নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

...............

শ্রাবণধারা

" আমাদের মতো প্রতিভাহীন লোক ঘরে বসিয়া নানারূপ কল্পনা করে, অবশেষে কার্যক্ষেত্রে নামিয়া ঘাড়ে লাঙল বহিয়া পশ্চাৎ হইতে ল্যাজমলা খাইয়া নতশিরে সহিষ্ণুভাবে প্রাত্যহিক মাটি-ভাঙার কাজ করিয়া সন্ধ্যাবেলায় এক-পেট জাবনা খাইতে পাইলেই সন্তুষ্ট থাকে......."

শ্রাবণধারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্লগার হাসান কালবৈশাখীর (এবং ব্লগের গনশত্রুদের) কাছে খোলা চিঠি

১৯ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:১৫



কোটা বিরোধী আন্দোলনে নামা ছেলেমেয়েদের সম্পর্কে হাসান কালবৈশাখী কদিন আগে একটি মন্তব্যটি করেন। যার মূল কথাটি হল "ওদের চিরদিনের জন্য শিক্ষা হোক। পিটিয়ে পাছার চামড়া তুলে ফেলতে হবে।"

আমাদের যে ছেলেমেয়েরা নিজেদের অধিকার রক্ষায় রাস্তায় নেমে পুলিশের গুলিতে মারা যাচ্ছে তাদের জীবনের প্রতি তীব্র উপেক্ষা আর অবহেলায় বলা এই কথা, এই হুমকি, এই আস্ফালনের উত্তরে মনে হলো কিছু কথা তাকে আমার বলার আছে।

প্রথমেই বলবো যে, হাসান কালবৈশাখীর চিন্তাভাবনায় উগ্রতা সত্ত্বেও তিনি একপেশে নন। তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি কখনো কখনো যুক্তিসঙ্গত ও বাস্তববাদী। তার রাজনৈতিক মতাদর্শ বিতর্কিত হলেও, মত প্রকাশের প্রশ্নে তাকে শ্রদ্ধাশীল হতে দেখেছি। কাউকে গালি দিয়ে তাকে কথা বলতে দেখিনি। এই সব কারণে তাকে আমি উগ্রবাদী হনুমান বা ধর্মান্ধদের মতো অগ্রাহ্য করতে পারি না।

যুক্তির প্রতি তার কিছু শ্রদ্ধা থাকলেও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি তার শ্রদ্ধা নেই এই মন্তব্যে সেটি স্পষ্ট হয়ে গেছে। প্রবল পরাক্রমশালী শাসকের মত তিনি ক্ষমতাশীল রাজনৈতিক দলের শক্তিকে মনে করেন অপরাজেয়। তিনি মনে করেন যে এই অমিত শক্তির হাতে যে লাঠি, মানুষ হত্যা করার যে বন্দুক, যে গোলা-বারুদ-বোমা সেটা অনন্তকালের জন্য অক্ষয় হয়ে থাকবে। আর জনগণ সেই লাঠির বাড়ি খাবার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে।

শাসকের লাঠির আঘাত হাসান কালবৈশাখীর ভাষার আঘাত হয়ে আমাদের আক্রান্ত করে। কিন্তু তিনি ভুলে যান যে ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়। তিনি বিস্মৃত হন ফরাসী বিপ্লবের ইতিহাস। তিনি বেমালুম ভুলে যান মুসোলিনি, হিটলারের ফ্যাসিজমের পরিণতি। তিনি বিস্মৃত হন ইমেলডা মার্কোস, সাদ্দাম হোসেন বা বাসার আল আসাদের কথা।

কবে কখন যে বেতের বাড়ি কার পিছনে এসে পড়তে পারে এটা আগে থেকে অনুমান করা সম্ভব নয়। আর নির্বোধেরা মনে করে যে তাদের অনুমান একেবারে সঠিক। যাদের জ্ঞানবুদ্ধি থাকে তারা বরং নিজেদের পাছার চামড়া যাতে না ওঠে সেই চিন্তায় রত থাকেন।

ইংরেজিতে একটা কথা আছে "Cover your ass" সংক্ষেপে "CYA" (নিজের পশ্চাৎদেশ রক্ষা করুন)। এ কথাটি কর্মক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় বিপদ বা সমালোচনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য। কী সেই পদক্ষেপ? সেটা হলো নিজের কাজ সম্পর্কে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।

আগামিকাল বা পরশু একদিন সময় আসে যখন এই কাজ সম্পর্কে জনগণের কাছে জবাবদিহিতা করতে হয়। সেই দিনটির কথা ভেবে হলেও বুদ্ধিমান মানুষ অন্যকে পিটিয়ে পাছার চামড়া তুলে ফেলা দুরে থাক নিজের পশ্চাৎদেশ কীভাবে নিরাপদ রাখা যায়, সেই কথা চিন্তা করেন। আপনি সেই কথা চিন্তা করে দেখেছেন কি জনাব?

