নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

...............

শ্রাবণধারা

" আমাদের মতো প্রতিভাহীন লোক ঘরে বসিয়া নানারূপ কল্পনা করে, অবশেষে কার্যক্ষেত্রে নামিয়া ঘাড়ে লাঙল বহিয়া পশ্চাৎ হইতে ল্যাজমলা খাইয়া নতশিরে সহিষ্ণুভাবে প্রাত্যহিক মাটি-ভাঙার কাজ করিয়া সন্ধ্যাবেলায় এক-পেট জাবনা খাইতে পাইলেই সন্তুষ্ট থাকে......."

শ্রাবণধারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলা ব্লগে আচঁড় রেখে যাবেন নাকি বাহ্যে করে যাবেন?

২৮ শে জুন, ২০২৪ সকাল ৭:৪৭



বাঙালি নাকি আত্মঘাতী, এরকম একটা বই পড়েছিলাম। কিন্তু বাঙালি যে এমন ক্যাচাল-প্রিয় হতে পারে এটা ব্লগে সময় না দিলে জানতে পারতাম না। ব্লগে ক্যাচালের কদর এবং কাটতি দেখে বোঝা যায় যে বাঙালি সমাজে সুস্থ, যুক্তিশীল আলোচনার জায়গাটা ক্রমে সংকীর্ণ হয়ে আসছে।

আমাদের কলহ-প্রবণ হয়ে ওঠার কারণটা কি? আমরা কি ঐতিহাসিকভাবেই প্রতিক্রিয়াশীল এবং ধর্মান্ধ? কোনো প্রকার যুক্তিশীল আলোচনায় কি আমাদের আস্থা নেই? নাকি আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বিশ্লেষণাত্মক চিন্তা এবং যুক্তি-বুদ্ধি-তর্ক জনপ্রিয় হয়নি বলে আমরা ছিদ্রান্বেষী, কুৎসা পরায়ণ এবং পশ্চাৎপদ একটি জনগোষ্ঠীতে পরিণত হতে চলেছি?

ব্লগে ইদানীং কদর্য ভাষার ব্যবহার খুব বেড়ে গেছে। দেখতে পাচ্ছি কেউ কেউ এখন ব্লগে এসে যাকে বলে "বাহ্যে করা" তাই শুরু করেছেন। একটি উদাহরণ দিলে বিষয়টা পরিষ্কার হবে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে কী পরিমাণ রেমিট্যান্স যাচ্ছে, সে বিষয়ে একজন একটি পোস্ট দিয়েছিলেন। পোস্টটিতে কোনো ধরনের আলোচনা বা বিশ্লেষণ ছিল না। কতগুলো তথ্য-উপাত্ত উল্লেখ করা হয়েছিল যে, ভারতে এবং অন্যান্য দেশে সরকারি হিসাবমতে কী পরিমাণ রেমিট্যান্স চলে যাচ্ছে। পোস্টের শিরোনামটি ছিল অর্বাচীন ধরনের একটি প্রশ্ন- "ভারতীয়রা গত ১০ মাসে বাংলাদেশ থেকে নিয়ে গেছে ৫০.৬০ মিলিয়ন ডলার, তাহলে অবৈধ পথে কত?" অবৈধ পথে ভারতে কত রেমিট্যান্স যাচ্ছে তা কারও পক্ষে জানা সম্ভব নয়। তবে, অবৈধ পথে যে ভারতে রেমিট্যান্স যাচ্ছে এই যুক্তির পূর্বানুমানগুলো নিয়ে যুক্তিপূর্ণ একটি আলোচনা তখনও সম্ভব ছিল।

হতবাক হয়ে গেলাম যখন দেখলাম যে, পোস্টের কোন মন্তব্যে যখনই পূর্বানুমানগুলোকে প্রশ্ন করা হচ্ছে তখনই পোস্টদাতা তাকে "দাদা বাবু, তোমার এতো জ্বলছে কেন", "ভারতের কথা কইলেই তোমরা জ্বলে উঠো কেন", "খাও এখানে, হাগো এখানে, বাকি সবকিছুই ওখানে, সেটা তো আমরা জানি" এই ভাবে উত্তর দিচ্ছেন। সেই লোকের একটি মন্তব্যের ভাষা এমন: "ভারত খারাপ একথা তো একবারও বলিনি দাদাবাবু, তাহলে কেন আবারো সেই ভারত নিয়ে তোমার পু--কি জ্বলছে? ট্রাম্পকে কে যেন বাপ বাপ ডেকে দেশের বিরুদ্ধে মুখে ফেনা তুলেছিল? মনে আছে গেরুয়া দাদা বাবু? তখন তো তোমাদের পু--কি জ্বলেনি, কেন গেরুয়া দাদা বাবু?"

এভাবে প্রবল ঘৃণা ছড়ানোর জন্য এই ডিজিটাল প্লাটফর্মের ব্যবহার দেখে বাকরুদ্ধ হতে হয়। সেদিন বলতে পারিনি যে, চিন্তার অক্ষমতা কথার হুল ফোটালে পরিবর্তন হয় না। অন্যকে তীব্র বাক্যবাণে আহত করার মধ্যে কোন নৈপুণ্য প্রকাশ পায় না। আপনার কটুকথা ও তীব্র বাক্যবাণ ডিজিটাল প্লাটফর্মে জমা করে রেখে লাভ কী! ভালো কথা যদি বলতে না পারেন তাহলে অন্তত চুপ থাকুন। কেননা, আপনার নোংরা কথাগুলো রিসাইকেল করার মতো যন্ত্র এখনও বাজারে আসেনি।

অথচ এই ডিজিটাল প্লাটফর্মটিকে কী দারুণ ভাবেই না ব্যবহার করা যেত! আমি প্রায়শই কাজে অকাজে বিভিন্ন তথ্যের জন্য নেটে সার্চ দিই। বাংলা ভাষায় লিখে কিছু খুঁজলে এই ব্লগের কিছু না কিছু উঠে আসেই। যেমন সম্প্রতি "মুক্তিযুদ্ধের দর্শন" এটা লিখে সার্চ দিলাম। বেশ কয়েকটি পত্র-পত্রিকার কিছু বাজারি ধরনের লেখার সাথে সাথে সামহোয়ার-ইন-ব্লগের একটি লেখাও এল।

