নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
" আমাদের মতো প্রতিভাহীন লোক ঘরে বসিয়া নানারূপ কল্পনা করে, অবশেষে কার্যক্ষেত্রে নামিয়া ঘাড়ে লাঙল বহিয়া পশ্চাৎ হইতে ল্যাজমলা খাইয়া নতশিরে সহিষ্ণুভাবে প্রাত্যহিক মাটি-ভাঙার কাজ করিয়া সন্ধ্যাবেলায় এক-পেট জাবনা খাইতে পাইলেই সন্তুষ্ট থাকে......."
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফেসবুক পেজ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে এবং ড. ইউনূস এতে সম্মতি জানিয়েছেন। এটি একটি ভালো খবর এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে আমরা ড. ইউনূসকে স্বাগত জানাই।
গত কদিন আমি হাসান কালবৈশাখী এবং আওয়ামী-পন্থী যেসব ব্লগার আছেন, যেমন সোনাগাজী, নূর আলম হিরণ, মোহাম্মদ গোফরান বা কামাল১৮, তাদের বক্তব্যকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করেছি। আবার বিএনপি-পন্থী ব্লগারদের বক্তব্যগুলো গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি। এখন সময় হয়েছে বিষয়টিকে সম্পূর্ণ উল্টো করে নেওয়ার। অর্থাৎ এখন সময় হয়েছে আজকের পরাজিত শক্তি আওয়ামী-পন্থীদের কথাকে গুরুত্ব দেওয়ার এবং বিএনপি-পন্থী, বিশেষ করে যেগুলো ছাগলের মতো অকারণে নৃত্য করছে তাদের সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করার।
হাসান কালবৈশাখী তার একটি মন্তব্যে লিখেছেন, "প্রশ্নের জবাবে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, আলোচনায় ছিলেন জামায়াতের আমির, বিএনপির শীর্ষ নেতা, জাতীয় পার্টির নেতা, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মামুনুল হক, জোনায়েদ সাকি।"
আমারও প্রশ্ন হলো, নিষিদ্ধ ঘোষিত দল জামায়াতের আমির কিভাবে এই আলোচনার অংশ হতে পারে? আমরা বাংলাদেশকে তালেবানি বা শরিয়াভিত্তিক রাষ্ট্র বানাতে চাই না। আমাদের প্রয়োজন ন্যায়ভিত্তিক সমাজ এবং বৈষম্যবিহীন শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। এমন একটি রাষ্ট্র যেখানে মানুষের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে, মানুষের চিন্তা-বুদ্ধি এবং বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত হবে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত জন প্রতিনিধিরা যুক্তি-তর্কের মাধ্যমে মানুষের কল্যাণকর আইন প্রণয়ন করবে। আকাশ থেকে নেমে আসা প্রত্যাদেশ বা দৈববাণী নয়, যুক্তি-বুদ্ধি এবং তর্ক-বিতর্কের মাধ্যমে দেশের জনগণের জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
তাই এই অপশক্তিগুলোকে প্রতিহত করার সময় এসেছে। শরিয়াতন্ত্রের ভিত্তিহীন ভাবনা থেকে রাষ্ট্রচিন্তাকে আলাদা করে রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ। সেকারনে রাষ্ট্র ও জনকল্যাণের যেকোনো আলাপ-আলোচনা থেকে ইসলামিস্টদের বিরত রাখা প্রয়োজন। ধর্মপরায়ণ মানুষকে ধর্মপালনের সকল সুযোগ দিতে হবে এবং রাষ্ট্রে যাতে তারা নিরাপদ বোধ করে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু ধর্মান্ধদের পরামর্শে যদি রাষ্ট্র চলে তবে সে রাষ্ট্রের পরিনতি হবে শোচনীয়।
