নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
" আমাদের মতো প্রতিভাহীন লোক ঘরে বসিয়া নানারূপ কল্পনা করে, অবশেষে কার্যক্ষেত্রে নামিয়া ঘাড়ে লাঙল বহিয়া পশ্চাৎ হইতে ল্যাজমলা খাইয়া নতশিরে সহিষ্ণুভাবে প্রাত্যহিক মাটি-ভাঙার কাজ করিয়া সন্ধ্যাবেলায় এক-পেট জাবনা খাইতে পাইলেই সন্তুষ্ট থাকে......."
"মানুষের, জাতির, দেশের যখন চরম অবনতি হয়, তখনই এইরূপ নরপিশাচ জালিমের আবির্ভাব অত্যাবশ্যক হইয়া পড়ে। মানুষ যখন নিজের প্রকৃতিদত্ত অধিকারের কথা ভুলিয়া যায়, তখন তাহার আর মান-অপমান জ্ঞান থাকে না। তাহার মন এত ছোটো হইয়া যায়, তাহার আশা এত হেয় ও হীন হইয়া পড়ে যে, সে ভাবিতেও পারে না।"একশ বছর আগে কথাগুলো লিখেছিলেন কাজী নজরুল।
গত কয়েকদিনে নতুন ইতিহাস রচিত হল। ট্যাক্সের টাকায় পালিত শাসক এবং তার আজ্ঞাবাহী বাহিনীর হাতে উদ্দীপিত তরুণের রক্তমাখা লাশের ইতিহাস। জনগণের টাকায় কেনা গোলাবারুদ দিয়ে তাদেরই সন্তানের নির্মম হত্যাকাণ্ড এবং তাকে অন্ধকারে মাটি চাপা দেওয়ার ইতিহাস। দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হওয়া কালো রাতের ইতিহাস। বোনের বিলাপ, মায়ের আর্তনাদ, পিতার নির্বাক ও বধির হয়ে যাওয়ার ইতিহাস। মানুষের জীবন নিয়ে শাসকের ব্যঙ্গোক্তি ও শয়তানের পরিভাষা তৈরির ইতিহাস। যে কূট-কৌশলে তারা সকল অপকর্মের অজুহাত হিসেবে কতগুলো নাম ব্যবহার করে, তার ইতিহাস।
একজন আন্দোলনকারী ছাত্র এমন এক হত্যাকাণ্ডের বিবরণ লিখেছেন এভাবে:
"গুলি খাওয়ার আগে তিনি আমার পাশে ছিলেন। আমি, আমার ডান পাশে তিনি। জাস্ট ১/২ মিনিট আগে আমাকে বললেন 'আমরা ৩ জন কিন্তু একসাথে থাকবো।' তার মৃত্যুতে শোক নাই আমার, আছে শুধু ট্রমা। ঘুমাতে গেলে উল্টাপাল্টা দেখি। দু:খ পাবো তার মৃত্যুতে, নাকি স্বস্তি পাবো যে কয়েক ইঞ্চি এদিক ওদিক হওয়াতে আমি বেঁচে গেলাম, জানি না। গুলিটা তার মাথায় লেগেছিলো। গ্রিন রোডে ছিলাম আমরা, ল্যাব এইডের পিছে। দাঁড়ায়েই ছিলাম, নো স্লোগান, নো চিল্লাচিল্লি, নাথিং। টিয়ারশেল, রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেডের পরপর একশনের পরেও ছিলাম। এক সময় দেখি গ্রিন রোডের একপাশে অনেক পুলিশ একদম রেডি। আমরা ৩ জন সবার সামনে পড়ে যাই, আমরা সেন্ট্রাল রোডের মুখে, মানে গ্রিন রোডে। কানের পাশে প্রচন্ড আওয়াজ শুনি হঠাৎ। ভেবেছিলাম সাউন্ড গ্রেনেড, একটু দৌড় দিয়ে সেন্ট্রাল রোডে ঢুকে পিছে তাকাই, দেখি গ্রিন রোডে ল্যাব এইডের ঠিক পিছে একপাশ থেকে পুলিশের ঘেরাও করা রাস্তায় একজন একটা বডি টেনে সেন্ট্রাল রোডে আনার চেষ্টা করছে আর হাত দিয়ে ডাকছে তাকে সাহায্য করতে। সাহস করে উনাকে হেল্প করতে একটু কাছে যেতেই দেখি মানুষটার মাথার পিছনে রক্ত, নিথর দেহ। মানুষটা তিনি, ২ মিনিট আগে আমাকে যে একসাথে থাকতে বললো। ভাইয়ার কাছাকাছি যেতেই আবার ফায়ারিং হলো, আর আমি এবার সত্যিকারের দৌড় দিলাম। দৌড়ানোর সময় তাকালাম পিছে, রাস্তায় তিনি পড়ে আছেন একলা, কিন্তু আনতে পারলাম না।