মূল কথাটা এই যে আমাদের ভালো চিন্তা-ভাবনাগুলো সহজে জমা করে রাখার জন্য এই প্লাটফর্মটি ব্যবহার করা যায়। ব্লগের পাতা আপনার দেশ-রাজনীতি-সংস্কৃতি-বিজ্ঞান-দর্শন-সাহিত্য বিষয়ে মৌলিক চিন্তাভাবনাগুলো সংগ্রহের আদর্শ স্থান হতে পারে। সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস "লোটাকম্বল"-এ একজন প্রধান শিক্ষকের কথা ছিল। তিনি ক্লাসে ঢুকেই ছাত্রদের বলতেন, ওরে এসেছিস যখন তখন দেয়ালে একটা আঁচড় রেখে যা। তারপর নাকি রামমোহন বায়, বিদ্যাসাগর, বিবেকানন্দ এরকম অনেকগুলো নাম বলে রবীন্দ্রনাথে এসে সেই শিক্ষক স্তব্ধ হয়ে যেতেন, তার চোখ ছলছল করে উঠতো! তার কথার মত করে আমিও বলি, ব্লগে রেজিস্ট্রেশন যখন করেই ফেলেছেন, বাংলা ব্লগে একটা আঁচড় রেখে যান।

রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন "...আমাদের কি কিছু বলিবার নাই? মানবসমাজকে আমাদের কি কোনো সংবাদ দিবার নাই?...আমাদের পদপ্রান্তস্থিত সমুদ্র কি আমাদিগকে কিছু বলিতেছে না? আমাদের গঙ্গা কি হিমালয়ের শিখর হইতে কৈলাসের কোনো গান বহন করিয়া আনিতেছে না? আমাদের মাথার উপরে কি তবে অনন্ত নীলাকাশ নাই?...আমরা কি কেবল আমাদের উঠানের মাচার উপরকার লাউ কুমড়া লইয়া মোকদ্দমা এবং আপীল চালাইতে থাকিব!"

ইচ্ছে হয় যে বলি - হ্যাঁ, আমাদের বলার মতো বেশ কথা আছে। মানবসমাজকে দেওয়ার মতো বার্তাও আছে কিছু। সমুদ্রের ভাষা আমাদের কানে যে নতুন কথা বলছে, হিমালয়ের চূড়া থেকে যে গান ভেসে আসছে, সেই গান দিয়ে আমরা ব্লগের পাতা ভরিয়ে দেব। মাথার উপরের অনন্ত নক্ষত্রবিথী আর নীলাকাশ আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস হবে।

পাদটিকা: "বাহ্যে করা" কথাটি এখন প্রায় অপ্রচলিত হয়ে গেছে। এর অর্থ পরিপাকের মধ্যমে বর্জ্যের নিষ্কাশন। শব্দটি প্রথম নজরে পড়ে শ্রীমের লেখা "শ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত" গ্রন্থে। মনে হয়েছিলো, বেশ তো, এই ক্রিয়া প্রকাশের জন্য এমন ভদ্রগোছের শব্দ বাংলাভাষায় তো আর একটিও নেই!

মন্তব্য ৪১ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৪১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুন, ২০২৪ সকাল ৮:১১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় বিষয় নিয়ে নিজস্ব মতামত দিতে গেলেও পরিস্থিতি বুঝে দিতে হয়! বিপদ! বাক-স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের সবক যারা দেয় তারাও ভিন্নমত সহ্য করতে পারে না।

২৮ শে জুন, ২০২৪ সকাল ৮:৪০

শ্রাবণধারা বলেছেন: হ্যা, এ কথাটা নিদারুন সত্য রূপক বিধৌত সাধু।

অমর্ত্য সেনের একটা সাক্ষাৎকার পড়েছিলাম যে বাম রাজনীতি করতে গিয়ে তিনি দেখলেন যে, খোদ কমিউনিস্ট পার্টির লোকেরা দলিতদের অধিকার ইত্যাদি নিয়ে দারুন প্রশংসনীয় কথা বলেন, অথচ কোনভাবেই ভিন্ন কোন মতের বা মতবাদের কথা সহ্যই করতে পারেন না!

২| ২৮ শে জুন, ২০২৪ সকাল ৯:৫২

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ ভারতকে ঘৃণা করে ধর্মান্ধতার কারণে। ভারত দিনে দিনে উন্নত বিশ্বের একটি দেশে পরিনত হচ্ছে আর তাদের পেয়ারের পাকিস্তান দিনে দিনে জঙ্গিস্থানে পরিনত হচ্ছে। তারা চায় পৃথিবীর সব দেশে জঙ্গিবাদ ভন্ড মওদুদীবাদ কায়েম হোক।

আপনার পোস্টের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে রাজাকার ও জঙ্গি জামায়াত শিবির চেনার কয়েকটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করছি:

১) কথায় কথায় পাকিস্তান প্রেম প্রকাশ পাবে।
২) জামায়াত শিবির ছাড়া সবাইকে নাস্তিক মনে করবে।
৩) প্রচন্ড ভারত বিদ্বেষী হবে।
৪) ভারতের ভালো দিক গুলোকেউ খারাপ চোখে দেখবে।
৫) জাফর ইকবাল স্যারকে উঠতে বসতে অপমান করবে।
৬) শিশু ও পুরুষ ধর্ষণ করবে।
৭) নারী নেতৃত্ব হারাম বলবে কিন্তু গু আজম সাইদি যে খালেদার সাথে একই মঞ্চে বসে পিরিত করে সেগুলো নিয়ে কিছু বলবেনা।
৮) অহেতুক ওয়াজের নামে হাউকাউ করবে।
৯) জাকির নায়েক টাইপের ভারতীয় দের অনুসরণ করবে কিন্তু হিন্দু ভারতীয় দের ঘৃনা করবে।
১০) দুনিয়ার সব দোষ জাতীর জনক ও শেখ হাসিনার উপর চাপাবে।


