্র বয়সে পড়েছি। আমরা একবার সংগঠন থেকে প্রবীর ঘোষকে ঢাকায় নিয়ে এসেছিলাম। সেটা বোধহয় ৯৮- ৯৯ সালের কথা।

আর হ্যা, এই গল্পটি ঠিক টাউট পীরের গল্প নয়। এটা হয়ত নেহায়েত লৌকিক একটা গল্প, যেটা লোকমুখে অতিরঞ্জিত হয়েছে।

১৯| ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৩০

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: পুরোটা পড়িনি এজন্য যে কারণ বাংলাদেশের একজন, হ্যাঁ মাত্র একজন ইমামও খুঁজে পাবেন না যার মধ্যে কোন অতি ভৌতিক, অতি কাল্পনিক কোন গাল গপ্পো খুঁজে পাবেন না, ইনফ্যক্ট এই দেশের ৯৯% মানুষের মাঝে এমন দুই চারাটা অতি ভৌতিক, অতি কাল্পনিক গপ্পো খুঁজে পাবেন, যার নাকি কোন ব্যাখ্যা নেই এবং ঘটনাটি সে নিজে দেখেছে, নিজে শুনেছে এবং নিজে স্বাক্ষী।

আপনার পোস্ট দেখে ভাবছিলাম হয়তো ভিন্ন কিছু খুঁজে পাবো, কিন্তু ও পর্যন্ত পড়ে বুঝলাম সেই পুরোনো কাসুন্দি, LOL।

২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৩৭

শ্রাবণধারা বলেছেন: হ্যা, গল্পটা যে নতুন কিছু তা নয়। এই জন্য ভুমিকায় ক্ষুধিত পাষাণের গল্প টেনে এনেছি। ক্ষুধিত পাষাণের গল্পটি কী বেশ একই ধরনের নয়? :)

তবে এ গল্পে ইমামের সাথে অতি সাধারণ পাখাওয়ালার একটা বন্ধুত্বের গল্পও আছে - এই অংশটা আমার কাছে কিছু নতুন মনে হয়েছে।

২০| ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:০০

সামিয়া বলেছেন: ইন্টারেস্টিং লাগলো

২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:০১

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ।

২১| ২৫ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:০০

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ভালো লিখেছেন। পোস্টে প্লাস।

২৫ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:০৮

শ্রাবণধারা বলেছেন: পড়ার এবং মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২২| ২৫ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:২৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অনেকের এমন কিছু গুণ থাকে, যা দিয়ে অন্যকে মোহাবিষ্ট করতে পারেন। তিনি যা করেন, তাই তখন পছন্দ হতে পারে। পাখাওয়ালা সম্ভবত সেরকমই কেউ ছিলেন।

২৫ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১:২৪

শ্রাবণধারা বলেছেন: হ্যা, সত্যিই তাই। কোন কোন মানুষের মাঝে এই দূর্লভ গুনটি আছে। পাখাওয়ালা তেমন কেউ হতে পারেন।

২৩| ২৫ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৪২

হাসান মাহবুব বলেছেন: প্রথমে ভেবেছিলাম যে আপনার নিজের জীবনের কাহিনী। পরে দেখি যে টানা পাখার আমলের গল্প। আপনার বাবার কাছে শুনেছেন। যাই হোক, এটার খুব সিম্পল ব্যাখ্যা আছে। পাখাওয়ালাকে ইমাম আগে থেকেই বলে রেখেছিলেন তার জানাজা করার জন্যে। আপনি এর মধ্যে কেন আধিভৌতিকতা, বিজ্ঞান ব্যাখ্যা করা যায় না,এসব টানছেন তা বোধগম্য না। আবার দেখি পর্ব-১, অর্থাৎ সিরিজ হতে যাচ্ছে। হায়রে কপাল!