ফেসবুক খুলতেই দেখলাম বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে আগুন দিয়েছে দুষ্কৃতিকারীরা। আগুন দিয়েছে মাশরাফি বিন মর্তুজার নড়াইলের বাড়িতে। গণভবন থেকে লেপ-তোষক-জামা-কাপড়, হাস-মুরগি সবকিছু চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে মানুষ। একজন কে দেখলাম নারীর অন্তর্বাস হাতে নিয়ে পোস্ট দিয়েছে। তাই অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে তালেবানি শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার একটি সুযোগ পেয়েছে। এদেরকে প্রতিহত করাটা এখন সবচেয়ে জরুরী। সংখ্যালঘুদের বাড়ি ঘর দোকানপাটে ছাত্রলীগ আগুন দিচ্ছে, এটা বলে অন্ধ হয়ে থাকার সময় এটা নয়। ধর্মান্ধ জঙ্গিদের থেকে আমাদের খুবই সতর্ক হওয়ার সময় এসেছে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে আমি সমাজ পরিবর্তনের আন্দোলন হিসেবে দেখছি যা চালিয়ে যেতে হবে। আমি চাই না তারেক জিয়া দেশে ফিরে ক্ষমতা গ্রহণ করুক। সেটা ঘটলে দেশ সেই পুরাতন আবর্তে আবার ফিরে যাবে। নতুন বোতলে পুরানো মদ নয়, এখন বোতলটাকেই পাল্টাতে হবে। এটা খুবই কঠিন একটি কাজ আর এই কাজটা শুধু ছাত্রদের নয়, এই কাজ সিভিল সোসাইটি, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, আমলাসহ সকল পেশাজীবীদের।
০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫১
শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার এই মন্তব্যটি (এবং আরো কজনের), খুব আশা জাগানিয়া। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
২| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ ভোর ৬:৩২
কামাল১৮ বলেছেন: উনিতো সাজা প্রাপ্ত আসামি।আরো কেস আছে ওনার নামে।সর্বোপরি ওনি ভালো লোক না।রাজনীতি করবেন না বলে নাকে খত দিয়েছেন।ভোটে পাশ করে আসুক আগে।সিলেকশন হলে ইলেকশনে দাড়াতে পারবেন না।
০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৩
শ্রাবণধারা বলেছেন: হ্যা ড. ইউনূস ভালো লোক নন, আপনি ভালো লোক।
এতদিন জামাতের লোকেরা ভোট-ভোট করতো, এখন ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হয়ে আওয়ামী লীগের সেই সময়টা এসেছে!
৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৭:০৫
এক্সম্যান বলেছেন: দরকার একটা তৃতীয় শক্তি, যারা জনগনের কাছে গ্রহনযোগ্যতা পাবে। গ্রহনযোগ্যতা সম্পন্য একটা দল না হলে আবার সেইম হবে। কারন বিএনপিকে যতই গালি দেই না কেন, তাদের ভোট আছে। সুতরাং নির্বাচন নিয়ে বেশি তারাহুরা না করে ধির স্থির ভাবে রাষ্ট্র সংস্কার করতে হবে। চিরতরে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করতে পারলেই ৫০% কাজ হয়ে যাবে।
০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:০০
শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার এই মন্তব্যটিও খুব আশা জাগানিয়া। এবং আপনি অতি গুরুত্বপূর্ন দুটি কথা বলেছেন নির্বাচন নিয়ে বেশি তাড়াহুড়ো না করে রাষ্ট্র সংস্কারের কথা এবং ছাত্ররাজনীতি বন্ধের কথা।
আমি ব্যক্তিগতভাবে রাজনীতি থেকে পরিবারতন্ত্রের সম্পূর্ন বিলুপ্তি চাই এবং আওয়ামী, বিএনপি, জামাত এই নামগুলোই যেন আর না থাকে সেটা চাই। আম আদমীর মত নতুন দল দেশে আসুক এটা চাই। এটা যদি সম্ভব না হয় তখন বাকিটা নিয়ে ভাবা যাবে।
৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৭:৫০
আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: রাজনৈতিক সংস্কার একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। নতুন করে কেউ এসে ভালো করবে তার কি গ্যারান্টি আছে? আপনার জনমতের প্রতি যতেষ্ট শ্রদ্ধা রেখে বলি, বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রতি কি পরিমাণ স্টিমরোলার গেছে, একটু শুধু কল্পনা করুন।
