নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

...............

শ্রাবণধারা

" আমাদের মতো প্রতিভাহীন লোক ঘরে বসিয়া নানারূপ কল্পনা করে, অবশেষে কার্যক্ষেত্রে নামিয়া ঘাড়ে লাঙল বহিয়া পশ্চাৎ হইতে ল্যাজমলা খাইয়া নতশিরে সহিষ্ণুভাবে প্রাত্যহিক মাটি-ভাঙার কাজ করিয়া সন্ধ্যাবেলায় এক-পেট জাবনা খাইতে পাইলেই সন্তুষ্ট থাকে......."

শ্রাবণধারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আধ্যাত্মিক, আধিদৈবিক ও আধিভৌতিক তিনটি ঘটনা - ২

২৫ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১:২৭



বিভূতিভূষণের দৃষ্টি-প্রদীপ উপন্যাসে হীরুঠাকুর বলে একটা চরিত্র আছে। হীরুঠাকুর সহায়-সম্পদ হারানো আধাপাগল মানুষ। দুঃসময়ে হরিবল্লভ নামে একজন ধনী লোকের কাছে পৈত্রিক জমিজমা, আম-কাঠালের বাগান বন্ধক রেখে হীরুঠাকুর টাকা ধার করেন। ধারের টাকা সময়মত পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে হরিবল্লভ মামলা করে হীরুঠাকুরের পৈত্রিক ভিটেসহ অন্য সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেন। পরে হীরুঠাকুরের অবস্থা কিছুটা ভালো হয়। তখন ধারের টাকা শোধ দিয়ে তার সম্পত্তি ফিরিয়ে নিতে চান। কিন্তু তখন আর হরিবল্লভ রাজি হয়না। হীরুঠাকুরের মাথায় গন্ডগোল দেখা দেয়। মৃত্যুর আগে হীরুঠাকুর হরিবল্লভকে এই বলে অভিশাপ দেন যে "আমি বলে যাচ্ছি নির্বংশ হবে, নির্বংশ হবে"।

আমার গল্পের কাহিনী একই ধরনের, শুধু পাত্রপাত্রী আর স্থান-কাল ভিন্ন। এটিও শোনা গল্প, তবে গল্পের বিস্তার আগের গল্পের চেয়ে বেশি। আমাদের এলাকার বালক বৃদ্ধ স্ত্রী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলে ঘটনাটি শুনেছেন এবং মানুষগুলোকে চেনেন। গল্পের ভিলেন ডাকসাইটে উকিল। তিনি গরীব প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে ভিটে-মাটি দখল করে নেন। মামলার রায়ের দিনে ভিটে-মাটি হারানো লোকটি রাস্তায় কাঁদতে কাঁদতে এই বলে অভিসম্পাত দেন যে, উকিলের বংশ নির্বংশ হবে।

পরবর্তীতে দেখা গেল সেই উকিলের সন্তানেরা সকলে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত আর তারা কেউ দীর্ঘজীবী হলেন না।

ঘটনাটি যাদের কাছে খুব ক্লিশে (cliche) লাগছে তাদের আর একটি ঘটনা বলি। ঘটনাটি নিজের জীবনের, তবে একেবারে ভিন্ন ধরণের। প্রায় বিশবছর আগে সবে ছাত্রজীবন শেষ করে সওদাগরী একটা লোকাল কোম্পানিতে কাজে ঢুকেছি। কোম্পানির অফিস কাকরাইল মোড়ের কাছে একটা বিল্ডিংয়ে। কোম্পানির একাউন্টস ডিপার্টমেন্টে কাজ করি, বড় বড় বাধাই খাতায় ভাউচার লেখা এই মোটের উপর আমার কাজ। বড় হলরুম জুড়ে একাউন্টসের অফিস। সেখানে ৮-১০ জন লোক আয়তাকার ঘরে কতগুলো ছোট-ছোট ডেস্কে বসে কাজ করে।

আমার একপাশে বসেন সাজ্জাদ নামের একজন সহকর্মী, আরেকপাশে শাহাবুল। প্রতি বৃহস্পতিবার অফিস ছুটি হলেই সাজ্জাদ সদরঘাটে লঞ্চ ধরতে ছোটেন, সেখানে দেশের বাড়িতে তার স্ত্রী কন্যা আছে। শাহাবুল চৌকস কর্মী। কোন জাবেদা ভুল-টুল হলে তিনি ঠিক করে দেন।