তার একটা ছোট্ট মা আছে। ওর জন্য দোয়া করবেন।"
এই রক্তপাতে নিথর হয়ে যায় খেলতে যাওয়া পাঁচ বছরের শিশু, জানালার পাশে দাঁড়ানো দশ বছরের বালক, খেলার মাঠে, স্কুলে, কলেজে, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে, রাজপথে, মিছিলে, ময়দানে পনেরো, ষোল, আঠারো, কুড়ি, বাইশ বছরের কিশোর, তরুন থেকে সব বয়সের মানুষ।
কুড়ি বছরের শিক্ষার্থীকে দিবালোকে হত্যা করে ট্যাংকের উপর থেকে রাস্তায় ছুড়ে ফেলে তার উলঙ্গ মৃতদেহ। আমাদেরই ট্যাক্সের টাকায় পালিত পুলিশ! হায় হতভাগ্য জনতা! বাড়ি বাড়ি গিয়ে গেস্টাপো বাহিনীর লোকেরা পিতা-মাতার সামনে গুলি করে হত্যা করে তিলে তিলে বড় করা আদরের সন্তান। নিরস্ত্র ছাত্রকে ছেঁচড়িয়ে টেনে টেনে ড্রেনে ফেলে দেয় লাশ। মানুষের ভিড় লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলি ছোড়ে জনতার সেবা করার শপথ বাক্য পড়েছিল যে পেশার মানুষেরা। প্রাণঘাতী ভারী অস্ত্র তাক করে অবলীলায় মিছিলে গুলি চালায় খুনীরা।
বুকের রক্তে লেখা এই ইতিহাসের অধ্যয়ন ও বিশ্লেষণ যুগে যুগে করবে এদেশের মানুষ। যেমন করে আমরা নিজের অন্তরের দিকে তাকিয়ে আমাদের কাজের, সিদ্ধান্তের, ভালো-মন্দের বিচার করি। সেরকম জাতির আত্মোপলব্ধির জন্য বহুবার, বহুভাবে আমরা এই ইতিহাসের মুখোমুখি হবো।
যেমন করে সিপাহি বিপ্লবের ইতিহাস আমরা মনে ধারণ করি। যেভাবে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড ব্রিটিশের শোষণ আর জেনারেল ডায়ারের প্রতি তীব্র ঘৃণার সৃষ্টি করে। যেভাবে ৫২-এর ভাষা আন্দোলনে আমাদের সংস্কৃতির মূল ধরে নাড়া দিয়ে আত্মপরিচয়ের সন্ধান করে। যেভাবে ৬৯-এর গণ অভ্যুত্থান ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট রচনা করে। যেভাবে ৯০-এর আন্দোলন স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে জনতার বিজয়গাথা রচনা করে। সেভাবে ইতিহাসের পাতায় ২০২৪ সাল আমাদের আত্মোপলব্ধির নতুন বধ্যভূমি হয়ে আমাদের চেতনাকে তাড়া করে বেড়াবে।
নোট: উপরে উল্লেখিত উদ্ধৃতি নজরুলের "ডায়ারের স্মৃতিস্তম্ভ" প্রবন্ধ থেকে নেওয়া। পাঞ্জাবের অমৃতসরে ১৯১৯ সালে ঘটে যাওয়া জালিয়ানওয়ালাবাগের নির্মম হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে কাজী নজরুল এই প্রবন্ধ লেখেন। এটি তার প্রথম নিষিদ্ধ বই ‘যুগবাণী’তে প্রকাশিত হয়। জেনারেল ডায়ার ছিলেন সেই হত্যাকাণ্ডের আদেশদাতা। যদিও এই জেনারেল ছিলেন ব্রিটিশ প্রভুত্বের প্রতীক, প্রবন্ধটি এই একশ বছর পরে আবারও আমাদের পাঠের জন্য প্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে।
২৫ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:২০
শ্রাবণধারা বলেছেন: এটি ছিলো সূচনা পর্ব। গত কদিনের ঘটনা প্রবাহে স্রেফ আমার অনুভূতির বয়ান। আমার ভাবনা-চিন্তা স্থির এবং জড় নয়, সেটা সময় এবং ঘটনা প্রবাহের সাথে সাথে পাল্টায়। অনেকটা আপনার যেমন ইসরাইল-গাজা ইস্যুতে পাল্টে গিয়েছিলো।