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:৪৬

কাছের-মানুষ বলেছেন: আমেরিকার অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে যেখানে বাংলাদেশী স্টুডেন্ট আছে, সেখানে ক্যাম্পাসে কোটার পক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন হচ্ছে, সবাই যার যার পক্ষ থেকে সব কিছু শেয়ার করছে প্রতিবাদের ছবি। ছাত্রছাত্রীদের এই ন্যায্য অধিকারের পক্ষে সকল বিবেকবান মানুষ আছে! যার ন্যূনতম বিবেকবুদ্ধি আছে, সে এর বিপক্ষে বলতে পারে না! এই সরকার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ধ্বংস করেছে, আমি জানি না এই অবস্থা থেকে দেশকে তার কক্ষপথে ফিরতে কত বছর লাগবে অথবা সরকার দেশকে কোথায় রেখে যাবে! অগণতন্ত্র এবং সুশাসন কখনো একসাথে থাকতে পারে না! সবকিছুরই একসময় জবাব দিতে হবে! এই আন্দোলন সফল বাঁ বিফল হোক মানুষের মনে যেই ক্ষোভ তৈরি হয়েছে এটা দেশের মানুষ কখনও ভূলবে না!

১৯ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩০

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনি সঠিক বলেছেন।

কোটার আন্দোলনের মত একটা স্বাভাবিক, শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনকে এরা এদের মাস্তানী দিয়ে, হাইকমান্ডের নির্দেশে ছাত্রলীগ হাতুড়ি হেলমেট বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে তাদের পশুবৃত্তির চরিতার্থতা করেছে। তারা উচ্চ আদালত থেকে শুরু করে সকল প্রতিষ্ঠান কেই ধ্বংস করেছে এবং ত্রাসের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে।

তারা রক্তপিপাসু উন্মাদ হয়ে গেছে। এই রক্তপাত এখন আর কোটা আন্দোলনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই।

২| ১৯ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:৪৬

নতুন বলেছেন: কিছু মানুষ আছে যাদের মস্তিস্কের লিমিটেসন আছে, তারা মানবিক বোধ টুকু বুঝতে পারেনা।

তাদের কাছে ৪১ টা মৃত্যু শুধুই সংখ্যা মাত্র। তারা চিন্তা করতে শিবির কর্মী মারা গেছে।

তাদের ব্রেন ঐ মানুষগুলির বাবা মা পরিবারের কস্ট অনুভব করতে পারবেনা।

সাইকোপ্যাথ, সোসিওপ্যাথ যারা তাদের আবেগ কম কাজ করে। তারা মানুষের মৃত্যুর খবরে কস্ট পায় না।

Psychopathy:

Psychopaths often exhibit a lack of empathy and remorse. They may find it difficult to connect emotionally with others and are usually unmoved by events that would typically evoke an emotional response, such as death. This is attributed to differences in brain structure and function, particularly in areas related to emotional regulation and empathy​

Sociopathy:

Similar to psychopathy, sociopathy involves a lack of empathy and a disregard for social norms. Sociopaths may not feel guilt or sadness when hearing about death, as their ability to form emotional bonds is impaired. However, they might still form some attachments, though these are often shallow and self-serving​

১৯ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৩

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার মূল্যায়ন যথার্থ।

শুরুতে এই অসামাজিক ব্যক্তিত্বের ব্যাধিতে আমাদের শাসকেরা আক্রান্ত ছিলো, পরে কালে কালে আমলা-পুলিশ থেকে শুরু করে অন্য পেশাজীবী মানুষেরাও সোসিওপ্যাথিতে আক্রান্ত হতে শুরু করলো। এমন এক অবস্থা যে মনে হলো বিরাট কোন ঢেউ না এলে, দুঃখ না এলে এই মানসিক ব্যাধি থেকে আমাদের মুক্তি নেই।