আমাদের কোনাকুনি ম্যানেজারের টেবিল। টেবিলটি ডেস্কগুলোর চেয়ে বেশ বড়। শাহাবুলের উলটো দিকে বসেন ইউসুফ। তিনি বিশিষ্ট গীতিকার এবং সুরকার। নিজের লেখা গানে সুর বসিয়ে তিনি প্রায়ই আমাদের গেয়ে শোনান। তারপাশের ডেস্কে সুমি নামের একটি মেয়ে বসেন। আমরা ডাকি সুমি ম্যাডাম বলে। সুমি বাকপটিয়সী, কারণে অকারণে প্রচুর বকেন। ইউসুফের লেখা ও সুর করা প্রেমের গান শুনতে শুনতে বিরক্ত হয়ে তিনি তাকে কিছু ছড়া-গান লেখার ফরমায়েশ দিয়েছেন। রুমের বামপাশে সব মিলিয়ে আরো প্রায় পাঁচ-ছয় জন সহকর্মীর বসার জায়গা।

সেই কোম্পানিতে তখন আমার দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহ চলছে। সেই সময়টায় আমি অন্তর্মুখী এবং অসামাজিক জীবনযাপন করতাম। মানুষের সাথে মিশতে পারতাম না। কাছের দুচারজন বন্ধুবান্ধব ছাড়া অপরিচিত সহকর্মীদের সাথে কি করে ভালো করে কথা বলতে হয় এটা আমার জানা ছিল না। আমার এই উদ্ভট অদ্ভুত আচরণ আমার সহকর্মীদের বিক্ষুব্ধ করে তুলেছিলো। আমি কথা বলতাম খুবই কম, অতএব আমি মানুষটা ঠিক কেমন এটা তার বুঝে উঠতে পারছিলেন না।

সেদিন আমি অফিস রুম থেকে কি একটা কাজে বের হয়েছি। বিল্ডিংয়ের প্রথম তলায় একাউন্টসের আরেকটা অফিস ছিল, সেখানে অফিসের জিএম বসতেন। বোধহয় কোন কারণে সেই অফিসে আমার ডাক পড়েছিল। পনের-বিশ মিনিট পরে যখন চারতলায় আমাদের অফিসে ফিরলাম তখন মনে হলো আমি একটা গ্যাস বেলুনের মধ্যে ঢুকে পড়েছি। বেলুনের ভিতরে যে হাওয়া তার প্রতিটি অনু-পরমাণু অনুভব করতে পারছিলাম। সে হাওয়া স্নিগ্ধ হাওয়া নয়, সীসা মেশানো বিষাক্ত তার প্রতিটি কণা। ঘরের একদিক থেকে আরেকদিকে যেতে যেতে মনে হচ্ছে সেই বিষাক্ত গ্যাস গায়ে লাগছে। আরো আশ্চর্য এই যে সেই বিষের ভাষা যেন আমি বুঝতে পারছি।

আমি বুঝতে পারলাম যে আমার অনুপস্থিতিতে আমাকে নিয়ে সহকর্মীদের মধ্যে একটা ভীষণ সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে। ঘরের বাতাসে সেই রুক্ষ, অপ্রিয় কথাগুলো যেন বিষাক্ত গ্যাসের মত ভারী হয়ে আছে। স্পষ্ট অনুভব করলাম রূঢ় ভাষণের নেতৃত্ব দিয়েছেন স্বয়ং ম্যানেজার। আর আমার সহকর্মীরা তাদের শানিত জিহ্বা নিয়ে আমার সমালোচনায় ঝাপিয়ে পড়েছিলেন। আরো অনুভব করলাম, এই সময়ে শুধু একজন চুপ হয়ে ছিলেন, তিনি সুমি ম্যাডাম। অন্যসময়ে যার কথা ফুরোয় না, রূঢ় কথনের সময়টিতে সেই তিনি নীরবে বসে ছিলেন। মনে মনে তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে ডেস্কে বসে জাবেদার বই খুললাম।