জামায়াত শিবির ধর বস্তা ভর পাকিস্তানে পাচার কর।

২৮ শে জুন, ২০২৪ রাত ৮:১৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: ভারতকে ঘৃণা করার বড় কারণ ধর্মান্ধতা ঠিকই, তবে ভারত নিজেও ধর্মনিরপেক্ষ এবং উদার-গণতান্ত্রিক মূর্তি থেকে বেরিয়ে প্রতিক্রিয়াশীল ধর্মান্ধ রাষ্ট্রে পরিণত হতে চলেছে।

এছাড়া, বাংলাদেশের রাজনীতিতে তাদের হস্তক্ষেপ এবং দাদাগিরি, মস্তানি করার প্রবণতা বাংলাদেশের মানুষের ঘৃণাকে উৎসাহিত করেছে।

৩| ২৮ শে জুন, ২০২৪ সকাল ১০:০৯

কামাল১৮ বলেছেন: চিন্তার গভীরতা সেই সাথে বিশ্লষণ করার ক্ষমতা আমাদের অনেকের নাই।সেই সাথে ধর্মের প্রতি অন্ধ বিশ্বাস আমাদের মনোজগতকে করে ফেলে সংকীর্ণ।অসহনশীলতার অভাব আছে আমাদের মাঝে।তাই যুক্তিপূর্বক আলোচনা হয়না ব্লগে।

২৮ শে জুন, ২০২৪ রাত ৮:১৮

শ্রাবণধারা বলেছেন: হ্যাঁ, তা ঠিকই। তবে দুঃখের বিষয়, আপনাকেও প্রায়শই দেখি একই গরুর রচনা দিনের পর দিন মন্তব্যের ঘরে লিখেই চলেছেন!

৪| ২৮ শে জুন, ২০২৪ সকাল ১০:১২

কামাল১৮ বলেছেন: সহনশীলতা হবে।

৫| ২৮ শে জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৮

নূর আলম হিরণ বলেছেন: কেউ মন্তব্যের জবাব এমন নোংরা ভাবে দিলে পোষ্টের উপর আর আলোচনা থাকে না। এমনকি তাদের ক্যাচালের কারনে যারা পোষ্টের উপর মন্তব্য করতে চায় তারাও করে না।

২৮ শে জুন, ২০২৪ রাত ৮:২৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: সত্যিই তাই, এ ধরনের মন্তব্য দেখলে কোনপ্রকার আলাপ আলোচনার ইচ্ছা তো হয়ই না, বরং প্রবল ঘৃণা হয়।

বাক-স্বাধীনতা এবং উদার-গণতন্ত্রকে যেহেতু স্বীকার করি, তাই এদের কথাও শুনতে হবে।

৬| ২৮ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:১১

ক্রেটোস বলেছেন: এতদিন পর ব্লগে একটা মনের মতো পোস্ট পেলাম শ্রাবণধারা। এর জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা রইল!

কিন্ত যাদের সমালোচনা করলেন আপনি নিজেই যে তাদের আচরণে নিরত থাকেন মনে হয় না আপনি এটা বুঝতে পারেন। অনেকবার দেখেছি আপনি এই ব্লগের অনেককেই সমর্থন দিয়ে বেরিয়েছেন যাদের লিখাতে না আছে যুক্তি না আছে কোন বিশ্লেষণ আর তর্কে না পেরে মন্তব্যে ব্যক্তি আক্রমণ ও পুরো তর্কটাকে একটা নোংরা ঝগড়ায় নিয়ে যাওয়া তো আছেই, এইসবে যারা সিদ্ধহস্ত তাদের প্রতি আপনার অনুরাগ কিন্তু বেশ স্পষ্ট। অনেক সময় তো আপনি তাদের প্রতি আলাদা স্নেহও প্রদর্শন করেন। আপনি নিজেই কী নিজের বর্ণিত পাপের পাপী নন?

আপনার এই পোস্টে একটি মন্তব্য একদম অপ্রাসঙ্গিক এবং না আছে এর মধ্যে কোন যুক্তি আর না আছে কোন প্রাসঙ্গিক বিষয়বস্তু । কিন্তু তবুও এইসব কিন্তু আপনার কাছে দৃষ্টিকটু বলে মনে হবে না কারণ সে আপনার স্নেহের পাত্র/পাত্রী।

আপনি নিজেই কিছু বর্জ্যকে প্রাধান্য দেবেন আবার এদিকে অন্যের বাহ্যে করাকে সমালোচনা করবেন, ব্যাপারটা শোভনীয় হলো কী? কাক হয়ে কাকের মাংস খাওয়া হলো না শ্রাবণধারা?

২৮ শে জুন, ২০২৪ রাত ৯:২০

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ ক্রেটোস, আপনার মন্তব্যটি ভালো লাগলো।ভালো লাগার কারণ, আপনি চোখে আঙুল দিয়ে আমার দোষ স্পষ্ট করে ধরিয়ে দিয়েছেন।

ব্লগে ব্যক্তি আক্রমণকারী কাউকে কাউকে আমি সমর্থন করেছি, একথা সত্য। তবে আত্মপক্ষ সমর্থন করে দু-চারটি যুক্তি উল্লেখ করতে পারি।

প্রথমত, এরকম একজন আমার দেখা মতে, সে নিজেই প্রথমে ব্যক্তি আক্রমণের শিকার হয়েছিলো। মনে হয়েছিলো, সেই লোকের বুদ্ধিবৃত্তি কিছু লঘু হলেও মানুষ হিসেবে তার মধ্যে ঘৃণার চেয়ে ভালোবাসা প্রবল। আমার নিজের বিচারে মনে হয়েছিলো এই যে ব্লগে কয়েকটি ক্ষেত্রে তার প্রতি সঠিক বিচার হয়নি।

অনেক বিষয়ে তাদের কাউকে কাউকে সমর্থন করলেও তাদের সব কাজের বা চিন্তার সমর্থক কিন্তু আমি নই। কোন কালে ছিলামও না। তাদের আচরণে আমি বহুবার বিরক্ত হয়েছি এবং তাদের কাজের কঠোর সমালোচনা করেছি। কিন্তু কে শোনে কার কথা!