আশার কথা এই যে ছাত্রছাত্রীরা যারা আজ এই আন্দোলনের পুরোধা তাদের মানসিক স্বাস্থ্য বরাবর সুস্থ ছিলো। আর সে কারনেই তারা আজ বন্ধুকের নলের মুখে পরেছে।

৩| ১৯ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:৫২

সাফাত লস্কর বলেছেন: বাংলাদেশের দামাল ছেলে ।
তোমরাই করবে ইতিহাস রচনা।
কোন অপশক্তি তোমাদের রুখতে পারবে না ।
তোমরা এগিয়ে যাও তোমাদের লক্ষ্যে।
সফলতা একদিনে আসে না ।
আমি পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা , তোমাদের বিদ্রোহে আঁচ এখানেও পড়েছে, তোমাদের কথা ভাবছি আর মন ভারাক্রান্ত হচ্ছে ।
ভাষাতে সালাম ছিল , কোটাতে আবু সাঈদ

১৯ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৫

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ ওপার বাংলা থেকে আমাদের সন্তানদের প্রতি সহমর্মিতার জন্য, তাদেরকে সমর্থনের জন্য।

৪| ১৯ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:৪০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

প্রথমেই দুঃখ প্রকাশ করছি।
ইদানিং বিভিন্ন কারণে মেজাজ হারাই। অনেক কিছু বলা হয়ে যায়।

সামান্য কোটার জন্য ৪১টি প্রাণ। আর ভালো লাগেনা।
গুটিকয় সরকারি চাকরি, কেউ রিটায়ার হলে পদ খালি হয়।
এরপর সেই পদের জন্য প্রতিযোগিতা।

১৯ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৪

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ জনাব। আপনার এই আপাত নিরীহ, নির্বিকার মন্তব্য দেখে আমি কিন্তু মনে মনে বিচলিত বোধ করছি। মনে হচ্ছে এই তাণ্ডব, এই বিভৎস নরহত্যার পরিকল্পনার খবর আপনি যতদূর জানেন আমি ততটা জানি না।

সামান্য কোটার জন্য ৪১টি প্রাণ? সংখ্যাটা কি খুব বেশি অযৌক্তিক বলে মনে হচ্ছে না? কোটার জন্য কি ৪১ বা তারও অধিক প্রাণ হারানোর কথা? এখন কি এই রক্তপাত কোটা আন্দোলনের মধ্যে সীমাবদ্ধ আছে?

৫| ১৯ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:৫০

রাসেল বলেছেন: আমাদের ভিতর নৈতিকতা বলে কিছু নাই, যে কারণে আমরা অন্যায়ের পক্ষে কথা বলতে পারি। আমরা ভাবি না, মারা গেলে অর্থ সম্পদ কিছুই নিয়ে যেতে পারবো না। সেই অর্থ সম্পদের জন্য মিথ্যা বলি, অন্যায় আধিপত্য করি, চেহারা পরিবর্তন ইত্যাদি ইত্যাদি করি এবং অবশেষে নিজেকে নিষ্পাপ ভাবি।

১৯ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:০১

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ।

হ্যাঁ, আমাদের এক সীমাহীন নৈতিক অধঃপতন হয়েছে। তবে সে কারণেও আমাদের অপরাজনীতি আর এর দোসররাই বেশি করে দায়ী। যেমন ধরুন, পুলিশের বেতনের টাকা জনগণের করের টাকা থেকে আসলেও এই মাফিয়ারাই এদের অবৈধ টাকার জোগানদাতা। আর সেকারণে জনগণের প্রতি পুলিশের কোনো প্রকার দায়বদ্ধতা নেই। এদেরকে দিয়ে ছাত্র হত্যার মতো কাজ করিয়ে নিতে পারছে শাসকেরা।

৬| ১৯ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:৫২

নতুন বলেছেন: থমেই দুঃখ প্রকাশ করছি।
ইদানিং বিভিন্ন কারণে মেজাজ হারাই। অনেক কিছু বলা হয়ে যায়।

সামান্য কোটার জন্য ৪১টি প্রাণ। আর ভালো লাগেনা।


ভুতের মুখে রাম নাম?