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১:৩৭

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: অনেক কিছু জানতে পারলাম, ভালো পোস্ট। :D

২৫ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১:৪২

শ্রাবণধারা বলেছেন: বলেন কী? অনেক কিছু জানানোর জন্য পোস্ট দেইনি তো। :)

একধরনের রহস্যের অনুভুতি দেওয়া এবং খোলা মন নিয়ে ঘটনাগুলোর বিশ্লেষণ শুনতে চাওয়া পোস্টের উদ্দেশ্য বলতে পারেন।

২| ২৫ শে মার্চ, ২০২৪ ভোর ৪:২৫

আলামিন১০৪ বলেছেন: রহস্য খুঁজে পেলুম না, তবে আপনি বেশ ভালো লেখক (নাকি লেখিকা?)

২৫ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:১৩

শ্রাবণধারা বলেছেন: রহস্য খুঁজে না পাবার জন্য দুঃখিত। আমাকে হয়ত আরো ভালো লেখার চেষ্টা করতে হবে। লেখক নই, অলেখক বলতে পারেন।

৩| ২৫ শে মার্চ, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


এখন বদলেছেন? বদলে গেলে কীভাবে তা সম্ভব হলো?

২৫ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:১৪

শ্রাবণধারা বলেছেন: হ্যা, বোধ হয় অনেকটা বদলেছি। মানুষের সাথে কাজ করতে করতে হয়ত শিখেছি কী করে মিশতে হয়।

৪| ২৫ শে মার্চ, ২০২৪ ভোর ৬:৩২

মিরোরডডল বলেছেন:




এটা কি শ্রাবণ, রহস্য না ফান পোষ্ট?
কিছুই পেলাম না B:-)
কাহিনী কি এটুকুই নাকি চলবে, সেটাও বলা হয়নি।

দ্বিতীয় ঘটনায় রহসের ও নেই।
কি কারণে অফিসের বিস্তারিত বর্ণনা দেয়া হলো বুঝলাম না, সেটাও এন্টেনার ওপর দিয়ে গেলো।
দ্রুত বিষয়টা জানাবে প্লীজ :)

প্রথম ঘটনা নিতান্তই কোইন্সিডেন্স, এর বাইরে কিছুই না।

২৫ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:১৯

শ্রাবণধারা বলেছেন: হায় হায় রহস্য পোস্ট ফান পোস্ট হিসেবে বিবেচিত হলে আমার তো কচু গাছের সাথে ফাসি হওয়া উচিত!

হ্যা, প্রথম গল্পে কোইনসিডেন্স ভালো ব্যাখ্যা।

দ্বিতীয় গল্পের রহস্য এটুকু যে একজন অন্তর্মুখী মানুষ অনেক সংবেদনশীল হতে পারে। যে কথা বলা হয়ে গেছে তার উত্তাপও সেই মানুষের গায়ে লাগতে পারে।

৫| ২৫ শে মার্চ, ২০২৪ ভোর ৬:৩৩

মিরোরডডল বলেছেন:

টাইপো রহস্যের হবে।



২৫ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:২১

শ্রাবণধারা বলেছেন: হ্যা বুঝেছি ধন্যবাদ। এই কাহিনী এখানেই শেষ। যদিও ভাবতে পারেন যে এর মাথামুন্ডু তো কিছুই পরিষ্কার হলো না।
তবে আরও অন্তত দুটি ঘটনা এখনও বলা বাকী আছে।

৬| ২৫ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:৪১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অফিস রুমের বর্ণনা পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল, পাঠককে বোধহয় আপনি পাজলে ফেলতে যাচ্ছেন :)

তবে, সুমি ম্যাডামের ঘটনাটা খুব রোমান্টিক, কিন্তু এতে কোনো রহস্য নেই :) অনেক বাচাল কখনোবা কিংবলতব্যবিমূঢ় হয়ে যায়, আবার অনেক 'বোবা'ও মাঝে মাঝে ক্ষেপে গিয়ে মুখে খই ফুটিয়ে তোলে।