০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:০৩
শ্রাবণধারা বলেছেন: আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রতি কি পরিমাণ স্টিমরোলার গেছে, একটু শুধু কল্পনা করুন
এ বিষয়ে দুঃখজনক ভাবে আমার কল্পনা শক্তি খুব বেশি ক্রিয়াশীল নয়। তবে তারেক জিয়া দেশে এসে ক্ষমতা নিতে পারে এই ভয়ে আমি কিছুটা ভীত ।
৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সবচেয়ে সমস্যা বিপদে পরেছে পুলিশ সদস্যরা।
সেনাপ্রধান তার ভাষনে পুলিশের নিরাপত্তা দেয়ার কথা বা কাজে ফেরার কথা কিছুই বলছে না। নিজেরাও নিরাপত্তা দিচ্ছে না।
প্রতিটি থানায় থানায় আগুন লাগানো হচ্ছে, অস্ত্র লুট চলছে। এখনো চলছে। সেনাবাহনী কোথায়।
এজাবৎ প্রাপ্ত সংবাদে এক হাজারের উপর পুলিশ মেরে ফেলা হয়েছে
০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:০৭
শ্রাবণধারা বলেছেন: সেনাবাহিনীর উচিত পুলিশের নিরাপত্তা দেওয়া। আওয়ামী লীগের সকল বড় নেতারা পালিয়ে যাওয়ায় একটা বড় শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। এদেরকে ধরে ধরে দেশে ফেরত পাঠালে দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো হতে পারে বলে মনে হয়।
৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:১৫
বিষাদ সময় বলেছেন: আগে থেকে যা ধারণা করেছিলাম, ঠিক তাই হয়েছে । বঙ্গ ভবনের কর্তৃত্ব নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তির হাতে চলে গেছে। তারা সবার আগে তাদের রাজনৈতিক দাবীগুলো আদায় করে নিয়েছেন। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্ময়করা অলরেডি দুধভাতে পরিণত হয়ে গেছেন। ধানমণ্ডী ৩২ সহ বিভিন্ন জাগায় লুট এবং আগ্নি সংযোগ করা হয়েছে। আওয়ামীলীগ এর এক নেতার হোটেলে আগুন দেয়ায় ২০ জন পুড়ে মারা গেছেন। কোটা বিরোধী আন্দোলেনের সমন্ময়করা যথারীতি এসব অঘটনের দোষ ক্ষমতা থেকে পতিত নেতা, কর্মীদের ঘাড়ে চাপিয়েছেন।
০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:১৪
শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ। সন্ত্রাসী কাজগুলো বিএনপি জামাতের সন্ত্রাসীরাই করছে বলে আমার ধারনা। এখন তারা এই কাজগুলোর মাধ্যমে রাজপথ তাদের দখলে রাখতে চাচ্ছে।
আর আপনি এটাকে কোটা-বিরোধী আন্দোলন কেন বললেন বিষয়টি আমার বোধগম্য নয়। এটা কোটা বিরোধী আন্দোলন ছিলো মাসখানেক আগে। আওয়ামী ম্যাসাকারের পর এটাকে কোটা-বিরোধী আন্দোলন বলাটা অন্যায়।
৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:৩৪
পাইকার ১.১.২ বলেছেন: ছাত্রজনতার আন্দোলনের ক্রেডিট নিতে জামাত বিম্পিরা ও ছাগুরা উঠে পড়ে লেগেছে। সারা দেশে এমপি, নেতাদের বাড়ি লুটপাট করে জ্বালিয়ে দেয়ার মূল হোতাই এরা। থানায় হামলা এরাই করছে। এদের থামানো জরুরি। এখনই যে ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে। ক্ষমতায় আসলে চালাবে মৃত্যুলীলা। লীগের লুটেরা সন্ত্রাসীরা দলে যোগ দেবে। দল হয়ে উঠবে আরেক লীগ।
জেন জি নতুন নেতৃত্য চায়। ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ চায়। কোনো ব্যাক্তির দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়ার আইন চায়।