২৫ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৪৪

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে বুঝলাম যে লেখার প্রথম প্যারার ভূমিকাটা দিয়ে আমি বিষয়টাকে ঘোলাটে করে ফেলেছি।

মোটের উপর যেটা বলতে চেয়েছিলাম তা হলো অনেক ঘটনাই আমাদের কাছে রহস্যময় হয়ে ধরা দেয়।গোলাপের পাপড়ির মত যদি ঘটনার স্তরগুলোকে খুলে খুলে দেখা যেত তাহলে হয়ত দেখা যেত যে কোন রহস্য নেই। কিন্তু জীবনের ক্ষেত্রে সবসময় তা হয়না।

২৪| ২৫ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: আমি একজন আধুনিক মানুষ।
কোনো প্রকার কুসংস্কার নেই আমার মধ্যে। ভূত টুত, জ্বীন টিন আমি বিশ্বাস করি না। এই আধুনিক যুগে এসে, বিজ্ঞানের যুগে এসে এসব বিশ্বাস করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।

২৫ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৪৫

শ্রাবণধারা বলেছেন: হ্যা সেটাই তো ভালো। আপনাকে কেউ ভুত-জ্বীনে বিশ্বাস স্থাপন করতে বলেছে কী?

২৫| ২৫ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:০৪

রানার ব্লগ বলেছেন: রহস্য বোঝার ক্ষমতা মনে হয় হারিয়ে ফেলছি !!! দুবার পড়লাম তারপরেও ধরতে পারি নাই ।

২৫ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৫২

শ্রাবণধারা বলেছেন: রহস্য গল্প এটা বোধহয় নয়। বরং গাল-গল্প বললে ঠিক বলা হতো।

এখানে ইমাম আর অবহেলিত পেশাজীবী পাখাওয়ালার একটা বন্ধুত্বের গল্প উঠে এসেছে। যে অংশটা লৌকিক। আর যেহেতু ইমাম ধর্মপরায়ন তার অনুমোদন আছে পাখাওয়ালার বিষয়ে তাই বিষয়টা কৌতুহলোদ্দীপক হয়েছে। পাখাওয়ালার অন্তর্ধ্যানের ফলে এখানে একটু রহস্য জমে ওঠার সুযোগ হয়েছে।

২৬| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০৭

করুণাধারা বলেছেন: আপনার গল্প লেখার ধাঁচ ভালো, সহজ সাবলীল এবং আকর্ষণীয়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে শিরোনাম পড়ে লেখার বিষয়বস্তু যেমন হবে বলে মনে হয়েছিল, তেমনটি হয়নি।

অসুবিধা নেই তাতে! গোলাপকে যে নামেই ডাকা হোক, সুগন্ধ ছড়াবেই...

০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৩৪

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ করুণাধারা আপু। আপনি নিশ্চয়ই শেষ লাইনটি লিখেছেন এই পোস্টে শেক্সপিয়রের উদ্ধৃতির প্রত্যুত্তরে! :) এতদিন বাদে রোমিও জুলিয়েটের কথা মনে করিয়ে দেবার জন্য আরো একবার ধন্যবাদ। আমার সেই ভয়ার্ত জুলিয়েটের কথা মনে পড়লো রোমিওর পারিবারিক পদবি দেখে যে তাকে নাম পাল্টাতে বলেছিল।

লেখার শিরোনামটি যাকে বলে মিসনোমার (misnomer), তাই বোধহয় হয়ে গেছে। তবে আমি ভেবেছিলাম এই গল্পটি দুজন অসম সামাজিক অবস্থানের "আধ্যাত্মিক" মানুষের বন্ধুত্বের গল্প। অভিসম্পাত ফলে যাওয়াটা অনকেটা দেবতা হইতে সংঘটিত "আধিদৈবিক" ঘটনা, যেটা নিয়ে দ্বিতীয় গল্প। আর তৃতীয় পর্বের গল্পটি ভূতগ্রস্ত এক কিশোরীর কথা সে হিসেবে সেটা "আধিভৌতিক"!!! :)

কিন্তু পাঠকের প্রতিক্রিয়া দেখে বোঝা গেল যে গল্পগুলো ঠিক উতরোয়নি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.