উকিলের সন্তানদের নির্বংশ হওয়াটা আসলে সাধারণ ঘটনাই। অনেক বংশ কোনো অভিশাপ-টাপ ছাড়াই এমন নির্বংশ হয়ে যায়, আমার গ্রামেই আছে এমন কয়েকটা পরিবার।

আপনার লেখার সাবলীল। আপনার পোস্টও দ্রুত-পঠনযোগ্য হওয়ায় পড়তে ভালো লাগছে। শুভেচ্ছা রইল।

২৫ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:১৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই।

"অফিস রুমের বর্ণনা পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল, পাঠককে বোধহয় আপনি পাজলে ফেলতে যাচ্ছেন"

আগেও লক্ষ করেছি আপনার পর্যবেক্ষণ শক্তি অসাধারণ। আসলে আমি ঠিক বিশ বছর আগের সেদিনের সেই অফিসরুমটাকে স্মৃতিতে তৈরি করতে চাচ্ছিলাম। সেদিন রুমে ঢুকে আমার অনুভুতি হয়েছিল এমন যে আমি একটা অনুভূতিময় গ্যাস ব্যালুনের মধ্যে ঢুকে পড়েছি। যখনই ঘরের একদিক থেকে আরেকদিকে যাচ্ছি একধরনের বিষাক্ত বাতাস গায়ে লাগছে আর আমি বাতাসের ভাষা পড়তে পারছি।তাই মনের অজান্তেই বোধহয় অনেকটা ধাঁধার মত হয়ে গেছে সেদিনের অফিসরুমের বর্ণনা।

লেখার শেষদিকে একটু তাড়াহুড়ো ছিলো বলে সেদিনের অনুভূতিটা পরিষ্কার ভাবে ফুটে উঠেনি। আমি চাচ্ছিলাম যে আমি যেন ঘটনাটা যেটা ঘটেছে ঠিক ততটুকুই বলি, একটুও বাড়িয়ে না বলি। রুমে ঢুকে হাতের বাম পাশের দিকটার কথা আমার কিছুই মনে নেই কারণ সেদিকে সেদিন আমি যাইনি।

৭| ২৫ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: পড়ে ভালো লাগলো।

২৫ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:২২

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ

৮| ২৫ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:০১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ওহ, বলতে ভুলে গিয়েছিলাম। সুমি ম্যাডাম আপনার উপর খুব ইম্প্রেস্‌ড ছিলেন, আপনার পারসোনালিটি তার ভালো লাগতো। এর ফলে পুরো অফিস আপনার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামলেও তিনি তাতে একাত্ম হন নি :) অভিনন্দন নিন। তার বর্তমানের কোনো খবর থাকলে সেটা দিন, জেনে আনন্দিত হই :)

২৫ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:২১

শ্রাবণধারা বলেছেন: সুমি ম্যাডাম বয়সে আমার দু-তিন বছরের বড় ছিলেন। আমাদের সময়ে বড় আপুদের বিষয়ে আমরা অতি শ্রদ্ধাশীল ছিলাম।

আমি তখন অনেকটা ছিলাম ভাদাইম্যা গোছের লোক। বিরাট লেখা-পড়া নিয়ে ব্যস্ত থাকতাম! সেই আপিসে দুবছর চাকরি করেছি। তারপর সুমি ম্যাডামের সাথে আর দেখা হয়নি কখনো।

৯| ২৫ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:১২

মিরোরডডল বলেছেন:




লেখক বলেছেন: হায় হায় রহস্য পোস্ট ফান পোস্ট হিসেবে বিবেচিত হলে আমার তো কচু গাছের সাথে ফাসি হওয়া উচিত!

নির্দ্বিধায় শ্রাবণ, please go for it :)

দ্বিতীয় গল্পের রহস্য এটুকু যে একজন অন্তর্মুখী মানুষ অনেক সংবেদনশীল হতে পারে।

অফিস কলিগের নাম, কে কোথায় বসে, কতখানি ডিসট্যান্স রেখে বসে এর সাথে অন্তর্মুখী বা সংবেদনশীলের সম্পর্কটা কোথায়??? B:-)

এর মাঝে রহস্যই বা কি!!!