"জামাত-শিবির" এই শব্দবন্ধে আপনার দেশ বিষয়ক ভাবনা ডালিম কুমারের গল্পের মত কৌটার ভিতরে বন্দি হয়ে আছে। তাই আপনি ঠিকভাবে কিছুই ভাবতে পারছেন না। আগে এই দুঃস্বপ্ন থেকে মুক্তি পাই, পরে "জামাত-শিবির" নিয়ে নতুন করে ভাবা যাবে (অনেক ভাবনা ইতিমধ্যে স্কুলের পড়া আগে আগে রেডি করার মত তৈরি করাই আছে।)
কোটা নিয়ে সামনের পর্বে লিখবো।
আপনার মন্তব্য করার সুযোগ ফিরে এসেছে জেনে আনন্দিত।
২| ২৫ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:০৮
করুণাধারা বলেছেন: ওয়াই-ফাই খুব স্লো হয়ে গেছে। কিছু দেখতে পারছি না। আপাতত তাই গত ১০ দিনের পুরানো পত্রিকা নিয়ে ঘটনা প্রবাহ দেখছি।
পোস্টে আবার পরে আসবো।
২৫ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:২৬
শ্রাবণধারা বলেছেন: আমি ভাবি এসব না দেখতে পারলেই হয়তো ভালো হত। আবার ভাবি এত দুরে থেকে শুধু তো এই সব ঘটনার ক্লিপ দেখছি। দেশের মানুষ এই নরকের ভিতর দিয়ে চলছেন। পুরো জাতি হয় নার্ভাস ব্রেক ডাউন হয়ে অর্ধোন্মাদ হয়ে যাবে, নইলে নির্বিকার, নিরাশক্ত জম্বি হয়ে যাবে।
৩| ২৫ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:২৩
কামাল১৮ বলেছেন: প্রকৃতি আপনাকে দিয়েছে গুহা মানব হতে আর শিকার করে বাঁচতে।বাকি সব মানুষের অর্জন।
এতোবড় ইতিহাস পড়ার সময় নাই।তাই অল্প একটু পড়ে মন্তব্য করলাম।
২৫ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:৩১
শ্রাবণধারা বলেছেন: আমি এটা জানি যে ব্লগে অধিকাংশ পোস্টে আপনি না পড়েই মন্তব্য করেন। এই যেমন দুদিন আগে সায়েমার ব্লগের অত্যন্ত ভালো লেখাটা আপনি না পড়েই মন্তব্য করে বসেছেন।
এটাও জানি যে ব্লগে লেখা পড়ার মত মনযোগ আপনার নেই। তবু ধন্যবাদ এখানে সেটি স্বীকার করেছেন।
৪| ২৫ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:৫৪
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: জাতির বিবেগ এমন করে কুলশীত হলো কি করে! যাদেরে কাছে সত্য জানার জন্য বসে থাকি ওরা সত্য বলতে নির্বাক, কেমন করে একটা জাতি বদল হয়ে গেল যাদের ইতিহাসে রয়েছে বেশ কয়েকটা দলীল? স্বাধীনতার এমন সুফল ২০২৪ শত -সহস্র বছর মনে রাখবে জাতি।
২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১২:১৪
শ্রাবণধারা বলেছেন: হ্যা, যথার্থ বলেছেন জাতির বিবেক কি করে এত কলুষিত হলো, এ কথাটাই নজরুল তার প্রবন্ধে উল্লেখ করেছেন। এই আমানুষ হয়ে ওঠার একটা কারন আমি খুঁজে পেয়েছি সেটা হলো বহু লোক এখন চোর-ডাকাত হয়ে গেছে। এই যে বেনজির সবচেয়ে বড় পুলিশ সেই কিনা সবচেয়ে বড় চোর, চোরেরও রাজা। এই আর্থিক অসচ্ছতাই আমাদের দুর্দশার একটা কারন।
৫| ২৫ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:৩৪
শেরজা তপন বলেছেন: পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ...