৭| ২৮ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:৪১

আমি নই বলেছেন: বাংলাদেশের স্বার্থ বজায় রাখাটাই বাংলাদেশিদের জন্য শ্রেষ্ঠ দেশপ্রেম। বাংলাদেশের স্বার্থ বজায় রাখতে গিয়ে ভারতকে বা পাইক্যাকে গালি দেওয়াটা দোষের কিছু মনে করিনা। পাকিরা খাইছে ২৬ বছর আর দাদারা বন্ধুত্বের দোহাই দিয়ে খাচ্ছে ৫৩ বছর রানিং, ভারতের উপর রাগটা বেশি হওয়াই স্বাভাবিক। এরকম বন্ধু যেন কোনো শত্রুরো না হয়।

২৮ শে জুন, ২০২৪ রাত ৯:১৩

শ্রাবণধারা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

সত্যি বলতে কি, একদম হাতে গোনা দু-একজন ছাড়া বাঙালীর মধ্যে দেশপ্রেম আমি একেবারে দেখিনি। "শ্রেষ্ঠ দেশপ্রেম" তো দুর কি বাত!

বাংলাদেশের স্বার্থ বজায় রাখতে গিয়ে ভারত বা পাকিস্তানকে গালি দেওয়া আর ব্লগে নিজের ধর্মীয় পরিচয় প্রকাশ না সত্ত্বেও, হিন্দু বলে অনুমান করে ব্লগে ঘৃণা ছড়ানোর মধ্যে অনেক বড় পার্থক্য আছে।

"পাকিরা খাইছে ২৬ বছর আর দাদারা বন্ধুত্বের দোহাই দিয়ে খাচ্ছে ৫৩ বছর রানিং" - আপনার এই কথাটিতে অপরিণত ও লঘু চিন্তার প্রকাশ পেয়েছে।

ভারত এবং পাকিস্তান আমাদের জন্য "শুধু ২৬ বছর বনাম ৫৩ বছর" অর্থনৈতিকভাবে শোষণ করছে, শাসন করছে, সুবিধা নিচ্ছে - বিষয়টা তা নয়, তার চেয়ে অনেক জটিল। আমাদের মা-বোনের ধর্ষণকারী, ধর্মান্ধ, সামরিক শাসিত একটি দেশ এবং অন্যায্য সুবিধাভোগী, নব্য-বণিকবাদী, কিন্তু গণতান্ত্রিক ও বহু অভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশের অংশীদারি প্রতিবেশী একটি দেশের মধ্যে রাত ও দিনের পার্থক্য আছে।

৮| ২৮ শে জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৪

প্রামানিক বলেছেন: যুক্তিপূর্ণ বক্তব্য ছাড়া পোস্টে মন্তব্য করাও বিপদ।

২৮ শে জুন, ২০২৪ রাত ৯:১১

শ্রাবণধারা বলেছেন: হ্যা, হ্যা :)। আপনি যে ভাবে পারেন সেভাবেই মন্তব্য করবেন প্রামানিক ভাই। কোন সমস্যা নেই। :)

৯| ২৮ শে জুন, ২০২৪ রাত ৯:৪০

আহমেদ জী এস বলেছেন: শ্রাবণধারা,





বলেছেন - "আমাদের বলার মতো বেশ কথা আছে। মানবসমাজকে দেওয়ার মতো বার্তাও আছে কিছু। সমুদ্রের ভাষা আমাদের কানে যে নতুন কথা বলছে, হিমালয়ের চূড়া থেকে যে গান ভেসে আসছে, সেই গান দিয়ে আমরা ব্লগের পাতা ভরিয়ে দেব। মাথার উপরের অনন্ত নক্ষত্রবিথী আর নীলাকাশ আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস হবে।"
কিন্তু কথা হলো- আমাদের কান বধির, সমুদ্রের ভাষা - হিমালয়ের চূড়া থেকে ভেসে আসা গান, সে কানে প্রবেশ করেনা।
আমাদের চোখও যে অন্ধ! আমরা অনন্ত নক্ষত্রবিথী আর আকাশের নীল দেখতে পাইনা!
পরিবেশ-শিক্ষা-সমাজ ব্যবস্থা-স্বার্থ-ব্যক্তিগত অসফলতা ইত্যাদির যাতাকলে পড়ে কালেকালে আমাদের কান আরও বধির হচ্ছে, চোখ ঘোলাটে হয়ে আসছে, জিহ্বা দিনে দিনে অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে!

এ সবকিছুর পরেও আপনার বলা - "এই ডিজিটাল প্লাটফর্মটিকে কী দারুণ ভাবেই না ব্যবহার করা যেত! কে বিশ্বাস করতে ভালো লাগছে...।

২৮ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:০০

শ্রাবণধারা বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আহমেদ জী এস ভাই।

রবীন্দ্রনাথের প্রবন্ধের উত্তরে বলা আমার কথাগুলো আপনি উল্লেখ করেছেন দেখে আমি কিন্তু কিছুটা লজ্জায় পড়ে গিয়েছিলাম। ভাবলাম, কী জানি চূড়ান্ত ভাবালুতার প্রকাশ হয়ে গেল কি না? অবশ্য পরের লাইনগুলো দেখে কিছুটা সাহস পেলাম।

আমি দৃঢ় বিশ্বাস নিয়েই বলেছি যে এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মটিকে আমরা খুব ভালো ব্যবহার করতে পারি। আমাদের চমৎকার সব চিন্তা ভাবনাগুলো এখানে সংগ্রহ করার মাধ্যমে এবং যুক্তিপূর্ণ আলোচনার ভিতর দিয়ে নিজের বুদ্ধিকে শাণিত করার মাধ্যমে।

আমি নিশ্চিত যে সামহোয়ার-ইন-ব্লগে আপনারও কিছু গুরুত্বপূর্ণ লেখা এই সংগ্রহশালাকে সমৃদ্ধ করেছে। এই যেমন স্মৃতি থেকে বলতে পারি - ঢাকা শহরের জ্যাম নিয়ে আপনার কতগুলো লেখা ছিলো, যেগুলো অমূল্য।

১০| ২৮ শে জুন, ২০২৪ রাত ৯:৫৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: গালাগাল , বাজে ভাষা প্রয়োগে ব্যক্তি আক্রমন কোন অবস্থাতেই গ্রহনযোগ্য নয়। কিন্ত পোস্টে যেসব উদাহরন দেয়া হয়েছে তাতে মনে হচ্ছে কেবলই ভারতের পক্ষালম্বনকারী ব্যক্তিদের গালাগাল করায় আপনি মর্মাহত হয়েছেন!!