এই কাহিনী এখানেই শেষ।

should I say thank God! :P

যদিও ভাবতে পারেন যে এর মাথামুন্ডু তো কিছুই পরিষ্কার হলো না।

ভাবনার কিছু নেই শ্রাবণ, আসলেই এই পোষ্টের মাথামুণ্ড নেই :)

তবে আরও অন্তত দুটি ঘটনা এখনও বলা বাকী আছে।

আবার? আরও বাকি? হা হা হা
okay man, bring it on.

প্রথমটা মোটামুটি, এটা পুরাই ফ্লপ।
নেক্সট ওয়ান যদি ভালো না হয়, খবর আছে শ্রাবণের :)

২৬ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৩:১৪

শ্রাবণধারা বলেছেন: বুঝতে পারছি যে লেখাটা ঠিক জমে নি। তারপরও ধৈর্যধরে পড়ার জন্য এবং মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

গতকাল রবিরাব বিকেলে একটু তাড়াহুড়ো ছিলো বলে লেখাটার শেষদিকে বর্ণনাটা মোটেও পরিষ্কার হয়নি।

সেদিন ফিরে এসে অফিসে ঢুকে আমার অনুভুতি হয়েছিল এমন যে আমি একটা অনুভূতিময় গ্যাস ব্যালুনের মধ্যে ঢুকে পড়েছি। যখনই ঘরের একদিক থেকে আরেকদিকে পা ফেলছি বিষাক্ত বাতাসের ঝাপটা আমার গায়ে লাগছে আর আমি সেই বাতাসের ভাষা পড়তে পারছি।মনের অজান্তেই তাই বোধহয় সেদিনের সেই আপিস ঘরটাকে রহস্যময় করে উপস্থাপনের চেষ্টা করতে গিয়ে লোক হাসানোর মত করে ফেলেছি।

পরের দুটি গল্পের একটা আমার। এটা ফ্লপ হবার সম্ভবনা ৯৫%। আরেকটা আরেকজনের। এটার মধ্যে কিছুটা রহস্য আছে বলে আমার ধারণা।

১০| ২৬ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৩

মিরোরডডল বলেছেন:




এসে ঘুরে গেলাম শ্রাবণ, নতুন পোষ্ট পেলাম নাহ যে!!!

২৬ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:০৮

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ মিরোরডডল। আশা করি লেখাটা তাড়াতাড়ি লিখে ফেলতে পারবো। অবশ্য সেটা পোস্ট করার পরে আবার যে বকা খেতে হবে তা নিশ্চিত!

১১| ২৬ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:৫৫

নিমো বলেছেন: শিরোনামের সাথে লেখার কোন সম্পর্কই খুঁজে পেলাম না। আপনি হুমায়ূন আহমেদ কিংবা নিদেন পক্ষে ব্লগের কপিপেস্টুন আহমেদ ওরফে রাজীব নূরের সাহায্য নিয়ে দেখতে পারেন, হয়তো বা লেখায় আপনার শিরোনামের বিষয়বস্তুর ছোঁয়া পাওয়া যাবে।

২৬ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:২৭

শ্রাবণধারা বলেছেন: হ্যা, তাদের সাহায্য নিতে হবে বৈকি।

অফটপিক, ইন্টারমিডিয়েটে পড়ার সময় অব্দি প্রকাশিত হুমায়ুন আহমেদের সব কটি বই আমি পড়েছিলাম। যতদূর মনে পড়ে সেই সংখ্যাটি ৭০-৭২ এরকম কিছু একটা ছিল। পরবর্তী সময়ে আমার ধারণা হুমায়ুন আহমেদ আরো ৫০-৬০ টি বই লিখেছিলেন যেগুলো অধিকাংশ তার বাজারী বা কিছু নিম্নমানের লেখা। সেগুলোও বোধহয় অর্ধেক বা নিদেন পক্ষে এক তৃতীয়াংশ পড়েছি। সে হিসেবে হুমায়ুন আহমেদের প্রায় শ'খানেক বই পড়েছি বলে মনে হয়।