আমরা যারা দেশে আছি তাদের অনেক কথাই বেশ ভেবে-চিন্তে বলতে হচ্ছে। তাই আপাতত মন্তব্যটুকু তোলা রইল
২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১২:১৯
শ্রাবণধারা বলেছেন: "আমরা যারা দেশে আছি তাদের অনেক কথাই বেশ ভেবে-চিন্তে বলতে হচ্ছে।"
এর চেয়ে বড় সত্যি কথা আর নেই। দেশে তো বটেই বিদেশে বসেও কথা বলতে ভয় হয়, কেননা আমাদের অনেকের পরিবার-পরিজন দেশে আছেন। মাটির টানে, আত্মীয় বন্ধুর টানে দেশে যেতে হয় অনেককেই।
৬| ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১:১৭
কামাল১৮ বলেছেন: আমার এই জ্ঞান আছে যে আপনি কি লিখতে পারেন।তাই পড়ে সময় নষ্ট করার মতো সময় আমার নাই।
২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১:২৯
শ্রাবণধারা বলেছেন: সত্যি বলতে কি, আপনি একজন স্থবির বয়স্ক মানুষ। আপনার কোন জ্ঞানই নেই। যে বস্তুটাকে আপনি জ্ঞান বলে ভাবছেন সেটা জ্ঞান নয়, সেটার নাম "অভ্যাস" এবং "হিসাব"।
আপনার এই বহুদিনের অভ্যাসের কিছু ধারণা আর শব্দকে এদিক ওদিক যোগ-বিয়োগ করে কোন কিছু না পড়েই না বুঝেই এবং না অনুভব করেই মন্তব্য করেন। আর আপনার সময় আছে অনেক এবং সেই সময়টা নির্বোধের মত বৃথা অপচয় করেন।
৭| ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৩:৩২
কামাল১৮ বলেছেন: জ্ঞানের সর্বজন স্বীকৃত কোন সংজ্ঞা নাই।আমার মতে,জ্ঞান হলো তথ্য প্রমান যুক্তি দ্বারা প্রমানিত কোন সত্য।
এই ঘটনার আমার কাছে কোন তথ্য নাই।একেক জন একেক কথা বলছে।আজকে দেখলাম একজন বলছে নয়শর বেশি লোক মারা গেছে।তার কাছে প্রমান আছে।প্রমান দেখাতে বললে পালিয়ে যাবে।কেহ বলছে খুন এবং নাশকতা করছে সরকার।তার কাছে প্রমান নাই যুক্তি আছে।কিন্তু সেই যুক্তি হাস্য কর।
আমিতো আপনার লেখা পড়ি নাই বলেই মন্তব্য করি নাই।তার পরও আপনি বলছেন আমি ধারণা থেকে মন্তব্য করি।
বয়স্ক ঠিক আছে কিন্তু স্থবির না।বয়স্ক ভাতায় আমার চলে চায় তাই কোন কাজ করতে হয় না।সন্তানরা ভালো চাকুরি করে,তারা এখানেই লেখাপড়া করেছে।
আমি নিয়মিত পার্কে,লেকের ধারে মলে ঘুরাফেরা করে সময় কাটাই।কয়েক বছর পর হয়তো স্থবির হয়ে যাবো,তার আগেয় যেনো পরপারে যেতে পারি সেই কামনা করি।স্থবির জীবন বড় কষ্টের
২৬ শে জুলাই, ২০২৪ ভোর ৫:৩১
শ্রাবণধারা বলেছেন: কামাল১৮ বলেছেন: এই ঘটনার আমার কাছে কোন তথ্য নাই।
ঘটনাটি ২০২৪ সালে ঘটেছে বলেই এর তথ্য প্রমাণ খুব ভালো করে রয়ে গেছে। বিবিসি, আল জাজিরা থেকে শুরু করে ভারতীয় চ্যানেল গুলোও এই সকল ক্লিপ এবং তথ্য বাছাই করে নিউজ করছে।
কামাল১৮ বলেছেন: আজকে দেখলাম একজন বলছে নয়শর বেশি লোক মারা গেছে। তার কাছে প্রমান আছে। প্রমান দেখাতে বললে পালিয়ে যাবে।