০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:২১
শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনি বিষয়টি খুব স্পষ্ট ভাবে বুঝেছেন। আপনার মন্তব্যটিও আমাদের প্রত্যাশাকে জাগ্রত করে।
আইন শৃঙ্খলার এই বিপর্যস্ত অবস্থায় জামাত বিম্পিরা তাদের স্বরূপে ফিরে গেছে, এখন প্রয়োজন এদের কে আবারো খাঁচায় ঢোকানো।
ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ চায় এবং কোনো ব্যাক্তির দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়ার আইনের সাথে সম্পূর্ন একমত। আমি আরও চাই পরিবারতান্ত্রিক প্রাগৈতিহাসিক রাজনীতির ধারার বিলুপ্তি।
৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ছাত্র জনতার বিজয় লুটপাট করার জন্য ছাগুশ্রেণী ও জঙ্গিরা বিভিন্ন প্ল্যান করছে। এরা মনে করছে এই বিজয় ওদের। সামান্য ব্লগে চিহ্নিত মৌলবাদ পন্থি ২/৩ জন ব্লগার চাঁদগাজীর নাম উল্লেখ করে পোস্ট দিয়ে উস্কানিমূলক ও ব্যাক্তি আক্রমণ মূলক মন্তব্য করে পৈশাচিক উল্লাস করছে। মডারেশনের ১ জন সেখানে মন্তব্য করে এই কুলাঙ্গার নর্দমার কীট কুকুরকে উস্কে ও লেলিয়ে দিচ্ছে।
এইবার ভাবুন এরা ক্ষমতায় গেলে কি পরিমান জঙ্গিবাদ রাজাকারগিরী সন্ত্রাস ও কুকুরের মত ঘেউ ঘেউ করবে।
০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:২৫
শ্রাবণধারা বলেছেন: হ্যা, জঙ্গি জামাত শিবির গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ধারন করে না। ক্ষমতায় যাওয়ার প্রশ্ন তো নয়ই, এদের কোনভাবেই রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারনে থাকতে দেওয়া উচিত নয়।
৯| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮
রানার ব্লগ বলেছেন: ছাত্র ও ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি চিরতরে নিষিদ্ধ হোক। সেই সাথে দেশের পরিবর্তন চাইলে প্রথম পরিবর্তনটা আপনার আমার থেকেই শুরু হোক।
১. আজ থেকে কোন ট্রাফিক সিগনাল ভাঙবো না।
২. আজ থেকে দেশের কোন সরকারি অফিসে কাজের জন্য অনৈতিকভাবে এক টাকাও দিব না।
৩. আজ থেকে রাস্তায় কোন ময়লা ফেলবো না।
৪. আজ থেকে চোখের সামনে কোন অন্যায় হলে সাথে সাথে রুখে দাঁড়াবো।
৫. ভুমি দখল, রাস্তা দখল, নদী দখল, পার্ক দখল করবো না।
৬. যেখানে সেখানে থুথু ফেলবো না, হিসু করবো না।
৭. অন্যের ধর্ম কে কটুক্তি করবো না।
০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:৩১
শ্রাবণধারা বলেছেন: ফেসবুকে ঠিক আপনার এই লেখাটিই চোখে পড়েছিলো। এটা এখানে মন্তব্য আকারে দেয়ার কি মানে বুঝলাম না।
কদিন আগে যখন আওয়ামী দুর্বৃত্তদের ছাত্র হত্যাকে ৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান এবং ৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সাথে তুলনা করেছিলাম তখন অন্য মানুষের পোস্টে গিয়ে আপনি আমাকে উপহাস করছিলেন।
তো জনাব, এখন আপনার এই আন্দোলন সম্পর্কে মূল্যায়ন কি?
১০| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:২১
নতুন বলেছেন: সেনা প্রধান শেখ হাসিনার চাচাতো বোনের জামাই। রাস্টপতি আয়ামীলীগের নেতা।
তারা দুজন মিলে শেখ হাসিনাকে জীবন বাচিয়ে দিলো।
ড: ইউনুছ আসলে বিএনপি, জামাত, কট্টরপন্হি মুমিনুল হকেরা সুবিধা করতে পারবেনা।
কিন্তু নিবাচনের সময় জনগন যদি ভোট দিয়ে তাদের ক্ষমতায় বসায় সেটা হবে আরেক হতাশার শুরু।
দশের মানুষ কি এখন গনতন্ত্রের জন্য প্রস্তুত?