১২| ২৬ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৫১

নিমো বলেছেন: লেখক বলেছেন: হ্যা, তাদের সাহায্য...পড়েছি বলে মনে হয়।
আপনি কোন কারণে আমার উপর খানিকটা রেগে আছেন মনে হয়। আপনাকে ব্লগের অন্যতম ভিন্নমত সহিষ্ণু বলে মনে করি। যাইহোক পড়া মানেইতো আর বোঝা নয়। যেমন আমি প্রচুর রবীন্দ্রনাথ পড়েছি, কিন্তু আপনার মত করে বুঝিনি। একজন লেখক এক জীবনে সব উচ্চমানের লেখা লিখবেন,সেটাও সম্ভব নয়। আমি শুধু এটাই বলতে চেয়েছি যে হুমায়ূন খুব সাধারণ ঘটনাকেও রহস্যের আবরণে লিখতে পারতেন। তার শবযাত্রা গল্পটি পড়লে হয়তে আমার কথা বুঝতে পারবেন। আর রাজীব নূরের নকলবাজি মানার মত না হলেও, তিনি খুব সফলভাবেই হুমায়ূনি ভাষায় লিখতে পারেন, যেটা মোটের উপর মন্দ না। আমার কোন আচরণে, আপনি কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। ভালো থাকুন।

২৬ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৩৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: নাতো, আপনার উপর রাগ করার কোনই কারণ নেই এবং আমি আপনার উপর মোটেও রেগে নেই। সত্যি বলতে কী আমি ভিন্নমত পছন্দ করি এবং তর্কমূলক বাদ-প্রতিবাদ আলাপ-আলোচনা উপভোগ করি।

উপরে আপনার মন্তব্যের উত্তরে আসলে আমি সুযোগ পেয়ে :) নিজে যে একটা সময় পর্যন্ত হুমায়ুন আহমেদের সব কটি বই পড়েছি এটা নিয়ে কিছু আত্মগরিমা করেছি। :)

যেহেতু আপনি রবীন্দ্রনাথ প্রসঙ্গ টানলেন (ইহা আমার প্রিয় টপিক), সেহেতু বলি- আসলে আমি খুব বেশি রবীন্দ্রনাথ পড়েছি তা নয়। রবীন্দ্রনাথের সিলেবাস মেলা বড় এবং বারবার পড়ার দাবি রাখে। রবীন্দ্রনাথ নিয়ে পরীক্ষা দিতে বসলে বড়জোড় দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হবার সম্ভাবনা আছে।

সে হিসেবে হুমায়ুন আহমেদের সিলেবাস বেশ ছোট আর সোজা। কিন্তু অবশ্যই তিনি একজন অসাধারণ লেখক এবং তার বর্ণনার স্টাইল এবং পাঠক ধরে রাখার ক্ষমতা অসাধারন। আমি আন্তরিকভাবেই বলেছি যে হুমায়ুন আহমেদ এবং রাজীব নূর দুজনের কাছেই শেখার আছে।

১৩| ২৬ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৩০

শায়মা বলেছেন: নেতিবাচক পরিবেশ মাঝে মাঝে শরীরে অনুভুত হয়। তোমারও হয়েছে এমনটাই ভাইয়া। আমি খুব অপ্রীতিকর পরিবেশেও স্বাভাবিক বা না পাত্তা দিয়ে থাকতে পারি। তবে বেশ কয়েকবার রাগে আমার ঘাড় বেড়ে গরম রক্তস্রোত মাথায় উঠে যাওয়া অনুভব করেছি আমি।

সেটাকেই মনে হয় বলে রাগে পায়ের রক্ত মাথায় ওঠা। :)

২৬ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫২

শ্রাবণধারা বলেছেন: হ্যা, আসলে বিষয়টা শুধুমাত্র তাই। অনেক ধন্যবাদ শায়মা সহজ কথাটি সহজ করে বলার জন্য।

কোন কারণে বিশ বছর আগের সেদিনটিতে এর মাত্রাটা একটু বেশি হয়ে গিয়েছিল, এই আর কি! মনে হচ্ছিল একটু আগে তারা যে কথাগুলো বলেছে সেগুলো তখনো বাতাসের মধ্যে রয়ে গেছে এবং আমি যখন যে ডেস্কের দিকে আগাচ্ছি সেই বাতাসের বক্তব্যটা আমি আলাদা করে পড়তে পারছি।

ঘাড় বেয়ে রক্তস্রোত মাথায় উঠার বিষয়টি আমিও কখনো কখনো অনুভব করেছি। তবে সেদিন সেই সমালোচনাটা কোন কারণে আমাকে একটুও রাগান্বিত করেনি।

১৪| ২৬ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৪২

মিরোরডডল বলেছেন:




শায়মা বলেছেন: তবে বেশ কয়েকবার রাগে আমার ঘাড় বেড়ে গরম রক্তস্রোত মাথায় উঠে যাওয়া অনুভব করেছি আমি।

শায়মাপু, তোমার বিপি কি বেশি?