হত্যার যে সীমিত সংখ্যক ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে, সেই হিসাব স্যম্পল হিসেবে ধরলে প্রকৃত সংখ্যাটা অনেক বেশি হবে বলে আমারও ধারনা।
আপনাকে আহত করে এমন কথা বলতে চাই না, কিন্ত গত কদিনে আপনি যে অসংবেদনশীল মনোভাব প্রকাশ করেছেন তাতে করে আমার এই কথাগুলো আপনার জন্য সমুচিত ছিল।
৮| ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ ভোর ৪:৪৮
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: এখন ইতিহাস যে কি, সেটাই অনেকে বুঝে না। জিজ্ঞাস করলে উল্টা জিজ্ঞাস করে ইতিহাস জিনিসটা কি?
২৬ শে জুলাই, ২০২৪ ভোর ৫:৪৩
শ্রাবণধারা বলেছেন: এই সময়ের প্রেক্ষিতে আপনার প্রশ্নটি খুব তাৎপযপুর্ণ। ইতিহাস অর্থ "অতীত ঘটনার অধ্যয়ন, বিশেষ করে মানবিক বিষয়ে"।
যে আকবরের ইতিহাস আমরা জানি বই পড়ে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অল্প কিছু ভিডিও ক্লিপ আছে, বহু আলোক চিত্র আছে এবং প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ননা আছে - তাই এই ইতিহাস বিকৃত করা প্রায় অসম্ভব।
এখন যে ঘটনা ঘটলো এগুলোর অনেক ভিডিও ক্লিপ ইতিমধ্যে আমরা দেখেছি, আরও দেখতে পাব। এই ঘটনাগুলোর গুরুত্ব এত বেশি যে এসব আমাদের বারবার বিশ্লেষণ করতে হবে, পড়তে হবে। তখন এই তথ্যগুলোই ইতিহাসে পরিনত হবে।
৯| ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ ভোর ৪:৫৫
কামাল১৮ বলেছেন: @মহাজাগতিক, ইতিহাস হলো অতীত ঘটনাকে তথ্য প্রমান যুক্তি সহকারে বিশ্লষণ করে অধ্যয়ন।
২৬ শে জুলাই, ২০২৪ ভোর ৫:৪৪
শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ।
১০| ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ৮:৩৫
কামাল১৮ বলেছেন: বিবিসি, আল জাজিরা নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করেনা।তার বহু প্রমান আছে। ব্লগে যারা প্রত্যক্ষদর্শী তারা দুই রকমের কথা বলছে,কার কথা বিশ্বাস করবেন।আপনিও দেখেন নাই আমিও দেখি নাই।
মানুষ সেই কথাই বিশ্বাস করে, যা তার চিন্তার সাথে মিলে যায়।সত্য মিথ্যা চিন্তা দ্বারা নির্ধারন হয় নাগ।সত্য হলো মানুষের চিন্তা নিরপেক্ষ এক বাস্তবতা।গভীর অনুসন্ধান করে তা নিরুপন করা যায়।একই সময় দুটি সত্য থাকতে পারে না।
আপনি আর কি আহত করবেন।আমি জানি আপনার জ্ঞানের গভীরতা যতটুকু আপনি তেমন করেই বলবেন।
২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ৮:৪১
শ্রাবণধারা বলেছেন: জি জনাব, সঠিক বলেছেন। এখন দয়া করে আমাকে মাফ করে দেন।
১১| ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ৯:৫৮
নূর আলম হিরণ বলেছেন: আপনিও বিশ্বাস করেন হেলিকপ্টার থেকে নির্বিচারে গুলি করা হয়েছে!