০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:৪০
শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন। আপনি অনেকগুলো খুব গুরুত্বপূর্ন পয়েন্ট উল্লেখ করেছেন।
আপনার মতো আমারো বিশ্বাস এই যে ড. ইউনূস থাকলে বিএনপি, জামাত এবং কট্টরপন্থীরা সুবিধা করতে পারবেনা।
আমার মনে হচ্ছে ধীরে ধীরে এরা রাজনীতির মাঠ দখল করে ফেলতে চাচ্ছে আওয়ামী লীগের সময়ে তারা যেটা করতে পারেনি। এখন দেখার বিষয় ড. ইউনূস কিভাবে এদের নিয়ন্ত্রণে রাখেন।
আপনি বলেছেন "দেশের মানুষ কি এখন গনতন্ত্রের জন্য প্রস্তুত?"। আমার উত্তর হল একেবারে নয়। আমাদের দেশে গণতন্ত্রের কাঠামোটি বিকশিত হতে অনেক সময় লাগবে। ভোটের রাজনীতি আর গণতন্ত্র এক নয়। ভোট গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার একটি হাতিয়ার মাত্র।
১১| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৩০
মিথমেকার বলেছেন: বর্তমান চলমান সহিংসতা প্রিপল্যান্ড ছিল কিছুটা। যেটার প্রমাণ বাংলাদেশের সাইবার স্পেস এ রয়েছে।
০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:৪৫
শ্রাবণধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আপনার সাম্প্রতিক পোস্টগুলো আমি গুরুত্ব সহকারে পড়েছি।
আপনি লিখেছেন "বর্তমান চলমান সহিংসতা প্রিপল্যান্ড ছিল কিছুটা।" হ্যা, এটাকে কিছুটা বললে ঠিক হবে। এতে সত্যতা আছে বলে মনে করি, কিন্তু পুরো দেশের সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনাগুলোতে বিএনপি, জামাত প্রতিক্রীয়াশীল শক্তি জড়িত এ বিষয়ে সন্দেহ নেই।
১২| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:১৯
করুণাধারা বলেছেন: আওয়ামী হায়েনার বিচারের চেয়েও এখন জরুরী ধর্মান্ধ, জঙ্গি ও ইসলামের বিষয়ে সতর্কতা
একমত পুরোপুরি। আসলে সামগ্রিক পরিস্থিতি দেখে আমি কিছুটা হতাশার মধ্যে পড়ে গেছি। মনে হচ্ছে গরম কড়াই থেকে জ্বলন্ত চুলায় পড়তে যাচ্ছি না তো!
গতকাল রাষ্ট্রপতির মিটিং দেখে আমি খুবই হতাশ হয়েছি, যে লোকগুলোকে তিনি ডেকেছেন, দেশের কাজে এদের কি ভূমিকা আছে? এরা কেবল জানে রাজনীতি। অথচ রাজনীতি না জানা লোকেরাও খুব ভালোভাবেই দেশ চালাতে পারে, এর প্রমাণ প্রতিটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়কাল। এই সভায় ডাকা উচিত ছিল যারা দেশ এবং জনগণের জন্য কাজ করছে এমন মানুষদের, যেমন পরিবেশ আইনজীবী সমিতির সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান, সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত মানবাধিকার কর্মী মানজুর মতিন এবং অবশ্যই যে ছাত্ররা রক্ত এবং ঘাম ঝরিয়ে এই অর্জন এনে দিয়েছে তাদের। কতগুলো বাতিল মানুষ এমন কঠিন সময়ে উত্তরণের বিষয়ে কোনো ধারণা দিতে পারেন বলে মনে করি না। কিন্তু এই ছাত্ররা পারবে।
আপনার আশঙ্কা ঠিক। আজকে ইউটিউবে পরবর্তী সরকারে কে আসতে পারে এমন একটা ভিডিও দেখতে গিয়ে দেখি, একজন কমেন্ট করেছে যে মশিউর রহমান আজহারী প্রধানমন্ত্রী হলে সবচাইতে ভালো হবে!! খুবই অবাক হয়েছি এমন মনোভাব সম্পন্ন মানুষ আছে দেখে, এবং শঙ্কিতও হয়েছি। এতদিন দমবন্ধ করা পরিস্থিতিতে এক রকমের আশঙ্কা নিয়ে দিন কাটাচ্ছিলাম। গতকাল শেখ হাসিনার পদত্যাগের পরে ভেবেছিলাম পরিস্থিতি ঠিক হবে। কিন্তু এখন কেবল আশঙ্কিত হয়ে সামনের দিকে তাকিয়ে আছি।