২৮ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:৪২

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ। ঘটনাটি বাংলা ব্লগে আমার দেখা সাম্প্রদায়িকতা এবং প্রতিক্রিয়াশীলতার একটি অপকৃষ্ট উদাহরণ, যা দেখে পীড়িত হয়েছিলাম। সেই কারণেই এটি উল্লেখ করা।

ভারতের পক্ষালম্বনকারী ব্যক্তিদের প্রতি আমার বিশেষ দুর্বলতা আছে বলে আমার জানা নেই। তবে আমি যাদের প্রবল শ্রদ্ধা করি এবং যাদের কর্মকে খুব উচ্চ মনে করি ও লেখা উপভোগ করি তাদের অনেকেই ভারতীয়। এই যেমন ধরুন বিদ্যাসাগর, গান্ধি, রবীন্দ্রনাথ, অমর্ত্য সেন...ইত্যাদি। আবার যেটা অপছন্দ করি সেখানে আপনার সাথে কমন পড়বে বলে মনে হয়! :) এই যেমন হনুমানজি...।

আমার ধারণা এই যে, ভারতের অন্তরাত্মা মহাভারত মহাকাব্যের মতই বহুবিস্তৃত - এর মধ্যে শুধুমাত্র একটি মতবাদ এবং মতবাদগোষ্ঠী নেই। বহু ভাবনায়, ধারণায়, শাখা-প্রশাখায়, মেধায়, চিন্তায়, ভাবে এবং বৈচিত্র্যে ভারত অনন্য। এখান থেকে কোনো এক বা একাধিক বিশেষ হনুমান বা বানর আমার ক্ষেতের ফসল নষ্ট করলে আমি রুষ্ট হতে পারি, কিন্তু একে অবজ্ঞা এবং ঈর্ষা করার মতো নির্বোধ আমি হতে পারি না।

১১| ২৮ শে জুন, ২০২৪ রাত ১০:০৮

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ব্যাক্তি আক্রমণকারী সিন্ডিকেট এর রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে তাদের নোংরামির বিরুদ্ধে লেখায় আপনাকে অসং্খ্য ধন্যবাদ।
এক বলদ দেখলাম ইনিবিনিয়ে আমারে খোঁচা মারছে। এই বলদ কি দেখেনি সর্বপ্রথম আমাকেই ব্যাক্তি আক্রমণ করা হয়েছে। তারপর আমি তাদেরকে তাদের ভাষায় জবাব দিসি। যেমন এই বলদ কিন্তু আগে আমাকে এট্যাক করছে তারপর আমি তারে বলদ ডাকছি।

ব্লগে আমাকে যারা ব্যাক্তি আক্রমণ কারীদের তালিকায় রাখে তারা খুব ভালো করেই জানে আমি জীবনে কোনদিন আগে থেকে ব্যাক্তি আক্রমণ বা এট্যাক করিনি। আমাকে এট্যাক করার পর আমি জবাব দিসি। তাদের ভাষায়। কারণ মডারেটর ওদের কিছু করেনা।

আপনি নির্ভয়ে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে লিখুন। ছাগু মানসিকতার লোকজন ছাড়া সবাই ভালো ও ন্যায় এর পক্ষেই থাকবে।

২৯ শে জুন, ২০২৪ রাত ১২:০৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: এই পোস্টে আপনার মন্তব্যের দ্বিতীয় প্যারাটা কি কোনোভাবেই প্রাসঙ্গিক ছিল?

আমার মাঝে মাঝে মনে হয় আপনি ডন কুইক্সোটের মতো (Don Quixote) কতগুলো কাল্পনিক শত্রু তৈরি করে একটি কাল্পনিক লড়াইয়ের মধ্যে আছেন। আগে অনেকবারই বলেছি যে এটা অনর্থক শক্তিক্ষয়। ব্লগে আমরা কেউ কাউকে চিনি না, কেউ আমাদের কোনো প্রকার লাভ ক্ষতির অংশীদারও নয়, তাহলে কেন ভাই এই ক্যাচাল?


১২| ২৮ শে জুন, ২০২৪ রাত ১০:২২

ক্রেটোস বলেছেন: হাহাহাহা, শ্রাবণধারা আপনার স্নেহধন্য ব্যক্তির মন্তব্য দেখুন। ব্যক্তি আক্রমণ আর সমালোচনার পার্থক্য উনি জানেন বলে মনে হয় না। আমার মন্তব্যে কোন ব্যক্তি আক্রমণ করা হয়নি কিন্তু উনি করলেন।

@গোফরান, হ্যাঁ নীলসাধু আপনার সাথে যা করেছিল তা অন্যায় তার মানে এই না আপনার সব অভব্য আচরণকে আপনি সেই ঘটনার অজুহাত দিয়ে ঢেকে দেবেন। এটা মাথায় রাখবেন।

২৯ শে জুন, ২০২৪ রাত ১২:১০

শ্রাবণধারা বলেছেন: হ্যাঁ নীলসাধু, আপনার সাথে যা করেছিল তা অন্যায়" - আপনার কাছ থেকে এটা শুনে সত্যি আমার হৃদয় জুড়ালো।