২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:১৩
শ্রাবণধারা বলেছেন: ভালো প্রশ্ন করেছেন। এই তথ্যটি ভিডিও ক্লিপগুলোতে আমি দেখিনি। পোস্টের এই অংশটি (শব্দটি) ঠিক করে দিচ্ছি। তবে গুলি যে নির্বিচারে করা হয়েছে সেটা নিশ্চিত হয়েছি। আপনি মনে হচ্ছে নিশ্চিত নন?
আরও কোন ভুল তথ্য আছে কি না জানালে বাধিত হবো।
১২| ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:২২
শাহিন-৯৯ বলেছেন: নূর আলম হিরণ বলেছেন: আপনিও বিশ্বাস করেন হেলিকপ্টার থেকে নির্বিচারে গুলি করা হয়েছে!
নয়া দিগন্ত এই নিয়ে প্রতিবেদন করেছে এবং প্রতিবেদক সেখানে উল্লেখ করেছে হেলিকপ্টার থেকে গুলি করার ফুটেজ তার কাছে আছে।
২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:৫০
শ্রাবণধারা বলেছেন: হেলিকপ্টার থেকে গুলি করার সত্য মিথ্যা নিরূপণ করার ক্ষমতা আমার নেই। তবে, ছাতে খেলতে গিয়ে পাঁচ বছরের শিশুর মৃত্যুর কারণে ঘটনাটি বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হয়েছিল।
আমার মূল পয়েন্ট ছিল নির্বিচার হত্যা। এ বিষয়ে যুক্তি-তর্কের অবকাশ নেই, তাই হয়তো তিনি হেলিকপ্টারের প্রসঙ্গটি উল্লেখ করেছেন।
১৩| ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:৪৩
রিদওয়ান খান বলেছেন: যাদের মধ্যে মনুষ্যত্ব আছে সে কখনো ভিডিও ও ছবিগুলো দেখার পর স্থির থাকতে পারবেনা। এমন নির্বিকার হতাহত (!)
অথচ তারপরেও কিছু মানুষ এগুলোকে পাশ কাটিয়ে বলবে অমুকে এটা বলেছে মিথ্যা তমুক এটা বলেছে গুজব।
আরেহ ভাই ভিডিওতে যেগুলো দেখা যাচ্ছে সেটাই স্বীকার করে নেন অন্তত যে হ্যা এমন একটা জেনোসাইড হয়েছে।
আবার যারাই এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে বলে অমুক পত্রিকা মিথ্যা বলে
তমুক পত্রিকা গুজব রটায় তারাই আবার ভিডিও দেখে এসে বলবে ছাত্রলীগের ছেলেদের ছাদ থেকে ফেলে দিয়েছে,
অমুক স্থাপনায় আক্রমণ করেছে! কী রে ভাই তুমি না বললে মিডিও সত্য প্রকাশ করেনা তাহলে এখন এগুলার ক্ষেত্রে
কেনো মিডিওকে সত্য মনে করছো? আর ঐ ছোট ছোট বাচ্চা ছেলেদের লাশের ব্যপারে কেনো মিডিয়াকে অস্বীকার করছো?