২৬ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৩

শ্রাবণধারা বলেছেন: হে হে :)। নাহ আমার ধারনা তার বিপি একদম ঠিক আছে।

সঠিক সময়ে সঠিক কারণে মাঝে মাঝে রেগে যাওয়াটাও সুস্থতার লক্ষণ, তাই নয় কী?

১৫| ২৬ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৪৫

মিরোরডডল বলেছেন:




লেখক বলেছেন: অবশ্য সেটা পোস্ট করার পরে আবার যে বকা খেতে হবে তা নিশ্চিত!

বকা না হয় একটু খাবে কিন্তু আমরাতো রহস্য নামের রম্য পড়ে আনন্দ পাবো :)

নাহ, সিরিয়াসলি ওয়েট করছি কখন পড়বো।

২৬ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:১৫

শ্রাবণধারা বলেছেন: হে হে :) রহস্য নামের রম্য!!!! মনে হচ্ছে বাংলা সাহিত্যে নতুন জনরা সৃষ্টি করতে যাচ্ছি। :)

কিন্তু গুরু বলেছেন "ভাঁড় হওয়াটা একজন জার্মানের জন্য লজ্জার বিষয়" (এরিক মারিয়া রেমার্কের থ্রি কমরেডস বইয়ের সংলাপ)।
রহস্য সৃষ্টি করতে গিয়ে ভাঁড় হওয়াটা একজন বাঙালীর পক্ষে লজ্জার হবে কী না বুঝতে পারছি না। :)

১৬| ২৬ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮

শায়মা বলেছেন: না আমার বিপি এক্কেরে পারফেক্ট মিররমনি!!!!!!


যাইহোক তুমি এসেছো!!!!!

আমি তোমার জন্য আমার অস্ট্রেলিয়ান পোস্ট কাবুলীয়া সাজে জাপান গার্ডেনের পোস্টখানা রেডি করে রেখেছি। তুমি আসলেই পোস্ট করিবোক এই ভেবে! :)

২৬ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:১১

শ্রাবণধারা বলেছেন: অস্ট্রেলিয়ান পোস্ট কাবুলীয়া সাজ বিষয়টি খুব ইন্টারেস্টিং হবে বলে মনে হচ্ছে। পোস্টের আপেক্ষায় থাকলাম।

রবীন্দ্রনাথের "কাবুলিওয়ালা" নাম নিয়ে সৈয়দ মুজতবা আলী'র একটি পর্যবেক্ষন ছিলো। মুজতবা আলী'র মতে শব্দটি হওয়া উচিত হয় "কাবুলি" অথবা "কাবুল-ওয়ালা", রবীন্দ্রনাথ কেন যে "কাবুলিওয়ালা" লিখলেন!!!

এখন দেখতে পাচ্ছি "কাবুলীয়া"। বিষয়টি সত্যিই কৌতুহলোদ্দীপক।

১৭| ২৬ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:১৩

শায়মা বলেছেন: হা হা সত্যিই তাই ভাইয়া।

দেখো পোস্ট করে দিয়েছি মিররমনির জন্য। তুমিও দেখো প্রথম পাতায়...

২৬ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৫৭

শ্রাবণধারা বলেছেন: হ্যা, দেখলাম। বেশ সাজ-পোশাক, জাপানী বাগানে এই সাজ-পোশাক আসলেই সুন্দর মানিয়ে গেছে।

১৮| ২৬ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:১৩

মিরোরডডল বলেছেন:




সঠিক সময়ে সঠিক কারণে মাঝে মাঝে রেগে যাওয়াটাও সুস্থতার লক্ষণ, তাই নয় কী?