অবশ্য, মোহাম্মদ গোফরান সাহেবের হৃদয়ে আপনার এই কথা কোনো ছায়া ফেলেছে কি না, এখনও বোঝা যাচ্ছে না। :)

১৩| ২৮ শে জুন, ২০২৪ রাত ১০:৩০

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ক্রেটোস @

আমাকে আগে এট্যাক বা খোচা না মারলেই আমি ভীষণ ভদ্র শিক্ষিত ঈ মার্জিত। যে যেমন আমি তার সাথে তেমন।

২৯ শে জুন, ২০২৪ রাত ১২:১২

শ্রাবণধারা বলেছেন: দয়া করে থামুন।

আপনাকে কেউ আগে খোঁচা মারলে টাইম-মেশিনে করে আগে চলে যাওয়া যায় কিনা এটা নিয়ে ভাবুন। তাহলে একটা সমাধান হতে পারে।

১৪| ২৮ শে জুন, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

ক্রেটোস বলেছেন: @মোহাম্মদ গোফরান, আপনি দয়া করে সমালোচনা ও খোঁচার পার্থক্য বুঝবেন এরপর ব্লগিং করবেন দয়া করে। আপনি মার্জিত নন হলে আপনি প্রথমেই বুঝতে পারতেন যে সমালোচনার ক্ষেত্রে ভাষা কেমন ব্যবহার করতে হয়। যাইহোক, শুভ কামনা রইল আপনার প্রতি। আশা করি একদিন আপনার আচরণের উন্নতি হবে! ভালো থাকবেন।

১৫| ২৮ শে জুন, ২০২৪ রাত ১০:৫৮

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ৭ নং মন্তব্যে যে উত্তরটা দিয়েছেন; এরচেয়ে ভালো উত্তর আর হয় না। আমি নই দেশপ্রেমিক এবং সচেতন ব্লগার, ঢাবিয়ানও তাই। অথচ এরাও উগ্রবাদীদের মতো ভারত-পাকিস্তান এক করে ফেলে। এটা কি দেশপ্রেমের নমুনা? এরা আবার মুক্তিযুদ্ধের গল্প পড়ে আবেগতাড়িত হয়। আমার দেশের লাখ লাখ নিরীহ মানুষ মারা হয়েছে, মা-বোনদের সম্ভ্রমহানি হয়েছে এসব কি তুচ্ছ ব্যাপার?

২৯ শে জুন, ২০২৪ রাত ১২:২০

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য।

সত্যি বলতে কি সেই মন্তব্যের উত্তরে আমি যেটা লিখেছি এটা না লিখতে পারলেই আমি খুশি হতাম। ক্লাস ফোর-ফাইভের উত্তর যেটা প্রাইমারি স্কুল পাশ দিতে দিতে আমাদের জানার কথা, সেটা ব্লগে লিখতে পারাটা আনন্দের নয়।

১৬| ২৮ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:৫১

কামাল১৮ বলেছেন: আমার দুটি মন্তব্য একই রকম এমনটি দেখান,তার পর গরুর রচনা বলুন মেনে নিবো।আমিতো মুমিন না ইসলামের পক্ষে বলবো।আমি মুক্ত মনের মানুষ।আমার চিন্তা ভাবনা কারো কাছে বন্ধক দেয়া নাই।

২৯ শে জুন, ২০২৪ রাত ১:৫৫

শ্রাবণধারা বলেছেন: কোন সন্দেহ নাই যে আপনি একই মন্তব্য কপি করেন না, কিন্তু প্রায়শই আপনি প্রসঙ্গ ভিন্ন হলেও সেটিকে ধর্মের দিকে টেনে নিয়ে আসেন।

সে যাক, আপনার অভিজ্ঞতা এবং বয়সের কারণেও এটা হতে পারে।

১৭| ২৯ শে জুন, ২০২৪ রাত ১:১৭

ফিনিক্স পাখির জীবন বলেছেন: সামহোয়্যার ইন ব্লগ তার মান হারিয়েছে। কথাটা বলতে আসলেই খুব কষ্ট হচ্ছে। ২০১০ থেকে ব্লগ পড়ি, লিখতাম আত্মমগ্ন আমি নিকে। অনেক প্রানবন্ত ছিল সেই সময়টা। পরিচালনা ও মডারেটর টীম ও খুব এক্টিভ, উদার ও ভাল ছিল। এখন কর্তৃপক্ষের অবস্থা যেমন তথৈবচ, কয়েকজন উল্লেখযোগ্য ব্লগার ছাড়া বাকিদের আলাপ আলোচনার অবস্থাও শোচনীয়।
আমি ব্লগে মূলত পাঠক, লেখক নই। তাই যখন ধর্ম, সাম্প্রদায়িকতা, রাজনৈতিক পক্ষপাতমূলক লেখা, ও এগুলো নিয়ে অহেতুক বাড়াবাড়ি দেখি কারো কারো, তখন খারাপ লাগে। পরষ্পরের প্রতি সম্মান রাখাটা জরুরী। ব্লগে ধীরে ধীরে এটা কমে আসছে। পরমতসহিষ্ণুতা এই ধরনের প্ল্যাটফর্মের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা। প্রায়ই দেখি আমরা বেশিরভাগ ব্লগারই এই পরীক্ষায় বরাবরই অকৃতকার্য।
অবশ্য এ সবই বর্তমানে আমাদের জাতীয় সমস্যা।
যাই হোক, একটা আচড় রেখে গেলাম।

২৯ শে জুন, ২০২৪ রাত ২:০৮

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ ফিনিক্স পাখির জীবন আচঁড় রেখে যাবার জন্য। :)

আপনার প্রতিটি কথাই যৌক্তিক, তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে কথাটি বলেছেন তা হলো "পরমতসহিষ্ণুতা এই ধরনের প্ল্যাটফর্মের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা।" এই পরীক্ষায় কীভাবে পাশ করা যায়, সেটি নিয়ে ভাবা প্রয়োজন।