২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:৫৩
শ্রাবণধারা বলেছেন: এই নির্বিচার হত্যার পরে আসলে আর কোন বাদ-প্রতিবাদের অবকাশ থাকে না। এই হত্যা আর সব কিছুকে তুচ্ছ করে ফেলেছে।
১৪| ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:৫২
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
কামাল১৮ (পড়ুন ২৪এর রাজাকার) এর মন্ত্যবের বিপরীতে লেখক বলেছেন: আমি এটা জানি যে ব্লগে অধিকাংশ পোস্টে আপনি না পড়েই মন্তব্য করেন। এই যেমন দুদিন আগে সায়েমার ব্লগের অত্যন্ত ভালো লেখাটা আপনি না পড়েই মন্তব্য করে বসেছেন।
আসলে এর পড়েনা বলেই এদের আজ এই দশা। মন্ত্যবের বিপরীতে কোন যুক্তি দেখাতে পারে না। তোতা পাখির মতো এক জামাত শিবির মৌলবাদ শব্দ ছাড়া আর কিছুই শেখে নাই
২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:৪৫
শ্রাবণধারা বলেছেন: হ্যা, তিনি না পড়েই অধিকাংশ লেখায় মন্তব্য করেন। উনি স্বীকার করেছেন যে পড়তে তার খুব কষ্ট হয়। তাই তাকে কষ্ট দিতে চাই না।
১৫| ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৫২
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এ ধরনের আন্দোলনে তৃতীয় পক্ষ ঢুকে সুযোগ খোঁজার চেষ্টা করে। প্রধানমন্ত্রী এত এত আন্দোলন সামাল দিয়ে এসে এ পর্যায়ে অদূরদর্শীতার পরিচয় দিলেন। নিজেই অন্যদের সুযোগ করে দিয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনলেন। অথচ চাইলেই খুব সহজেই ছাত্রদের শান্ত করতে পারতেন। এ ক্ষত সহজে সেরে উঠবে না।
২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:৪৪
শ্রাবণধারা বলেছেন: হ্যাঁ, হয়তো সঠিক যে সরকার চাইলে সহজেই ছাত্রদের শান্ত করতে পারতেন। কিন্তু সরকার সেটা চাইবে কেন? এই কোটার সুবিধাভোগীরা তারাই। এটি তাদের হাতুড়ি-হেলমেট-বাহিনীর পুনর্বাসন প্রকল্প এবং জনগণের অনুমোদন ছাড়াই ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার একটি ব্যবস্থা বই আর কিছু তো নয়।
১৬| ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:২৫
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমরা আর লাশের রাজনীতি চাই না, দেশে সুস্থধারার রাজনীতি চালু হোউক সেটাই কাম্য।
২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:৩৭
শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার দৃষ্টিশক্তির প্রশংসা না করে পারা যায় না!!
লাশের স্তূপের উপর দাঁড়িয়ে আপনি দেখছেন লাশের রাজনীতি। আপনার মতো দূরদৃষ্টিসম্পন্ন মানুষ আমি এখনও হতে পারিনি ভাই। লাশের স্তূপের উপর দাঁড়িয়ে আমি শুধু দেখছি লাশ, আমাদের সন্তানের রক্ত!!!
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:০৭
সোনাগাজী বলেছেন:
কবি নজরুল ইসলাম আমাদের জাতীয় কবি, উনার জন্য অনেক সন্মান রলো; কিন্তু ১৯৪৩ সাল থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের মাঝে বিশ্বে যে সামাজিক বিবর্তন ঘটেছে, তা আপনি উনার থেকে বেশী দেখেছেন।
উনি বৃটিশ-বিরোধী মানুষ হয়েও, ওদের চাকুরী করেছেন, ইহা হলো অর্থনীতি; উনাকে কোটানুসারে চাকুরী দেয়া হয়নি; চাকুরী ছিলো বলেই দেয়া হয়েছিলো।