সেটা ঠিক আছে।
মানুষ মাত্রই কম বেশি রাগ থাকবেই।
কিন্তু আমার রাগ হলে সাথে সাথে বিপি চরমে পৌঁছে যায়!

২৬ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:২১

শ্রাবণধারা বলেছেন: ওহ তাই নাকী, কি সর্বনাশ! আমরা রেগে গেলে বিপি বেড়ে যায় এটা ঠিক, কিন্তু চরমে পৌঁছে যাওয়া- এটা নিশ্চয়ই ভালো নয়।

রেগে যাওয়াটা তাহলে আপনার পক্ষে যতদুর সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। তাই নয় কী?

১৯| ২৬ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:২২

মিরোরডডল বলেছেন:




লেখক বলেছেন: হে হে :) রহস্য নামের রম্য!!!! মনের হচ্ছে বাংলা সাহিত্যে নতুন জনরা সৃষ্টি করতে যাচ্ছি। :)

অলরেডি সৃষ্টি হয়ে গেছে :)
তবে এতে শ্রাবণের সরল দিকটা প্রকাশ পেয়েছে।
কতকিছু বলেছি, সহজভাবে নিচ্ছে।
ভালো লাগলো দেখে যে শ্রাবণ মাইন্ড খাওয়া পাবলিক না।

রহস্য সৃষ্টি করতে গিয়ে ভাঁড় হওয়াটা একজন বাঙালীর পক্ষে লজ্জার হবে কী না বুঝতে পারছি না।

আরেহ নাহ, সেরকম কিছু না।
আমরা ফান করে কত কথাই বলি।
শুরু যখন করেছে, শেষ করাটা জরুরী।

২৬ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:০১

শ্রাবণধারা বলেছেন: বিষয়টি যে মাইন্ড করার ছিলো এটাই তো বুঝিনি। আগে বুঝিয়ে বললে, না হয় চেষ্টা করে দেখা যেত। :)

জোকস এপার্ট, আমি সৌভাগ্যবান যে আমি এভাবে বিনা চেষ্টায় পাঠকের ফিডব্যাক পাচ্ছি। এবং লেখাগুলোকে সেভাবে এডজাস্ট করার সুযোগ পাচ্ছি। এ জন্য নিজেকে ধন্য মনে করি।

২০| ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:২২

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: দ্বিতীয় ঘটনার ব্যাপারটা ঠিক বুঝতে পারিনি৷ ঐ ঘটনার পরিণতি কী? আপনি কি কারও উপর রাগ করে, মনে মনে কিছু বলেছিলেন? তার প্রভাব কি কারও উপর পড়েছিল?

২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৩৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার )। আসলে ঘটনাটি ঐ পর্যন্তই। চাকরি শুরু করার প্রথম দিকে কলিগদের সাথে মিশতে পারিনি বলে আমার অনুপস্থিতিতে তারা আমাকে ভীষণ গালমন্দ করেছিলো (শুধু একজন ছাড়া)। আমি রুমে ঢোকার পরও সেই গালমন্দগুলো বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছিল বলে আমার মনে হয়েছে। বতাসে ওড়া গালমন্দগুলো আমি তীব্রভাবে অনুভব করেছিলাম।

২১| ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৪৪

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: আচ্ছা এখন বিষয়টা পরিষ্কার হলো। আপনি তাদের কথা না শুনলেও, আগে থেকেই টের পাচ্ছিলেন, তারা আপনাকে নিয়ে আলোচনা করছিলেন। মানে সিক্সথ সেন্স কাজ করছিলো আপনার। পরে দেখা গেল, সত্যিই আপনাকে নিয়ে তারা আলাপ করছিল।

২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১:১৫

শ্রাবণধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। বোধ হয় লেখাটায় বিষয় টা পরিষ্কার করে বলতে পারিনি। এটা কিছুটা সিক্সথ সেন্সেরই ব্যাপার হয়তো। তবে সেটা আমি আগে থেকে টের পাইনি যে তারা আমাকে নিয়ে আলোচনা করছিলেন। ঘরে যখন ঢুকলাম তখন তাদের কথা বেশ আগেই শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু সেই আগে বলা কথাগুলোই আমি যেন শুনতে পেলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.