সমস্যাটা ছাত্রলীগ হামলা শুরু না করলে এতো বড় হতো না।
বাঙ্গালীরে কেউ দমায়া রাখতে পারেনাই।

আপনার আয়ামীলীগের নেতারা মনে করছিলো পুলাপাইন পিটাইয়া সরাইয়া দিলে তারা বাড়ী গিয়া বই খাতা খুলে পড়াশুনা শুরু করবে।

পুলিশ কেন গুলি করে ৪১ জন মারলো? আপনি তো সভ্য দেশে থাকেন, হাতে লাঠি থাকলে কয়েক ফুট দুর থেকে গুলি করে কেউ?

আরেকটা ভিডিও তে দেখেন গাড়ীর উপর থেকে ছেলেটাকে কিভাবে নিচে টেনে ফেলেছে ছেলেটা তখনো জিবিত।

চেতনা বিক্রি করে অমানুষ সৃস্টি করেছেন আপনারা।

১৯ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:১৭

শ্রাবণধারা বলেছেন: ছাত্রলীগকে বহু আগেই নিষিদ্ধ করার সময় হয়েছিল। কিন্তু দুর্জন বড় বদমায়েশ নেতারা এদেরকে সময়ে ব্যবহার করার প্রয়োজনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এদের রাস্তার কুকুরের মতো রেখে দেয় ক্যান্টিনে ফ্রি খাওয়া আর চাঁদাবাজির কিছু ভাগের টাকার বিনিময়ে।

পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট দেশ আফগানিস্তান বা সোমালিয়াতেও বোধহয় ছাত্রলীগের মতো বিপথগামী কুকুরের দেখা পাওয়া যাবে না।

৭| ১৯ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬

কামাল১৮ বলেছেন: আন্দোলন এখন আর ছাত্রদের হাতে নেই।ছাত্ররা আগুন লাগাতে যায় না।আন্দোলন চলে গেছে অন্যদের হাতে।যার পরিনাম খুব খারাপ হবে।

১৯ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:২১

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ জনাব।

আপনার চোখে ছাত্রদের আগুন দেওয়াটা চোখে পড়ছে, কিন্তু তাদেরকে কাছে থেকে গুলি করে মেরে ফেলাটা এবং ক্যাম্পাসে ট্যাংক নামিয়ে দেওয়াটা চোখে পড়ছে না?

আপনি কি মানুষ?

৮| ১৯ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:৪১

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: দেশের কোন খবর পাচ্ছি না। কোনটা গুজব , কোনটা সঠিক কিছুই বুঝতে পারছি না।অন্তরটা শুধু পড়ে যাচ্ছে---

১৯ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:০৫

শ্রাবণধারা বলেছেন: হ্যা, এখন অনেক গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। যারা দেশেে বাইরে তাদেরকে এই গুজবগুলো খুব আতঙ্কগ্রস্থ করে তুলছে। দেশে ইন্টারনেট লাইন বন্ধ। ফোনের লাইন দুর্বল করে রাখা হয়েছে।

৯| ১৯ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:৫৫

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এহলো স্বাধীনতার সুফল! জাতির পিতার স্বপ্নদুষগুলো হলো এই সব।

২০ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১২:৫০

শ্রাবণধারা বলেছেন: জাতির পিতার স্বপ্নদুষ এটি কোন ধরনের ভাষা ভাই। এই জাতীয় ভাষা আমার পোস্ট বা চিন্তাভাবনার সাথে মানানসই নয়। ব্লগে অনেক ব্লগার পাবেন যারা বয়সে বুড়ো কিন্তু মুখের ইতর ভাষাটির পরিবর্তন করতে পারেনি, আপনার এই ভাষা সেখানে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে পারে বলে মনে করি।

১০| ২৫ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:৩০

অপু তানভীর বলেছেন: কামাল মিয়াকে করা আপনার প্রশ্নটা যৌক্তিক ! সে আসলেই মানুষ কিনা?
ইনি নাকি আবার মুক্তিযোদ্ধা !

২৫ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫

শ্রাবণধারা বলেছেন: অপু তানভীর বলেছেন: ইনি নাকি আবার মুক্তিযোদ্ধা !