আমিও ২০১০ বা এর আসেপাশের সময় থেকে অনিয়মিতভাবে ব্লগে আসতাম। সেই সময় ব্লগের একটা ভালো সময় ছিল। অনেক ভালো লেখা এবং প্রচুর মন্তব্য থাকতো তখন। এখন আর সেই সময়টা নেই, এখন পাঠক লেখক অনেক কমে গেছে। কিন্তু সংখ্যার স্বল্পতার ভিতরেও ভালো লেখা তৈরি হতে পারতো, যুক্তি-তর্ক-আলোচনা চলতে পারতো।

১৮| ২৯ শে জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯

নতুন বলেছেন: একটা কথাই অনেক ভাবে বলা যায়।

কিন্তু কিভাবে বলবেন সেটা সম্পর্ন নিভর করে বক্তার জ্ঞান, প্রজ্ঞার উপরে।

বাংলাভাষার বাজে শব্দ, গালী গুলি আমরা কমবেশি সবাই জানি।

কিন্তু আপনার প্রজ্ঞাই আপনাকে সেই সব কদর্জ ভাষা ব্যবহারে বিরত রাখবে।

আমাদের দেশের সোসাল মিডিয়াতে কমেন্ট পড়লে বোঝা যায় জাতী হিসেবেই আমরা ব্যক্তিআক্রমন করি। মতের অমিল হলে যাকে চিনিনা জানিনা তাকেও বাজে মন্তব্য করেবসে, গালী দেয়।

বর্তমানের ফেসবুক পড়ুয়া জেনারেসনের অবস্থা কেমন হবে সেটাই ভাবি মাঝে মাঝে।

২৯ শে জুন, ২০২৪ রাত ১০:৪২

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ, সহজ কথাটি সুন্দরভাবে সহজ করে বলার জন্য।

আসলেই তাই, একই কথা একেক জন মানুষ একেকভাবে বলে এবং এটি তার ভাষা জ্ঞান, ব্যক্তিত্ব, প্রজ্ঞার ওপর নির্ভর করে। আমি লক্ষ্য করেছি যে এই ব্লগের অনেক সুপরিচিত ব্লগারের ভাষাও অতি নিম্নমানের।

কারণটা বোধ হয় এই যে, বাংলা ভাষায় কোনোরকমে লেখাটা শিখলেও পড়া-লেখাটা এদের কম, তাই লিখতে গেলে আর নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, ভাবে বিরাট জ্ঞানের প্রকাশ ঘটিয়ে ফেলেছে।

১৯| ২৯ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:৫১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: এখন সকল সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে অনলাইন এক্টিভিটি হয়ে গেছে একই সমান্তরাল। ফলে ব্লগের সেই গুণগত মান হারিয়ে যাচ্ছে। যে কারো মতামতের সাথে আমার মতের পার্থক্য থাকতেই পারে, থাকতেই পারে বিপরীত মতামত। সেটি প্রকাশ এবং তা নিয়ে যুক্তিনির্ভর আলোচনা সমালোচনা চলতে পারে। কিন্তু বর্তমান সময়ে দেখছি, সমালোচনা কেই নিতে যেমন পারে না, যৌক্তিক এবং শালীনতার মধ্যে থেকে কেউ সমালোচনাও করতে পারছে না। অনলাইনের বর্তমান সময়টি বড্ড বেশী অসুস্থ একটা সময় মনে হয় আমার কাছে। আর তার প্রভাব দেখতে পাচ্ছেন ব্লগে।

ভারত ভ্রমণের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, হিন্দু মুসলিম দুই ধরণের মানুষের মাঝেই ধর্মান্ধ উগ্রতা রয়েছে। হিন্দুরা সংখ্যাগুরু বলে তাদেরটা খুব চোখে পড়ছে।

২৯ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:১২

শ্রাবণধারা বলেছেন: ডিজিটাল প্লাটফর্মে বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি এবং আলোচনা সমালোচনার বাস্তবতাটা সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন।

আপনার ভ্রমণ বিষয়ক পোস্টগুলো অনবদ্য। আপনি যেভাবে এই প্লাটফর্ম টিকে ব্যব হার করছেন, এই ধরণের ব্যবহার আমরা যত বাড়াতে পারবো তত আমাদের উপকার।

২০| ২৯ শে জুন, ২০২৪ রাত ১০:৫৫

অপু তানভীর বলেছেন: আমরা যাদের পছন্দ করি, তাদের বেলাতে এমন হয় যে তাদের করা অন্যায় গুলো আমাদের চোখে পড়তে চায় না । যদিও চোখে পড়ে তখন সেই অন্যায়কে জায়েজ করার জন্য নানান কারণ অযুহাত খুজে নি । এই যেমন ছয় নম্বর মম্তব্যের জবাবে সেটাই প্রকাশ পেয়েয়েছে । আবার আমরা যাদের পছন্দ করি না তাদের সমস্যা অপরাধও আমাদের ক্ষমতার অযোগ্য মনে হয় । আমি আপনাকে দোষ দিচ্ছি না । আমার নিজের ভেতরেই এই দোষ রয়েছে ।
আমার মনে হয় না যে এই ব্লগের কারো নিরোপেক্ষ ভাবে কারো ন্যায় নীতি আচার আচরণ সম্পর্কে কথা বলার শতভাগ গ্রহনযোগ্যতা আছে ! দেখা যাবে কেউ যে ব্যাপারটা নিয়ে কথা বলছে তারই পছন্দের কেউ ঠিক একই ধরণের অন্যায় করা সত্ত্বেও সে কোন প্রতিবাদ করে নি অথচ অন্যের বেলাতে ঠিকই প্রতিবাদ করছে ।
দয়া করে ব্যক্তিগত ভাবে মন্তব্যটা নিবেন না । এটা সমগ্র ব্লগের সব ব্লগারদের ব্যাপরেই আমার মনভাব এবং আমি নিজেও এই দোষের বাইরে নই।

২৯ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:৪৪

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ অপু তানভীর।

৬ নম্বর মন্তব্যে আত্মপক্ষ সমর্থন করে দুই একটি যুক্তি দিয়েছিলাম। হ্যাঁ, কথাটা এই যে সেখানে আমি আত্মপক্ষই সমর্থন করেছি, এর মধ্যে নিরপেক্ষতা নেই। আমার ধারণা যাকে এই বক্তব্য দিয়েছিলাম, তিনি এটি সম্পূর্ণ বুঝেছিলেন। কিন্তু ঐ মন্তব্যের উত্তরটি আপনি ঠিক কীভাবে ব্যাখ্যা করছেন, এটা নিয়ে আমি সন্দিহান। একজনের মতবাদ বা দর্শনে এবং সেই দর্শন যেখানে হিতকর বলে আমার মনে হয়েছে সেখানে সমর্থন দেওয়া এবং পছন্দনীয় ব্লগার হয়ে যাওয়া বিষয়টা নিশ্চয়ই এক নয়?