কিন্তু আপনাকে একটা জিনিস বলতে চাই, ব্লগে আপনি আওয়ামী সমর্থক নন এমন ব্লগারদের বিএনপি সমর্থক বলে ধরে নিচ্ছেন। এই ধারণা ঠিক নয়। একজন মুক্তিযোদ্ধা না হলেই যে সে রাজাকার হবে সেই ধারণা করা যেমন ঠিক নয়।
০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:১৭
শ্রাবণধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
আপনার এই মন্তব্যটি কিন্তু আমার মনে শঙ্কার ভেতরেও রবির কিরণ পৌঁছে দিল! আপনার ভাবনাগুলোর সাথে আমি একমত এটা বললে বরং কম বলা হয়, বলতে হয়, আপনার এই চিন্তার সাথে আমি একাত্মতা প্রকাশ করছি।
রাষ্ট্রপতির মিটিংয়ে আমিও চাই সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান, শহিদুল আলম, এবং আনু মুহাম্মদের মতো মানুষেরা থাকুক, এবং প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির কোন প্রতিনিধি না থাকুক। আমরা পিছিয়ে পড়া জাতি থেকে পিছনে হাঁটা জাতিতে পরিণত হয়েছিলাম। এই ধারাটা পাল্টে দেওয়ার একটা সুযোগ এসেছে। কিন্তু মনে হচ্ছে প্রতিক্রিয়াশীলদের যত প্রতিনিধি গতকাল রাস্তায় ছিল, সংখ্যাটা আজ আরো বেড়ে গেছে। যদিও আশাহত হওয়ার কারন এখনও ঘটেনি, তবে সতর্ক হবার সময় এসেছে।
ব্লগে আওয়ামী সমর্থক নন তাদেরকে বিএনপি সমর্থক ধরে নিচ্ছি তা কিন্তু নয়। তবে কথাটি বোধ হয় সেরকম টাই হয়ে গেছে। ব্লগে মধ্যপন্থীরাই বেশি বলে মনে হয়, আর তাদের ভাবনা-চিন্তা আমি অতি গুরুত্বের সাথে নেই এবং বোঝার চেষ্টা করি।
১৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ২:০৭
ধুলো মেঘ বলেছেন: জামায়াতকে সরকার নিবন্ধন বাতিল করুক, নিষিদ্ধ করুক, গণহত্যা করুক, যাই করুক - দল হিসেবে জামায়াত টিকে থাকবেই। বাংলাদেশের রাজনীতিতে জামায়াতের যে অবদান আছে, তাতে কোন অবস্থাতেই জামায়াতকে অবজ্ঞা বা অস্বীকার করার কিছু নেই। ফেসবুক ঘাঁটলে কিছু লেখা হয়তো আপনার চোখে পড়বেঃ
- আমরা চার কোটি রাজাকার যদি অস্ত্র নিয়ে নামি, আপনারা টিকতে পারবেন?
- বিশ্বের ইতিহাসে এই প্রথম রাজাকারেরা দেশ স্বাধীন করল - স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি পালিয়ে গেল
- আমি এখন গর্ব করে বলি, আমি রাজাকার
কি বুঝলেন? জামায়াতকে রাজাকার গালি দিয়ে মানুষের থেকে আলাদা করার - জাতিকে বিভক্ত ও বিভ্রান্ত করা হীন কৌশলের দিন চিরিদিনের মত শেষ হয়ে গেছে। জামায়াত এখন মূল ধারার রাজনীতির অংশ।
০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:২৫
শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনি একটি রূঢ় বাস্তবাতাকে প্রকাশ করেছেন। আপনাকে ধন্যবাদ না দিয়ে পারা গেল না।
এই যেমন আপনি অত্যন্ত আপত্তিকর ভাষায় ৭৬ বছর বয়সী একজন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে কটুক্তি করছেন এটাও ধর্মান্ধ জঙ্গিদের মানসিকতা সম্পর্কে আমাদের কে তথ্য দিচ্ছে।
দেশকে গত ৩০-৪০ বছর র্যাডিকালইজ করা হয়েছে। ধীরে ধীরে এই অবস্থার পরিবর্তন করতে হবে। আপাতত দেখা যাক ড. ইউনূস এবং তার সরকার কিভাবে এই প্রতিক্রীয়াশীলদের মোকাবেলা করেন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ ভোর ৬:৩০
রবিন_২০২০ বলেছেন: একমত।
তারেক জিয়া কিংবা ধর্মান্ধ দল গুলোকে ক্ষমতায় আনার জন্য মানুষ এই বিশাল ত্যাগ শিকার করেনি।