লোকটি খুব সম্ভব মিথ্যাবাদী। আমি জীবনে যে কজন মুক্তিযোদ্ধাকে কাছে থেকে দেখেছি, তাদের মুক্তিযুদ্ধের বয়ানের সাথে এই লোকের কথাবার্তা মেলে না। কোনো মুক্তিযোদ্ধা আপনাকে কখনো 'Stop Genocide' দেখতে বলবেন না মুক্তিযুদ্ধ কেমন ছিলো সেটা বোঝার জন্য। কেননা মুক্তিযুদ্ধের সেই কয়মাসে তাদের অভিজ্ঞতা পৃথিবীর সব সিনেমার চেয়েও গভীর এবং শক্তিশালী।

১১| ২৫ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:১৯

করুণাধারা বলেছেন: আপনার পোস্টটা আগে চোখে পড়েনি, কারণ ইন্টারনেট ছিল না।

আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত, হাসান কালবৈশাখীর সবসময় ক্ষমতাসীনদের অন্যায়কে জায়েজ করার জন্য প্রচুর মিথ্যা কথা বলেন যেটা সহজেই সবাই মিথ্যা বলে ধরতে পারে। ছাত্রলীগ মারপিট করেছে নিরস্ত্র আন্দোলনকারীদের, হাসপাতালে ইমার্জেন্সিতে গিয়ে আহতদের আরেকবার মেরেছে, মেয়েরা তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি এমনকি অন্ধ একটি মেয়েকেও মারপিট করেছে!! এই সব কিছুই আমাদের ব্লগের কিছু ব্লগারদের জন্য মনে হয়েছে ঠিক কাজ!!

ধন্যবাদ আপনাকে বিষয়টি তুলে ধরার জন্য। ‌ এত বিপর্যস্ত হয়ে আছি যে ঠিকমত গুছিয়ে লিখতে পারছি না।

২৫ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪

শ্রাবণধারা বলেছেন: এই কটা দিন আমিও গভীর আতঙ্ক এবং ট্রমার মধ্যে ছিলাম। এখনও মন অশান্ত, চিন্তা ভাবনা বিক্ষিপ্ত।

তবে দেশে সন্তানসমদের রক্তের বিনিময়ে শয়তানকে চেনা হলো। রাজাকার শব্দের অর্থ যে সময়ের ব্যবধানে পাল্টে যেতে পারে, এবারের এই নরহত্যা সেটি প্রকাশ করেছে, তাদের স্বরূপ উন্মোচন করে দিয়েছে।

১২| ২৫ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৬

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: হাকাবৈ স্যরি বলার পরও উনাকে ব্যাক্তি আক্রমণ করে মন্তব্য করা দু:খজনক। ব্লগে আপনারা যত খোলা চিটি, গালি ব্যক্তি আক্রমণ সব ঐ সং্খ্যালঘু আওয়ামী মুক্তমনা দের উদ্দেশ্যে নিবেদন করতে পারবেন, (আপনি বলতে আপনার মাধ্যমে তাদের বুজগাচ্ছি যারা এগুলো করে,নিজের উপর নিবেন না) দেখি ব্লগের ক্ষমতাসীন গালিবাজ ও ব্যাক্তি আক্রমণ কারীদের বিরুদ্ধে একটা খোলা চিটি লিখেন তো। আপনারে ভারতীয় আওয়ামী পাচাটা দালাল বলে অকথ্যা ভাষায় গালিগালাজ ২/৩ জন্র মাল্টি থেকে ১৫/২০ জনের ভেক ধরে গালি দিয়ে চরম অপমান করবে।

২৫ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৯

শ্রাবণধারা বলেছেন: উপরে হাসান কালবৈশাখীর মন্তব্যের প্রতিউত্তরে আমার ঠিক কোন শব্দটা আপনার কাছে ব্যক্তি আক্রমণ মনে হল এটাই বুঝতে পারছি না! আপনি একটু বুঝিয়ে বললে নিজেকে শুধরে নিতাম!

১৩| ২৫ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৩৮

নিমো বলেছেন: ব্লগের স্বপ্নবাজ সৌরভের পর যাকে আমার সবচেয়ে সংবেদনশীল মনে হয়, তিনি হলেন আপনি। আপনি প্রচুর বই পড়েন। তাই সুযোগ হলে নিচের বইটা পড়ার অনুরোধ থাকলো। আর কোন মন্তব্য করলাম না, কারণ ব্লগের অনেকেই দেশের সত্যিকারের পরিস্থিতি বোঝার মত অবস্থায় নেই।

২৫ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৪৩

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ। এই বইটি পড়া হয়নি। আপনি যে কাজটি করলেন (পড়ার জন্য বই রিকমেন্ডেশন) এটি আমার অত্যন্ত প্রিয় একটি বিষয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.