নিজেকে নাকি বাইরে থেকে কখনও দেখা যায় না এমন একটা কথা আছে। আমি ব্যক্তিগত দোষত্রুটির ঊর্ধ্বে নই এবং আমার নিজস্ব মতবাদ যাদের সাথে মেলে, সে কিছু লঘু হলেও, নির্বোধ হলেও, তার এক বা একাধিক কাজের প্রতি আমার সমর্থন থাকতে পারে, নয় কী?

ন্যায়-নীতি, আচার-আচরণ সম্পর্কে আমার কথা শোনার বা না-শোনার অধিকার অবশ্যই সকলের ব্যক্তিগত, কিন্তু আপনি যেভাবে লিখেছেন তাতে মনে হচ্ছে যে ন্যায়-নীতি, আচার-আচরণ নিয়ে লেখার অধিকারই বোধ হয় আমার নেই!

২১| ২৯ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:৫৮

অপু তানভীর বলেছেন: আপনি হয়তো আমার মন্তব্যটা একটু বেশি ব্যক্তিগত ভাবে ধরে নিয়েছেন যদিও আমি সামগ্রিক ভাবেই সকালকেই বুঝিয়েছি । অথবা আমি যা বলতে চেয়েছি যা হয়তো আমি ঠিক মত বুঝাতে পারি নি ।
যদি একটা ছোট উদাহরন দেই আপনাকে হয়তো আমার বক্তব্য পরিস্কার হবে ! যেমন ধরেন আমার একজন পছন্দের ব্লগার ক । সে কোন পোস্টে বা মন্তব্য চ বর্গীয় কোন ভাষা ব্যবহার করল । আমি সেটা দেখলাম এবং সেটা দেখেও না দেখার ভান করলাম । আবার আমার একজন অপছন্দের ব্লগার (কিংবা তাকে পছন্দ/অপছন্দ কিছুই করি না এমন) কোন পোস্টের মন্তব্যের একই রকম চ বর্গীয় ভাষা ব্যবহার করল । এখন আমি কী করলাম, ভাষার এই অভদ্র ব্যবহার নিয়ে একটা কিছু লিখলাম ! এবং পরের জনের উদাহরণ টানলাম ! আপনার মতে আমার এই আচরণটা কেমন মনে হল ?

৩০ শে জুন, ২০২৪ রাত ১২:৩৯

শ্রাবণধারা বলেছেন: আমার এই পোস্টের সারাংশ যদি আপনার কাছে শুধুমাত্র অপছন্দনীয় ব্লগারের ভাষার অভদ্র ব্যবহার নিয়ে একটি পক্ষপাতমূলক লেখা হয়, তাহলে হতবুদ্ধ না হয়ে পারি না। ধারণা ছিলো এই যে আমি "পক্ষপাতমূলক" লেখার চেয়ে কিছু বেশি চিন্তা করি এবং সেই চিন্তার প্রকাশ পুরোপুরি না হলেও অনেকাংশে ঘটাতে পারি।

মনে হচ্ছে আমি আমার কাজে দারুণভাবে ব্যর্থ হয়েছি। আমার উল্লেখ করা উদাহরণটি সম্পূর্ণ বাদ দিলেও লেখাটার মধ্যে একটি বার্তা আছে আমি মনে করেছিলাম। সেটি হলো, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আমরা আমাদের ছোট-বড় ভালো চিন্তাগুলো রেখে যাব নাকি কটুভাষায় কলহে লিপ্ত হবো - এই চিন্তাটি আমাদের মধ্যে দিয়ে দেওয়া। কলহের উদাহরণ হিসেবে আমি যে ঘটনাটির উল্লেখ করেছি, এমন নিচু মানের সাম্প্রদায়িক এবং বিকৃত কথা অন্তত আমি এই ব্লগে আর দেখেছি বলে মনে পড়ে না। এটা যদি আপনার কাছে আমার একজন অপছন্দের ব্লগারের চ-বর্গীয় ভাষা ব্যবহার মাত্র হয়, তাহলে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির বড় পার্থক্য আছে।

একজন সুশিক্ষিত মানুষ সচরাচর নিরপেক্ষ হন না। সাধারণত, তিনি যারা ক্ষমতাহীন, নিপীড়িত, প্রান্তিক- তাদের পক্ষ নেন, কারণ-অকারণে সবসময়ই নেন। যদি অমর্ত্য সেনের লেখা পড়েন তাহলে দেখবেন যে তিনি কঠোরভাবে ভারত সরকারের, হিন্দুত্ববাদের, ভারতীয় আধিপত্যবাদের সমালোচনা করেন, কিন্তু অকারণেই বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন, মুসলিমদের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেন।

২২| ৩০ শে জুন, ২০২৪ রাত ১২:২২

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: হা হা হা কিছু কিছু মন্তব্য কারীর মন্তব্য দেখে ইচ্চ্ছা করতেছে গাইলাই। কিন্তু আপনার পোস্টে গাইলানো অশোভন দেখায়। কজ আই লাভ ইউ। অনেক আপত্তিকর কুৎসিত বিশ্রী ভাষা বা শব্দ ইউজ করে এরা এবং এদের সিন্ডিকেট ব্যাক্তি আক্রমণ করে। অথচ এই পোস্টে এমন একটা ভাব করছে এরা কখনো ব্যাক্তি আক্রমণই করেনি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.